টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি
পাঁচ বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ববরণ করেন স্বামী মাসুম। এক মেয়ে, দুই ছেলে ও স্বামীকে নিয়ে পাঁচজনের পরিবার লিমা হনুফার। এরই মধ্যে সংসারের অভাব-অনটনের কারণে ঋণ করেন তিনি। ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে গত সোমবার ৫৭ দিনের শিশুকে এক নারীর কাছে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
কিন্তু দুই দিন না যেতেই সন্তানের জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠেন মা লিমা হনুফা। দ্বারস্থ হন স্থানীয় অনেকের কাছে। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে জানালে আজ বৃহস্পতিবার শিশুটিকে তাঁর মায়ের কোলে ফিরে দেয় পুলিশ।
টঙ্গীর পূর্ব আরিচপুর এলাকার জনৈক আইনুদ্দিনের আধা পাকা বাড়িতে থাকেন স্বামী-সন্তান নিয়ে থাকেন লিমা হনুফা।
থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইয়াসিন আরাফাত বলেন, ‘সোমবার বিকেলে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রায় দুই মাস বয়সী শিশুসন্তানকে এক নারীকে দেন মা লিমা হনুফা। পরদিন সন্তানকে ফিরে পেতে ব্যাকুল হয়ে স্থানীয়দের বিষয়টি জানান। তারা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ কল করেন। পরে ঢাকা জেলার দোহার থানার লারিসা গ্রামের কাশেম-স্বর্ণা দম্পতির কাছ থেকে শিশুটিকে ফিরিয়ে আনা হয়।’
শিশুটির মা লিমা হনুফা বলেন, ‘আমি মানুষের বাসায় আয়া হিসেবে কাজ করতাম। শিশু জন্ম দেওয়ার পর কাজ করতে পারছি না। আমার স্বামী পঙ্গু হওয়ায় তাকে কেউ কাজে নেয় না। আমার তিন মাসের ঘর ভাড়া ১২ হাজার, দোকানে বাকি ১০ হাজার ও ওষুধের দোকানে ৮ হাজার টাকা ঋণ হয়। বাড়ির মালিক পাওনা টাকার জন্য চাপ দিলে আমার শিশুকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে দিয়ে দিই।’
লিমা হনুফা আরও বলেন, ‘এরপর বাচ্চাকে ফিরে পাওয়ার জন্য স্থানীয়দের জানালে পুলিশে খবর দেয় তারা। টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি আশরাফুল ইসলামকে জানালে তিনি ওই ৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করে আমার শিশুকে আমার কাছে এনে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে আমার স্বামীকে একটি কারখানায় কাজের ব্যবস্থা করেন এবং আমার ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন।’
শিশুটিকে কিনে নেওয়া স্বর্ণা আক্তার বলেন, ‘আমরা নিঃসন্তান। তাই একটি শিশু লালন-পালনের জন্য নিয়েছিলাম। পুলিশের নির্দেশেই আমরা শিশুটিকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছি।’
এদিকে স্বামীকে চাকরি দেওয়া প্রতিষ্ঠান হক গ্রুপের মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা হযরত আলী ঈশান বলেন, ‘টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি আমাদের বিষয়টি জানান। আমরা শিশুটির বাবা মাসুমকে আমাদের কারখানায় কাজের সুযোগ করে দিয়েছি।’
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঋণ পরিশোধ করতেই শিশুসন্তানকে টাকার জন্য আরেক নারীর কাছে বিক্রয় দেন লিমা হনুফা। পরে ৩০ হাজার টাকা দিয়েই শিশুটিকে ফিরিয়ে এনেছি। টঙ্গীর হক গ্রুপের একটি কারখানায় বাবা মাসুমকে চাকরির ব্যবস্থা ও দুই সন্তানের লেখাপড়ার ব্যবস্থা করেছি।’
পাঁচ বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ববরণ করেন স্বামী মাসুম। এক মেয়ে, দুই ছেলে ও স্বামীকে নিয়ে পাঁচজনের পরিবার লিমা হনুফার। এরই মধ্যে সংসারের অভাব-অনটনের কারণে ঋণ করেন তিনি। ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে গত সোমবার ৫৭ দিনের শিশুকে এক নারীর কাছে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
কিন্তু দুই দিন না যেতেই সন্তানের জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠেন মা লিমা হনুফা। দ্বারস্থ হন স্থানীয় অনেকের কাছে। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে জানালে আজ বৃহস্পতিবার শিশুটিকে তাঁর মায়ের কোলে ফিরে দেয় পুলিশ।
টঙ্গীর পূর্ব আরিচপুর এলাকার জনৈক আইনুদ্দিনের আধা পাকা বাড়িতে থাকেন স্বামী-সন্তান নিয়ে থাকেন লিমা হনুফা।
থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইয়াসিন আরাফাত বলেন, ‘সোমবার বিকেলে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রায় দুই মাস বয়সী শিশুসন্তানকে এক নারীকে দেন মা লিমা হনুফা। পরদিন সন্তানকে ফিরে পেতে ব্যাকুল হয়ে স্থানীয়দের বিষয়টি জানান। তারা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ কল করেন। পরে ঢাকা জেলার দোহার থানার লারিসা গ্রামের কাশেম-স্বর্ণা দম্পতির কাছ থেকে শিশুটিকে ফিরিয়ে আনা হয়।’
শিশুটির মা লিমা হনুফা বলেন, ‘আমি মানুষের বাসায় আয়া হিসেবে কাজ করতাম। শিশু জন্ম দেওয়ার পর কাজ করতে পারছি না। আমার স্বামী পঙ্গু হওয়ায় তাকে কেউ কাজে নেয় না। আমার তিন মাসের ঘর ভাড়া ১২ হাজার, দোকানে বাকি ১০ হাজার ও ওষুধের দোকানে ৮ হাজার টাকা ঋণ হয়। বাড়ির মালিক পাওনা টাকার জন্য চাপ দিলে আমার শিশুকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে দিয়ে দিই।’
লিমা হনুফা আরও বলেন, ‘এরপর বাচ্চাকে ফিরে পাওয়ার জন্য স্থানীয়দের জানালে পুলিশে খবর দেয় তারা। টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি আশরাফুল ইসলামকে জানালে তিনি ওই ৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করে আমার শিশুকে আমার কাছে এনে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে আমার স্বামীকে একটি কারখানায় কাজের ব্যবস্থা করেন এবং আমার ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন।’
শিশুটিকে কিনে নেওয়া স্বর্ণা আক্তার বলেন, ‘আমরা নিঃসন্তান। তাই একটি শিশু লালন-পালনের জন্য নিয়েছিলাম। পুলিশের নির্দেশেই আমরা শিশুটিকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছি।’
এদিকে স্বামীকে চাকরি দেওয়া প্রতিষ্ঠান হক গ্রুপের মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা হযরত আলী ঈশান বলেন, ‘টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি আমাদের বিষয়টি জানান। আমরা শিশুটির বাবা মাসুমকে আমাদের কারখানায় কাজের সুযোগ করে দিয়েছি।’
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঋণ পরিশোধ করতেই শিশুসন্তানকে টাকার জন্য আরেক নারীর কাছে বিক্রয় দেন লিমা হনুফা। পরে ৩০ হাজার টাকা দিয়েই শিশুটিকে ফিরিয়ে এনেছি। টঙ্গীর হক গ্রুপের একটি কারখানায় বাবা মাসুমকে চাকরির ব্যবস্থা ও দুই সন্তানের লেখাপড়ার ব্যবস্থা করেছি।’
আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস উপলক্ষে ফরিদপুর শহরের গুহলক্ষীপুর রেলবস্তিতে মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ দল। অভিযানে নারীসহ ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
১১ মিনিট আগেএকসময় নদী ছিল এই দেশের মেরুদণ্ড। নৌকাই ছিল চলাচলের প্রধান মাধ্যম। সময় বদলেছে, নদী সরে গেছে পেছনে, তবে নৌকার চাহিদা হারিয়ে যায়নি। বরং প্রকৃতির আচমকা রূপে যখন আগাম বৃষ্টি নামে, তখন আবার ফিরেও আসে নৌকার প্রয়োজন। ঠিক যেমনটা ঘটেছে এ বছর।
২৮ মিনিট আগেঅসুস্থ মাকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেরি হওয়ায় পরীক্ষা দিতে না পারা শিক্ষার্থীর বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার।
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে ডুবে আদিবা নামে ১৯ মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাত ৮টায় উপজেলার সাহেবাবাদ ইউনিয়নের ছাতিয়ানী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া শিশু আদিবা ওই গ্রামের রাজ্জাক মাস্টার বাড়ির কাপড় ব্যবসায়ী মুমিত মুনসীর মেয়ে।
২ ঘণ্টা আগে