Ajker Patrika

প্রাণ ফিরেছে কক্সবাজার সৈকতে

প্রতিনিধি, কক্সবাজার
আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০২১, ১৭: ৪৫
প্রাণ ফিরেছে কক্সবাজার সৈকতে

দীর্ঘ সাড়ে চার মাস পর আজ বৃহস্পতিবার উন্মুক্ত করা হয়েছে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। সকাল থেকে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছেন পর্যটকেরা। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১ এপ্রিল থেকে বন্ধ ছিল দেশের প্রধান এই পর্যটনকেন্দ্র। ফলে টানা নীরবতা ভেঙে প্রাণ ফিরে পেয়েছে সৈকত প্রাঙ্গণ। 

পর্যটকদের স্বাগত জানাতে কলাতলী পর্যটন জোনের হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন করে সেজেছে। সৈকতের নানান পেশার হকার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ফিরেছে নিজেদের প্রাণের প্রতিষ্ঠানে। এ যেন এক আনন্দ উচ্ছ্বাসের মিলন মেলা। সবার মাঝে বেড়েছে অন্যরকম ব্যস্ততা। 

সকাল থেকে জেলা প্রশাসন ও টুরিস্ট পুলিশও সৈকতে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করছেন। শহরের সৈকতের মূল পয়েন্টে ৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল জোরদার করা হয়েছে। 

দুপুর সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ সুগন্ধা পয়েন্টে আনুষ্ঠানিক সৈকতের দ্বার খুলে দেন। এ সময় তিনি জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে মাস্ক বিতরণ ও জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালান। এ ছাড়া বিভিন্ন সংগঠনও করোনা সতর্কতায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সৈকতে ঘোরাফেরার আহ্বান জানান।

চার মাস ১৮ দিন বন্ধ রাখার পর আজ বৃহস্পতিবার উন্মুক্ত হলো সমুদ্রসৈকত। তবে ৫০ শতাংশের ওপরে কক্ষ ভাড়া দিতে পারবে না হোটেল–মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসগুলো। রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও একই নিয়ম মেনে চলতে হবে। তারপরও খুশি পর্যটন খাতের ব্যবসায় জড়িত লাখো বিনিয়োগকারী, ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সাড়ে চার মাস পর উন্মুক্ত সমুদ্রসৈকততারকা হোটেল সি গালের সহকারী ব্যবস্থাপক তারেক আজিজ বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে পর্যটকদের স্বাগত জানানো হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। বৃষ্টির প্রভাব ও আবহাওয়া খুব বেশি অনুকূলে না থাকায় আশানুরূপ পর্যটক আসার সময় এখনো হয়নি। 

কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস, কটেজ ও রেস্তোরাঁ মালিকদের সংগঠন ফেডারেশন অব টুরিজম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার জানান, গত দেড় বছরে প্রায় সাড়ে ৯ মাস কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত করোনার কারণে লোকসমাগম নিষিদ্ধ ছিল। ফলে পর্যটক নির্ভর পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল, কটেজ ও গেস্ট হাউস, সাত শতাধিক রেস্তোরাঁ, দুই হাজারের মতো নানান পণ্যের দোকান-পাট ও ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ ছিল। এখন সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এ খাতকে পুনর্গঠনের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। 

কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার চৌধুরী মিজানুজ্জামান জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সৈকতে টহল দিচ্ছে পুলিশ।

জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ আজকের পত্রিকা বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে সৈকতসহ পর্যটনকেন্দ্র খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। এতে হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোর আসনসংখ্যা ৫০ শতাংশ চালু করার সুযোগ পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে পর্যটকসহ সবাইকে এ নিয়ম মেনে চলতে হবে। কোথাও নিয়মের ব্যত্যয় ঘটলে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নেত্রকোনায় মশাল মিছিল: ছাত্রলীগের ৭ নেতা-কর্মী আটক

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নেত্রকোনায় বাইপাস সড়কে মশাল মিছিল থেকে ছাত্রলীগের ৭ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

গতকাল শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার বাইপাস সড়কের চল্লিশা-দুধকুড়া অংশ থেকে তাঁদের আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন আলম মিয়া, মো. আরিফ মিয়া, ইব্রাহিম খলিল, জোনায়েদ হাসান রাফি, শাহাদাত রহমান সিয়াম, সাকিবুল ইসলাম ও রিয়াদ মিয়া সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। আটক সবাই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজি শাহনেওয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বাইবাস সড়কে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মশাল মিছিল করার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। তখন ঘটনাস্থল থেকে ওই সাতজনকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আমি এলাকার সন্তান হওয়ার পরেও ফেস্টুন-ব্যানার ছিঁড়ে ফেলছে; সম্ভাব্য প্রার্থীর আক্ষেপ

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুর-৪ আসনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রায়হান জামিলের নির্বাচনী প্রচারণার ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণ ভাঙচুরের প্রতিবাদে ঝাড়ুমিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফরিদপুর-৪ আসনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রায়হান জামিলের নির্বাচনী প্রচারণার ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণ ভাঙচুরের প্রতিবাদে ঝাড়ুমিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ফরিদপুর-৪ (চরভদ্রাসন-সদরপুর-ভাঙ্গা) আসনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রায়হান জামিলের নির্বাচনী প্রচারণার ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণ ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ঝাড়ুমিছিল করেছেন তাঁর সমর্থকেরা। একই সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশের দাবি জানিয়েছেন এই প্রার্থী।

আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চরভদ্রাসন উপজেলায় ফরিদপুর-৪ আসনের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এ প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি প্রার্থীর নিজবাড়ি, উপজেলা সদরের এমপিডাঙ্গী এলাকা থেকে বের হয়ে উপজেলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই জায়গায় গিয়ে শেষ হয়।

রায়হান জামিল জানান, ফরিদপুর-৪ আসন থেকে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। সেই লক্ষ্যে প্রচারণার অংশ হিসেবে বিভিন্ন এলাকায় ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু এক সপ্তাহ ধরে এসব ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশের দাবি জানিয়ে রায়হান জামিল বলেন, ‘বিগত নির্বাচনে এই আসনে বাইরে থেকে লোক এসে এমপি হয়েছেন। তাঁরা কেউ এলাকার সন্তান নন; কিন্তু আমি এই এলাকার সন্তান হওয়ার পরেও গত কয়েক দিন যাবৎ দুষ্কৃতকারীরা আমার গেট ভাঙচুর ও ফেস্টুন-ব্যানার ছিঁড়ে ফেলছে। এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাতেই আজ ঝাড়ুমিছিলের আয়োজন করা হয়েছে।’

ওই ভাঙচুরে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান সম্ভাব্য এই স্বতন্ত্র প্রার্থী। সেই সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জুম নাচ-গানে রাজশাহীতে ঐতিহ্যবাহী ওয়ানগালা ও লবান উৎসব উদ্‌যাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনুষ্ঠানে গারো সম্প্রদায়ের তরুণীদের জুম নাচ। ছবি: আজকের পত্রিকা
অনুষ্ঠানে গারো সম্প্রদায়ের তরুণীদের জুম নাচ। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহীতে ধর্মীয় আচার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী ওয়ানগালা ও লবান (নবান্ন) উৎসব।

রাজশাহীর গারো সম্প্রদায় দীর্ঘ এক যুগ ধরে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে এই উৎসব উদ্‌যাপন করে আসছে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।

আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী নগরের বাগানপাড়ায় উত্তম মেষপালক ক্যাথিড্রাল গির্জা প্রাঙ্গণে দেবতাদের পূজার মধ্য দিয়ে উৎসবের শুরু হয়। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ‘আমুয়া’ ও ‘রুগালা’ পালনের পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক পর্ব। গারো শিল্পীরা নিজস্ব ভাষায় গান পরিবেশন করেন, যা দর্শকদের মুগ্ধ করে। অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ ছিল গারোদের ঐতিহ্যবাহী ‘জুম নাচ’, এটি উৎসবে আনন্দ-উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে দেয়।

উৎসবের আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রাজশাহী ক্যাথলিক ধর্মপ্রদেশের ডিডি বিশপ জের্ভাস রোজারিও। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি বহু জাতি, ভাষা ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্যময় অসাম্প্রদায়িক দেশ। এই ধরনের উৎসবের মাধ্যমে জাতিগত ঐতিহ্য রক্ষায় আমাদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করা উচিত। ওয়ানগালা ও লবান উৎসব আমাদের একতা ও সমন্বয়ের প্রতিফলন।’

রাজশাহী অঞ্চলের কারিতাস বাংলাদেশের আঞ্চলিক পরিচালক ড. আরোক টপ্য বলেন, ‘ওয়ানগালা ও লবান শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি আদিবাসীদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও সাংস্কৃতিক পরিচয় তুলে ধরতে এই উৎসব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী ক্যাথলিক ধর্মপ্রদেশের ভিকার জেনারেল ফাদার ফাবিয়ান মারান্ডা, রাজশাহী নানকিং গ্রুপের প্রোপ্রাইটর এহসানুল হুদা, রাজশাহী পারলার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রুকসানা হুদা এবং উত্তম মেষপালক ক্যাথিড্রাল গির্জার পালকীয় পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফ্রান্সিস সরেন। উৎসবের দিন গির্জা প্রাঙ্গণে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শত শত মানুষ একত্রিত হন, আনন্দ ভাগাভাগি করেন এবং ঐতিহ্যবাহী খাবারের দোকানে ঘুরে নানা স্বাদের খাবার উপভোগ করেন। জুমের আলু, কুমড়া, শামুক ও কাঁকড়ার মতো খাবার ছিল বিশেষ আকর্ষণ।

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষায় ‘ওয়ানগালা’ ও ‘লবান’ উৎসব মূলত জুম চাষের সঙ্গে সম্পর্কিত। গারো, সাঁওতাল, পাহাড়ি, মাহালি ও ওঁরাও—এই পাঁচ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী প্রতি বছর শস্যদেবতা ‘মিসি সালজং’-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে এবং নতুন ফসল খাওয়ার অনুমতি চেয়ে উৎসবটি পালন করেন। নতুন ফসল তোলার পর নকমা (গ্রামপ্রধান) সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে উৎসবের তারিখ নির্ধারণ করেন তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পানিতে ডুবে ২ শিশু মারা গেছে। শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কুট্টাপাড়া উত্তর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া শিশুরা হচ্ছে মো. তাকরিম (৩) উপজেলার কুট্টাপাড়া উত্তর এলাকার আক্তার হোসেনের ছেলে ও একই উপজেলার উচালিয়াপাড়া এলাকার মো. আরাফাত মিয়ার ছেলে মো. আদনান (৫)।

জানা গেছে, আদনান কিছুদিন আগে কুট্টপাড়া উত্তর এলাকায় তার নানাবাড়িতে বেড়াতে আসে। সকালে তার মামাতো ভাই তাকরিমের সঙ্গে বাড়ির পাশে পুকুরপাড়ে খেলা করছিল। একপর্যায়ে অসতর্কতাবশত ২ শিশু পুকুরের পানিতে ডুবে যায়। পরে স্বজনেরা শিশুদের না দেখে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে স্থানীয়রা পুকুরে ২ শিশুটিকে ভাসতে দেখেন। এ সময় পুকুর থেকে তাদের উদ্ধার করে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরশেদুল আলম চৌধুরী জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত