ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
মাছির লার্ভার চাষ করছেন কুয়েত ফেরত শফিকুর রহমান। পোলট্রি খামারিদের কাছে প্রাকৃতিক খাবার হিসেবে এই পোকার লার্ভা এখন এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বেশ উপার্জনও করছেন শফিকুর।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে চার কিলোমিটার দূরে রূপসা উত্তর ইউনিয়নের দক্ষিণ গাব্দেরগাঁও গ্রামে এমন ব্যতিক্রম খামার গড়ে তুলেছেন শফিকুর রহমান (৬০)।
চাষ করছেন মূলত ‘ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই’ বা কালো মাছির লার্ভা। পোলট্রি ও মৎস্য খামারে বিকল্প খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এটি।
শফিকুর জানান, এই পোকার প্রথম চাষ আফ্রিকাতে হলেও বাংলাদেশে এখন এগুলো বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে। এই মাছির লার্ভাকে মাছ ও হাঁস-মুরগির সুপার ফিড বলা হয়ে থাকে। চাঁদপুর জেলায় এই প্রথম এই পোকার চাষ করছেন তিনি।
২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর মাত্র দুই কেজি লার্ভা দিয়ে খামারের কার্যক্রম শুরু করেন শফিকুর। দুই কেজি লার্ভার দাম ছিল ৬ হাজার টাকা। লার্ভা থেকে পিউপা হয়ে সেগুলো এখন মাছিতে রূপান্তর হয়ে আবার ডিম দিচ্ছে। ৩০ বছর প্রবাস জীবন কাটিয়ে এখন মৎস্য চাষ এবং ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাইতে স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
শফিকুর রহমান জানান, এ পোকার লার্ভার ৭০ শতাংশ প্রোটিন, ৫০-৫৫ শতাংশ ফ্যাট ও ২০ শতাংশ ভিটামিন ও ক্যালসিয়ামসহ প্রচুর পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এটি খাওয়ালে অন্য কোনো ভিটামিনের দরকার হয় না। এতে উৎপাদন খরচ তেমন নেই বললেই চলে। অন্যান্য খাবারের চেয়ে এ লার্ভা ৮০ শতাংশ খরচ বাঁচায়। অন্যান্য খাবার যেখানে ১০০ কেজি লাগে সেখানে মাত্র ২০-২৫ কেজি লার্ভাই যথেষ্ট। প্রথমে ৬ হাজার টাকায় ২ কেজি লার্ভা কিনে ব্যবসা শুরু করলে আজীবন লাভ করা যায়।
চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে শফিকুর রহমান বলেন, প্রাথমিক উপকরণ ২ কেজি লার্ভা, ১টি নেটের মশারি, ৫টি গামলা, ২ কেজি মুরগির খাবার ও ৪ কেজি বর্জ্য (গোবর সার, কাঁচা সবজি বা ফলের উচ্ছিষ্ট ও গাছের পাতা)। কাঁচা সবজি, ফল ও গাছের পাতা সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াজাত করা হয় এবং এতে লার্ভা ছাড়া হয়। লার্ভা মাছিতে রূপান্তরিত হলে ডিম দেয়। একটি মাছি ৭০০ থেকে ৮০০ ডিম দেয়। কিছু লার্ভা পরিপূর্ণ মাছি উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এ লার্ভাগুলো নেটের মধ্যে রাখা হয় এবং ডিম পাড়ার জন্য কাঠের টুকরা রাখা হয়। ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই বা কালো মাছির আয়ু মাত্র ৪৫ দিন। ডিম ফোটার ৬ দিন থেকে ২৫ / ৩০ দিন পর্যন্ত এটি হাঁস-মুরগি ও মাছকে খাওয়ানো যায়।
ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই পোকার নাম এই প্রথম শুনেছে এলাকার মানুষ। এমন ব্যতিক্রম খামার দেখতে দূর দুরান্ত থেকে মানুষ আসে। পোলট্রি ও মৎস্য খাদ্য হিসেবেও জনপ্রিয় হচ্ছে।
মাছির খামার দেখতে আসা ইয়াছিন নামের এক যুবক বলেন, ‘আমার একটি পোল্টি খামার আছে। আগে বাজার থেকে খাবার কিনে খাওয়াতাম। কিন্তু মানুষের কাছে শুনে এখানে আসছি, ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই সম্পর্কে জানার পর মুরগির খাবার হিসেবে আমি এগুলো ব্যবহার শুরু করেছি।’
উদ্যোক্তা শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমি দুই মাস আগে থেকে মাছির এ লার্ভা বাজারজাত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমেও লার্ভা সরবরাহ করার ব্যবস্থা রয়েছে। আমি বর্তমানে তরুণ উদ্যোক্তাদের এ লার্ভা চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।’
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মামুনুর রহমান বলেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে আমি জানতে পেরেছি। বিষয়টির নতুনত্ব রয়েছে। এই চাষ প্রশংসার দাবি রাখে। আমি শিগগিরই ওই খামার পরিদর্শন করব।’
মাছির লার্ভার চাষ করছেন কুয়েত ফেরত শফিকুর রহমান। পোলট্রি খামারিদের কাছে প্রাকৃতিক খাবার হিসেবে এই পোকার লার্ভা এখন এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বেশ উপার্জনও করছেন শফিকুর।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে চার কিলোমিটার দূরে রূপসা উত্তর ইউনিয়নের দক্ষিণ গাব্দেরগাঁও গ্রামে এমন ব্যতিক্রম খামার গড়ে তুলেছেন শফিকুর রহমান (৬০)।
চাষ করছেন মূলত ‘ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই’ বা কালো মাছির লার্ভা। পোলট্রি ও মৎস্য খামারে বিকল্প খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এটি।
শফিকুর জানান, এই পোকার প্রথম চাষ আফ্রিকাতে হলেও বাংলাদেশে এখন এগুলো বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে। এই মাছির লার্ভাকে মাছ ও হাঁস-মুরগির সুপার ফিড বলা হয়ে থাকে। চাঁদপুর জেলায় এই প্রথম এই পোকার চাষ করছেন তিনি।
২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর মাত্র দুই কেজি লার্ভা দিয়ে খামারের কার্যক্রম শুরু করেন শফিকুর। দুই কেজি লার্ভার দাম ছিল ৬ হাজার টাকা। লার্ভা থেকে পিউপা হয়ে সেগুলো এখন মাছিতে রূপান্তর হয়ে আবার ডিম দিচ্ছে। ৩০ বছর প্রবাস জীবন কাটিয়ে এখন মৎস্য চাষ এবং ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাইতে স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
শফিকুর রহমান জানান, এ পোকার লার্ভার ৭০ শতাংশ প্রোটিন, ৫০-৫৫ শতাংশ ফ্যাট ও ২০ শতাংশ ভিটামিন ও ক্যালসিয়ামসহ প্রচুর পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এটি খাওয়ালে অন্য কোনো ভিটামিনের দরকার হয় না। এতে উৎপাদন খরচ তেমন নেই বললেই চলে। অন্যান্য খাবারের চেয়ে এ লার্ভা ৮০ শতাংশ খরচ বাঁচায়। অন্যান্য খাবার যেখানে ১০০ কেজি লাগে সেখানে মাত্র ২০-২৫ কেজি লার্ভাই যথেষ্ট। প্রথমে ৬ হাজার টাকায় ২ কেজি লার্ভা কিনে ব্যবসা শুরু করলে আজীবন লাভ করা যায়।
চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে শফিকুর রহমান বলেন, প্রাথমিক উপকরণ ২ কেজি লার্ভা, ১টি নেটের মশারি, ৫টি গামলা, ২ কেজি মুরগির খাবার ও ৪ কেজি বর্জ্য (গোবর সার, কাঁচা সবজি বা ফলের উচ্ছিষ্ট ও গাছের পাতা)। কাঁচা সবজি, ফল ও গাছের পাতা সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াজাত করা হয় এবং এতে লার্ভা ছাড়া হয়। লার্ভা মাছিতে রূপান্তরিত হলে ডিম দেয়। একটি মাছি ৭০০ থেকে ৮০০ ডিম দেয়। কিছু লার্ভা পরিপূর্ণ মাছি উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এ লার্ভাগুলো নেটের মধ্যে রাখা হয় এবং ডিম পাড়ার জন্য কাঠের টুকরা রাখা হয়। ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই বা কালো মাছির আয়ু মাত্র ৪৫ দিন। ডিম ফোটার ৬ দিন থেকে ২৫ / ৩০ দিন পর্যন্ত এটি হাঁস-মুরগি ও মাছকে খাওয়ানো যায়।
ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই পোকার নাম এই প্রথম শুনেছে এলাকার মানুষ। এমন ব্যতিক্রম খামার দেখতে দূর দুরান্ত থেকে মানুষ আসে। পোলট্রি ও মৎস্য খাদ্য হিসেবেও জনপ্রিয় হচ্ছে।
মাছির খামার দেখতে আসা ইয়াছিন নামের এক যুবক বলেন, ‘আমার একটি পোল্টি খামার আছে। আগে বাজার থেকে খাবার কিনে খাওয়াতাম। কিন্তু মানুষের কাছে শুনে এখানে আসছি, ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই সম্পর্কে জানার পর মুরগির খাবার হিসেবে আমি এগুলো ব্যবহার শুরু করেছি।’
উদ্যোক্তা শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমি দুই মাস আগে থেকে মাছির এ লার্ভা বাজারজাত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমেও লার্ভা সরবরাহ করার ব্যবস্থা রয়েছে। আমি বর্তমানে তরুণ উদ্যোক্তাদের এ লার্ভা চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।’
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মামুনুর রহমান বলেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে আমি জানতে পেরেছি। বিষয়টির নতুনত্ব রয়েছে। এই চাষ প্রশংসার দাবি রাখে। আমি শিগগিরই ওই খামার পরিদর্শন করব।’
সাংবাদিক মো. ফজলে রাব্বি বলেন, `আমরা পেশাগত দায়িত্ব থেকে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ করেছি। এ মামলা হয়রানিমূলক এবং সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা। অবিলম্বে এই হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’
১০ মিনিট আগে৫ মিনিট ২১ সেকেন্ডের ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, শনিবার রাত ৯টার দিকে বুড়িরহাট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ভ্যানের ওপর শোয়া রুপলাল ও প্রদীপ লাল। ভ্যানটির তিন দিকে পুলিশ সদস্য। পুলিশ সদস্যরা হাত তুলে বাঁশিতে ফু দিয়ে লোকজনকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করছে। এতেই হৈ-চৈ বেড়ে যায়। পুলিশের সামনেই রুপলাল-প্রদীপকে মারধর শুর
১৬ মিনিট আগেপানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, সকালে ৬টায় পানির উচ্চতা ছিল ৫২ দশমিক ২২ মিটার, যা ছিল বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপরে। সকাল ৯টার দিকে কিছুটা কমে তা এসে দাঁড়ায় বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপরে। বিপৎসীমা অতিক্রম করায় ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে।
৪১ মিনিট আগেসরেজমিনে জানা যায়, থানচিতে মোট চারটি গণশৌচাগার রয়েছে। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মিত দুটি শৌচাগার ব্যবসায়ীরা ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন। একটি শৌচাগার বন্যার পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে এবং আরেকটি তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে।
৪৪ মিনিট আগে