মংবোওয়াংচিং মারমা, থানচি (বান্দরবান)
বান্দরবানের থানচি সদরের আপ্রুমংপাড়ায় পাঁচ বছর ধরে বিদ্যুতের খুঁটি, তার, সঞ্চালন লাইন সব হয়েছে; শুধু আলো জ্বালানোর ব্যবস্থা করে দেয়নি। একই অবস্থা সদর ইউপির ছাংদাকপাড়া ও বলিপাড়া ইউনিয়নের ক্রংক্ষ্যংপাড়ার। প্রধানমন্ত্রীর ঘরে ঘরে বিদ্যুতের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে এখানে ধীরগতি দেখা গেছে।
ভুক্তভোগী পাড়াবাসী বলছেন, ২০১৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ঘরের দিকে তাকিয়ে আছেন তাঁরা, কখন বিদ্যুতের আলো জ্বলবে।
থানচি সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত আপ্রুমংপাড়ায় ৫৫ পরিবারের বাস। এই পাড়ার বাসিন্দা ইউপি সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চাইসিংউ মারমা বলেন, গত বছর পাড়াটি পরিদর্শন করেন বান্দরবানে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী নেপচুন খীসা। এ সময় তিনি বলেছিলেন, একটি ট্রান্সফরমার বসানোর জন্য আবেদন করেন। তাঁর কথা অনুসারে আবেদন করেছেন তাঁরা।
২০১৭ সালে প্রকল্প বিভাগের অর্থায়নে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে বান্দরবান থেকে থানচি সদর পর্যন্ত বৈদ্যুতিক খুঁটি ও সঞ্চালন লাইন স্থাপন করে পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি)। একই সঙ্গে সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আপ্রুমংপাড়া ও ছাংদাকপাড়া এবং বলিপাড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ক্রংক্ষ্যংপাড়ায় ট্রন্সফর্মার স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু তিনটি পাড়ায় প্রায় ২০০ পরিবারের জন্য একটি করে ট্রান্সফর্মার স্থাপন করে বিপিডিবির নিয়োগপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কর্তৃপক্ষকে কাজ সম্পাদন হয়েছে বলে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিলেও এখনো কাজ হস্তান্তর করেনি প্রতিষ্ঠানটি। খুঁটি ও সঞ্চালন লাইন থাকলেও ঘরে ঘরে বিদ্যুতের সংযোগ নেই ওই তিন পাড়ায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ছাংদাক ছাড়া আপ্রুমংপাড়া ও ক্রংক্ষ্যংপাড়ায় একটি করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। বিদ্যুৎ না থাকায় গরমেই শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চলে।
আপ্রুমংপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সত্যমনি ত্রিপুরা বলেন, ‘বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় এবার গরমে কেউ ভোগেনি। তবে আগামীকাল (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে স্কুল খুলবে। প্রায় দেড় শ শিক্ষার্থীর শ্রেণিকক্ষে গরমে কষ্ট হবে। তা ছাড়া শিক্ষকদের ল্যাপটপে ভার্চুয়াল মিটিং, ইন্টারনেট ব্যবহার সম্ভব হয় না।
২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘরে ঘরে বিদ্যুতের ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। সেই ঘোষণা বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা সেভাবে কাজ করছেন না বলে মন্তব্য করেন আপ্রুমংপাড়ার কয়েকজন।
বিপিডিবি বিতরণ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী নেপচুন খীসা বলেন, ‘প্রকল্প বিভাগ থেকে এখনো বিতরণ বিভাগকে বাস্তবায়নের কাজ হস্তান্তর করা হয়নি। সুতরাং বিতরণ বিভাগের কোনো কাজ নেই। যেসব এলাকায় ট্রান্সফরমার আছে, সেসব স্থানে বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ করে দিয়েছি।’ বর্তমানে ওই এলাকায় ১ হাজারেও বেশি গ্রাহক আছেন। মাসে প্রায় ২০ লাখ টাকা আয় হচ্ছে বলে জানান তিনি।
যোগাযোগ করা হলে বিপিডিবি প্রকল্প বিভাগের তিন পার্বত্য জেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী উজ্জ্বল বড়ুয়া বলেন, ‘থানচি সদর থেকে তিন্দু ইউনিয়ন এলাকায় খুঁটি, সঞ্চালন লাইন, ট্রান্সফরমার বসানোর কাজ চলমান আছে। ওই কাজ শেষ হলে সব মিলিয়ে বিতরণ বিভাগকে হস্তান্তর করা হবে। তবে থানচি সদর ইউনিয়নে দুই পাড়া, বলিপাড়া ইউনিয়নের একটিসহ মোট তিনটি পাড়ায় একটি ট্রান্সফরমার পাঠিয়ে দিয়েছি। আমাদের ঠিকাদার সংস্থা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। বাস্তবায়ন হলে বিদ্যুতের সুবিধা পেয়ে যাবে।'
বান্দরবানের থানচি সদরের আপ্রুমংপাড়ায় পাঁচ বছর ধরে বিদ্যুতের খুঁটি, তার, সঞ্চালন লাইন সব হয়েছে; শুধু আলো জ্বালানোর ব্যবস্থা করে দেয়নি। একই অবস্থা সদর ইউপির ছাংদাকপাড়া ও বলিপাড়া ইউনিয়নের ক্রংক্ষ্যংপাড়ার। প্রধানমন্ত্রীর ঘরে ঘরে বিদ্যুতের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে এখানে ধীরগতি দেখা গেছে।
ভুক্তভোগী পাড়াবাসী বলছেন, ২০১৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ঘরের দিকে তাকিয়ে আছেন তাঁরা, কখন বিদ্যুতের আলো জ্বলবে।
থানচি সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত আপ্রুমংপাড়ায় ৫৫ পরিবারের বাস। এই পাড়ার বাসিন্দা ইউপি সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চাইসিংউ মারমা বলেন, গত বছর পাড়াটি পরিদর্শন করেন বান্দরবানে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী নেপচুন খীসা। এ সময় তিনি বলেছিলেন, একটি ট্রান্সফরমার বসানোর জন্য আবেদন করেন। তাঁর কথা অনুসারে আবেদন করেছেন তাঁরা।
২০১৭ সালে প্রকল্প বিভাগের অর্থায়নে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে বান্দরবান থেকে থানচি সদর পর্যন্ত বৈদ্যুতিক খুঁটি ও সঞ্চালন লাইন স্থাপন করে পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি)। একই সঙ্গে সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আপ্রুমংপাড়া ও ছাংদাকপাড়া এবং বলিপাড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ক্রংক্ষ্যংপাড়ায় ট্রন্সফর্মার স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু তিনটি পাড়ায় প্রায় ২০০ পরিবারের জন্য একটি করে ট্রান্সফর্মার স্থাপন করে বিপিডিবির নিয়োগপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কর্তৃপক্ষকে কাজ সম্পাদন হয়েছে বলে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিলেও এখনো কাজ হস্তান্তর করেনি প্রতিষ্ঠানটি। খুঁটি ও সঞ্চালন লাইন থাকলেও ঘরে ঘরে বিদ্যুতের সংযোগ নেই ওই তিন পাড়ায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ছাংদাক ছাড়া আপ্রুমংপাড়া ও ক্রংক্ষ্যংপাড়ায় একটি করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। বিদ্যুৎ না থাকায় গরমেই শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চলে।
আপ্রুমংপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সত্যমনি ত্রিপুরা বলেন, ‘বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় এবার গরমে কেউ ভোগেনি। তবে আগামীকাল (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে স্কুল খুলবে। প্রায় দেড় শ শিক্ষার্থীর শ্রেণিকক্ষে গরমে কষ্ট হবে। তা ছাড়া শিক্ষকদের ল্যাপটপে ভার্চুয়াল মিটিং, ইন্টারনেট ব্যবহার সম্ভব হয় না।
২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘরে ঘরে বিদ্যুতের ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। সেই ঘোষণা বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা সেভাবে কাজ করছেন না বলে মন্তব্য করেন আপ্রুমংপাড়ার কয়েকজন।
বিপিডিবি বিতরণ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী নেপচুন খীসা বলেন, ‘প্রকল্প বিভাগ থেকে এখনো বিতরণ বিভাগকে বাস্তবায়নের কাজ হস্তান্তর করা হয়নি। সুতরাং বিতরণ বিভাগের কোনো কাজ নেই। যেসব এলাকায় ট্রান্সফরমার আছে, সেসব স্থানে বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ করে দিয়েছি।’ বর্তমানে ওই এলাকায় ১ হাজারেও বেশি গ্রাহক আছেন। মাসে প্রায় ২০ লাখ টাকা আয় হচ্ছে বলে জানান তিনি।
যোগাযোগ করা হলে বিপিডিবি প্রকল্প বিভাগের তিন পার্বত্য জেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী উজ্জ্বল বড়ুয়া বলেন, ‘থানচি সদর থেকে তিন্দু ইউনিয়ন এলাকায় খুঁটি, সঞ্চালন লাইন, ট্রান্সফরমার বসানোর কাজ চলমান আছে। ওই কাজ শেষ হলে সব মিলিয়ে বিতরণ বিভাগকে হস্তান্তর করা হবে। তবে থানচি সদর ইউনিয়নে দুই পাড়া, বলিপাড়া ইউনিয়নের একটিসহ মোট তিনটি পাড়ায় একটি ট্রান্সফরমার পাঠিয়ে দিয়েছি। আমাদের ঠিকাদার সংস্থা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। বাস্তবায়ন হলে বিদ্যুতের সুবিধা পেয়ে যাবে।'
রাজশাহীতে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে পদ্মার পানি। ফুলে-ফেঁপে ওঠা পদ্মার পানি বিভাগীয় এই শহরের বিপৎসীমা থেকে মাত্র ৭৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই অবস্থায় শহরের টি-বাঁধে সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে দোকানপাট।
১৯ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে খুলনায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেছে ডিবি পুলিশ। সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় মামলাটি করেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই বিধান চন্দ্র রায়।
২৭ মিনিট আগের্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম শহিদুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা এই মুহূর্তে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কাজ করছি। র্যাব বিলুপ্ত হবে কি না এ নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি না। এটি সরকার দেখবে।’
১ ঘণ্টা আগেসিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রদলের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন খান মোহাম্মদ সামি এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন জুনেদুর রহমান জুনেদ। সোমবার কলেজ অডিটরিয়ামে দীর্ঘ ২১ বছর পর কাউন্সিলের মাধ্যমে ভোটারদের সরাসরি ভোটে তাঁরা নির্বাচিত হন। পরে সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে