কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজন হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের খোদাইবাড়ী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে।
নিহতরা সকলেই চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাসিন্দা। তাঁরা কক্সবাজার শহরে বায়তুশ শরফ চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন।
ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভরঞ্জন চাকমা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন—চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাহারচড়া ইউপির ইলশা গ্রামের মনির আহমেদের স্ত্রী হাফসা বেগম, খানখানাবাদ ইউপির কুফিয়া ডোংরা গ্রামের গোলাম সোবহানের ছেলে মো. দুলা মিয়া, বাহারচড়া ৭ নং ওয়ার্ডের ইলশা পুরাতন গ্রামের মৃত মফিজুর রহমানের ছেলে আবু আহমদ, পশ্চিম ইলশার মৃত মাহবুবুল আলমের স্ত্রী মাহমুদা বেগম এবং ডোংরা চৌকিদার বাড়ির আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী সায়রা খাতুন।
স্থানীয়দের বরাতে শুভরঞ্জন চাকমা বলেন, ঈদগাঁওয়ের খোদাইবাড়ী এলাকায় কক্সবাজারমুখী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত নিহত এবং ৮ জন আহত হন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়।
কক্সবাজার বায়তুশ শরফ চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসা সহায়ক কর্মকর্তা নেছার আহমদ বলেন, বাঁশখালীর ২৬ জন রোগী চোখের চিকিৎসা শেষে সোমবার দুপুরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। মাঝপথে ঈদগাঁও উপজেলায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত মাইক্রোবাসে ১৪ জন যাত্রী ছিলেন। সবাই বা়ঁশখালী যাচ্ছিলেন। শ্যামলী পরিবহনের বাসটি মাইক্রোবাসটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়।

কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজন হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের খোদাইবাড়ী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে।
নিহতরা সকলেই চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাসিন্দা। তাঁরা কক্সবাজার শহরে বায়তুশ শরফ চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন।
ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভরঞ্জন চাকমা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন—চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাহারচড়া ইউপির ইলশা গ্রামের মনির আহমেদের স্ত্রী হাফসা বেগম, খানখানাবাদ ইউপির কুফিয়া ডোংরা গ্রামের গোলাম সোবহানের ছেলে মো. দুলা মিয়া, বাহারচড়া ৭ নং ওয়ার্ডের ইলশা পুরাতন গ্রামের মৃত মফিজুর রহমানের ছেলে আবু আহমদ, পশ্চিম ইলশার মৃত মাহবুবুল আলমের স্ত্রী মাহমুদা বেগম এবং ডোংরা চৌকিদার বাড়ির আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী সায়রা খাতুন।
স্থানীয়দের বরাতে শুভরঞ্জন চাকমা বলেন, ঈদগাঁওয়ের খোদাইবাড়ী এলাকায় কক্সবাজারমুখী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত নিহত এবং ৮ জন আহত হন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়।
কক্সবাজার বায়তুশ শরফ চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসা সহায়ক কর্মকর্তা নেছার আহমদ বলেন, বাঁশখালীর ২৬ জন রোগী চোখের চিকিৎসা শেষে সোমবার দুপুরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। মাঝপথে ঈদগাঁও উপজেলায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত মাইক্রোবাসে ১৪ জন যাত্রী ছিলেন। সবাই বা়ঁশখালী যাচ্ছিলেন। শ্যামলী পরিবহনের বাসটি মাইক্রোবাসটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়।

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়কে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। কৃষকেরা দাবি করেছেন, তাঁদের ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়ক নির্মাণের পর সেই জমি আবার ভরাট করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আট মাস পেরিয়ে গেলেও কথা রাখেনি তারা।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে লক্ষ্মীপুরে চারটি আসনে বইছে ভোটের আমেজ। সব কটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে ব্যস্ত সময় পার করছে বড় দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াত। বসে নেই অন্য দলের প্রার্থীরাও। সকাল-বিকেল চালাচ্ছেন প্রচারণা।
১ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রীয় শোক এবং পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীতে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়িয়ে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন করেছে নগরবাসী। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৬-এর প্রথম প্রহরে নগরজুড়ে বাসাবাড়ির ছাদে ছাদে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় চারপাশে বিকট শব্দ শোনা যায়।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
৪ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ও ভৈরব সংবাদদাতা

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়কে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। কৃষকেরা দাবি করেছেন, তাঁদের ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়ক নির্মাণের পর সেই জমি আবার ভরাট করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আট মাস পেরিয়ে গেলেও কথা রাখেনি তারা। এখন এসব জমিতে ফসল চাষ করতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা।
জানা গেছে, উপজেলার ছাগাইয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের পূর্ব পাশে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকল্পের অধীনে বেড়িবাঁধ সড়ক নির্মাণ করা হয়। টেন্ডারের মাধ্যমে ওই কাজ মোহাম্মদ ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স (প্রা.) লিমিটেড নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পেলেও মূলত স্থানীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মমিনুল হক কনস্ট্রাকশন সড়কের কাজ করছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, বেড়িবাঁধ সড়কের সাইডওয়াল নির্মাণ, ব্লক স্থাপন ও মাটি ভরাটসহ প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ২৪ লাখ ৩৫ হাজার ৬৩৩ টাকা। গত এপ্রিলে কাজের উদ্বোধনের পর প্রায় এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কে আংশিক সাইডওয়াল নির্মাণ, জিও টেক্সটাইল ও ব্লক বসানো হয়। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, সড়কের কাজ অত্যন্ত নিম্নমানের হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে নির্মাণকাজ কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। অথচ এ সময় পর্যন্ত সাইডওয়াল ও মাটি ভরাটের কাজের প্রায় ৬০ শতাংশ অগ্রগতি দেখিয়ে কোটি টাকার বেশি বিল উত্তোলন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী ইশতিয়াক আহমেদ।
ভুক্তভোগী কৃষকেরা জানান, সড়ক নির্মাণের জন্য পাশের ফসলি জমি থেকে গভীরভাবে মাটি কেটে নেওয়া হয়েছে। মাটি কাটার আগে জমিতে থাকা কাঁচা ধান কেটে গরুকে খাওয়াতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। মাটি কাটতে জমির মালিকেরা বাধা দিলে, পরে তাঁদের জমি ভরাট করে দেওয়ার আশ্বাস দেন ঠিকাদার। কিন্তু ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা হয়নি। বরং রাস্তার পাশ থেকে গভীরভাবে মাটি কাটার ফলে নতুন নির্মিত সড়কটিও ঝুঁকিতে পড়ছে।
কৃষক মিষ্টু মিয়া বলেন, ঠিকাদার বলছিল মাটি কেটে সড়ক উঁচু করবে, তারপর অন্য জায়গা থেকে মাটি এনে জমি সমান করে দেবে। ৮ মাস পার হয়ে গেলেও তারা জমির মাটি ভরাট করে দেয়নি। জমিতে ফসলও ফলাতে পারছি না।
কৃষিজমি থেকে মাটি কাটার বিষয়টি স্বীকার করে স্থানীয় ঠিকাদারের অংশীদারদের একজন মতিউর রহমান বলেন, রাস্তায় প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ঘনফুট মাটি ফেলা হয়েছে এবং চলতি বছরই অন্য স্থান থেকে মাটি এনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষিজমি ভরাট করে দেওয়া হবে। এ কাজে ২০ থেকে ৫০ লাখ টাকা ব্যয় হলেও ঠিকাদার সেলিম প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন বলেও তিনি দাবি করেন।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মমিনুল হক কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী মমিনুল হক সেলিম বলেন, ‘কাজটি হলো চট্টগ্রামের এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। আমার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজটি হয়েছে। বর্তমানে এ কাজের তদারকি করছে অন্যরা। এখন আমি এ কাজের সঙ্গে জড়িত নই।’
এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা প্রকৌশলী ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘প্রকল্পটির কাজের মেয়াদ আগামী জুন মাস পর্যন্ত। এর মধ্যে কাজ শেষ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে বর্তমানে সরকারি ফান্ড না থাকায় কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি ঠিকাদারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এলাকাবাসীর বাধার কারণেও কাজ ব্যাহত হচ্ছে। তবে মাটি তারা কোথা থেকে আনবে, বিষয়টি মূলত ঠিকাদারের। আমরা রাস্তার কাজে কোনো অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা নেব।’

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়কে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। কৃষকেরা দাবি করেছেন, তাঁদের ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়ক নির্মাণের পর সেই জমি আবার ভরাট করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আট মাস পেরিয়ে গেলেও কথা রাখেনি তারা। এখন এসব জমিতে ফসল চাষ করতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা।
জানা গেছে, উপজেলার ছাগাইয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের পূর্ব পাশে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকল্পের অধীনে বেড়িবাঁধ সড়ক নির্মাণ করা হয়। টেন্ডারের মাধ্যমে ওই কাজ মোহাম্মদ ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স (প্রা.) লিমিটেড নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পেলেও মূলত স্থানীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মমিনুল হক কনস্ট্রাকশন সড়কের কাজ করছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, বেড়িবাঁধ সড়কের সাইডওয়াল নির্মাণ, ব্লক স্থাপন ও মাটি ভরাটসহ প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ২৪ লাখ ৩৫ হাজার ৬৩৩ টাকা। গত এপ্রিলে কাজের উদ্বোধনের পর প্রায় এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কে আংশিক সাইডওয়াল নির্মাণ, জিও টেক্সটাইল ও ব্লক বসানো হয়। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, সড়কের কাজ অত্যন্ত নিম্নমানের হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে নির্মাণকাজ কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। অথচ এ সময় পর্যন্ত সাইডওয়াল ও মাটি ভরাটের কাজের প্রায় ৬০ শতাংশ অগ্রগতি দেখিয়ে কোটি টাকার বেশি বিল উত্তোলন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী ইশতিয়াক আহমেদ।
ভুক্তভোগী কৃষকেরা জানান, সড়ক নির্মাণের জন্য পাশের ফসলি জমি থেকে গভীরভাবে মাটি কেটে নেওয়া হয়েছে। মাটি কাটার আগে জমিতে থাকা কাঁচা ধান কেটে গরুকে খাওয়াতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। মাটি কাটতে জমির মালিকেরা বাধা দিলে, পরে তাঁদের জমি ভরাট করে দেওয়ার আশ্বাস দেন ঠিকাদার। কিন্তু ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা হয়নি। বরং রাস্তার পাশ থেকে গভীরভাবে মাটি কাটার ফলে নতুন নির্মিত সড়কটিও ঝুঁকিতে পড়ছে।
কৃষক মিষ্টু মিয়া বলেন, ঠিকাদার বলছিল মাটি কেটে সড়ক উঁচু করবে, তারপর অন্য জায়গা থেকে মাটি এনে জমি সমান করে দেবে। ৮ মাস পার হয়ে গেলেও তারা জমির মাটি ভরাট করে দেয়নি। জমিতে ফসলও ফলাতে পারছি না।
কৃষিজমি থেকে মাটি কাটার বিষয়টি স্বীকার করে স্থানীয় ঠিকাদারের অংশীদারদের একজন মতিউর রহমান বলেন, রাস্তায় প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ঘনফুট মাটি ফেলা হয়েছে এবং চলতি বছরই অন্য স্থান থেকে মাটি এনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষিজমি ভরাট করে দেওয়া হবে। এ কাজে ২০ থেকে ৫০ লাখ টাকা ব্যয় হলেও ঠিকাদার সেলিম প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন বলেও তিনি দাবি করেন।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মমিনুল হক কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী মমিনুল হক সেলিম বলেন, ‘কাজটি হলো চট্টগ্রামের এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। আমার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজটি হয়েছে। বর্তমানে এ কাজের তদারকি করছে অন্যরা। এখন আমি এ কাজের সঙ্গে জড়িত নই।’
এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা প্রকৌশলী ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘প্রকল্পটির কাজের মেয়াদ আগামী জুন মাস পর্যন্ত। এর মধ্যে কাজ শেষ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে বর্তমানে সরকারি ফান্ড না থাকায় কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি ঠিকাদারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এলাকাবাসীর বাধার কারণেও কাজ ব্যাহত হচ্ছে। তবে মাটি তারা কোথা থেকে আনবে, বিষয়টি মূলত ঠিকাদারের। আমরা রাস্তার কাজে কোনো অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা নেব।’

কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজন হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের খোদাইবাড়ী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে
৩০ এপ্রিল ২০২৪
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে লক্ষ্মীপুরে চারটি আসনে বইছে ভোটের আমেজ। সব কটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে ব্যস্ত সময় পার করছে বড় দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াত। বসে নেই অন্য দলের প্রার্থীরাও। সকাল-বিকেল চালাচ্ছেন প্রচারণা।
১ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রীয় শোক এবং পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীতে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়িয়ে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন করেছে নগরবাসী। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৬-এর প্রথম প্রহরে নগরজুড়ে বাসাবাড়ির ছাদে ছাদে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় চারপাশে বিকট শব্দ শোনা যায়।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
৪ ঘণ্টা আগেআব্বাছ হোসেন, লক্ষ্মীপুর

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে লক্ষ্মীপুরে চারটি আসনে বইছে ভোটের আমেজ। সব কটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে ব্যস্ত সময় পার করছে বড় দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াত। বসে নেই অন্য দলের প্রার্থীরাও। সকাল-বিকেল চালাচ্ছেন প্রচারণা।
লক্ষ্মীপুরের চারটি আসনই বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে সব আসনেই জয়লাভ করেছিল দলটি। ২০১৪ সালে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো নির্বাচন বর্জন করে। একতরফা ওই নির্বাচনে সব আসন আওয়ামী লীগের দখলে চলে যায়। এবার সেটা ফিরে পেতে তৎপর বিএনপি। অন্যদিকে নতুন মুখ নিয়ে মাঠে জামায়াত। তারাও চায় বিএনপির ঘাঁটিতে ভাগ বসাতে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরের চারটি আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৪৫ জন। তাঁদের মধ্যে ৩৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ)
২০১৮ সালে এই আসনে মনোনয়ন পেয়েছিলেন বিএনপির জোটসঙ্গী বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম। তিনি এবারও এই আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। আগে থেকে নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় সেলিম বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন বিএনপি ও জোটের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মাঠে আছি। রামগঞ্জের মানুষ আমাকে চেনে, জানে। আমি তাঁদের জন্য কাজ করেছি।’
এনসিপি থেকে মাঠে রয়েছেন মাহাবুব আলম। সাবেক তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও জমা দেননি।
জামায়াতের প্রার্থী উপজেলা আমির নাজমুল হাসান পাটওয়ারী। তিনি বলেন, ‘রামগঞ্জের মানুষ পরিবর্তন চায়, শান্তি ও সুশাসন চায়। আমি তৃণমূলের কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সে লক্ষ্যে কাজ করছি।’ এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলনের জাকির হোসেন পাটওয়ারীও ভোটের মাঠে সক্রিয় রয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের আংশিক)
এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন আবুল খায়ের ভূঁইয়া। বিএনপির চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘এই আসন বিএনপির ঘাঁটি। তৃণমূলের ঐক্য ও জনগণের সমর্থন থাকলে আমরা অবশ্যই জয়ী হব।’ এখানে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী দলটির জেলা আমির এম রুহুল আমিন ভূঁইয়া। নির্বাচন সামনে রেখে তিনি ও দলের নেতা-কর্মীরা সাংগঠনিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ড বাড়িয়েছেন। রুহুল আমিন ভূঁইয়া বলেন, এই আসনে এবার বিএনপির জন্য বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর)
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি এই আসনে দলীয় প্রার্থী। চারটি আসনের মধ্যে এটিতেই বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থান সবচেয়ে শক্তিশালী বলে মনে করা হয়। ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এর আগেও দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
এ্যানি বলেন, ‘লক্ষ্মীপুর আমার জন্মভূমি, আমার রাজনীতির মাটি। জনগণের ভোটেই আমি দুবার সংসদ সদস্য হয়েছি, এবারও বিশ্বাস করি, মানুষ বিএনপিকে বিজয়ী করবে।’ এখানে জামায়াতের মনোনয়ন পেয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ‘লক্ষ্মীপুরের জনগণ পরিবর্তন চায়। একটি সৎ, ন্যায়ভিত্তিক ও কল্যাণমুখী সমাজ চায়। সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা মাঠে নেমেছি। মানুষ পরিবর্তন চায়। সে আলোকে জামায়াতের প্রার্থীকে বেছে নেবে বলে আশা করি।’
গণঅধিকার পরিষদের লক্ষ্মীপুর জেলা কমিটির সভাপতি নুর মোহাম্মদ ও ইসলামী আন্দোলনের জেলা শাখার সভাপতি মো. ইব্রাহিমও প্রার্থী হিসেবে সক্রিয় রয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর)
এই আসনে দলের সহশিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম আশরাফ উদ্দিন নিজানকে মনোনয়ন দিয়েছে দল। নিজান বলেন, ‘আমি দুবার এই এলাকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। ভালোমন্দ সময়ে মানুষের পাশে ছিলাম, উন্নয়ন করেছি আন্তরিকভাবে।’
আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী এ আর হাফিজ উল্যা। তিনি দলের জেলা সেক্রেটারি। হাফিজ বলেন, ‘রামগতি ও কমলনগরের মানুষ অনেক অবহেলিত। জনগণের দোয়া ও সমর্থন নিয়ে অবহেলার রাজনীতি থেকে মুক্তি দিতে চাই।’
ভোটের মাঠে রয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের উপদেষ্টা খালেদ সাইফুল্লাহ, গণঅধিকার পরিষদের ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রেদোয়ান উল্যা খান ও এবি পার্টির প্রার্থী মিয়া আরিফ সুলতান।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে লক্ষ্মীপুরে চারটি আসনে বইছে ভোটের আমেজ। সব কটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে ব্যস্ত সময় পার করছে বড় দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াত। বসে নেই অন্য দলের প্রার্থীরাও। সকাল-বিকেল চালাচ্ছেন প্রচারণা।
লক্ষ্মীপুরের চারটি আসনই বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে সব আসনেই জয়লাভ করেছিল দলটি। ২০১৪ সালে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো নির্বাচন বর্জন করে। একতরফা ওই নির্বাচনে সব আসন আওয়ামী লীগের দখলে চলে যায়। এবার সেটা ফিরে পেতে তৎপর বিএনপি। অন্যদিকে নতুন মুখ নিয়ে মাঠে জামায়াত। তারাও চায় বিএনপির ঘাঁটিতে ভাগ বসাতে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরের চারটি আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৪৫ জন। তাঁদের মধ্যে ৩৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ)
২০১৮ সালে এই আসনে মনোনয়ন পেয়েছিলেন বিএনপির জোটসঙ্গী বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম। তিনি এবারও এই আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। আগে থেকে নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় সেলিম বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন বিএনপি ও জোটের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মাঠে আছি। রামগঞ্জের মানুষ আমাকে চেনে, জানে। আমি তাঁদের জন্য কাজ করেছি।’
এনসিপি থেকে মাঠে রয়েছেন মাহাবুব আলম। সাবেক তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও জমা দেননি।
জামায়াতের প্রার্থী উপজেলা আমির নাজমুল হাসান পাটওয়ারী। তিনি বলেন, ‘রামগঞ্জের মানুষ পরিবর্তন চায়, শান্তি ও সুশাসন চায়। আমি তৃণমূলের কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সে লক্ষ্যে কাজ করছি।’ এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলনের জাকির হোসেন পাটওয়ারীও ভোটের মাঠে সক্রিয় রয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের আংশিক)
এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন আবুল খায়ের ভূঁইয়া। বিএনপির চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘এই আসন বিএনপির ঘাঁটি। তৃণমূলের ঐক্য ও জনগণের সমর্থন থাকলে আমরা অবশ্যই জয়ী হব।’ এখানে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী দলটির জেলা আমির এম রুহুল আমিন ভূঁইয়া। নির্বাচন সামনে রেখে তিনি ও দলের নেতা-কর্মীরা সাংগঠনিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ড বাড়িয়েছেন। রুহুল আমিন ভূঁইয়া বলেন, এই আসনে এবার বিএনপির জন্য বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর)
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি এই আসনে দলীয় প্রার্থী। চারটি আসনের মধ্যে এটিতেই বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থান সবচেয়ে শক্তিশালী বলে মনে করা হয়। ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এর আগেও দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
এ্যানি বলেন, ‘লক্ষ্মীপুর আমার জন্মভূমি, আমার রাজনীতির মাটি। জনগণের ভোটেই আমি দুবার সংসদ সদস্য হয়েছি, এবারও বিশ্বাস করি, মানুষ বিএনপিকে বিজয়ী করবে।’ এখানে জামায়াতের মনোনয়ন পেয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ‘লক্ষ্মীপুরের জনগণ পরিবর্তন চায়। একটি সৎ, ন্যায়ভিত্তিক ও কল্যাণমুখী সমাজ চায়। সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা মাঠে নেমেছি। মানুষ পরিবর্তন চায়। সে আলোকে জামায়াতের প্রার্থীকে বেছে নেবে বলে আশা করি।’
গণঅধিকার পরিষদের লক্ষ্মীপুর জেলা কমিটির সভাপতি নুর মোহাম্মদ ও ইসলামী আন্দোলনের জেলা শাখার সভাপতি মো. ইব্রাহিমও প্রার্থী হিসেবে সক্রিয় রয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর)
এই আসনে দলের সহশিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম আশরাফ উদ্দিন নিজানকে মনোনয়ন দিয়েছে দল। নিজান বলেন, ‘আমি দুবার এই এলাকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। ভালোমন্দ সময়ে মানুষের পাশে ছিলাম, উন্নয়ন করেছি আন্তরিকভাবে।’
আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী এ আর হাফিজ উল্যা। তিনি দলের জেলা সেক্রেটারি। হাফিজ বলেন, ‘রামগতি ও কমলনগরের মানুষ অনেক অবহেলিত। জনগণের দোয়া ও সমর্থন নিয়ে অবহেলার রাজনীতি থেকে মুক্তি দিতে চাই।’
ভোটের মাঠে রয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের উপদেষ্টা খালেদ সাইফুল্লাহ, গণঅধিকার পরিষদের ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রেদোয়ান উল্যা খান ও এবি পার্টির প্রার্থী মিয়া আরিফ সুলতান।

কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজন হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের খোদাইবাড়ী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে
৩০ এপ্রিল ২০২৪
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়কে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। কৃষকেরা দাবি করেছেন, তাঁদের ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়ক নির্মাণের পর সেই জমি আবার ভরাট করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আট মাস পেরিয়ে গেলেও কথা রাখেনি তারা।
১ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রীয় শোক এবং পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীতে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়িয়ে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন করেছে নগরবাসী। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৬-এর প্রথম প্রহরে নগরজুড়ে বাসাবাড়ির ছাদে ছাদে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় চারপাশে বিকট শব্দ শোনা যায়।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাষ্ট্রীয় শোক এবং পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীতে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়িয়ে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন করেছে নগরবাসী। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৬-এর প্রথম প্রহরে নগরজুড়ে বাসাবাড়ির ছাদে ছাদে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় চারপাশে বিকট শব্দ শোনা যায়।
এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো এবং ফানুস ওড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও তা অনেক ক্ষেত্রে উপেক্ষিত হয়েছে; বিশেষ করে রাজধানীর পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় এসব বিধিনিষেধ ভাঙতে দেখা যায়।
নগর ঘুরে দেখা যায়, নতুন বছর ২০২৬ শুরু হতে তখনো ঘড়ির কাঁটায় কিছু সময় বাকি। রাত ১২টা বাজার আগেই পৌষের রাতের নীরবতা ভেঙে উৎসবের শব্দে মুখর হয়ে ওঠে নগরী। আতশবাজির আলোয় ঢাকার নিকষ আকাশ ঝলমলে হয়ে ওঠে। বিকট শব্দের সঙ্গে চারদিকে আতশ ছিটকে পড়ে, আর অনেক ফানুস দম ফুরিয়ে গাছের ডালে আর বাসার ছাদে আছড়ে পড়ে।
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে গিয়ে এবারও শব্দ ও বায়ুদূষণের বিষয়টি উপেক্ষিত হয়েছে। আতশবাজির বিকট শব্দে দুর্ভোগে পড়েছে হাসপাতালের মুমূর্ষু রোগী, বাসাবাড়িতে থাকা বয়োবৃদ্ধ ও শিশুরা। শব্দদূষণ থেকে রক্ষা পেতে অনেকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে অভিযোগ জানান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়।
অন্যদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গতকাল বুধবার থেকে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর পুলিশ কয়েকটি নির্দেশনা জারি করে।
ডিএমপির পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা মহানগর এলাকায় সব ধরনের আতশবাজি ও পটকা ফোটানো, ফানুস ও গ্যাস বেলুন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। একই সঙ্গে উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিজে পার্টি, র্যালি কিংবা শোভাযাত্রা আয়োজন করা যাবে না।
এ ছাড়া উচ্চ শব্দে গাড়ির হর্ন বাজানো কিংবা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড থেকেও বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রীয় শোক এবং পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীতে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়িয়ে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন করেছে নগরবাসী। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৬-এর প্রথম প্রহরে নগরজুড়ে বাসাবাড়ির ছাদে ছাদে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় চারপাশে বিকট শব্দ শোনা যায়।
এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো এবং ফানুস ওড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও তা অনেক ক্ষেত্রে উপেক্ষিত হয়েছে; বিশেষ করে রাজধানীর পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় এসব বিধিনিষেধ ভাঙতে দেখা যায়।
নগর ঘুরে দেখা যায়, নতুন বছর ২০২৬ শুরু হতে তখনো ঘড়ির কাঁটায় কিছু সময় বাকি। রাত ১২টা বাজার আগেই পৌষের রাতের নীরবতা ভেঙে উৎসবের শব্দে মুখর হয়ে ওঠে নগরী। আতশবাজির আলোয় ঢাকার নিকষ আকাশ ঝলমলে হয়ে ওঠে। বিকট শব্দের সঙ্গে চারদিকে আতশ ছিটকে পড়ে, আর অনেক ফানুস দম ফুরিয়ে গাছের ডালে আর বাসার ছাদে আছড়ে পড়ে।
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে গিয়ে এবারও শব্দ ও বায়ুদূষণের বিষয়টি উপেক্ষিত হয়েছে। আতশবাজির বিকট শব্দে দুর্ভোগে পড়েছে হাসপাতালের মুমূর্ষু রোগী, বাসাবাড়িতে থাকা বয়োবৃদ্ধ ও শিশুরা। শব্দদূষণ থেকে রক্ষা পেতে অনেকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে অভিযোগ জানান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়।
অন্যদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গতকাল বুধবার থেকে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর পুলিশ কয়েকটি নির্দেশনা জারি করে।
ডিএমপির পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা মহানগর এলাকায় সব ধরনের আতশবাজি ও পটকা ফোটানো, ফানুস ও গ্যাস বেলুন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। একই সঙ্গে উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিজে পার্টি, র্যালি কিংবা শোভাযাত্রা আয়োজন করা যাবে না।
এ ছাড়া উচ্চ শব্দে গাড়ির হর্ন বাজানো কিংবা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড থেকেও বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।

কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজন হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের খোদাইবাড়ী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে
৩০ এপ্রিল ২০২৪
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়কে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। কৃষকেরা দাবি করেছেন, তাঁদের ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়ক নির্মাণের পর সেই জমি আবার ভরাট করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আট মাস পেরিয়ে গেলেও কথা রাখেনি তারা।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে লক্ষ্মীপুরে চারটি আসনে বইছে ভোটের আমেজ। সব কটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে ব্যস্ত সময় পার করছে বড় দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াত। বসে নেই অন্য দলের প্রার্থীরাও। সকাল-বিকেল চালাচ্ছেন প্রচারণা।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
৪ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালী প্রতিনিধি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
হলফনামায় স্ত্রীর পেশা হিসেবে শিক্ষক উল্লেখ করা হয়েছে আর নুরের আয়ের উৎস উল্লেখ করা হয়েছে ব্যবসা।
আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) নুরুল হক নুরের নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা যায়।
হলফনামার তথ্যানুযায়ী, নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন আদালতে বর্তমানে ছয়টি মামলা চলমান রয়েছে।
হলফনামায় বলা হয়েছে, নুরের ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় ১৫ লাখ ৮৫ হাজার ৪২৬ টাকা। অন্যান্য উৎস থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৬২২ টাকা। সব মিলিয়ে তাঁর মোট বার্ষিক আয় ২০ লাখ ৪০ হাজার ৪৮ টাকা।
নগদ অর্থ হিসেবে নুরের কাছে রয়েছে ২৮ লাখ ৩৮ হাজার ২১৭ টাকা। তাঁর স্ত্রীর নগদ অর্থের পরিমাণ ৩০ হাজার ৯৪১ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নুরের জমা করা অর্থ রয়েছে ২ লাখ ৮৯ হাজার ৩১৩ টাকা এবং তাঁর স্ত্রীর নামে রয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৭৭ টাকা।
হলফনামায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, নুরের নামে ৮২ ডেসিমেল কৃষিজমি রয়েছে, যার অর্জনকালীন মূল্য ৬২ হাজার টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের নামে তিন একর কৃষিজমি রয়েছে, যার মূল্য ১০ লাখ টাকা।
নুরের নামে কোম্পানির শেয়ার রয়েছে ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকার। আসবাবপত্র হিসেবে তাঁর স্ত্রীর নামে এক লাখ টাকার সম্পদের তথ্য দেওয়া হয়েছে। উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত অন্যান্য আমানত হিসেবে দেখানো হয়েছে ৫৫ লাখ ৮০ হাজার ৩১১ টাকা। তবে গয়না বা স্বর্ণের কোনো তথ্য বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়নি।
নুরুল হক নুরের ৩ লাখ ৮৮ হাজার ১৬০ টাকা দেনা থাকার কথা হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে।
স্ত্রীর আয় ও পারিবারিক তথ্য
নুরুল হক নুরের স্ত্রী মারিয়া আক্তারের বার্ষিক আয় ১ লাখ ৯১ হাজার ৮৮০ টাকা। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। নুর ও তাঁর স্ত্রী উভয়ই আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন বলে হলফনামায় উল্লেখ রয়েছে।
এ ছাড়া হলফনামায় বলা হয়েছে, নুরুল হক নুর বা তাঁর পরিবারের কোনো সদস্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেননি।
পারিবারিক তথ্যের অংশে উল্লেখ করা হয়েছে, নুরের তিন সন্তান রয়েছে, দুই মেয়ে ও এক ছেলে। তাঁর ওপর নির্ভরশীল হিসেবে সন্তানদের পাশাপাশি পিতা, মাতা, ভাই ও বোনের নামও হলফনামায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
হলফনামায় স্ত্রীর পেশা হিসেবে শিক্ষক উল্লেখ করা হয়েছে আর নুরের আয়ের উৎস উল্লেখ করা হয়েছে ব্যবসা।
আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) নুরুল হক নুরের নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা যায়।
হলফনামার তথ্যানুযায়ী, নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন আদালতে বর্তমানে ছয়টি মামলা চলমান রয়েছে।
হলফনামায় বলা হয়েছে, নুরের ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় ১৫ লাখ ৮৫ হাজার ৪২৬ টাকা। অন্যান্য উৎস থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৬২২ টাকা। সব মিলিয়ে তাঁর মোট বার্ষিক আয় ২০ লাখ ৪০ হাজার ৪৮ টাকা।
নগদ অর্থ হিসেবে নুরের কাছে রয়েছে ২৮ লাখ ৩৮ হাজার ২১৭ টাকা। তাঁর স্ত্রীর নগদ অর্থের পরিমাণ ৩০ হাজার ৯৪১ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নুরের জমা করা অর্থ রয়েছে ২ লাখ ৮৯ হাজার ৩১৩ টাকা এবং তাঁর স্ত্রীর নামে রয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৭৭ টাকা।
হলফনামায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, নুরের নামে ৮২ ডেসিমেল কৃষিজমি রয়েছে, যার অর্জনকালীন মূল্য ৬২ হাজার টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের নামে তিন একর কৃষিজমি রয়েছে, যার মূল্য ১০ লাখ টাকা।
নুরের নামে কোম্পানির শেয়ার রয়েছে ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকার। আসবাবপত্র হিসেবে তাঁর স্ত্রীর নামে এক লাখ টাকার সম্পদের তথ্য দেওয়া হয়েছে। উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত অন্যান্য আমানত হিসেবে দেখানো হয়েছে ৫৫ লাখ ৮০ হাজার ৩১১ টাকা। তবে গয়না বা স্বর্ণের কোনো তথ্য বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়নি।
নুরুল হক নুরের ৩ লাখ ৮৮ হাজার ১৬০ টাকা দেনা থাকার কথা হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে।
স্ত্রীর আয় ও পারিবারিক তথ্য
নুরুল হক নুরের স্ত্রী মারিয়া আক্তারের বার্ষিক আয় ১ লাখ ৯১ হাজার ৮৮০ টাকা। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। নুর ও তাঁর স্ত্রী উভয়ই আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন বলে হলফনামায় উল্লেখ রয়েছে।
এ ছাড়া হলফনামায় বলা হয়েছে, নুরুল হক নুর বা তাঁর পরিবারের কোনো সদস্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেননি।
পারিবারিক তথ্যের অংশে উল্লেখ করা হয়েছে, নুরের তিন সন্তান রয়েছে, দুই মেয়ে ও এক ছেলে। তাঁর ওপর নির্ভরশীল হিসেবে সন্তানদের পাশাপাশি পিতা, মাতা, ভাই ও বোনের নামও হলফনামায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজন হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের খোদাইবাড়ী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে
৩০ এপ্রিল ২০২৪
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়কে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। কৃষকেরা দাবি করেছেন, তাঁদের ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়ক নির্মাণের পর সেই জমি আবার ভরাট করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আট মাস পেরিয়ে গেলেও কথা রাখেনি তারা।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে লক্ষ্মীপুরে চারটি আসনে বইছে ভোটের আমেজ। সব কটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে ব্যস্ত সময় পার করছে বড় দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াত। বসে নেই অন্য দলের প্রার্থীরাও। সকাল-বিকেল চালাচ্ছেন প্রচারণা।
১ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রীয় শোক এবং পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীতে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়িয়ে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন করেছে নগরবাসী। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৬-এর প্রথম প্রহরে নগরজুড়ে বাসাবাড়ির ছাদে ছাদে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় চারপাশে বিকট শব্দ শোনা যায়।
৩ ঘণ্টা আগে