নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নারী নির্যাতন বন্ধে সহমর্মিতা ও আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্স সেন্টার-পিপিআরসির নির্বাহী পরিচালক ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। আজ বুধবার রাজধানীর তেজগাঁও হলি রোজারিও চার্চ ক্যাম্পাসের মাদার তেরেসা ভবনে ‘নারীর প্রতি সহিংসতা: সমাধানে ১৬ দিনের প্রচারাভিযান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন ভুক্তভোগীরা।
হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে ১৬ দিনের প্রচারাভিযানের বিষয়টি মূলত মানুষের দৃষ্টিগোচরে আনার জন্য। কিন্তু আমাদের সারা বছরই এই অভিযান চালাতে হবে। শুধু হতাশা নয়, শক্তি ও আশার জায়গাটাও তৈরি করতে হবে। নারী নির্যাতন বন্ধে আইন প্রয়োগের সমস্যার সমাধান দরকার। প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের পাশাপাশি সহমর্মিতার জায়গাটিও নিশ্চিত করতে হবে। আর এই সহমর্মিতার জায়গাটি নিশ্চিত করা গেলে অনেক কিছুরই সমাধান করা সম্ভব।
দৌলতদিয়ার যৌনকর্মী কুমলি বলেন, ‘কেন আমরা যৌনকর্মী হলাম সেটা কেউ জানতে চায় না, খোঁজও নেয় না। পুরুষ যৌনকর্মী কি নেই? শুধু আমরা নারী বলে আমাদেরই অবজ্ঞা, নির্যাতন ও বৈষম্য করা হচ্ছে। আমাদের এক কর্মী লিলি বেগম দাওয়াত খেতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে, এখনো আমরা তার খোঁজ পাইনি সে বেঁচে আছে না মরে গেছে।’
আদিবাসী নারী কর্মী চন্দ্রা চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে অলিখিত সামরিক শাসন চলছে। একজন আদিবাসী নারী ধর্ষিত হলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়, বিশেষ করে বিচার বিভাগের দীর্ঘসূত্রতার কারণে। আর পর্যটনের নামে আদিবাসীরা উচ্ছেদের শিকার যাতে না হয়, সে জন্য সরকারের কঠোর নীতিমালা থাকতে হবে। এসব উচ্ছেদের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় আদিবাসী নারীরা।
শমসেরনগর চা-বাগানের সাবেক চা-শ্রমিক ও বর্তমান শিক্ষক মনি গোয়ালা বলেন, ‘২০১৫ সালে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছি। আত্মহত্যারও চেষ্টা করেছি। এরপর ভাবলাম প্রতিবাদ করব। তবে এখনো পর্যন্ত বিচার পাইনি। আমি এর বিচার চাই।’
চা-শ্রমিক মনি কর বলেন, ‘চা-বাগানের ম্যানেজার আমাকে কুপ্রস্তাব দেন। আমি রাজি না হলে আমার শিট কেটে দেন। এরপর তাঁর বাংলোয় গেলে ধর্ষণ করেন। মামলা চালানো অনেক কষ্ট। এখনো বিচার পাইনি।’
বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলী বলেন, ‘সব প্রতিষ্ঠানে যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি করার কথা থাকলেও এখনো অনেক প্রতিষ্ঠানে সেটা করা হয়নি। বিচারের দীর্ঘসূত্রতা দূর করতে না পারলে নারী নির্যাতন বন্ধ হবে না। এ জন্য আমাদের সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।’
বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু বলেন, ‘পদ্মা সেতুর মতো নারী নির্যাতন ও বৈষম্য দূর করার বিষয়টি সরকারকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় আনতে হবে। আমরা যেভােব নির্যাতিত হচ্ছি, পুরুষেরা সেভাবে নির্যাতিত হয় না। সে জন্য তারা নারী নির্যাতনের কষ্ট বুঝতে পারে না। এটা বোঝানোর জন্যও আমাদের কাজ করতে হবে।’
নারী নির্যাতন বন্ধে সহমর্মিতা ও আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্স সেন্টার-পিপিআরসির নির্বাহী পরিচালক ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। আজ বুধবার রাজধানীর তেজগাঁও হলি রোজারিও চার্চ ক্যাম্পাসের মাদার তেরেসা ভবনে ‘নারীর প্রতি সহিংসতা: সমাধানে ১৬ দিনের প্রচারাভিযান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন ভুক্তভোগীরা।
হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে ১৬ দিনের প্রচারাভিযানের বিষয়টি মূলত মানুষের দৃষ্টিগোচরে আনার জন্য। কিন্তু আমাদের সারা বছরই এই অভিযান চালাতে হবে। শুধু হতাশা নয়, শক্তি ও আশার জায়গাটাও তৈরি করতে হবে। নারী নির্যাতন বন্ধে আইন প্রয়োগের সমস্যার সমাধান দরকার। প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের পাশাপাশি সহমর্মিতার জায়গাটিও নিশ্চিত করতে হবে। আর এই সহমর্মিতার জায়গাটি নিশ্চিত করা গেলে অনেক কিছুরই সমাধান করা সম্ভব।
দৌলতদিয়ার যৌনকর্মী কুমলি বলেন, ‘কেন আমরা যৌনকর্মী হলাম সেটা কেউ জানতে চায় না, খোঁজও নেয় না। পুরুষ যৌনকর্মী কি নেই? শুধু আমরা নারী বলে আমাদেরই অবজ্ঞা, নির্যাতন ও বৈষম্য করা হচ্ছে। আমাদের এক কর্মী লিলি বেগম দাওয়াত খেতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে, এখনো আমরা তার খোঁজ পাইনি সে বেঁচে আছে না মরে গেছে।’
আদিবাসী নারী কর্মী চন্দ্রা চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে অলিখিত সামরিক শাসন চলছে। একজন আদিবাসী নারী ধর্ষিত হলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়, বিশেষ করে বিচার বিভাগের দীর্ঘসূত্রতার কারণে। আর পর্যটনের নামে আদিবাসীরা উচ্ছেদের শিকার যাতে না হয়, সে জন্য সরকারের কঠোর নীতিমালা থাকতে হবে। এসব উচ্ছেদের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় আদিবাসী নারীরা।
শমসেরনগর চা-বাগানের সাবেক চা-শ্রমিক ও বর্তমান শিক্ষক মনি গোয়ালা বলেন, ‘২০১৫ সালে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছি। আত্মহত্যারও চেষ্টা করেছি। এরপর ভাবলাম প্রতিবাদ করব। তবে এখনো পর্যন্ত বিচার পাইনি। আমি এর বিচার চাই।’
চা-শ্রমিক মনি কর বলেন, ‘চা-বাগানের ম্যানেজার আমাকে কুপ্রস্তাব দেন। আমি রাজি না হলে আমার শিট কেটে দেন। এরপর তাঁর বাংলোয় গেলে ধর্ষণ করেন। মামলা চালানো অনেক কষ্ট। এখনো বিচার পাইনি।’
বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলী বলেন, ‘সব প্রতিষ্ঠানে যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি করার কথা থাকলেও এখনো অনেক প্রতিষ্ঠানে সেটা করা হয়নি। বিচারের দীর্ঘসূত্রতা দূর করতে না পারলে নারী নির্যাতন বন্ধ হবে না। এ জন্য আমাদের সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।’
বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু বলেন, ‘পদ্মা সেতুর মতো নারী নির্যাতন ও বৈষম্য দূর করার বিষয়টি সরকারকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় আনতে হবে। আমরা যেভােব নির্যাতিত হচ্ছি, পুরুষেরা সেভাবে নির্যাতিত হয় না। সে জন্য তারা নারী নির্যাতনের কষ্ট বুঝতে পারে না। এটা বোঝানোর জন্যও আমাদের কাজ করতে হবে।’
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
৩ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
৩ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
৩ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
৩ ঘণ্টা আগে