Ajker Patrika

রাউজানে পুলিশের গাড়ি থেকে অপহরণের আসামি ছিনিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা

রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬: ৪৬
রাউজানে পুলিশের গাড়ি থেকে অপহরণের আসামি ছিনিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা

চট্টগ্রামের রাউজানে পুলিশের গাড়ি থেকে অপহরণের মামলায় এক আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে হত্যা, পুলিশি কাজে বাধা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে অপহরণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাউজান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজিজুল হাকিম বাদী হয়ে মামলা করেন।

মামলার বিষয়টি আজ মঙ্গলবার নিশ্চিত করে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল হারুন জানান, মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের কোনো সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি।

পুলিশ জানায়, কলেজ ছাত্র শিবলী সাদিক হৃদয় (২০) অপহরণের ১৪ দিনের মাথায় রাউজানের বিভিন্ন স্থানে গতকাল সোমবার ভোর থেকে অভিযান শুরু করে। এ সময় সঙ্গে নেওয়া অপহরণ মামলার আসামি উমংচিং মারমার (২৬) দেখানো পথে হৃদয়ের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়।

উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের পঞ্চপাড়া গ্রামের মো. শফিকের ছেলে হৃদয়। পড়াশোনার পাশাপাশি কদলপুরে একটি মুরগির খামারে চাকরি করত হৃদয়। সে কদলপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিল।

এদিকে উমংচিং মারমাকে নিয়ে ফেরার পথে উত্তেজিত জনতা পুলিশের পথ রোধ করে। স্থানীয়রা ওই যুবককে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এতে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হন। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। এ সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

গণপিটুনিতে নিহত উমংসিং মারমা রাঙামাটির বেতবুনিয়া ইউনিয়নের রঙ্গিপাড়া গ্রামের উথোয়াইমং মারমার ছেলে।

এ বিষয়ে রাউজান থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, ‘পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে হত্যার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। একটি হত্যা করা, অন্যটি পুলিশের কাজে বাধা এবং গাড়ি ভাঙচুর করা। মামলায় আসামির সংখ্যা এবং নাম রাখা হয়নি। দুটি মামলার আসামিদের সবাই অজ্ঞাতনামা। ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হবে।’

ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন আরও বলেন, ‘অভিযানে তাঁর (উমংসিং মারমা) দেখানো বিভিন্ন জায়গা থেকে অপহৃত যুবক হৃদয়ের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করি। লাশ উদ্ধার করে ফেরার পথে পঞ্চপাড়া গ্রামে পাঁচ শতাধিক লোক আমাদের পথরোধ করেন। উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়ি থেকে আসামি উমংচিং মারমাকে ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে। পুলিশ এ সময় কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে।’

গত ২৮ আগস্ট রাতে মুরগির খামার থেকে হৃদয়কে অপহরণ করা হয়। অপহরণের দুদিন পর অপহরণকারীরা হৃদয়ের পরিবারে ফোন করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণকারীদের সঙ্গে কথা বলে পরিবারের সদস্যরা ২ লাখ টাকা দিতে রাজি হয়।

কয়েক দিন পর অপহৃত হৃদয়ের বাবা শফি বান্দরবান এলাকায় ডুলাপাড়ায় গিয়ে দুজনের হাতে দুই লাখ টাকা তুলে দেন। কিন্তু তারা হৃদয়কে মুক্তি দেয়নি। অপহরণকারীরা ছেলেকে মুক্তি না দেওয়ায় তিনি থানায় অভিযোগ করেন। পরে আসামিদের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয় রাউজান থানায়।

পুলিশ জানায়, এ মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাঁরা অপহরণের পর হৃদয়কে হত্যার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে। এরপর উমংসিং মারমা নিয়ে হৃদয়ের লাশ উদ্ধারে বের হলে গণপিটুনিতে তাঁর মৃত্যু হয়। বাকি দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

রাখাইনে মানবিক করিডর কি প্রক্সি যুদ্ধের ফাঁদ হবে, ভারত-চীন কীভাবে দেখবে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত