নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছে ২০ লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগে দুদকের এক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে নগরীর পাঁচলাইশ থানার অলি খাঁ মসজিদ মোড় থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযুক্ত মুহাম্মদ কামরুল হুদা (৫০) কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া থানার উত্তর ধুরং গ্রামে বাসিন্দা। চট্টগ্রাম নগরীর রসুলবাগ আবাসিক এলাকায় থাকেন তিনি।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিমল ধর নামের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী অভিযোগের পর তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে তাঁর কাছে নাকি ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। এ ঘটনায় ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ী বাদী হয়ে কামরুল হুদাসহ অজ্ঞাতনামা দু-তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার আসামি কামরুল হুদা দুদকে কর্মরত আছেন কি না—সেটা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গ্রেপ্তারের সময় তাঁর কাছে প্রতিষ্ঠানটির কোনো আইডি কার্ড পাওয়া যায়নি। তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হতে দুদকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
দুদক চট্টগ্রাম কার্যালয়ের পরিচালক মো. মাহমুদ হাসানের কাছে গ্রেপ্তার ব্যক্তির পরিচয় জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গ্রেপ্তার কামরুল হুদা দুদকের কুমিল্লা অফিসের এএসআই (সহকারী উপপরিদর্শক) হিসেবে কর্মরত আছেন।’
মামলার এজাহারে জানা যায়, কক্সবাজারের বাসিন্দা মামলার বাদী পরিমল ধর (৫৬) একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী। চট্টগ্রাম নগরীর হাজারি গলিতে ‘ঐশী হুলিয়াম’ নামে তাঁর একটি স্বর্ণের দোকান আছে। ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার কামরুল হুদাসহ অজ্ঞাতনামা আরও দু-তিনজন হাজারি গলির ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছে আসেন।
এ সময় কামরুল হুদা নিজেকে দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে পরিমল ধরকে একটি চিঠি ধরিয়ে দেন। ওই চিঠিতে পরিমল ধরের বিরুদ্ধে ইয়াবা কারবারের মাধ্যমে অবৈধ টাকা উপার্জনের মাধ্যমে অর্জনকৃত সম্পদ বাজেয়াপ্তকরণের কথা বলা হয়।
এ সময় দুদকের ওই কর্মকর্তা নিজের মোবাইল ফোন নম্বর স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে দিয়ে পরে যোগাযোগ হবে বলে জানিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এরপর পরিমল ধরের হয়ে তাঁর এক ভাতিজা দুদক কর্মকর্তার সঙ্গে বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনে কথা বলেন। এ সময় ওই কর্মকর্তা ২০ লাখ টাকা দিলে পরিমলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে না বলে প্রস্তাব দেন।
বাদী আরও অভিযোগ করেন, প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি দাবি করা টাকার বিষয়ে দুদক কর্মকর্তার সঙ্গে বসে কথা বলার প্রস্তাব দেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় চকবাজারে একটি হোটেলে বসার আগে বাদী বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন। পরে হোটেল থেকে দুদক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় কামরুল হুদার সঙ্গে অজ্ঞাতনামা আরও দু-তিনজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
এদিকে একটি সূত্র জানায়, কামরুলকে গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন দুদকের কয়েকজন কর্মকর্তা। পরে তাঁরা পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় দুদক কর্মকর্তারা কামরুলকে নিজেদের কর্মকর্তা হিসেবে নিশ্চিত করলেও তাঁর অপরাধের দায় প্রতিষ্ঠান নেবে না বলে জানান। এরপর পুলিশ অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে যান।
চট্টগ্রামে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছে ২০ লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগে দুদকের এক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে নগরীর পাঁচলাইশ থানার অলি খাঁ মসজিদ মোড় থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযুক্ত মুহাম্মদ কামরুল হুদা (৫০) কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া থানার উত্তর ধুরং গ্রামে বাসিন্দা। চট্টগ্রাম নগরীর রসুলবাগ আবাসিক এলাকায় থাকেন তিনি।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিমল ধর নামের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী অভিযোগের পর তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে তাঁর কাছে নাকি ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। এ ঘটনায় ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ী বাদী হয়ে কামরুল হুদাসহ অজ্ঞাতনামা দু-তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার আসামি কামরুল হুদা দুদকে কর্মরত আছেন কি না—সেটা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গ্রেপ্তারের সময় তাঁর কাছে প্রতিষ্ঠানটির কোনো আইডি কার্ড পাওয়া যায়নি। তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হতে দুদকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
দুদক চট্টগ্রাম কার্যালয়ের পরিচালক মো. মাহমুদ হাসানের কাছে গ্রেপ্তার ব্যক্তির পরিচয় জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গ্রেপ্তার কামরুল হুদা দুদকের কুমিল্লা অফিসের এএসআই (সহকারী উপপরিদর্শক) হিসেবে কর্মরত আছেন।’
মামলার এজাহারে জানা যায়, কক্সবাজারের বাসিন্দা মামলার বাদী পরিমল ধর (৫৬) একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী। চট্টগ্রাম নগরীর হাজারি গলিতে ‘ঐশী হুলিয়াম’ নামে তাঁর একটি স্বর্ণের দোকান আছে। ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার কামরুল হুদাসহ অজ্ঞাতনামা আরও দু-তিনজন হাজারি গলির ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছে আসেন।
এ সময় কামরুল হুদা নিজেকে দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে পরিমল ধরকে একটি চিঠি ধরিয়ে দেন। ওই চিঠিতে পরিমল ধরের বিরুদ্ধে ইয়াবা কারবারের মাধ্যমে অবৈধ টাকা উপার্জনের মাধ্যমে অর্জনকৃত সম্পদ বাজেয়াপ্তকরণের কথা বলা হয়।
এ সময় দুদকের ওই কর্মকর্তা নিজের মোবাইল ফোন নম্বর স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে দিয়ে পরে যোগাযোগ হবে বলে জানিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এরপর পরিমল ধরের হয়ে তাঁর এক ভাতিজা দুদক কর্মকর্তার সঙ্গে বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনে কথা বলেন। এ সময় ওই কর্মকর্তা ২০ লাখ টাকা দিলে পরিমলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে না বলে প্রস্তাব দেন।
বাদী আরও অভিযোগ করেন, প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি দাবি করা টাকার বিষয়ে দুদক কর্মকর্তার সঙ্গে বসে কথা বলার প্রস্তাব দেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় চকবাজারে একটি হোটেলে বসার আগে বাদী বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন। পরে হোটেল থেকে দুদক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় কামরুল হুদার সঙ্গে অজ্ঞাতনামা আরও দু-তিনজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
এদিকে একটি সূত্র জানায়, কামরুলকে গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন দুদকের কয়েকজন কর্মকর্তা। পরে তাঁরা পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় দুদক কর্মকর্তারা কামরুলকে নিজেদের কর্মকর্তা হিসেবে নিশ্চিত করলেও তাঁর অপরাধের দায় প্রতিষ্ঠান নেবে না বলে জানান। এরপর পুলিশ অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে যান।
শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে নরসিংদীর রায়পুরায় শোকসভা করার অভিযোগে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
১০ মিনিট আগেদগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন ওই ভবনের বাসাভাড়া নিয়ে থাকা গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ী গ্রামের সবুজ শেখ (৪২), দুই ছেলে রবিউল শেখ (১৯), রমজান শেখ (১৩), দুই মেয়ে তাসনিয়া (৬) তাসফিয়া (২) ও বোন ঝুমুর বেগম (৩৮) এবং ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার চরনাজিমউদ্দিন গ্রামের আব্বাস উদ্দীন (৩৯)।
১৮ মিনিট আগেভোলাগঞ্জের পর জাফলংয়েও লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গত দুই দিন উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৮ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করেছে। পরে সেগুলো জাফলং জিরো পয়েন্টে প্রতিস্থাপন করা হয়।
২৩ মিনিট আগেসিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর লুটপাটের পর সেগুলো ভোলাগঞ্জ ও ধোপাগুল এলাকায় ক্রাশার মেশিনে ভাঙার জন্য স্তূপ করে রাখা হয়। পরে যখন অভিযান শুরু হয়, তখন সেগুলো ওই ব্যবসায়ীরা বালু ও মাটি দিয়ে ঢেকে ফেলেন। আজ শুক্রবার সেখানে অভিযান চালিয়ে পথরগুলো উদ্ধার করা হয়।
৪১ মিনিট আগে