মো. আকতারুজ্জামান, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা)
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছাকিনা বেগমের কাছে অনিয়মই যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁর এসব অনিয়মের প্রতিবাদ করে অনেক শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তাঁদের অনেকে অতিষ্ঠ হয়ে স্বেচ্ছায় অবসরে গেছেন। কেউ আবার স্বেচ্ছায় অন্যত্র বদলি হয়েছেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ছাকিনা ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। এর পর থেকে তিনি নিজস্ব লোক দ্বারা একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। তিনি শিক্ষা অফিসের ৮টি খাত থেকে প্রায় ৩৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ তাঁদের।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ছাকিনা বেগমের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চাকরির মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও উপজেলার রামচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আবদুল মোমিন অবসরে যান। তিনি অফিস নিয়ম ভঙ্গ করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাত ৮টা পর্যন্ত অফিস করতে বাধ্য করতেন। তাঁর অত্যাচারে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা কানাই সরকার ও মাহাবুবুর রহমান স্বেচ্ছায় বদলি হন।
সূত্র আরও জানায়, ছাকিনা ২০২১ সালে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা অনলাইন করার অজুহাতে ১৭৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ হাজার ১৫০ জন শিক্ষকের কাছ থেকে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা জোরপূর্বক আদায় করেন। ১৩তম গ্রেডের বেতন নির্ধারণের অজুহাত দেখিয়ে ৯০০ শিক্ষক থেকে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা আদায় করেন। ১৭৫টি বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজের বরাদ্দ থেকে সরকারি ভ্যাট আদায়ের নামে ১৪ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। গত ৩ বছরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নাম ভাঙিয়ে বই বিক্রির কথা বলে ১৭৫টি স্কুল থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, স্কুলগুলোর প্রান্তিক মূল্যায়ন ও প্রশ্নপত্রের অজুহাত দেখিয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ১৭৫টি স্কুল থেকে ৬ লাখ টাকা, কাব স্কাউটিংয়ের শিক্ষকদের বেতন-ভাতার নাম করে ১৩২ শিক্ষক থেকে ৬৬ হাজার টাকা এবং কাব স্কাউটের তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির ১৭৫টি স্কুলের শিক্ষার্থীদের থেকে গত তিন বছরে ৩ লাখ ১৫ হাজার এবং কাব স্কাউটের স্কুল কর্তৃক ১৭৫টি স্কুল থেকে ২ লাখ ১০ হাজার টাকাসহ প্রায় ৩৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। এসব টাকা তিনি নিজস্ব ব্যাংক হিসাব সোনালী ব্যাংক, চৌদ্দগ্রাম শাখায় জমা রেখেছেন। এই হিসাবে ছাকিনার নিজস্ব অ্যাকাউন্টে ১ কোটি ২০ লাখের বেশি টাকা বর্তমানে জমা রয়েছে। এ ছাড়া তিনি প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশ অমান্য করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বন্যাদুর্গত এলাকা হওয়া সত্ত্বেও ১ হাজার ১৫০ জন শিক্ষক থেকে এক দিনের বেতন আদায় করে নিচ্ছেন।
ভুক্তভোগী রামচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আবদুল মোমিন বলেন, ‘ছাকিনা বেগম এই অফিসে যোগদান করার পর থেকে সিন্ডিকেট তৈরি করে নানান অনিয়ম শুরু করেন। আমরা এর প্রতিবাদ করলে তিনি বিভিন্ন অজুহাতে স্কুল পরিদর্শনের নাম করে হয়রানি করে আসছিলেন। আমাকে স্বেচ্ছায় অবসরে যেতে হুমকি দেন। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে নানাভাবে হয়রানি শুরু করেন। পরে মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও স্বেচ্ছায় অবসরে যাই।’
সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ছাকিনা বেগমের অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই তার ওপরে নির্যাতনের খড়্গ নেমে আসত। তিনি সরকারি নিয়ম ভঙ্গ করে আমাদের রাত ৮টা পর্যন্ত অফিসে বসে থাকতে বাধ্য করতেন। তাঁর অত্যাচারে অনেক শিক্ষক স্বেচ্ছায় অবসরে চলে গেছেন। আমিও তাঁর অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে স্বেচ্ছায় বদলি হয়ে সাতকানিয়াতে যোগদান করি।’
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ছাকিনা বেগম। সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে বন্যার্তদের সাহায্যের নামে এক দিনের বেতন উত্তোলন সম্পর্কে বলেন, ‘আমি জেলা শিক্ষা অফিসারের নির্দেশে এই টাকা উত্তোলন করেছি।’ বছরে দুবার বিদেশ সফর সম্পর্কে বলেন, ‘আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় চিকিৎসার জন্য বছরে দুবার মালয়েশিয়ায় যাই।’
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সফিউল আলম বলেন, ‘ছাকিনা বেগমের অনিয়ম ও দুর্নীতি সম্পর্কে আমি আগে জানতাম না। বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’ সরকারি আদেশ অমান্য করে বন্যাদুর্গত এলাকা হওয়া সত্ত্বেও এক দিনের বেতন শিক্ষকদের থেকে আদায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছাকিনা বেগমের কাছে অনিয়মই যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁর এসব অনিয়মের প্রতিবাদ করে অনেক শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তাঁদের অনেকে অতিষ্ঠ হয়ে স্বেচ্ছায় অবসরে গেছেন। কেউ আবার স্বেচ্ছায় অন্যত্র বদলি হয়েছেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ছাকিনা ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। এর পর থেকে তিনি নিজস্ব লোক দ্বারা একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। তিনি শিক্ষা অফিসের ৮টি খাত থেকে প্রায় ৩৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ তাঁদের।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ছাকিনা বেগমের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চাকরির মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও উপজেলার রামচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আবদুল মোমিন অবসরে যান। তিনি অফিস নিয়ম ভঙ্গ করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাত ৮টা পর্যন্ত অফিস করতে বাধ্য করতেন। তাঁর অত্যাচারে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা কানাই সরকার ও মাহাবুবুর রহমান স্বেচ্ছায় বদলি হন।
সূত্র আরও জানায়, ছাকিনা ২০২১ সালে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা অনলাইন করার অজুহাতে ১৭৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ হাজার ১৫০ জন শিক্ষকের কাছ থেকে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা জোরপূর্বক আদায় করেন। ১৩তম গ্রেডের বেতন নির্ধারণের অজুহাত দেখিয়ে ৯০০ শিক্ষক থেকে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা আদায় করেন। ১৭৫টি বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজের বরাদ্দ থেকে সরকারি ভ্যাট আদায়ের নামে ১৪ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। গত ৩ বছরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নাম ভাঙিয়ে বই বিক্রির কথা বলে ১৭৫টি স্কুল থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, স্কুলগুলোর প্রান্তিক মূল্যায়ন ও প্রশ্নপত্রের অজুহাত দেখিয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ১৭৫টি স্কুল থেকে ৬ লাখ টাকা, কাব স্কাউটিংয়ের শিক্ষকদের বেতন-ভাতার নাম করে ১৩২ শিক্ষক থেকে ৬৬ হাজার টাকা এবং কাব স্কাউটের তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির ১৭৫টি স্কুলের শিক্ষার্থীদের থেকে গত তিন বছরে ৩ লাখ ১৫ হাজার এবং কাব স্কাউটের স্কুল কর্তৃক ১৭৫টি স্কুল থেকে ২ লাখ ১০ হাজার টাকাসহ প্রায় ৩৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। এসব টাকা তিনি নিজস্ব ব্যাংক হিসাব সোনালী ব্যাংক, চৌদ্দগ্রাম শাখায় জমা রেখেছেন। এই হিসাবে ছাকিনার নিজস্ব অ্যাকাউন্টে ১ কোটি ২০ লাখের বেশি টাকা বর্তমানে জমা রয়েছে। এ ছাড়া তিনি প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশ অমান্য করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বন্যাদুর্গত এলাকা হওয়া সত্ত্বেও ১ হাজার ১৫০ জন শিক্ষক থেকে এক দিনের বেতন আদায় করে নিচ্ছেন।
ভুক্তভোগী রামচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আবদুল মোমিন বলেন, ‘ছাকিনা বেগম এই অফিসে যোগদান করার পর থেকে সিন্ডিকেট তৈরি করে নানান অনিয়ম শুরু করেন। আমরা এর প্রতিবাদ করলে তিনি বিভিন্ন অজুহাতে স্কুল পরিদর্শনের নাম করে হয়রানি করে আসছিলেন। আমাকে স্বেচ্ছায় অবসরে যেতে হুমকি দেন। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে নানাভাবে হয়রানি শুরু করেন। পরে মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও স্বেচ্ছায় অবসরে যাই।’
সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ছাকিনা বেগমের অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই তার ওপরে নির্যাতনের খড়্গ নেমে আসত। তিনি সরকারি নিয়ম ভঙ্গ করে আমাদের রাত ৮টা পর্যন্ত অফিসে বসে থাকতে বাধ্য করতেন। তাঁর অত্যাচারে অনেক শিক্ষক স্বেচ্ছায় অবসরে চলে গেছেন। আমিও তাঁর অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে স্বেচ্ছায় বদলি হয়ে সাতকানিয়াতে যোগদান করি।’
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ছাকিনা বেগম। সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে বন্যার্তদের সাহায্যের নামে এক দিনের বেতন উত্তোলন সম্পর্কে বলেন, ‘আমি জেলা শিক্ষা অফিসারের নির্দেশে এই টাকা উত্তোলন করেছি।’ বছরে দুবার বিদেশ সফর সম্পর্কে বলেন, ‘আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় চিকিৎসার জন্য বছরে দুবার মালয়েশিয়ায় যাই।’
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সফিউল আলম বলেন, ‘ছাকিনা বেগমের অনিয়ম ও দুর্নীতি সম্পর্কে আমি আগে জানতাম না। বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’ সরকারি আদেশ অমান্য করে বন্যাদুর্গত এলাকা হওয়া সত্ত্বেও এক দিনের বেতন শিক্ষকদের থেকে আদায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ছুরিকাঘাতে রহমান মিয়া (২৮) নামের এক চা-দোকানি খুন হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের আতুকোড়া গ্রামের বড়হাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির স্বজন ও এলাকাবাসী জানায়, রহমান মিয়া ওই গ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে।
৩ মিনিট আগেকুমিল্লার হোমনা উপজেলায় থাকা ১০টি মাজারের নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আছাদপুর গ্রামে মাজারে হামলা ও বাড়িতে আগুনের ঘটনার পর এই নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়। আজ শনিবার দুপুরে মাজারগুলোতে পুলিশ সদস্যদের পাহারায় থাকতে দেখা যায়। গতকাল শুক্রবার বিকেল এই পাহারা শুরু হয়েছে।
৬ মিনিট আগেবান্দরবানের রোয়াংছড়িতে টমটমচালক অমন্ত সেন তঞ্চঙ্গ্যা হত্যার অভিযোগে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। গ্রেপ্তার যুবক হলেন রাজন্ত তঞ্চঙ্গ্যা (২৩)। পুলিশ বলছে, পাওয়া ৩৫ হাজার টাকা না দেওয়ায় অমন্তকে হত্যা করেন রাজন্ত।
২৩ মিনিট আগেপ্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০১৪ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে দেশের ২৯টি জেলা ঝুঁকিপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি জেলা উচ্চঝুঁকিতে এবং ২৪টি মাঝারি ঝুঁকিতে রয়েছে। কেবল গত বছরের আগস্ট থেকে এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ছয় মাসে ৮০টি মাজার বা দরগাহে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
৩৫ মিনিট আগে