Ajker Patrika

দূষণে ধুঁকছে রামুর বাঁকখালী নদী

শিপ্ত বড়ুয়া, রামু (কক্সবাজার) 
আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৩, ২১: ৪০
দূষণে ধুঁকছে রামুর বাঁকখালী নদী

কক্সবাজারের প্রধান নদী বাঁকখালী মারাত্মক দূষণে ধুঁকছে। সম্প্রতি দেখা গেছে, রামু উপজেলার রামু ফকিরা বাজারের সব ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে এই নদীতেই। উপজেলার প্রায় ১২টি পয়েন্টে নানান ধরনের আবর্জনা ফেলা হচ্ছে নদীতে। 

গতকাল শনিবার বিকেলে সরেজমিন দেখা যায়, রামু ফকিরা বাজার থেকে পাঁচটি পয়েন্ট, চাকমারকুল, চেরাংঘাটা, হাইটুপি, আতিক্কা বিবির ঘাট, কাউয়ারখোপের দুটিসহ একাধিক জায়গা দিয়ে বাঁকখালী নদীতে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। 

নিয়মিত এসব নানান ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে যেমন নদীর জমি ভরাট হচ্ছে, তেমনি দিন দিন দূষিত হচ্ছে নদীটি। পাশাপাশি ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়ছে নদীর পানি। শুষ্ক মৌসুমে নদীতে পানি না থাকায় আরও বেশি ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে ও বিভিন্ন স্থানে নদীর বুকেই তামাক চাষ করা হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা। 

এদিকে ফকিরা বাজারের বর্জ্য বাঁকখালী নদীতে কেন ফেলা হচ্ছে—জানতে চাইলে রামু ফকিরা বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সদ্য সাবেক সভাপতি ও ব্যবসায়ী মো. আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফকিরা বাজার ঐতিহ্যবাহী বাজার। সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় অনেকে নদীতে বর্জ্য ফেলছে। তবে শিগগির সবার সঙ্গে সমন্বয় করে নদীতে বর্জ্য না ফেলার জন্য আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা করতে হবে এবং এ জন্য প্রশাসনের সহযোগিতাও দরকার।’ 

বাঁকখালী নদী রক্ষায় এর আগেও অবৈধ দখল উচ্ছেদ, বালু উত্তোলন বন্ধ ও তামাক চাষসহ নানান বিষয়ে উচ্চ আদালতের বিভিন্ন নির্দেশনা থাকলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঠিক নজরদারির অভাবে মরতে বসেছে নদীটি। 

প্রায় সময় বাঁকখালী নদী দূষণ রোধে কক্সবাজারের বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সোচ্চার থাকলেও কেন দূষণ বন্ধ হচ্ছে না—এমন প্রশ্নে কক্সবাজার পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ বলেন, ‘নদী রক্ষায় প্রশাসনের বিভিন্ন উইংয়ের কাজ থাকলে তাদের সমন্বয়হীনতার অভাবে বাঁকখালী নদী দূষণ ও দখল দুটোই হচ্ছে। এই প্রধান নদী রক্ষা করতে চাইলে জেলা নদী রক্ষা কমিটিকে আরও সোচ্চার হতে হতে হবে।’ 

তিনি//// আরও বলেন, ‘কক্সবাজার জেলাজুড়ে বাঁকখালী নদীর আরও প্রায় ৩০টি পয়েন্টে নদীর বুকেই নানান পচনশীল ও অপচনশীল প্লাস্টিক ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে।’ 

উপজেলার বাঁকখালী নদীর প্রায় ১২টি পয়েন্টে নানান ধরনের আবর্জনা ফেলা হচ্ছেশুধু ময়লা-আবর্জনা নয়, কক্সবাজারের রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ, গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া, রাজারকুল, মনিরঝিলসহ একাধিক পয়েন্টে বাঁকখালী নদীর বুকেই করা হয়েছে তামাক চাষ। তামাক কোম্পানিগুলো সরাসরি বীজ, সার, নগদ অর্থ ঋণ দিয়ে তামাক চাষে উদ্বুদ্ধ করায় বেড়েছে তামাক চাষ—এমনটাই বলছেন গর্জনিয়ার তামাকচাষি মো. ইউসুফ। তিনি বলেন, ‘তামাক চাষে কোম্পানিগুলো সহজে ফলনের আগেই অধিকাংশ বিক্রয়মূল্য দিয়ে দেন। যার দরুন টাকাগুলো কাজে লাগানো যায়। সুযোগ-সুবিধা বেশি থাকায় তামাক চাষ করছি।’ 

নদীর বুকে তামাক চাষের ফলে ভূগর্ভস্থ পানির দূষণ, নদীতে থাকা নানান প্রজাতির মাছের প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট, মাটির দূষণসহ বাঁকখালী নদীর বিবিধ স্থায়ী দূষণ হচ্ছে বলে জানান নদী নিয়ে কাজ করা সংগঠন রিভারাইন পিপলের মহাসচিব শেখ রোকন। তা ছাড়া বর্জ্য ফেলার মাধ্যমে নদীর জমি দখলের চেষ্টাও করেন অনেকে এমনটাও বলছেন এই নদী বিশেষজ্ঞ। 

নদী দূষণ নিয়ে কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন—জানতে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ফরিদ আহমেদ ও উপপরিচালক মুহাম্মদ হাফিজুর রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কল করেও পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

জোটে নিজ দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান রেখে আরপিও অধ্যাদেশ জারি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
জেসমিন আরা রুমা। ছবি: সংগৃহীত
জেসমিন আরা রুমা। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহসভাপতি জেসমিন আরা রুমাকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা দিকে নগরীর মালগুদাম এলাকার নিজ বাস থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার রুমা নগরীর মালগুদাম এলাকার অবসরপ্রাপ্ত রেল কর্মচারী আবু তাহেলের মেয়ে। তাঁর স্বামী সুলতান মাহমুদ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার বলে জানা গেছে।

আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জেসমিন আরা রুমা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি। তাঁর বিরুদ্ধে গত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সশস্ত্র হামলার অভিযোগ রয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় আদালতের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

জোটে নিজ দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান রেখে আরপিও অধ্যাদেশ জারি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নালিতাবাড়ীতে মসজিদে ঢুকে হামলা-ভাঙচুর, গ্রেপ্তার ২

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি 
উমর ফারুক ওরফে ফারুক পাগলা ও ফরহাদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
উমর ফারুক ওরফে ফারুক পাগলা ও ফরহাদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় একটি মসজিদে ঢুকে ইমাম ও মুসল্লিদের ওপর হামলা এবং মসজিদের আসবাব ভাঙচুরের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে শেরপুর শহরের নয়ানী বাজার এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বাতকুচি গ্রামের জহিরুল ইসলামের দুই ছেলে উমর ফারুক ওরফে ফারুক পাগলা (৩৫) ও ফরহাদ হোসেন (২৭)।

পুলিশ জানায়, ২ নভেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার বারোমারী বাজার এলাকার চেল্লাখালী নদীর পশ্চিমপাড়ে উত্তর বাতকুচি ফরেস্ট অফিসসংলগ্ন বাইতুল নূর জামে মসজিদে ওই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

সেদিন ফরহাদ, উমর ফারুক ও রুবেল নামে তিনজন মদ্যপ অবস্থায় মসজিদে ঢুকে ইমাম শফিকুল ইসলামের উদ্দেশে বলেন, ‘আজ থেকে এই মসজিদে আজান দেওয়া যাবে না, আমাদের অনুমতি ছাড়া আর আজান হবে না।’

ইমাম প্রতিবাদ করলে তাঁরা তাঁকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। একপর্যায়ে ইমাম পালিয়ে গেলে হামলাকারীরা মসজিদে ঢুকে মাইক সেট, বৈদ্যুতিক বোর্ড, টিনের বেড়া ও অন্য সামগ্রী ভাঙচুর করেন।

এ সময় মুসল্লি হাবিবুর রহমান ও কাজল মিয়া বাধা দিতে গেলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। পরে গ্রামবাসী আহতদের উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

ঘটনার পর মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আশরাফ আলী বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা করেন।

নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল রানা বলেন, ‘মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

জোটে নিজ দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান রেখে আরপিও অধ্যাদেশ জারি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অস্ত্র নিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের ঘোরাফেরা, প্রতিবাদ করায় ছুরিকাঘাতে যুবক খুন

গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরে যুবক খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে সিগমা রবিকে আজ মঙ্গলবার সকালে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাজীপুরে যুবক খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে সিগমা রবিকে আজ মঙ্গলবার সকালে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুর মহানগরীতে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে গাছা থানার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুনিয়া তারগাছ এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

নিহত যুবকের নাম মারুফ (২২)। তিনি মহানগরীর গাছা থানার কুনিয়া তারগাছ এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। আহত যুবকের নাম জামিল (২৪)। তাঁরা পরস্পর বন্ধু।

পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল অভিযুক্ত ব্যক্তিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা হলেন মামলার প্রধান আসামি মো. রবিউল ইসলাম ওরফে সিগমা রবি (২৪) ও ২ নম্বর আসামি মো. সাব্বির হোসেন (১৮)। তাঁরা এলাকায় কিশোর গ্যাং হিসেবে পরিচিত হলেও সবাই তরুণ বয়সী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে গাছা থানার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুনিয়া তারগাছ এলাকার আক্তারের বাড়ির সামনে এলাকার চিহ্নিত কিশোর গ্যাং সদস্য রবি, রনি, সাগর, সাব্বিরসহ আরও চার থেকে পাঁচজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছিল। এ সময় এক দোকানের ক্রেতা জামিল কিশোর গ্যাং সদস্যদের বেপরোয়া আচরণের প্রতিবাদ করলে তাঁর সঙ্গে রবির বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। উভয় পক্ষের বাগ্‌বিতণ্ডা থামাতে জামিলের বন্ধু মারুফ ঘটনাস্থলে যান। এ সময় কিশোর গ্যাং সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দুই বন্ধুকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।

স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে তারুন্নেসা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, মারুফ মারা গেছেন। প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দিয়ে জামিলকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আহত জামিলের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, রবি, রনি, সাগর, সাব্বিরসহ ৮-১০ জনের একটি সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক সেবন, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিহত যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আরও বলেন, আহত জামিলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রবি, রনি, সাগর, সাব্বিরসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে একাধিক টিম মাঠে নেমেছে।

জিএমপির ভারপ্রাপ্ত কমিশনার জাহিদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে জানান, মারুফ হত্যাকাণ্ডে গাছা থানায় মামলা হয়েছে। এজাহারে মো. রবিউল ইসলাম ওরফে সিগমা রবিকে প্রধান আসামি করা হয়।

জাহিদুল হাসান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান শনাক্ত করে জিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের একটি টিম পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা থেকে আজ সকালে রবিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর একটি টিম ২ নম্বর আসামি মো. সাব্বির হোসেনকে গাছা থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

জোটে নিজ দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান রেখে আরপিও অধ্যাদেশ জারি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

উল্টোপথে অটোরিকশা, বাসচাপায় চালক ও যাত্রী নিহত

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
ঘটনাস্থল পরিদর্শন পুলিশের। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থল পরিদর্শন পুলিশের। ছবি: আজকের পত্রিকা

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় অটোরিকশার চালক ও যাত্রী দুজনই নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার দেওহাটা আন্ডারপাসের সামনে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার রশিদ দেওহাটা গ্রামের আব্দুল হামিদ (৬০) ও রানাশাল গ্রামের অটোরিকশাচালক রহিজ সিকদার (৪৬)।

মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল সারোয়ার জানান, অটোরিকশাচালক মহাসড়কে উল্টোপথে দেওহাটা আন্ডারপাসের ওপরে ওঠার চেষ্টা করেন। এ সময় ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলগামী যাত্রীবাহী বাস চাপা দিলে এই প্রাণহানি ঘটে। লাশ আইনিপ্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। যাত্রীবাহী বাসটি আটকের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

জোটে নিজ দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান রেখে আরপিও অধ্যাদেশ জারি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত