Ajker Patrika

রোজিনা ইসলামকে কোনো নির্যাতন করা হয়নি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আপডেট : ১৮ মে ২০২১, ১৮: ১৩
রোজিনা ইসলামকে কোনো নির্যাতন করা হয়নি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা: সচিবালয়ে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে আটকের রেখে কোনো নির্যাতন করা হয়নি বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনটি বলেন মন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, রোজিনা ইসলামকে তাঁর প্রতিবেদনের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়নি। বরং টিকা সংক্রান্ত গোপন তথ্য নেওয়ার কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আরও বলেন, চীন, রাশিয়ার সঙ্গে নন-ডিসক্লোজার চুক্তি বা গোপনীয়তা রক্ষার শর্তে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এসব চুক্তি জনসম্মুখে এলে দেশের জনগণ ভ্যাকসিন নাও পেতে পারেন।

রোজিনা ইসলামকে সোমবার সচিবালয়ে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। এসময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ছবি: ফেসবুকরোজিনা ইসলামকে শারীরিক নির্যাতন কিংবা তাঁকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে কি–না এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হবে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

এদিকে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের মামলায় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী বৃহস্পতিবার তাঁর জামিনের শুনানি হবে। আজ মঙ্গলবার সকালে রোজিনা ইসলামকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে নেওয়া হয়।

রোজিনা ইসলামকে সোমবার সচিবালয়ে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। এসময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ছবি: ফেসবুকতাকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুর রহমান সরদার। অপরদিকে রোজিনা ইসলামের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে জামিন শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন।

রোজিনা ইসলামকে সোমবার সচিবালয়ে আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়। এক নারী তাঁর টুঁটি চেপে ধরেন, এমন ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে। ছবি: ফেসবুক

গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করার সময় সেখানে রোজিনা ইসলামকে পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় অবরোধ করে রেখে হেনস্তা করা হয়। এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে না নিয়ে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়। রাত পৌনে ১২টায় পুলিশ জানায়, রোজিনার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা হয়েছে। পরে তাঁকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব ডা. মো. শিব্বির আহমেদ ওসমানী এ মামলা করেন।

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত