প্রতিনিধি, কক্সবাজার

কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে পর্যটক আসার অনুমতি দিয়েছে সরকার। প্রায় সাড়ে চার মাস ধরে বন্ধ থাকা হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। এতে দীর্ঘদিনের নিষ্প্রাণ পর্যটন জোনে হঠাৎ প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পেয়েছে। এবার লকডাউনে হওয়া ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
গত ১ এপ্রিল থেকে করোনা সংক্রমণ রোধে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতসহ বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। দীর্ঘ চার মাস ১৮ দিন বন্ধ রাখার পর আগামী ১৯ আগস্ট পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে দেশের প্রধান এই পর্যটনকেন্দ্র। তবে ৫০ শতাংশের ওপরে কক্ষ ভাড়া দিতে পারবে না হোটেল–মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসগুলো। রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও একই নিয়ম মেনে চলতে হবে। এরপরও খুশি পর্যটন খাতের ব্যবসায় জড়িত লাখো বিনিয়োগকারী, ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
হোটেল-মোটেল জোন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বেশির ভাগ হোটেল ও গেস্ট হাউসের কক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ চলছে। কাজে ফিরছে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। চারদিকে যেন উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। সৈকতের ছোট ছোট দোকান, হকার, ছাতা, শামুক-ঝিনুকের দোকানগুলো সংস্কার করা হচ্ছে।
গত ১১ আগস্ট থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শিথিলের পর কক্সবাজার শহরের অধিকাংশ দোকানপাট, শপিং মল, বিপণিবিতান ও হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলা হয়েছে। তবে পর্যটক না থাকায় কলাতলী হোটেল-মোটেল জোনে এখনো খোলার প্রস্তুতি চলছে।
লাবণী পয়েন্টের সৈকত কর্মী বেলাল হোসেন জানান, সৈকত খুলে দেওয়ার খবরে শুক্রবার থেকে মানুষ সৈকতে ভিড় করছে। কিন্তু ১৯ আগস্টের আগে সৈকতে কাউকে নামতে না দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে।
সৈকতের মূল স্পটে বাধা পেয়ে অনেকে মেরিন ড্রাইভ হয়ে দরিয়ানগর, হিমছড়ি ও ইনানী সৈকতের দিকে ছুটতে দেখা গেছে। সেখানে তেমন কড়াকড়ি না থাকায় দর্শনার্থীরা ঘোরার সুযোগ পাচ্ছেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে দেশের অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রের মতো কক্সবাজারেও লোকসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়। এতে পর্যটক নির্ভর পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল, কটেজ ও গেস্ট হাউস, সাত শতাধিক রেস্তোরাঁ, দুই হাজারের মতো নানান পণ্যের দোকান-পাট বন্ধ হয়ে চরম বিপাকে পড়েন জেলার পর্যটন সংশ্লিষ্ট তিন লাখ মানুষ। এ পরিস্থিতিতে অসংখ্য কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরি হারান। বেকার হয়ে পড়েন এসব খাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীরা।
কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস, কটেজ ও রেস্তোরাঁ মালিকদের সংগঠন ফেডারেশন অব টুরিজম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের দৈনিক গড়ে ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বিধিনিষেধের কারণে দিনের পর দিন বন্ধ থাকায় অনেক দক্ষ পর্যটনকর্মী চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন। এবার ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবেন ব্যবসায়ী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ও শ্রমিকেরা।
কলাতলী হোটেল-মোটেল জোনের ওয়ার্ল্ড পার্ক রিসোর্টের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা ব্যবসায়ী কায়েস সিকদার বলেন, করোনাকালীন তাঁদের অন্তত দেড় কোটি টাকার লোকসান গুনতে হয়েছে। এই ক্ষত শুকাতে অনেক সময় লাগতে পারে। তাঁদের মতো বেশির ভাগ ব্যবসায়ীর একই দশা।
কলাতলী রোদেলা রেস্তোরাঁর পরিচালক মকবুল কাদের বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধ জারি করা বিধিনিষেধে তাঁদের মাসে কমপক্ষে দুই লাখ টাকা করে ক্ষতি হয়েছে। তারপরও পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়ায় তাঁরা খুশি।
কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, টানা বন্ধের কারণে পর্যটন খাতের ব্যবসা-বাণিজ্যে চরম বিপর্যয় ঘটেছে। এতে এ খাতে হাজার কোটি টাকার লোকসানে পড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা। এ ক্ষতি পুষিয়ে আনার প্রস্তুতি নিয়ে কর্ম তৎপরতা শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস কর্মকর্তা-কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ বলেন, সরকার পর্যটন শিল্পের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। এ অবস্থায় শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সবাই সতর্কভাবে কাজ করছে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে সৈকতে লোকসমাগমের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোর আসনসংখ্যা ৫০ শতাংশ হিসেবে চালু রাখা যাবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় ঘটলে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে পর্যটক আসার অনুমতি দিয়েছে সরকার। প্রায় সাড়ে চার মাস ধরে বন্ধ থাকা হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। এতে দীর্ঘদিনের নিষ্প্রাণ পর্যটন জোনে হঠাৎ প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পেয়েছে। এবার লকডাউনে হওয়া ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
গত ১ এপ্রিল থেকে করোনা সংক্রমণ রোধে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতসহ বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। দীর্ঘ চার মাস ১৮ দিন বন্ধ রাখার পর আগামী ১৯ আগস্ট পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে দেশের প্রধান এই পর্যটনকেন্দ্র। তবে ৫০ শতাংশের ওপরে কক্ষ ভাড়া দিতে পারবে না হোটেল–মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসগুলো। রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও একই নিয়ম মেনে চলতে হবে। এরপরও খুশি পর্যটন খাতের ব্যবসায় জড়িত লাখো বিনিয়োগকারী, ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
হোটেল-মোটেল জোন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বেশির ভাগ হোটেল ও গেস্ট হাউসের কক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ চলছে। কাজে ফিরছে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। চারদিকে যেন উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। সৈকতের ছোট ছোট দোকান, হকার, ছাতা, শামুক-ঝিনুকের দোকানগুলো সংস্কার করা হচ্ছে।
গত ১১ আগস্ট থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শিথিলের পর কক্সবাজার শহরের অধিকাংশ দোকানপাট, শপিং মল, বিপণিবিতান ও হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলা হয়েছে। তবে পর্যটক না থাকায় কলাতলী হোটেল-মোটেল জোনে এখনো খোলার প্রস্তুতি চলছে।
লাবণী পয়েন্টের সৈকত কর্মী বেলাল হোসেন জানান, সৈকত খুলে দেওয়ার খবরে শুক্রবার থেকে মানুষ সৈকতে ভিড় করছে। কিন্তু ১৯ আগস্টের আগে সৈকতে কাউকে নামতে না দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে।
সৈকতের মূল স্পটে বাধা পেয়ে অনেকে মেরিন ড্রাইভ হয়ে দরিয়ানগর, হিমছড়ি ও ইনানী সৈকতের দিকে ছুটতে দেখা গেছে। সেখানে তেমন কড়াকড়ি না থাকায় দর্শনার্থীরা ঘোরার সুযোগ পাচ্ছেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে দেশের অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রের মতো কক্সবাজারেও লোকসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়। এতে পর্যটক নির্ভর পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল, কটেজ ও গেস্ট হাউস, সাত শতাধিক রেস্তোরাঁ, দুই হাজারের মতো নানান পণ্যের দোকান-পাট বন্ধ হয়ে চরম বিপাকে পড়েন জেলার পর্যটন সংশ্লিষ্ট তিন লাখ মানুষ। এ পরিস্থিতিতে অসংখ্য কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরি হারান। বেকার হয়ে পড়েন এসব খাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীরা।
কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস, কটেজ ও রেস্তোরাঁ মালিকদের সংগঠন ফেডারেশন অব টুরিজম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের দৈনিক গড়ে ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বিধিনিষেধের কারণে দিনের পর দিন বন্ধ থাকায় অনেক দক্ষ পর্যটনকর্মী চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন। এবার ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবেন ব্যবসায়ী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ও শ্রমিকেরা।
কলাতলী হোটেল-মোটেল জোনের ওয়ার্ল্ড পার্ক রিসোর্টের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা ব্যবসায়ী কায়েস সিকদার বলেন, করোনাকালীন তাঁদের অন্তত দেড় কোটি টাকার লোকসান গুনতে হয়েছে। এই ক্ষত শুকাতে অনেক সময় লাগতে পারে। তাঁদের মতো বেশির ভাগ ব্যবসায়ীর একই দশা।
কলাতলী রোদেলা রেস্তোরাঁর পরিচালক মকবুল কাদের বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধ জারি করা বিধিনিষেধে তাঁদের মাসে কমপক্ষে দুই লাখ টাকা করে ক্ষতি হয়েছে। তারপরও পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়ায় তাঁরা খুশি।
কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, টানা বন্ধের কারণে পর্যটন খাতের ব্যবসা-বাণিজ্যে চরম বিপর্যয় ঘটেছে। এতে এ খাতে হাজার কোটি টাকার লোকসানে পড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা। এ ক্ষতি পুষিয়ে আনার প্রস্তুতি নিয়ে কর্ম তৎপরতা শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস কর্মকর্তা-কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ বলেন, সরকার পর্যটন শিল্পের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। এ অবস্থায় শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সবাই সতর্কভাবে কাজ করছে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে সৈকতে লোকসমাগমের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোর আসনসংখ্যা ৫০ শতাংশ হিসেবে চালু রাখা যাবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় ঘটলে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
প্রতিনিধি, কক্সবাজার

কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে পর্যটক আসার অনুমতি দিয়েছে সরকার। প্রায় সাড়ে চার মাস ধরে বন্ধ থাকা হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। এতে দীর্ঘদিনের নিষ্প্রাণ পর্যটন জোনে হঠাৎ প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পেয়েছে। এবার লকডাউনে হওয়া ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
গত ১ এপ্রিল থেকে করোনা সংক্রমণ রোধে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতসহ বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। দীর্ঘ চার মাস ১৮ দিন বন্ধ রাখার পর আগামী ১৯ আগস্ট পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে দেশের প্রধান এই পর্যটনকেন্দ্র। তবে ৫০ শতাংশের ওপরে কক্ষ ভাড়া দিতে পারবে না হোটেল–মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসগুলো। রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও একই নিয়ম মেনে চলতে হবে। এরপরও খুশি পর্যটন খাতের ব্যবসায় জড়িত লাখো বিনিয়োগকারী, ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
হোটেল-মোটেল জোন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বেশির ভাগ হোটেল ও গেস্ট হাউসের কক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ চলছে। কাজে ফিরছে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। চারদিকে যেন উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। সৈকতের ছোট ছোট দোকান, হকার, ছাতা, শামুক-ঝিনুকের দোকানগুলো সংস্কার করা হচ্ছে।
গত ১১ আগস্ট থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শিথিলের পর কক্সবাজার শহরের অধিকাংশ দোকানপাট, শপিং মল, বিপণিবিতান ও হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলা হয়েছে। তবে পর্যটক না থাকায় কলাতলী হোটেল-মোটেল জোনে এখনো খোলার প্রস্তুতি চলছে।
লাবণী পয়েন্টের সৈকত কর্মী বেলাল হোসেন জানান, সৈকত খুলে দেওয়ার খবরে শুক্রবার থেকে মানুষ সৈকতে ভিড় করছে। কিন্তু ১৯ আগস্টের আগে সৈকতে কাউকে নামতে না দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে।
সৈকতের মূল স্পটে বাধা পেয়ে অনেকে মেরিন ড্রাইভ হয়ে দরিয়ানগর, হিমছড়ি ও ইনানী সৈকতের দিকে ছুটতে দেখা গেছে। সেখানে তেমন কড়াকড়ি না থাকায় দর্শনার্থীরা ঘোরার সুযোগ পাচ্ছেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে দেশের অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রের মতো কক্সবাজারেও লোকসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়। এতে পর্যটক নির্ভর পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল, কটেজ ও গেস্ট হাউস, সাত শতাধিক রেস্তোরাঁ, দুই হাজারের মতো নানান পণ্যের দোকান-পাট বন্ধ হয়ে চরম বিপাকে পড়েন জেলার পর্যটন সংশ্লিষ্ট তিন লাখ মানুষ। এ পরিস্থিতিতে অসংখ্য কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরি হারান। বেকার হয়ে পড়েন এসব খাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীরা।
কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস, কটেজ ও রেস্তোরাঁ মালিকদের সংগঠন ফেডারেশন অব টুরিজম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের দৈনিক গড়ে ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বিধিনিষেধের কারণে দিনের পর দিন বন্ধ থাকায় অনেক দক্ষ পর্যটনকর্মী চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন। এবার ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবেন ব্যবসায়ী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ও শ্রমিকেরা।
কলাতলী হোটেল-মোটেল জোনের ওয়ার্ল্ড পার্ক রিসোর্টের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা ব্যবসায়ী কায়েস সিকদার বলেন, করোনাকালীন তাঁদের অন্তত দেড় কোটি টাকার লোকসান গুনতে হয়েছে। এই ক্ষত শুকাতে অনেক সময় লাগতে পারে। তাঁদের মতো বেশির ভাগ ব্যবসায়ীর একই দশা।
কলাতলী রোদেলা রেস্তোরাঁর পরিচালক মকবুল কাদের বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধ জারি করা বিধিনিষেধে তাঁদের মাসে কমপক্ষে দুই লাখ টাকা করে ক্ষতি হয়েছে। তারপরও পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়ায় তাঁরা খুশি।
কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, টানা বন্ধের কারণে পর্যটন খাতের ব্যবসা-বাণিজ্যে চরম বিপর্যয় ঘটেছে। এতে এ খাতে হাজার কোটি টাকার লোকসানে পড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা। এ ক্ষতি পুষিয়ে আনার প্রস্তুতি নিয়ে কর্ম তৎপরতা শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস কর্মকর্তা-কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ বলেন, সরকার পর্যটন শিল্পের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। এ অবস্থায় শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সবাই সতর্কভাবে কাজ করছে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে সৈকতে লোকসমাগমের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোর আসনসংখ্যা ৫০ শতাংশ হিসেবে চালু রাখা যাবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় ঘটলে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে পর্যটক আসার অনুমতি দিয়েছে সরকার। প্রায় সাড়ে চার মাস ধরে বন্ধ থাকা হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। এতে দীর্ঘদিনের নিষ্প্রাণ পর্যটন জোনে হঠাৎ প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পেয়েছে। এবার লকডাউনে হওয়া ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
গত ১ এপ্রিল থেকে করোনা সংক্রমণ রোধে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতসহ বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। দীর্ঘ চার মাস ১৮ দিন বন্ধ রাখার পর আগামী ১৯ আগস্ট পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে দেশের প্রধান এই পর্যটনকেন্দ্র। তবে ৫০ শতাংশের ওপরে কক্ষ ভাড়া দিতে পারবে না হোটেল–মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসগুলো। রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও একই নিয়ম মেনে চলতে হবে। এরপরও খুশি পর্যটন খাতের ব্যবসায় জড়িত লাখো বিনিয়োগকারী, ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
হোটেল-মোটেল জোন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বেশির ভাগ হোটেল ও গেস্ট হাউসের কক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ চলছে। কাজে ফিরছে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। চারদিকে যেন উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। সৈকতের ছোট ছোট দোকান, হকার, ছাতা, শামুক-ঝিনুকের দোকানগুলো সংস্কার করা হচ্ছে।
গত ১১ আগস্ট থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শিথিলের পর কক্সবাজার শহরের অধিকাংশ দোকানপাট, শপিং মল, বিপণিবিতান ও হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলা হয়েছে। তবে পর্যটক না থাকায় কলাতলী হোটেল-মোটেল জোনে এখনো খোলার প্রস্তুতি চলছে।
লাবণী পয়েন্টের সৈকত কর্মী বেলাল হোসেন জানান, সৈকত খুলে দেওয়ার খবরে শুক্রবার থেকে মানুষ সৈকতে ভিড় করছে। কিন্তু ১৯ আগস্টের আগে সৈকতে কাউকে নামতে না দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে।
সৈকতের মূল স্পটে বাধা পেয়ে অনেকে মেরিন ড্রাইভ হয়ে দরিয়ানগর, হিমছড়ি ও ইনানী সৈকতের দিকে ছুটতে দেখা গেছে। সেখানে তেমন কড়াকড়ি না থাকায় দর্শনার্থীরা ঘোরার সুযোগ পাচ্ছেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে দেশের অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রের মতো কক্সবাজারেও লোকসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়। এতে পর্যটক নির্ভর পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল, কটেজ ও গেস্ট হাউস, সাত শতাধিক রেস্তোরাঁ, দুই হাজারের মতো নানান পণ্যের দোকান-পাট বন্ধ হয়ে চরম বিপাকে পড়েন জেলার পর্যটন সংশ্লিষ্ট তিন লাখ মানুষ। এ পরিস্থিতিতে অসংখ্য কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরি হারান। বেকার হয়ে পড়েন এসব খাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীরা।
কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস, কটেজ ও রেস্তোরাঁ মালিকদের সংগঠন ফেডারেশন অব টুরিজম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের দৈনিক গড়ে ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বিধিনিষেধের কারণে দিনের পর দিন বন্ধ থাকায় অনেক দক্ষ পর্যটনকর্মী চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন। এবার ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবেন ব্যবসায়ী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ও শ্রমিকেরা।
কলাতলী হোটেল-মোটেল জোনের ওয়ার্ল্ড পার্ক রিসোর্টের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা ব্যবসায়ী কায়েস সিকদার বলেন, করোনাকালীন তাঁদের অন্তত দেড় কোটি টাকার লোকসান গুনতে হয়েছে। এই ক্ষত শুকাতে অনেক সময় লাগতে পারে। তাঁদের মতো বেশির ভাগ ব্যবসায়ীর একই দশা।
কলাতলী রোদেলা রেস্তোরাঁর পরিচালক মকবুল কাদের বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধ জারি করা বিধিনিষেধে তাঁদের মাসে কমপক্ষে দুই লাখ টাকা করে ক্ষতি হয়েছে। তারপরও পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়ায় তাঁরা খুশি।
কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, টানা বন্ধের কারণে পর্যটন খাতের ব্যবসা-বাণিজ্যে চরম বিপর্যয় ঘটেছে। এতে এ খাতে হাজার কোটি টাকার লোকসানে পড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা। এ ক্ষতি পুষিয়ে আনার প্রস্তুতি নিয়ে কর্ম তৎপরতা শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস কর্মকর্তা-কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ বলেন, সরকার পর্যটন শিল্পের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। এ অবস্থায় শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সবাই সতর্কভাবে কাজ করছে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে সৈকতে লোকসমাগমের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোর আসনসংখ্যা ৫০ শতাংশ হিসেবে চালু রাখা যাবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় ঘটলে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

নেত্রকোনায় বাইপাস সড়কে মশাল মিছিল থেকে ছাত্রলীগের ৭ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার বাইপাস সড়কের চল্লিশা-দুধকুড়া অংশ থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
১৫ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ফরিদপুর-৪ (চরভদ্রাসন-সদরপুর-ভাঙ্গা) আসনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রায়হান জামিলের নির্বাচনী প্রচারণার ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণ ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ঝাড়ুমিছিল করেছেন তাঁর সমর্থকেরা। একই সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশের দাবি জানিয়েছেন এই
১৭ মিনিট আগে
রাজশাহীতে ধর্মীয় আচার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী ওয়ানগালা ও লবান (নবান্ন) উৎসব। রাজশাহীর গারো সম্প্রদায় দীর্ঘ এক যুগ ধরে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে এই উৎসব উদ্যাপন করে আসছে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
২০ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পানিতে ডুবে ২ শিশু মারা গেছে। শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কুট্টাপাড়া উত্তর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া শিশুরা হচ্ছে মো. তাকরিম (৩) উপজেলার কুট্টাপাড়া উত্তর এলাকার আক্তার হোসেনের ছেলে ও একই উপজেলার উচালিয়াপাড়া এলাকার মো. আরাফাত মিয়ার ছেলে মো. আদনান (৫)।
২৩ মিনিট আগেনেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনায় বাইপাস সড়কে মশাল মিছিল থেকে ছাত্রলীগের ৭ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার বাইপাস সড়কের চল্লিশা-দুধকুড়া অংশ থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন আলম মিয়া, মো. আরিফ মিয়া, ইব্রাহিম খলিল, জোনায়েদ হাসান রাফি, শাহাদাত রহমান সিয়াম, সাকিবুল ইসলাম ও রিয়াদ মিয়া সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। আটক সবাই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজি শাহনেওয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বাইবাস সড়কে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মশাল মিছিল করার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। তখন ঘটনাস্থল থেকে ওই সাতজনকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

নেত্রকোনায় বাইপাস সড়কে মশাল মিছিল থেকে ছাত্রলীগের ৭ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার বাইপাস সড়কের চল্লিশা-দুধকুড়া অংশ থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন আলম মিয়া, মো. আরিফ মিয়া, ইব্রাহিম খলিল, জোনায়েদ হাসান রাফি, শাহাদাত রহমান সিয়াম, সাকিবুল ইসলাম ও রিয়াদ মিয়া সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। আটক সবাই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজি শাহনেওয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বাইবাস সড়কে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মশাল মিছিল করার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। তখন ঘটনাস্থল থেকে ওই সাতজনকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে পর্যটক আসার অনুমতি দিয়েছে সরকার। প্রায় সাড়ে চার মাস ধরে বন্ধ থাকা হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যটকদের স্বাগত
১৫ আগস্ট ২০২১
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ফরিদপুর-৪ (চরভদ্রাসন-সদরপুর-ভাঙ্গা) আসনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রায়হান জামিলের নির্বাচনী প্রচারণার ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণ ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ঝাড়ুমিছিল করেছেন তাঁর সমর্থকেরা। একই সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশের দাবি জানিয়েছেন এই
১৭ মিনিট আগে
রাজশাহীতে ধর্মীয় আচার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী ওয়ানগালা ও লবান (নবান্ন) উৎসব। রাজশাহীর গারো সম্প্রদায় দীর্ঘ এক যুগ ধরে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে এই উৎসব উদ্যাপন করে আসছে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
২০ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পানিতে ডুবে ২ শিশু মারা গেছে। শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কুট্টাপাড়া উত্তর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া শিশুরা হচ্ছে মো. তাকরিম (৩) উপজেলার কুট্টাপাড়া উত্তর এলাকার আক্তার হোসেনের ছেলে ও একই উপজেলার উচালিয়াপাড়া এলাকার মো. আরাফাত মিয়ার ছেলে মো. আদনান (৫)।
২৩ মিনিট আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ফরিদপুর-৪ (চরভদ্রাসন-সদরপুর-ভাঙ্গা) আসনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রায়হান জামিলের নির্বাচনী প্রচারণার ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণ ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ঝাড়ুমিছিল করেছেন তাঁর সমর্থকেরা। একই সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশের দাবি জানিয়েছেন এই প্রার্থী।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চরভদ্রাসন উপজেলায় ফরিদপুর-৪ আসনের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এ প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি প্রার্থীর নিজবাড়ি, উপজেলা সদরের এমপিডাঙ্গী এলাকা থেকে বের হয়ে উপজেলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই জায়গায় গিয়ে শেষ হয়।
রায়হান জামিল জানান, ফরিদপুর-৪ আসন থেকে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। সেই লক্ষ্যে প্রচারণার অংশ হিসেবে বিভিন্ন এলাকায় ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু এক সপ্তাহ ধরে এসব ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশের দাবি জানিয়ে রায়হান জামিল বলেন, ‘বিগত নির্বাচনে এই আসনে বাইরে থেকে লোক এসে এমপি হয়েছেন। তাঁরা কেউ এলাকার সন্তান নন; কিন্তু আমি এই এলাকার সন্তান হওয়ার পরেও গত কয়েক দিন যাবৎ দুষ্কৃতকারীরা আমার গেট ভাঙচুর ও ফেস্টুন-ব্যানার ছিঁড়ে ফেলছে। এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাতেই আজ ঝাড়ুমিছিলের আয়োজন করা হয়েছে।’
ওই ভাঙচুরে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান সম্ভাব্য এই স্বতন্ত্র প্রার্থী। সেই সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ফরিদপুর-৪ (চরভদ্রাসন-সদরপুর-ভাঙ্গা) আসনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রায়হান জামিলের নির্বাচনী প্রচারণার ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণ ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ঝাড়ুমিছিল করেছেন তাঁর সমর্থকেরা। একই সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশের দাবি জানিয়েছেন এই প্রার্থী।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চরভদ্রাসন উপজেলায় ফরিদপুর-৪ আসনের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এ প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি প্রার্থীর নিজবাড়ি, উপজেলা সদরের এমপিডাঙ্গী এলাকা থেকে বের হয়ে উপজেলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই জায়গায় গিয়ে শেষ হয়।
রায়হান জামিল জানান, ফরিদপুর-৪ আসন থেকে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। সেই লক্ষ্যে প্রচারণার অংশ হিসেবে বিভিন্ন এলাকায় ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু এক সপ্তাহ ধরে এসব ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশের দাবি জানিয়ে রায়হান জামিল বলেন, ‘বিগত নির্বাচনে এই আসনে বাইরে থেকে লোক এসে এমপি হয়েছেন। তাঁরা কেউ এলাকার সন্তান নন; কিন্তু আমি এই এলাকার সন্তান হওয়ার পরেও গত কয়েক দিন যাবৎ দুষ্কৃতকারীরা আমার গেট ভাঙচুর ও ফেস্টুন-ব্যানার ছিঁড়ে ফেলছে। এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাতেই আজ ঝাড়ুমিছিলের আয়োজন করা হয়েছে।’
ওই ভাঙচুরে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান সম্ভাব্য এই স্বতন্ত্র প্রার্থী। সেই সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে পর্যটক আসার অনুমতি দিয়েছে সরকার। প্রায় সাড়ে চার মাস ধরে বন্ধ থাকা হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যটকদের স্বাগত
১৫ আগস্ট ২০২১
নেত্রকোনায় বাইপাস সড়কে মশাল মিছিল থেকে ছাত্রলীগের ৭ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার বাইপাস সড়কের চল্লিশা-দুধকুড়া অংশ থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
১৫ মিনিট আগে
রাজশাহীতে ধর্মীয় আচার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী ওয়ানগালা ও লবান (নবান্ন) উৎসব। রাজশাহীর গারো সম্প্রদায় দীর্ঘ এক যুগ ধরে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে এই উৎসব উদ্যাপন করে আসছে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
২০ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পানিতে ডুবে ২ শিশু মারা গেছে। শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কুট্টাপাড়া উত্তর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া শিশুরা হচ্ছে মো. তাকরিম (৩) উপজেলার কুট্টাপাড়া উত্তর এলাকার আক্তার হোসেনের ছেলে ও একই উপজেলার উচালিয়াপাড়া এলাকার মো. আরাফাত মিয়ার ছেলে মো. আদনান (৫)।
২৩ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীতে ধর্মীয় আচার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী ওয়ানগালা ও লবান (নবান্ন) উৎসব।
রাজশাহীর গারো সম্প্রদায় দীর্ঘ এক যুগ ধরে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে এই উৎসব উদ্যাপন করে আসছে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী নগরের বাগানপাড়ায় উত্তম মেষপালক ক্যাথিড্রাল গির্জা প্রাঙ্গণে দেবতাদের পূজার মধ্য দিয়ে উৎসবের শুরু হয়। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ‘আমুয়া’ ও ‘রুগালা’ পালনের পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক পর্ব। গারো শিল্পীরা নিজস্ব ভাষায় গান পরিবেশন করেন, যা দর্শকদের মুগ্ধ করে। অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ ছিল গারোদের ঐতিহ্যবাহী ‘জুম নাচ’, এটি উৎসবে আনন্দ-উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে দেয়।
উৎসবের আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রাজশাহী ক্যাথলিক ধর্মপ্রদেশের ডিডি বিশপ জের্ভাস রোজারিও। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি বহু জাতি, ভাষা ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্যময় অসাম্প্রদায়িক দেশ। এই ধরনের উৎসবের মাধ্যমে জাতিগত ঐতিহ্য রক্ষায় আমাদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করা উচিত। ওয়ানগালা ও লবান উৎসব আমাদের একতা ও সমন্বয়ের প্রতিফলন।’
রাজশাহী অঞ্চলের কারিতাস বাংলাদেশের আঞ্চলিক পরিচালক ড. আরোক টপ্য বলেন, ‘ওয়ানগালা ও লবান শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি আদিবাসীদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও সাংস্কৃতিক পরিচয় তুলে ধরতে এই উৎসব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী ক্যাথলিক ধর্মপ্রদেশের ভিকার জেনারেল ফাদার ফাবিয়ান মারান্ডা, রাজশাহী নানকিং গ্রুপের প্রোপ্রাইটর এহসানুল হুদা, রাজশাহী পারলার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রুকসানা হুদা এবং উত্তম মেষপালক ক্যাথিড্রাল গির্জার পালকীয় পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফ্রান্সিস সরেন। উৎসবের দিন গির্জা প্রাঙ্গণে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শত শত মানুষ একত্রিত হন, আনন্দ ভাগাভাগি করেন এবং ঐতিহ্যবাহী খাবারের দোকানে ঘুরে নানা স্বাদের খাবার উপভোগ করেন। জুমের আলু, কুমড়া, শামুক ও কাঁকড়ার মতো খাবার ছিল বিশেষ আকর্ষণ।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষায় ‘ওয়ানগালা’ ও ‘লবান’ উৎসব মূলত জুম চাষের সঙ্গে সম্পর্কিত। গারো, সাঁওতাল, পাহাড়ি, মাহালি ও ওঁরাও—এই পাঁচ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী প্রতি বছর শস্যদেবতা ‘মিসি সালজং’-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে এবং নতুন ফসল খাওয়ার অনুমতি চেয়ে উৎসবটি পালন করেন। নতুন ফসল তোলার পর নকমা (গ্রামপ্রধান) সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে উৎসবের তারিখ নির্ধারণ করেন তারা।

রাজশাহীতে ধর্মীয় আচার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী ওয়ানগালা ও লবান (নবান্ন) উৎসব।
রাজশাহীর গারো সম্প্রদায় দীর্ঘ এক যুগ ধরে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে এই উৎসব উদ্যাপন করে আসছে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী নগরের বাগানপাড়ায় উত্তম মেষপালক ক্যাথিড্রাল গির্জা প্রাঙ্গণে দেবতাদের পূজার মধ্য দিয়ে উৎসবের শুরু হয়। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ‘আমুয়া’ ও ‘রুগালা’ পালনের পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক পর্ব। গারো শিল্পীরা নিজস্ব ভাষায় গান পরিবেশন করেন, যা দর্শকদের মুগ্ধ করে। অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ ছিল গারোদের ঐতিহ্যবাহী ‘জুম নাচ’, এটি উৎসবে আনন্দ-উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে দেয়।
উৎসবের আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রাজশাহী ক্যাথলিক ধর্মপ্রদেশের ডিডি বিশপ জের্ভাস রোজারিও। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি বহু জাতি, ভাষা ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্যময় অসাম্প্রদায়িক দেশ। এই ধরনের উৎসবের মাধ্যমে জাতিগত ঐতিহ্য রক্ষায় আমাদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করা উচিত। ওয়ানগালা ও লবান উৎসব আমাদের একতা ও সমন্বয়ের প্রতিফলন।’
রাজশাহী অঞ্চলের কারিতাস বাংলাদেশের আঞ্চলিক পরিচালক ড. আরোক টপ্য বলেন, ‘ওয়ানগালা ও লবান শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি আদিবাসীদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও সাংস্কৃতিক পরিচয় তুলে ধরতে এই উৎসব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী ক্যাথলিক ধর্মপ্রদেশের ভিকার জেনারেল ফাদার ফাবিয়ান মারান্ডা, রাজশাহী নানকিং গ্রুপের প্রোপ্রাইটর এহসানুল হুদা, রাজশাহী পারলার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রুকসানা হুদা এবং উত্তম মেষপালক ক্যাথিড্রাল গির্জার পালকীয় পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফ্রান্সিস সরেন। উৎসবের দিন গির্জা প্রাঙ্গণে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শত শত মানুষ একত্রিত হন, আনন্দ ভাগাভাগি করেন এবং ঐতিহ্যবাহী খাবারের দোকানে ঘুরে নানা স্বাদের খাবার উপভোগ করেন। জুমের আলু, কুমড়া, শামুক ও কাঁকড়ার মতো খাবার ছিল বিশেষ আকর্ষণ।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষায় ‘ওয়ানগালা’ ও ‘লবান’ উৎসব মূলত জুম চাষের সঙ্গে সম্পর্কিত। গারো, সাঁওতাল, পাহাড়ি, মাহালি ও ওঁরাও—এই পাঁচ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী প্রতি বছর শস্যদেবতা ‘মিসি সালজং’-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে এবং নতুন ফসল খাওয়ার অনুমতি চেয়ে উৎসবটি পালন করেন। নতুন ফসল তোলার পর নকমা (গ্রামপ্রধান) সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে উৎসবের তারিখ নির্ধারণ করেন তারা।

কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে পর্যটক আসার অনুমতি দিয়েছে সরকার। প্রায় সাড়ে চার মাস ধরে বন্ধ থাকা হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যটকদের স্বাগত
১৫ আগস্ট ২০২১
নেত্রকোনায় বাইপাস সড়কে মশাল মিছিল থেকে ছাত্রলীগের ৭ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার বাইপাস সড়কের চল্লিশা-দুধকুড়া অংশ থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
১৫ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ফরিদপুর-৪ (চরভদ্রাসন-সদরপুর-ভাঙ্গা) আসনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রায়হান জামিলের নির্বাচনী প্রচারণার ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণ ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ঝাড়ুমিছিল করেছেন তাঁর সমর্থকেরা। একই সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশের দাবি জানিয়েছেন এই
১৭ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পানিতে ডুবে ২ শিশু মারা গেছে। শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কুট্টাপাড়া উত্তর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া শিশুরা হচ্ছে মো. তাকরিম (৩) উপজেলার কুট্টাপাড়া উত্তর এলাকার আক্তার হোসেনের ছেলে ও একই উপজেলার উচালিয়াপাড়া এলাকার মো. আরাফাত মিয়ার ছেলে মো. আদনান (৫)।
২৩ মিনিট আগেব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পানিতে ডুবে ২ শিশু মারা গেছে। শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কুট্টাপাড়া উত্তর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া শিশুরা হচ্ছে মো. তাকরিম (৩) উপজেলার কুট্টাপাড়া উত্তর এলাকার আক্তার হোসেনের ছেলে ও একই উপজেলার উচালিয়াপাড়া এলাকার মো. আরাফাত মিয়ার ছেলে মো. আদনান (৫)।
জানা গেছে, আদনান কিছুদিন আগে কুট্টপাড়া উত্তর এলাকায় তার নানাবাড়িতে বেড়াতে আসে। সকালে তার মামাতো ভাই তাকরিমের সঙ্গে বাড়ির পাশে পুকুরপাড়ে খেলা করছিল। একপর্যায়ে অসতর্কতাবশত ২ শিশু পুকুরের পানিতে ডুবে যায়। পরে স্বজনেরা শিশুদের না দেখে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে স্থানীয়রা পুকুরে ২ শিশুটিকে ভাসতে দেখেন। এ সময় পুকুর থেকে তাদের উদ্ধার করে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরশেদুল আলম চৌধুরী জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পানিতে ডুবে ২ শিশু মারা গেছে। শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কুট্টাপাড়া উত্তর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া শিশুরা হচ্ছে মো. তাকরিম (৩) উপজেলার কুট্টাপাড়া উত্তর এলাকার আক্তার হোসেনের ছেলে ও একই উপজেলার উচালিয়াপাড়া এলাকার মো. আরাফাত মিয়ার ছেলে মো. আদনান (৫)।
জানা গেছে, আদনান কিছুদিন আগে কুট্টপাড়া উত্তর এলাকায় তার নানাবাড়িতে বেড়াতে আসে। সকালে তার মামাতো ভাই তাকরিমের সঙ্গে বাড়ির পাশে পুকুরপাড়ে খেলা করছিল। একপর্যায়ে অসতর্কতাবশত ২ শিশু পুকুরের পানিতে ডুবে যায়। পরে স্বজনেরা শিশুদের না দেখে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে স্থানীয়রা পুকুরে ২ শিশুটিকে ভাসতে দেখেন। এ সময় পুকুর থেকে তাদের উদ্ধার করে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরশেদুল আলম চৌধুরী জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে পর্যটক আসার অনুমতি দিয়েছে সরকার। প্রায় সাড়ে চার মাস ধরে বন্ধ থাকা হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যটকদের স্বাগত
১৫ আগস্ট ২০২১
নেত্রকোনায় বাইপাস সড়কে মশাল মিছিল থেকে ছাত্রলীগের ৭ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার বাইপাস সড়কের চল্লিশা-দুধকুড়া অংশ থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
১৫ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ফরিদপুর-৪ (চরভদ্রাসন-সদরপুর-ভাঙ্গা) আসনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রায়হান জামিলের নির্বাচনী প্রচারণার ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণ ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ঝাড়ুমিছিল করেছেন তাঁর সমর্থকেরা। একই সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশের দাবি জানিয়েছেন এই
১৭ মিনিট আগে
রাজশাহীতে ধর্মীয় আচার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী ওয়ানগালা ও লবান (নবান্ন) উৎসব। রাজশাহীর গারো সম্প্রদায় দীর্ঘ এক যুগ ধরে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে এই উৎসব উদ্যাপন করে আসছে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
২০ মিনিট আগে