রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের রাউজানে পুলিশের গাড়ি থেকে অপহরণের মামলায় এক আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে হত্যা, পুলিশি কাজে বাধা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে অপহরণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাউজান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজিজুল হাকিম বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলার বিষয়টি আজ মঙ্গলবার নিশ্চিত করে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল হারুন জানান, মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের কোনো সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি।
পুলিশ জানায়, কলেজ ছাত্র শিবলী সাদিক হৃদয় (২০) অপহরণের ১৪ দিনের মাথায় রাউজানের বিভিন্ন স্থানে গতকাল সোমবার ভোর থেকে অভিযান শুরু করে। এ সময় সঙ্গে নেওয়া অপহরণ মামলার আসামি উমংচিং মারমার (২৬) দেখানো পথে হৃদয়ের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের পঞ্চপাড়া গ্রামের মো. শফিকের ছেলে হৃদয়। পড়াশোনার পাশাপাশি কদলপুরে একটি মুরগির খামারে চাকরি করত হৃদয়। সে কদলপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিল।
এদিকে উমংচিং মারমাকে নিয়ে ফেরার পথে উত্তেজিত জনতা পুলিশের পথ রোধ করে। স্থানীয়রা ওই যুবককে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এতে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হন। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। এ সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
গণপিটুনিতে নিহত উমংসিং মারমা রাঙামাটির বেতবুনিয়া ইউনিয়নের রঙ্গিপাড়া গ্রামের উথোয়াইমং মারমার ছেলে।
এ বিষয়ে রাউজান থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, ‘পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে হত্যার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। একটি হত্যা করা, অন্যটি পুলিশের কাজে বাধা এবং গাড়ি ভাঙচুর করা। মামলায় আসামির সংখ্যা এবং নাম রাখা হয়নি। দুটি মামলার আসামিদের সবাই অজ্ঞাতনামা। ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হবে।’
ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন আরও বলেন, ‘অভিযানে তাঁর (উমংসিং মারমা) দেখানো বিভিন্ন জায়গা থেকে অপহৃত যুবক হৃদয়ের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করি। লাশ উদ্ধার করে ফেরার পথে পঞ্চপাড়া গ্রামে পাঁচ শতাধিক লোক আমাদের পথরোধ করেন। উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়ি থেকে আসামি উমংচিং মারমাকে ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে। পুলিশ এ সময় কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে।’
গত ২৮ আগস্ট রাতে মুরগির খামার থেকে হৃদয়কে অপহরণ করা হয়। অপহরণের দুদিন পর অপহরণকারীরা হৃদয়ের পরিবারে ফোন করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণকারীদের সঙ্গে কথা বলে পরিবারের সদস্যরা ২ লাখ টাকা দিতে রাজি হয়।
কয়েক দিন পর অপহৃত হৃদয়ের বাবা শফি বান্দরবান এলাকায় ডুলাপাড়ায় গিয়ে দুজনের হাতে দুই লাখ টাকা তুলে দেন। কিন্তু তারা হৃদয়কে মুক্তি দেয়নি। অপহরণকারীরা ছেলেকে মুক্তি না দেওয়ায় তিনি থানায় অভিযোগ করেন। পরে আসামিদের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয় রাউজান থানায়।
পুলিশ জানায়, এ মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাঁরা অপহরণের পর হৃদয়কে হত্যার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে। এরপর উমংসিং মারমা নিয়ে হৃদয়ের লাশ উদ্ধারে বের হলে গণপিটুনিতে তাঁর মৃত্যু হয়। বাকি দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চট্টগ্রামের রাউজানে পুলিশের গাড়ি থেকে অপহরণের মামলায় এক আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে হত্যা, পুলিশি কাজে বাধা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে অপহরণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাউজান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজিজুল হাকিম বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলার বিষয়টি আজ মঙ্গলবার নিশ্চিত করে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল হারুন জানান, মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের কোনো সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি।
পুলিশ জানায়, কলেজ ছাত্র শিবলী সাদিক হৃদয় (২০) অপহরণের ১৪ দিনের মাথায় রাউজানের বিভিন্ন স্থানে গতকাল সোমবার ভোর থেকে অভিযান শুরু করে। এ সময় সঙ্গে নেওয়া অপহরণ মামলার আসামি উমংচিং মারমার (২৬) দেখানো পথে হৃদয়ের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের পঞ্চপাড়া গ্রামের মো. শফিকের ছেলে হৃদয়। পড়াশোনার পাশাপাশি কদলপুরে একটি মুরগির খামারে চাকরি করত হৃদয়। সে কদলপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিল।
এদিকে উমংচিং মারমাকে নিয়ে ফেরার পথে উত্তেজিত জনতা পুলিশের পথ রোধ করে। স্থানীয়রা ওই যুবককে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এতে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হন। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। এ সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
গণপিটুনিতে নিহত উমংসিং মারমা রাঙামাটির বেতবুনিয়া ইউনিয়নের রঙ্গিপাড়া গ্রামের উথোয়াইমং মারমার ছেলে।
এ বিষয়ে রাউজান থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, ‘পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে হত্যার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। একটি হত্যা করা, অন্যটি পুলিশের কাজে বাধা এবং গাড়ি ভাঙচুর করা। মামলায় আসামির সংখ্যা এবং নাম রাখা হয়নি। দুটি মামলার আসামিদের সবাই অজ্ঞাতনামা। ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হবে।’
ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন আরও বলেন, ‘অভিযানে তাঁর (উমংসিং মারমা) দেখানো বিভিন্ন জায়গা থেকে অপহৃত যুবক হৃদয়ের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করি। লাশ উদ্ধার করে ফেরার পথে পঞ্চপাড়া গ্রামে পাঁচ শতাধিক লোক আমাদের পথরোধ করেন। উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়ি থেকে আসামি উমংচিং মারমাকে ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে। পুলিশ এ সময় কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে।’
গত ২৮ আগস্ট রাতে মুরগির খামার থেকে হৃদয়কে অপহরণ করা হয়। অপহরণের দুদিন পর অপহরণকারীরা হৃদয়ের পরিবারে ফোন করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণকারীদের সঙ্গে কথা বলে পরিবারের সদস্যরা ২ লাখ টাকা দিতে রাজি হয়।
কয়েক দিন পর অপহৃত হৃদয়ের বাবা শফি বান্দরবান এলাকায় ডুলাপাড়ায় গিয়ে দুজনের হাতে দুই লাখ টাকা তুলে দেন। কিন্তু তারা হৃদয়কে মুক্তি দেয়নি। অপহরণকারীরা ছেলেকে মুক্তি না দেওয়ায় তিনি থানায় অভিযোগ করেন। পরে আসামিদের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয় রাউজান থানায়।
পুলিশ জানায়, এ মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাঁরা অপহরণের পর হৃদয়কে হত্যার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে। এরপর উমংসিং মারমা নিয়ে হৃদয়ের লাশ উদ্ধারে বের হলে গণপিটুনিতে তাঁর মৃত্যু হয়। বাকি দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
৪ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৪ ঘণ্টা আগে