আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

আওয়ামী লীগ আমলে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে টেন্ডার ছাড়াই সরাসরি ৫৩টি তেলবাহী জাহাজকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) বহরে যুক্ত করা হয়। চিঠি দিয়ে এক আদেশের মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত তিন জ্বালানি তেল কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনায় তেল পরিবহনের কাজে অন্তর্ভুক্ত করা হয় সেগুলোকে। এসব জাহাজ আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতার মালিকানাধীন।
২০২৪ সাল পর্যন্ত বিপিসির বহরে তেল পরিবহনে জাহাজের সংখ্যা বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত বিপিসির বহরে থাকা ১৭৭ জাহাজের মধ্যে ১১৮টিই আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, নেতা ও আমলাদের মালিকানাধীন বলে জানা গেছে।
জ্বালানি তেল পরিবহনে ত্রুটিহীন জাপানি জাহাজগুলো সরিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের মালিকানায় দেশে তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ জাহাজগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয় বলে তথ্য উঠে এসেছে বিপিসির নথিতেই। ‘বয়স হয়েছে’ উল্লেখ করে ৭০টি জাপানি জাহাজ জ্বালানি পরিবহনের বহর থেকে বাদ দেওয়া হয়, অথচ আইনে বয়সের কথা উল্লেখ নেই।
বিপিসির পক্ষ থেকে ২০২৩ সালের ৮ আগস্ট জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিবকে দেওয়া এক পত্রে বিপিসির বহরে মোট ১৬২টি অয়েল ট্যাংকার থাকার কথা জানানো হয়। এর মধ্যে ১৪৩টি ট্যাংকার দেশে তৈরি। এর বেশির ভাগই আওয়ামী নেতাদের মালিকানাধীন।
বিপিসি ও তিন কোম্পানি থেকে পাওয়া তথ্যমতে, জ্বালানি তেল পরিবহনে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের নামে রয়েছে এমটি অনিম জালাল, ওটি নেয়ামত ও এমটি সুলতানা নামের জাহাজ। নারায়ণগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ছেলে ইমতিনান ওসমানের নামে রয়েছে এমটি সি ব্রিজ ও জেডএন-১ নামের দুটি জাহাজ। শামীম ওসমানের আত্মীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল কবির খানের নামে রয়েছে এমটি রাশেদ, এমটি রিদা-১ সহ কয়েকটি জাহাজ।
এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার (ফেনী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য) আলাউদ্দিন মোহাম্মদ নাসিম, ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস, তাপসের ভায়রা হাসানুল বারী, আওয়ামী লীগ নেতা ও ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি কে এম জামান রোমেল, নোয়াখালীর-১ সাবেক সংসদ সদস্য মো. ইব্রাহিম, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের নামেও একাধিক জাহাজ রয়েছে।
ময়মনসিংহ আওয়ামী লীগের নেতা ইঞ্জিনিয়ার মাহাবুব কবির, নরসিংদীর আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল আমিন ভুইয়া, পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হাফিজুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা খালেদ এইচ খান, চট্টগ্রাম নগর থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, আওয়ামী লীগ নেতা ও ছাগলনাইয়ার (ফেনী) সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, নরসিংদীর সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ট্যাংকার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. ওয়াহিদ মিয়ার নাম রয়েছে জাহাজমালিক হিসেবে। বেনজীর আহমেদের জাহাজটি অবশ্য আওয়ামী লীগ সরকারের শেষদিকে দলের এক নেতার কাছে বিক্রি করে দেন বলে জানা গেছে। এই নেতারা কেউ আত্মগোপন, কেউ কারাগারে থাকায় তাঁদের বক্তব্য জানা যায়নি।
বিপিসির বহরে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের তিনটি জাহাজ রয়েছে। এগুলো হলো এমটি অনিম জালাল, ওটি সুলতানা এবং ওটি নেয়ামত। এগুলো পরিচালনা করেন ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির নেতা মুনতাসীর মামুনের ভাতিজা ইয়ামিন। শামীম ওসমানের দুটি জাহাজ এজেডএন-১ এবং সিব্রিজ দেখাশোনা করেন সুপারভাইজার কামরুল। তবে সম্প্রতি বিএনপির এক নেতা তত্ত্বাবধান করছেন। আওয়ামী লীগ নেতা ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি কে এম জামান রোমেলের দুটি জাহাজ রয়েছে। এগুলো পিপলস-১ এবং পিপলস-২। এ জাহাজগুলো দেখাশোনা করেন রেজাউল করিম বাদল। তিনি নিজেকে কে এম জামান রোমেল সাহেবের ম্যানেজার হিসেবে জানিয়েছেন। তিনি জানান, মালিক কে এম জামান রোমেল সাহেব দেশের বাইরে রয়েছেন।
খান গ্রুপের তোফায়েল কবির খানের ৭ থেকে ৮টি জাহাজ রয়েছে। এগুলো দেখাশোনা করেন শামীম ওসমানের ছেলে ইমতিনান ওসমান (অয়ন ওসমান) এবং জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে রয়েছেন সাইয়েদ গোলাম রূপস। জেনারেল ম্যানেজার জানিয়েছেন, জ্বালানি তেল পরিবহনে তাঁদের ৮টি জাহাজ রয়েছে।
বিপিসির পরিচালক (অপারেশন) অনুপম বড়ুয়া আজকের পত্রিকার কাছে দাবি করেন, নীতিমালা অনুযায়ী জাহাজ বিপিসির বহরে যুক্ত করা হয়। এখানে কোনো অনিয়ম হয় না। জাহাজের বয়স ৪০ বছরের পর আর চুক্তি নবায়ন করা হয় না। কারণ ৪০ বছরের বিষয়টি মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ অয়েল ট্যাংকার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি আবুল বশর আবু জানান, বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠরা দলীয় বিবেচনায় বিনা টেন্ডারে অবৈধভাবে অসংখ্য জাহাজকে বিপিসির বহরে যুক্ত করেন। এতে তাঁরা ফায়দা লুটে নিলেও ক্ষতি হয় প্রকৃত ব্যবসায়ীদের।
আবুল বশর আবু আরও বলেন, তেল পরিবহনের ক্ষেত্রে জাহাজের ৪০ বছর বয়সের কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকলেও সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে ৪০ বয়সী জাহাজগুলোকে বিপিসির বহর থেকে বাদ দেওয়া হয়। অথচ এটার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম জানান, কোস্টাল ট্যাংকার বা জাহাজগুলো মার্চেন্ট শিপিং অধ্যাদেশ ১৯৮৩-এর আওতায় সারা বছর সাগর পাড়ি দিয়ে তেল পরিবহন করতে পারবে। এই মার্চেন্ট শিপগুলো বিশ্বের মানসম্মত লোর্ড লাইন, ক্লাস ও সেপটি কসন্ট্রাকশন হয়ে থাকে। ইনল্যান্ড শিপিং অধ্যাদেশ ১৯৭৬ অনুযায়ী, অভ্যন্তরীণ নৌযানের ক্ষেত্রে ৩০ বছরের বয়সসীমা থাকলেও মার্চেন্ট শিপিং অধ্যাদেশের আওতায় নিবন্ধিত সমুদ্রগামী অথবা কোস্টাল জাহাজের চলাচলের বয়সসীমা উল্লেখ নেই। ইনল্যান্ড শিপিং অধ্যাদেশ অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ নৌযানের এসব জাহাজ তিন মাস (১৫ নভেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) সাগর অতিক্রম করে তেল পরিবহন করতে পারবে।
অথচ রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার তেল পরিবহনের জন্য এসব শ্যালো ড্রাফট, বে ক্রসিং ও মিনি ট্যাংকার বা জাহাজগুলো সারা বছরই ঝুঁকি নিয়ে তেল পরিবহন করে থাকে।
কমোডর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমাদের বিভাগের লোকবল বা পরিদর্শক কম, তাই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া বা অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয় না।’
বিপিসি সূত্র জানায়, সারা দেশে বছরে ৭০ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি করা হয়। এগুলোর মধ্যে ডিজেল, জেড ফুয়েল, অকটেন, ফার্নেস অয়েল মারবার ক্রুড এবং আরব লাইট ক্রুড। ৫০ লাখ টন নদীপথে পরিবহন করা হয়। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, নেতা ও আমলাদের জাহাজে পরিবহন করা হয় প্রায় ৭০ শতাংশ জ্বালানি তেল।
এ বিষয়ে বিপিসির মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন, বাণিজ্যিক) মনি লাল দাশ বলেন, বিপিসি বছরে ৭০ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি করে থাকে। এর প্রায় ৭৫ শতাংশ নৌপথে পরিবাহিত হয়।

আওয়ামী লীগ আমলে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে টেন্ডার ছাড়াই সরাসরি ৫৩টি তেলবাহী জাহাজকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) বহরে যুক্ত করা হয়। চিঠি দিয়ে এক আদেশের মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত তিন জ্বালানি তেল কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনায় তেল পরিবহনের কাজে অন্তর্ভুক্ত করা হয় সেগুলোকে। এসব জাহাজ আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতার মালিকানাধীন।
২০২৪ সাল পর্যন্ত বিপিসির বহরে তেল পরিবহনে জাহাজের সংখ্যা বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত বিপিসির বহরে থাকা ১৭৭ জাহাজের মধ্যে ১১৮টিই আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, নেতা ও আমলাদের মালিকানাধীন বলে জানা গেছে।
জ্বালানি তেল পরিবহনে ত্রুটিহীন জাপানি জাহাজগুলো সরিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের মালিকানায় দেশে তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ জাহাজগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয় বলে তথ্য উঠে এসেছে বিপিসির নথিতেই। ‘বয়স হয়েছে’ উল্লেখ করে ৭০টি জাপানি জাহাজ জ্বালানি পরিবহনের বহর থেকে বাদ দেওয়া হয়, অথচ আইনে বয়সের কথা উল্লেখ নেই।
বিপিসির পক্ষ থেকে ২০২৩ সালের ৮ আগস্ট জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিবকে দেওয়া এক পত্রে বিপিসির বহরে মোট ১৬২টি অয়েল ট্যাংকার থাকার কথা জানানো হয়। এর মধ্যে ১৪৩টি ট্যাংকার দেশে তৈরি। এর বেশির ভাগই আওয়ামী নেতাদের মালিকানাধীন।
বিপিসি ও তিন কোম্পানি থেকে পাওয়া তথ্যমতে, জ্বালানি তেল পরিবহনে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের নামে রয়েছে এমটি অনিম জালাল, ওটি নেয়ামত ও এমটি সুলতানা নামের জাহাজ। নারায়ণগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ছেলে ইমতিনান ওসমানের নামে রয়েছে এমটি সি ব্রিজ ও জেডএন-১ নামের দুটি জাহাজ। শামীম ওসমানের আত্মীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল কবির খানের নামে রয়েছে এমটি রাশেদ, এমটি রিদা-১ সহ কয়েকটি জাহাজ।
এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার (ফেনী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য) আলাউদ্দিন মোহাম্মদ নাসিম, ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস, তাপসের ভায়রা হাসানুল বারী, আওয়ামী লীগ নেতা ও ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি কে এম জামান রোমেল, নোয়াখালীর-১ সাবেক সংসদ সদস্য মো. ইব্রাহিম, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের নামেও একাধিক জাহাজ রয়েছে।
ময়মনসিংহ আওয়ামী লীগের নেতা ইঞ্জিনিয়ার মাহাবুব কবির, নরসিংদীর আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল আমিন ভুইয়া, পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হাফিজুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা খালেদ এইচ খান, চট্টগ্রাম নগর থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, আওয়ামী লীগ নেতা ও ছাগলনাইয়ার (ফেনী) সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, নরসিংদীর সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ট্যাংকার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. ওয়াহিদ মিয়ার নাম রয়েছে জাহাজমালিক হিসেবে। বেনজীর আহমেদের জাহাজটি অবশ্য আওয়ামী লীগ সরকারের শেষদিকে দলের এক নেতার কাছে বিক্রি করে দেন বলে জানা গেছে। এই নেতারা কেউ আত্মগোপন, কেউ কারাগারে থাকায় তাঁদের বক্তব্য জানা যায়নি।
বিপিসির বহরে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের তিনটি জাহাজ রয়েছে। এগুলো হলো এমটি অনিম জালাল, ওটি সুলতানা এবং ওটি নেয়ামত। এগুলো পরিচালনা করেন ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির নেতা মুনতাসীর মামুনের ভাতিজা ইয়ামিন। শামীম ওসমানের দুটি জাহাজ এজেডএন-১ এবং সিব্রিজ দেখাশোনা করেন সুপারভাইজার কামরুল। তবে সম্প্রতি বিএনপির এক নেতা তত্ত্বাবধান করছেন। আওয়ামী লীগ নেতা ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি কে এম জামান রোমেলের দুটি জাহাজ রয়েছে। এগুলো পিপলস-১ এবং পিপলস-২। এ জাহাজগুলো দেখাশোনা করেন রেজাউল করিম বাদল। তিনি নিজেকে কে এম জামান রোমেল সাহেবের ম্যানেজার হিসেবে জানিয়েছেন। তিনি জানান, মালিক কে এম জামান রোমেল সাহেব দেশের বাইরে রয়েছেন।
খান গ্রুপের তোফায়েল কবির খানের ৭ থেকে ৮টি জাহাজ রয়েছে। এগুলো দেখাশোনা করেন শামীম ওসমানের ছেলে ইমতিনান ওসমান (অয়ন ওসমান) এবং জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে রয়েছেন সাইয়েদ গোলাম রূপস। জেনারেল ম্যানেজার জানিয়েছেন, জ্বালানি তেল পরিবহনে তাঁদের ৮টি জাহাজ রয়েছে।
বিপিসির পরিচালক (অপারেশন) অনুপম বড়ুয়া আজকের পত্রিকার কাছে দাবি করেন, নীতিমালা অনুযায়ী জাহাজ বিপিসির বহরে যুক্ত করা হয়। এখানে কোনো অনিয়ম হয় না। জাহাজের বয়স ৪০ বছরের পর আর চুক্তি নবায়ন করা হয় না। কারণ ৪০ বছরের বিষয়টি মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ অয়েল ট্যাংকার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি আবুল বশর আবু জানান, বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠরা দলীয় বিবেচনায় বিনা টেন্ডারে অবৈধভাবে অসংখ্য জাহাজকে বিপিসির বহরে যুক্ত করেন। এতে তাঁরা ফায়দা লুটে নিলেও ক্ষতি হয় প্রকৃত ব্যবসায়ীদের।
আবুল বশর আবু আরও বলেন, তেল পরিবহনের ক্ষেত্রে জাহাজের ৪০ বছর বয়সের কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকলেও সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে ৪০ বয়সী জাহাজগুলোকে বিপিসির বহর থেকে বাদ দেওয়া হয়। অথচ এটার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম জানান, কোস্টাল ট্যাংকার বা জাহাজগুলো মার্চেন্ট শিপিং অধ্যাদেশ ১৯৮৩-এর আওতায় সারা বছর সাগর পাড়ি দিয়ে তেল পরিবহন করতে পারবে। এই মার্চেন্ট শিপগুলো বিশ্বের মানসম্মত লোর্ড লাইন, ক্লাস ও সেপটি কসন্ট্রাকশন হয়ে থাকে। ইনল্যান্ড শিপিং অধ্যাদেশ ১৯৭৬ অনুযায়ী, অভ্যন্তরীণ নৌযানের ক্ষেত্রে ৩০ বছরের বয়সসীমা থাকলেও মার্চেন্ট শিপিং অধ্যাদেশের আওতায় নিবন্ধিত সমুদ্রগামী অথবা কোস্টাল জাহাজের চলাচলের বয়সসীমা উল্লেখ নেই। ইনল্যান্ড শিপিং অধ্যাদেশ অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ নৌযানের এসব জাহাজ তিন মাস (১৫ নভেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) সাগর অতিক্রম করে তেল পরিবহন করতে পারবে।
অথচ রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার তেল পরিবহনের জন্য এসব শ্যালো ড্রাফট, বে ক্রসিং ও মিনি ট্যাংকার বা জাহাজগুলো সারা বছরই ঝুঁকি নিয়ে তেল পরিবহন করে থাকে।
কমোডর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমাদের বিভাগের লোকবল বা পরিদর্শক কম, তাই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া বা অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয় না।’
বিপিসি সূত্র জানায়, সারা দেশে বছরে ৭০ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি করা হয়। এগুলোর মধ্যে ডিজেল, জেড ফুয়েল, অকটেন, ফার্নেস অয়েল মারবার ক্রুড এবং আরব লাইট ক্রুড। ৫০ লাখ টন নদীপথে পরিবহন করা হয়। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, নেতা ও আমলাদের জাহাজে পরিবহন করা হয় প্রায় ৭০ শতাংশ জ্বালানি তেল।
এ বিষয়ে বিপিসির মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন, বাণিজ্যিক) মনি লাল দাশ বলেন, বিপিসি বছরে ৭০ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি করে থাকে। এর প্রায় ৭৫ শতাংশ নৌপথে পরিবাহিত হয়।
আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

আওয়ামী লীগ আমলে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে টেন্ডার ছাড়াই সরাসরি ৫৩টি তেলবাহী জাহাজকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) বহরে যুক্ত করা হয়। চিঠি দিয়ে এক আদেশের মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত তিন জ্বালানি তেল কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনায় তেল পরিবহনের কাজে অন্তর্ভুক্ত করা হয় সেগুলোকে। এসব জাহাজ আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতার মালিকানাধীন।
২০২৪ সাল পর্যন্ত বিপিসির বহরে তেল পরিবহনে জাহাজের সংখ্যা বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত বিপিসির বহরে থাকা ১৭৭ জাহাজের মধ্যে ১১৮টিই আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, নেতা ও আমলাদের মালিকানাধীন বলে জানা গেছে।
জ্বালানি তেল পরিবহনে ত্রুটিহীন জাপানি জাহাজগুলো সরিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের মালিকানায় দেশে তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ জাহাজগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয় বলে তথ্য উঠে এসেছে বিপিসির নথিতেই। ‘বয়স হয়েছে’ উল্লেখ করে ৭০টি জাপানি জাহাজ জ্বালানি পরিবহনের বহর থেকে বাদ দেওয়া হয়, অথচ আইনে বয়সের কথা উল্লেখ নেই।
বিপিসির পক্ষ থেকে ২০২৩ সালের ৮ আগস্ট জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিবকে দেওয়া এক পত্রে বিপিসির বহরে মোট ১৬২টি অয়েল ট্যাংকার থাকার কথা জানানো হয়। এর মধ্যে ১৪৩টি ট্যাংকার দেশে তৈরি। এর বেশির ভাগই আওয়ামী নেতাদের মালিকানাধীন।
বিপিসি ও তিন কোম্পানি থেকে পাওয়া তথ্যমতে, জ্বালানি তেল পরিবহনে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের নামে রয়েছে এমটি অনিম জালাল, ওটি নেয়ামত ও এমটি সুলতানা নামের জাহাজ। নারায়ণগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ছেলে ইমতিনান ওসমানের নামে রয়েছে এমটি সি ব্রিজ ও জেডএন-১ নামের দুটি জাহাজ। শামীম ওসমানের আত্মীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল কবির খানের নামে রয়েছে এমটি রাশেদ, এমটি রিদা-১ সহ কয়েকটি জাহাজ।
এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার (ফেনী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য) আলাউদ্দিন মোহাম্মদ নাসিম, ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস, তাপসের ভায়রা হাসানুল বারী, আওয়ামী লীগ নেতা ও ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি কে এম জামান রোমেল, নোয়াখালীর-১ সাবেক সংসদ সদস্য মো. ইব্রাহিম, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের নামেও একাধিক জাহাজ রয়েছে।
ময়মনসিংহ আওয়ামী লীগের নেতা ইঞ্জিনিয়ার মাহাবুব কবির, নরসিংদীর আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল আমিন ভুইয়া, পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হাফিজুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা খালেদ এইচ খান, চট্টগ্রাম নগর থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, আওয়ামী লীগ নেতা ও ছাগলনাইয়ার (ফেনী) সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, নরসিংদীর সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ট্যাংকার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. ওয়াহিদ মিয়ার নাম রয়েছে জাহাজমালিক হিসেবে। বেনজীর আহমেদের জাহাজটি অবশ্য আওয়ামী লীগ সরকারের শেষদিকে দলের এক নেতার কাছে বিক্রি করে দেন বলে জানা গেছে। এই নেতারা কেউ আত্মগোপন, কেউ কারাগারে থাকায় তাঁদের বক্তব্য জানা যায়নি।
বিপিসির বহরে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের তিনটি জাহাজ রয়েছে। এগুলো হলো এমটি অনিম জালাল, ওটি সুলতানা এবং ওটি নেয়ামত। এগুলো পরিচালনা করেন ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির নেতা মুনতাসীর মামুনের ভাতিজা ইয়ামিন। শামীম ওসমানের দুটি জাহাজ এজেডএন-১ এবং সিব্রিজ দেখাশোনা করেন সুপারভাইজার কামরুল। তবে সম্প্রতি বিএনপির এক নেতা তত্ত্বাবধান করছেন। আওয়ামী লীগ নেতা ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি কে এম জামান রোমেলের দুটি জাহাজ রয়েছে। এগুলো পিপলস-১ এবং পিপলস-২। এ জাহাজগুলো দেখাশোনা করেন রেজাউল করিম বাদল। তিনি নিজেকে কে এম জামান রোমেল সাহেবের ম্যানেজার হিসেবে জানিয়েছেন। তিনি জানান, মালিক কে এম জামান রোমেল সাহেব দেশের বাইরে রয়েছেন।
খান গ্রুপের তোফায়েল কবির খানের ৭ থেকে ৮টি জাহাজ রয়েছে। এগুলো দেখাশোনা করেন শামীম ওসমানের ছেলে ইমতিনান ওসমান (অয়ন ওসমান) এবং জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে রয়েছেন সাইয়েদ গোলাম রূপস। জেনারেল ম্যানেজার জানিয়েছেন, জ্বালানি তেল পরিবহনে তাঁদের ৮টি জাহাজ রয়েছে।
বিপিসির পরিচালক (অপারেশন) অনুপম বড়ুয়া আজকের পত্রিকার কাছে দাবি করেন, নীতিমালা অনুযায়ী জাহাজ বিপিসির বহরে যুক্ত করা হয়। এখানে কোনো অনিয়ম হয় না। জাহাজের বয়স ৪০ বছরের পর আর চুক্তি নবায়ন করা হয় না। কারণ ৪০ বছরের বিষয়টি মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ অয়েল ট্যাংকার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি আবুল বশর আবু জানান, বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠরা দলীয় বিবেচনায় বিনা টেন্ডারে অবৈধভাবে অসংখ্য জাহাজকে বিপিসির বহরে যুক্ত করেন। এতে তাঁরা ফায়দা লুটে নিলেও ক্ষতি হয় প্রকৃত ব্যবসায়ীদের।
আবুল বশর আবু আরও বলেন, তেল পরিবহনের ক্ষেত্রে জাহাজের ৪০ বছর বয়সের কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকলেও সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে ৪০ বয়সী জাহাজগুলোকে বিপিসির বহর থেকে বাদ দেওয়া হয়। অথচ এটার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম জানান, কোস্টাল ট্যাংকার বা জাহাজগুলো মার্চেন্ট শিপিং অধ্যাদেশ ১৯৮৩-এর আওতায় সারা বছর সাগর পাড়ি দিয়ে তেল পরিবহন করতে পারবে। এই মার্চেন্ট শিপগুলো বিশ্বের মানসম্মত লোর্ড লাইন, ক্লাস ও সেপটি কসন্ট্রাকশন হয়ে থাকে। ইনল্যান্ড শিপিং অধ্যাদেশ ১৯৭৬ অনুযায়ী, অভ্যন্তরীণ নৌযানের ক্ষেত্রে ৩০ বছরের বয়সসীমা থাকলেও মার্চেন্ট শিপিং অধ্যাদেশের আওতায় নিবন্ধিত সমুদ্রগামী অথবা কোস্টাল জাহাজের চলাচলের বয়সসীমা উল্লেখ নেই। ইনল্যান্ড শিপিং অধ্যাদেশ অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ নৌযানের এসব জাহাজ তিন মাস (১৫ নভেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) সাগর অতিক্রম করে তেল পরিবহন করতে পারবে।
অথচ রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার তেল পরিবহনের জন্য এসব শ্যালো ড্রাফট, বে ক্রসিং ও মিনি ট্যাংকার বা জাহাজগুলো সারা বছরই ঝুঁকি নিয়ে তেল পরিবহন করে থাকে।
কমোডর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমাদের বিভাগের লোকবল বা পরিদর্শক কম, তাই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া বা অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয় না।’
বিপিসি সূত্র জানায়, সারা দেশে বছরে ৭০ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি করা হয়। এগুলোর মধ্যে ডিজেল, জেড ফুয়েল, অকটেন, ফার্নেস অয়েল মারবার ক্রুড এবং আরব লাইট ক্রুড। ৫০ লাখ টন নদীপথে পরিবহন করা হয়। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, নেতা ও আমলাদের জাহাজে পরিবহন করা হয় প্রায় ৭০ শতাংশ জ্বালানি তেল।
এ বিষয়ে বিপিসির মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন, বাণিজ্যিক) মনি লাল দাশ বলেন, বিপিসি বছরে ৭০ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি করে থাকে। এর প্রায় ৭৫ শতাংশ নৌপথে পরিবাহিত হয়।

আওয়ামী লীগ আমলে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে টেন্ডার ছাড়াই সরাসরি ৫৩টি তেলবাহী জাহাজকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) বহরে যুক্ত করা হয়। চিঠি দিয়ে এক আদেশের মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত তিন জ্বালানি তেল কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনায় তেল পরিবহনের কাজে অন্তর্ভুক্ত করা হয় সেগুলোকে। এসব জাহাজ আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতার মালিকানাধীন।
২০২৪ সাল পর্যন্ত বিপিসির বহরে তেল পরিবহনে জাহাজের সংখ্যা বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত বিপিসির বহরে থাকা ১৭৭ জাহাজের মধ্যে ১১৮টিই আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, নেতা ও আমলাদের মালিকানাধীন বলে জানা গেছে।
জ্বালানি তেল পরিবহনে ত্রুটিহীন জাপানি জাহাজগুলো সরিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের মালিকানায় দেশে তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ জাহাজগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয় বলে তথ্য উঠে এসেছে বিপিসির নথিতেই। ‘বয়স হয়েছে’ উল্লেখ করে ৭০টি জাপানি জাহাজ জ্বালানি পরিবহনের বহর থেকে বাদ দেওয়া হয়, অথচ আইনে বয়সের কথা উল্লেখ নেই।
বিপিসির পক্ষ থেকে ২০২৩ সালের ৮ আগস্ট জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিবকে দেওয়া এক পত্রে বিপিসির বহরে মোট ১৬২টি অয়েল ট্যাংকার থাকার কথা জানানো হয়। এর মধ্যে ১৪৩টি ট্যাংকার দেশে তৈরি। এর বেশির ভাগই আওয়ামী নেতাদের মালিকানাধীন।
বিপিসি ও তিন কোম্পানি থেকে পাওয়া তথ্যমতে, জ্বালানি তেল পরিবহনে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের নামে রয়েছে এমটি অনিম জালাল, ওটি নেয়ামত ও এমটি সুলতানা নামের জাহাজ। নারায়ণগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ছেলে ইমতিনান ওসমানের নামে রয়েছে এমটি সি ব্রিজ ও জেডএন-১ নামের দুটি জাহাজ। শামীম ওসমানের আত্মীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল কবির খানের নামে রয়েছে এমটি রাশেদ, এমটি রিদা-১ সহ কয়েকটি জাহাজ।
এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার (ফেনী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য) আলাউদ্দিন মোহাম্মদ নাসিম, ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস, তাপসের ভায়রা হাসানুল বারী, আওয়ামী লীগ নেতা ও ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি কে এম জামান রোমেল, নোয়াখালীর-১ সাবেক সংসদ সদস্য মো. ইব্রাহিম, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের নামেও একাধিক জাহাজ রয়েছে।
ময়মনসিংহ আওয়ামী লীগের নেতা ইঞ্জিনিয়ার মাহাবুব কবির, নরসিংদীর আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল আমিন ভুইয়া, পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হাফিজুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা খালেদ এইচ খান, চট্টগ্রাম নগর থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, আওয়ামী লীগ নেতা ও ছাগলনাইয়ার (ফেনী) সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, নরসিংদীর সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ট্যাংকার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. ওয়াহিদ মিয়ার নাম রয়েছে জাহাজমালিক হিসেবে। বেনজীর আহমেদের জাহাজটি অবশ্য আওয়ামী লীগ সরকারের শেষদিকে দলের এক নেতার কাছে বিক্রি করে দেন বলে জানা গেছে। এই নেতারা কেউ আত্মগোপন, কেউ কারাগারে থাকায় তাঁদের বক্তব্য জানা যায়নি।
বিপিসির বহরে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের তিনটি জাহাজ রয়েছে। এগুলো হলো এমটি অনিম জালাল, ওটি সুলতানা এবং ওটি নেয়ামত। এগুলো পরিচালনা করেন ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির নেতা মুনতাসীর মামুনের ভাতিজা ইয়ামিন। শামীম ওসমানের দুটি জাহাজ এজেডএন-১ এবং সিব্রিজ দেখাশোনা করেন সুপারভাইজার কামরুল। তবে সম্প্রতি বিএনপির এক নেতা তত্ত্বাবধান করছেন। আওয়ামী লীগ নেতা ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি কে এম জামান রোমেলের দুটি জাহাজ রয়েছে। এগুলো পিপলস-১ এবং পিপলস-২। এ জাহাজগুলো দেখাশোনা করেন রেজাউল করিম বাদল। তিনি নিজেকে কে এম জামান রোমেল সাহেবের ম্যানেজার হিসেবে জানিয়েছেন। তিনি জানান, মালিক কে এম জামান রোমেল সাহেব দেশের বাইরে রয়েছেন।
খান গ্রুপের তোফায়েল কবির খানের ৭ থেকে ৮টি জাহাজ রয়েছে। এগুলো দেখাশোনা করেন শামীম ওসমানের ছেলে ইমতিনান ওসমান (অয়ন ওসমান) এবং জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে রয়েছেন সাইয়েদ গোলাম রূপস। জেনারেল ম্যানেজার জানিয়েছেন, জ্বালানি তেল পরিবহনে তাঁদের ৮টি জাহাজ রয়েছে।
বিপিসির পরিচালক (অপারেশন) অনুপম বড়ুয়া আজকের পত্রিকার কাছে দাবি করেন, নীতিমালা অনুযায়ী জাহাজ বিপিসির বহরে যুক্ত করা হয়। এখানে কোনো অনিয়ম হয় না। জাহাজের বয়স ৪০ বছরের পর আর চুক্তি নবায়ন করা হয় না। কারণ ৪০ বছরের বিষয়টি মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ অয়েল ট্যাংকার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি আবুল বশর আবু জানান, বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠরা দলীয় বিবেচনায় বিনা টেন্ডারে অবৈধভাবে অসংখ্য জাহাজকে বিপিসির বহরে যুক্ত করেন। এতে তাঁরা ফায়দা লুটে নিলেও ক্ষতি হয় প্রকৃত ব্যবসায়ীদের।
আবুল বশর আবু আরও বলেন, তেল পরিবহনের ক্ষেত্রে জাহাজের ৪০ বছর বয়সের কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকলেও সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে ৪০ বয়সী জাহাজগুলোকে বিপিসির বহর থেকে বাদ দেওয়া হয়। অথচ এটার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম জানান, কোস্টাল ট্যাংকার বা জাহাজগুলো মার্চেন্ট শিপিং অধ্যাদেশ ১৯৮৩-এর আওতায় সারা বছর সাগর পাড়ি দিয়ে তেল পরিবহন করতে পারবে। এই মার্চেন্ট শিপগুলো বিশ্বের মানসম্মত লোর্ড লাইন, ক্লাস ও সেপটি কসন্ট্রাকশন হয়ে থাকে। ইনল্যান্ড শিপিং অধ্যাদেশ ১৯৭৬ অনুযায়ী, অভ্যন্তরীণ নৌযানের ক্ষেত্রে ৩০ বছরের বয়সসীমা থাকলেও মার্চেন্ট শিপিং অধ্যাদেশের আওতায় নিবন্ধিত সমুদ্রগামী অথবা কোস্টাল জাহাজের চলাচলের বয়সসীমা উল্লেখ নেই। ইনল্যান্ড শিপিং অধ্যাদেশ অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ নৌযানের এসব জাহাজ তিন মাস (১৫ নভেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) সাগর অতিক্রম করে তেল পরিবহন করতে পারবে।
অথচ রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার তেল পরিবহনের জন্য এসব শ্যালো ড্রাফট, বে ক্রসিং ও মিনি ট্যাংকার বা জাহাজগুলো সারা বছরই ঝুঁকি নিয়ে তেল পরিবহন করে থাকে।
কমোডর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমাদের বিভাগের লোকবল বা পরিদর্শক কম, তাই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া বা অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয় না।’
বিপিসি সূত্র জানায়, সারা দেশে বছরে ৭০ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি করা হয়। এগুলোর মধ্যে ডিজেল, জেড ফুয়েল, অকটেন, ফার্নেস অয়েল মারবার ক্রুড এবং আরব লাইট ক্রুড। ৫০ লাখ টন নদীপথে পরিবহন করা হয়। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, নেতা ও আমলাদের জাহাজে পরিবহন করা হয় প্রায় ৭০ শতাংশ জ্বালানি তেল।
এ বিষয়ে বিপিসির মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন, বাণিজ্যিক) মনি লাল দাশ বলেন, বিপিসি বছরে ৭০ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি করে থাকে। এর প্রায় ৭৫ শতাংশ নৌপথে পরিবাহিত হয়।

নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৩৫ মিনিট আগে
গাজীপুরের কালীগঞ্জে রেললাইন দিয়ে হাঁটার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে নানি-নাতনিসহ তিন নারী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে টঙ্গী-ভৈরব রেলপথের আড়িখোলা রেলস্টেশনসংলগ্ন টেকপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৮ মিনিট আগে
বান্দরবানের থানচি উপজেলায় দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০টি মশারি, ১২০টি নৌকার ইঞ্জিনের পাখা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে তিন্দুমুখ বিজিবি চেকপোস্ট পার হওয়ার সময় নৌকাগুলো তল্লাশি করে এসব জিনিস জব্দ করে বিজিবি।
১ ঘণ্টা আগে
নলছিটি উপজেলার লঞ্চঘাট এখন থেকে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নামে পরিচিত হবে। জন্মস্থান ও শৈশবের স্মৃতিতে গাথা এই লঞ্চঘাট তাঁর নামের সঙ্গে চিরস্থায়ীভাবে যুক্ত হলো।
১ ঘণ্টা আগেনরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
২৩ ডিসেম্বর রাতে শিবপুর উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের পুবেরগাঁও গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য কাশেম খানের খামারে বাছুরটির জন্ম।
খামারমালিক কাশেম খান বলেন, বাছুরটি জন্মের পর থেকেই অসুস্থ। স্বাভাবিকভাবে দুধ পান করতে না পারায় ফিডারের মাধ্যমে দুধ খাওয়াতে হচ্ছে।
তিনি জানান, তাঁর খামারের একটি গাভি বাছুরটির জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেন, এর আগেও গাভিটির বাছুর হয়েছে। কিন্তু এবারের মতো এমন অদ্ভুদ বাছুর আগে কখনো হয়নি।
ঘটনাটি জানাজানির পর থেকেই বাছুরটিকে একনজর দেখতে আশপাশের কৌতূহলী মানুষ খামারে আসছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে গরু-ছাগল দেখছি। কিন্তু তিন চোখ আর দুই মুখের বাছুর এই প্রথম দেখলাম। খবর পেয়ে দূর থেকে এসেছি।’
আরেক স্থানীয় নারী জরিনা বেগম বলেন, ‘বাছুরটা দেখতে অদ্ভুত লাগলেও মায়া হচ্ছে। বাছুরটির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। অনেকেই দ্রুত প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন।’
এর আগে এ ধরনের বাছুর জন্মের বিষয়ে প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সাধারণত জেনেটিকস ডিফেক্টের কারণে গাভির এমন ত্রুটিপূর্ণ বাচ্চার জন্ম হয়।

নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
২৩ ডিসেম্বর রাতে শিবপুর উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের পুবেরগাঁও গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য কাশেম খানের খামারে বাছুরটির জন্ম।
খামারমালিক কাশেম খান বলেন, বাছুরটি জন্মের পর থেকেই অসুস্থ। স্বাভাবিকভাবে দুধ পান করতে না পারায় ফিডারের মাধ্যমে দুধ খাওয়াতে হচ্ছে।
তিনি জানান, তাঁর খামারের একটি গাভি বাছুরটির জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেন, এর আগেও গাভিটির বাছুর হয়েছে। কিন্তু এবারের মতো এমন অদ্ভুদ বাছুর আগে কখনো হয়নি।
ঘটনাটি জানাজানির পর থেকেই বাছুরটিকে একনজর দেখতে আশপাশের কৌতূহলী মানুষ খামারে আসছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে গরু-ছাগল দেখছি। কিন্তু তিন চোখ আর দুই মুখের বাছুর এই প্রথম দেখলাম। খবর পেয়ে দূর থেকে এসেছি।’
আরেক স্থানীয় নারী জরিনা বেগম বলেন, ‘বাছুরটা দেখতে অদ্ভুত লাগলেও মায়া হচ্ছে। বাছুরটির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। অনেকেই দ্রুত প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন।’
এর আগে এ ধরনের বাছুর জন্মের বিষয়ে প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সাধারণত জেনেটিকস ডিফেক্টের কারণে গাভির এমন ত্রুটিপূর্ণ বাচ্চার জন্ম হয়।

আওয়ামী লীগ আমলে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে টেন্ডার ছাড়াই সরাসরি ৫৩টি তেলবাহী জাহাজকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) বহরে যুক্ত করা হয়। চিঠি দিয়ে এক আদেশের মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত তিন জ্বালানি তেল কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনায় তেল পরিবহনের কাজে অন্তর্ভুক্ত করা হয় সেগুলোকে। এসব জাহাজ আওয়ামী লীগের...
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
গাজীপুরের কালীগঞ্জে রেললাইন দিয়ে হাঁটার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে নানি-নাতনিসহ তিন নারী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে টঙ্গী-ভৈরব রেলপথের আড়িখোলা রেলস্টেশনসংলগ্ন টেকপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৮ মিনিট আগে
বান্দরবানের থানচি উপজেলায় দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০টি মশারি, ১২০টি নৌকার ইঞ্জিনের পাখা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে তিন্দুমুখ বিজিবি চেকপোস্ট পার হওয়ার সময় নৌকাগুলো তল্লাশি করে এসব জিনিস জব্দ করে বিজিবি।
১ ঘণ্টা আগে
নলছিটি উপজেলার লঞ্চঘাট এখন থেকে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নামে পরিচিত হবে। জন্মস্থান ও শৈশবের স্মৃতিতে গাথা এই লঞ্চঘাট তাঁর নামের সঙ্গে চিরস্থায়ীভাবে যুক্ত হলো।
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরের কালীগঞ্জে রেললাইন দিয়ে হাঁটার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে নানি-নাতনিসহ তিন নারী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে টঙ্গী-ভৈরব রেলপথের আড়িখোলা রেলস্টেশনসংলগ্ন টেকপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নারীরা হলেন কালীগঞ্জ পৌরসভার দেওয়ালেরটেক গ্রামের মোবারক হোসেনের স্ত্রী সাদিয়া বেগম (২৪), একই এলাকার বাবু মিয়ার মেয়ে অনাদি আক্তার (১৩) এবং নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার মরজাল এলাকার বাসিন্দা কমলা বেগম (৫৫)। নিহত কমলা বেগম ও অনাদি আক্তার সম্পর্কে নানি-নাতনি এবং সাদিয়া বেগম তাঁদের প্রতিবেশী ছিলেন।
স্থানীয়রা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আড়িখোলা রেলব্রিজ এলাকায় রেললাইনের ওপর দিয়ে তিনজন হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নোয়াখালীগামী ‘উপকূল এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি চলে আসে। এ সময় তাঁরা রেলব্রিজের ওপর থাকায় সেখান থেকে দ্রুত সরে যাওয়ার সুযোগ পাননি। পরে ট্রেনটি তাঁদের ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই কমলা বেগম ও সাদিয়া বেগমের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় অনাদি আক্তারকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জিয়াউর রহমান জানান, অনাদি আক্তারকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওবায়দুল হক জানান, এটি রেলওয়ের আওতাধীন দুর্ঘটনা হওয়ায় রেলওয়ে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
রেলওয়ে নরসিংদী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) দিলীপ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল সম্পন্ন করেছি। নিহত নারীদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে বিনা ময়নাতদন্তে লাশগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

গাজীপুরের কালীগঞ্জে রেললাইন দিয়ে হাঁটার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে নানি-নাতনিসহ তিন নারী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে টঙ্গী-ভৈরব রেলপথের আড়িখোলা রেলস্টেশনসংলগ্ন টেকপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নারীরা হলেন কালীগঞ্জ পৌরসভার দেওয়ালেরটেক গ্রামের মোবারক হোসেনের স্ত্রী সাদিয়া বেগম (২৪), একই এলাকার বাবু মিয়ার মেয়ে অনাদি আক্তার (১৩) এবং নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার মরজাল এলাকার বাসিন্দা কমলা বেগম (৫৫)। নিহত কমলা বেগম ও অনাদি আক্তার সম্পর্কে নানি-নাতনি এবং সাদিয়া বেগম তাঁদের প্রতিবেশী ছিলেন।
স্থানীয়রা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আড়িখোলা রেলব্রিজ এলাকায় রেললাইনের ওপর দিয়ে তিনজন হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নোয়াখালীগামী ‘উপকূল এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি চলে আসে। এ সময় তাঁরা রেলব্রিজের ওপর থাকায় সেখান থেকে দ্রুত সরে যাওয়ার সুযোগ পাননি। পরে ট্রেনটি তাঁদের ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই কমলা বেগম ও সাদিয়া বেগমের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় অনাদি আক্তারকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জিয়াউর রহমান জানান, অনাদি আক্তারকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওবায়দুল হক জানান, এটি রেলওয়ের আওতাধীন দুর্ঘটনা হওয়ায় রেলওয়ে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
রেলওয়ে নরসিংদী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) দিলীপ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল সম্পন্ন করেছি। নিহত নারীদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে বিনা ময়নাতদন্তে লাশগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

আওয়ামী লীগ আমলে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে টেন্ডার ছাড়াই সরাসরি ৫৩টি তেলবাহী জাহাজকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) বহরে যুক্ত করা হয়। চিঠি দিয়ে এক আদেশের মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত তিন জ্বালানি তেল কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনায় তেল পরিবহনের কাজে অন্তর্ভুক্ত করা হয় সেগুলোকে। এসব জাহাজ আওয়ামী লীগের...
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৩৫ মিনিট আগে
বান্দরবানের থানচি উপজেলায় দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০টি মশারি, ১২০টি নৌকার ইঞ্জিনের পাখা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে তিন্দুমুখ বিজিবি চেকপোস্ট পার হওয়ার সময় নৌকাগুলো তল্লাশি করে এসব জিনিস জব্দ করে বিজিবি।
১ ঘণ্টা আগে
নলছিটি উপজেলার লঞ্চঘাট এখন থেকে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নামে পরিচিত হবে। জন্মস্থান ও শৈশবের স্মৃতিতে গাথা এই লঞ্চঘাট তাঁর নামের সঙ্গে চিরস্থায়ীভাবে যুক্ত হলো।
১ ঘণ্টা আগেথানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি

বান্দরবানের থানচি উপজেলায় দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০টি মশারি, ১২০টি নৌকার ইঞ্জিনের পাখা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে তিন্দুমুখ বিজিবি চেকপোস্ট পার হওয়ার সময় নৌকাগুলো তল্লাশি করে এসব জিনিস জব্দ করে বিজিবি। এসব মশারি ও ইঞ্জিনের পাখা বান্দরবানের থানচির বড় মদক সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির জন্য নেওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছে বিজিবি। এ ঘটনায় নৌকা দুটি থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের থানচি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আটক ব্যক্তিরা হলেন থোয়াই হ্লা চিং মারমা, উমং সাইং মারমা, হ্লাচিংথোয়াই মারমা, উক্যছাইন মারমা ও মো. ইউনুস।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে বিজিবি বলিপাড়া ৩৮ ব্যাটালিয়ানের সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেনের জানান, নিজস্ব গোয়েন্দা সূত্রে তাঁরা জেনেছেন, দীর্ঘদিন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ওষুধ, কাপড়, জুতা, মোজা, মশারি, নৌকা ইঞ্জিনের পাখা ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ মিয়ানমারের আরাকান আর্মির কাছে সরবরাহ করছে একটি সিন্ডিকেট চক্র। পাচারকারীদের ধরতে সীমান্তের বিজিবি চৌকিগুলোতে বিজিবি সদস্যরা সতর্ক রয়েছেন।
জাকির হোসেন বলেন, গতকাল বুধবার তিন্দুমুখ বিজিবি চেকপোস্ট অতিক্রম করার সময় মালবাহী তিনটি ইঞ্জিন নৌকা দেখে বিজিবির সদস্যদের সন্দেহ হয়। এ সময় নৌকা থামাতে বললে একটি নৌকা দ্রুত চলে যায়। বাকি দুটি নৌকা তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০টি মশারি, ১২০টি ইঞ্জিন বোটসহ অন্যান্য পণ্য পাওয়া যায়।

বান্দরবানের থানচি উপজেলায় দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০টি মশারি, ১২০টি নৌকার ইঞ্জিনের পাখা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে তিন্দুমুখ বিজিবি চেকপোস্ট পার হওয়ার সময় নৌকাগুলো তল্লাশি করে এসব জিনিস জব্দ করে বিজিবি। এসব মশারি ও ইঞ্জিনের পাখা বান্দরবানের থানচির বড় মদক সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির জন্য নেওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছে বিজিবি। এ ঘটনায় নৌকা দুটি থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের থানচি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আটক ব্যক্তিরা হলেন থোয়াই হ্লা চিং মারমা, উমং সাইং মারমা, হ্লাচিংথোয়াই মারমা, উক্যছাইন মারমা ও মো. ইউনুস।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে বিজিবি বলিপাড়া ৩৮ ব্যাটালিয়ানের সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেনের জানান, নিজস্ব গোয়েন্দা সূত্রে তাঁরা জেনেছেন, দীর্ঘদিন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ওষুধ, কাপড়, জুতা, মোজা, মশারি, নৌকা ইঞ্জিনের পাখা ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ মিয়ানমারের আরাকান আর্মির কাছে সরবরাহ করছে একটি সিন্ডিকেট চক্র। পাচারকারীদের ধরতে সীমান্তের বিজিবি চৌকিগুলোতে বিজিবি সদস্যরা সতর্ক রয়েছেন।
জাকির হোসেন বলেন, গতকাল বুধবার তিন্দুমুখ বিজিবি চেকপোস্ট অতিক্রম করার সময় মালবাহী তিনটি ইঞ্জিন নৌকা দেখে বিজিবির সদস্যদের সন্দেহ হয়। এ সময় নৌকা থামাতে বললে একটি নৌকা দ্রুত চলে যায়। বাকি দুটি নৌকা তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০টি মশারি, ১২০টি ইঞ্জিন বোটসহ অন্যান্য পণ্য পাওয়া যায়।

আওয়ামী লীগ আমলে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে টেন্ডার ছাড়াই সরাসরি ৫৩টি তেলবাহী জাহাজকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) বহরে যুক্ত করা হয়। চিঠি দিয়ে এক আদেশের মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত তিন জ্বালানি তেল কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনায় তেল পরিবহনের কাজে অন্তর্ভুক্ত করা হয় সেগুলোকে। এসব জাহাজ আওয়ামী লীগের...
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৩৫ মিনিট আগে
গাজীপুরের কালীগঞ্জে রেললাইন দিয়ে হাঁটার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে নানি-নাতনিসহ তিন নারী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে টঙ্গী-ভৈরব রেলপথের আড়িখোলা রেলস্টেশনসংলগ্ন টেকপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৮ মিনিট আগে
নলছিটি উপজেলার লঞ্চঘাট এখন থেকে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নামে পরিচিত হবে। জন্মস্থান ও শৈশবের স্মৃতিতে গাথা এই লঞ্চঘাট তাঁর নামের সঙ্গে চিরস্থায়ীভাবে যুক্ত হলো।
১ ঘণ্টা আগেঝালকাঠি প্রতিনিধি

নলছিটি উপজেলার লঞ্চঘাট এখন থেকে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নামে পরিচিত হবে। জন্মস্থান ও শৈশবের স্মৃতিতে গাথা এই লঞ্চঘাট তাঁর নামের সঙ্গে চিরস্থায়ীভাবে যুক্ত হলো।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় (২৫ ডিসেম্বর) জানান, শহীদ ওসমান হাদির জন্মস্থান নলছিটি। শৈশব, বেড়ে ওঠা এবং জীবনসংগ্রামের সঙ্গে লঞ্চঘাট এলাকার নিবিড় সম্পর্ক থাকার কারণে এটি তাঁর নামে নামকরণ করা হয়েছে। বর্তমানে টার্মিনালের সংস্কার ও রঙের কাজ চলমান রয়েছে।
আগামী শনিবার নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন ঘাটটি পরিদর্শন করবেন বলেও জানান তিনি।
নলছিটি লঞ্চঘাট শহীদ ওসমান হাদির জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ঘাট থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে তার পৈতৃক বাড়ি। নদীর ধারে দাঁড়িয়ে মানুষের আসা-যাওয়া দেখা এবং লঞ্চের ভিড়ে সময় কাটানো—এই ঘাট ছিল তার বেড়ে ওঠার নীরব সাক্ষী।
ঘাট এলাকার ব্যবসায়ী রব হাওলাদার বলেন, ‘আমরা চাইছিলাম হাদির স্মরণে এমন কিছু হোক, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম মনে রাখবে। তার শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত লঞ্চঘাটের নাম তার নামে হওয়া নিঃসন্দেহে স্মরণীয় সিদ্ধান্ত।’
ব্যবসায়ী শাহাদত আলম ফকির যোগ করেন, ‘এই ঘাটে আমরা হাদিকে ছোটবেলা থেকে দেখেছি। সে এখানকারই ছেলে ছিল। আজ তার নামে ঘাটের নামকরণ হওয়ায় আমরা গর্বিত।’
ওসমান হাদির প্রতিবেশী বেলায়েত হোসেন নান্নু বলেন, ‘হাদি এই এলাকার সন্তান। এই ঘাট, এই নদী, এই মানুষ—সবকিছুতেই তার স্মৃতি ছড়িয়ে আছে। লঞ্চঘাটের নাম তার নামে হওয়া মানে, সে এখানেই চিরদিন বেঁচে থাকবে।’
উল্লেখ্য, ১২ ডিসেম্বর হত্যার উদ্দেশ্যে ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। তাঁকে প্রথমে ঢাকায় ভর্তি করা হয় এবং পরে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর মারা যান ওসমান হাদি। পরবর্তীকালে তাঁর মরদেহ দেশে আনা হয় এবং সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে (জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে) সমাহিত করা হয়।

নলছিটি উপজেলার লঞ্চঘাট এখন থেকে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নামে পরিচিত হবে। জন্মস্থান ও শৈশবের স্মৃতিতে গাথা এই লঞ্চঘাট তাঁর নামের সঙ্গে চিরস্থায়ীভাবে যুক্ত হলো।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় (২৫ ডিসেম্বর) জানান, শহীদ ওসমান হাদির জন্মস্থান নলছিটি। শৈশব, বেড়ে ওঠা এবং জীবনসংগ্রামের সঙ্গে লঞ্চঘাট এলাকার নিবিড় সম্পর্ক থাকার কারণে এটি তাঁর নামে নামকরণ করা হয়েছে। বর্তমানে টার্মিনালের সংস্কার ও রঙের কাজ চলমান রয়েছে।
আগামী শনিবার নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন ঘাটটি পরিদর্শন করবেন বলেও জানান তিনি।
নলছিটি লঞ্চঘাট শহীদ ওসমান হাদির জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ঘাট থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে তার পৈতৃক বাড়ি। নদীর ধারে দাঁড়িয়ে মানুষের আসা-যাওয়া দেখা এবং লঞ্চের ভিড়ে সময় কাটানো—এই ঘাট ছিল তার বেড়ে ওঠার নীরব সাক্ষী।
ঘাট এলাকার ব্যবসায়ী রব হাওলাদার বলেন, ‘আমরা চাইছিলাম হাদির স্মরণে এমন কিছু হোক, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম মনে রাখবে। তার শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত লঞ্চঘাটের নাম তার নামে হওয়া নিঃসন্দেহে স্মরণীয় সিদ্ধান্ত।’
ব্যবসায়ী শাহাদত আলম ফকির যোগ করেন, ‘এই ঘাটে আমরা হাদিকে ছোটবেলা থেকে দেখেছি। সে এখানকারই ছেলে ছিল। আজ তার নামে ঘাটের নামকরণ হওয়ায় আমরা গর্বিত।’
ওসমান হাদির প্রতিবেশী বেলায়েত হোসেন নান্নু বলেন, ‘হাদি এই এলাকার সন্তান। এই ঘাট, এই নদী, এই মানুষ—সবকিছুতেই তার স্মৃতি ছড়িয়ে আছে। লঞ্চঘাটের নাম তার নামে হওয়া মানে, সে এখানেই চিরদিন বেঁচে থাকবে।’
উল্লেখ্য, ১২ ডিসেম্বর হত্যার উদ্দেশ্যে ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। তাঁকে প্রথমে ঢাকায় ভর্তি করা হয় এবং পরে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর মারা যান ওসমান হাদি। পরবর্তীকালে তাঁর মরদেহ দেশে আনা হয় এবং সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে (জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে) সমাহিত করা হয়।

আওয়ামী লীগ আমলে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে টেন্ডার ছাড়াই সরাসরি ৫৩টি তেলবাহী জাহাজকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) বহরে যুক্ত করা হয়। চিঠি দিয়ে এক আদেশের মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত তিন জ্বালানি তেল কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনায় তেল পরিবহনের কাজে অন্তর্ভুক্ত করা হয় সেগুলোকে। এসব জাহাজ আওয়ামী লীগের...
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৩৫ মিনিট আগে
গাজীপুরের কালীগঞ্জে রেললাইন দিয়ে হাঁটার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে নানি-নাতনিসহ তিন নারী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে টঙ্গী-ভৈরব রেলপথের আড়িখোলা রেলস্টেশনসংলগ্ন টেকপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৮ মিনিট আগে
বান্দরবানের থানচি উপজেলায় দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০টি মশারি, ১২০টি নৌকার ইঞ্জিনের পাখা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে তিন্দুমুখ বিজিবি চেকপোস্ট পার হওয়ার সময় নৌকাগুলো তল্লাশি করে এসব জিনিস জব্দ করে বিজিবি।
১ ঘণ্টা আগে