Ajker Patrika

তেল পরিবহন আ.লীগ নেতাদের নিয়ন্ত্রণেই

 আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭: ২৬
তেল পরিবহন আ.লীগ নেতাদের নিয়ন্ত্রণেই
ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ আমলে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে টেন্ডার ছাড়াই সরাসরি ৫৩টি তেলবাহী জাহাজকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) বহরে যুক্ত করা হয়। চিঠি দিয়ে এক আদেশের মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত তিন জ্বালানি তেল কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনায় তেল পরিবহনের কাজে অন্তর্ভুক্ত করা হয় সেগুলোকে। এসব জাহাজ আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতার মালিকানাধীন।

২০২৪ সাল পর্যন্ত বিপিসির বহরে তেল পরিবহনে জাহাজের সংখ্যা বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত বিপিসির বহরে থাকা ১৭৭ জাহাজের মধ্যে ১১৮টিই আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, নেতা ও আমলাদের মালিকানাধীন বলে জানা গেছে।

জ্বালানি তেল পরিবহনে ত্রুটিহীন জাপানি জাহাজগুলো সরিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের মালিকানায় দেশে তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ জাহাজগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয় বলে তথ্য উঠে এসেছে বিপিসির নথিতেই। ‘বয়স হয়েছে’ উল্লেখ করে ৭০টি জাপানি জাহাজ জ্বালানি পরিবহনের বহর থেকে বাদ দেওয়া হয়, অথচ আইনে বয়সের কথা উল্লেখ নেই।

বিপিসির পক্ষ থেকে ২০২৩ সালের ৮ আগস্ট জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিবকে দেওয়া এক পত্রে বিপিসির বহরে মোট ১৬২টি অয়েল ট্যাংকার থাকার কথা জানানো হয়। এর মধ্যে ১৪৩টি ট্যাংকার দেশে তৈরি। এর বেশির ভাগই আওয়ামী নেতাদের মালিকানাধীন।

বিপিসি ও তিন কোম্পানি থেকে পাওয়া তথ্যমতে, জ্বালানি তেল পরিবহনে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের নামে রয়েছে এমটি অনিম জালাল, ওটি নেয়ামত ও এমটি সুলতানা নামের জাহাজ। নারায়ণগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ছেলে ইমতিনান ওসমানের নামে রয়েছে এমটি সি ব্রিজ ও জেডএন-১ নামের দুটি জাহাজ। শামীম ওসমানের আত্মীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল কবির খানের নামে রয়েছে এমটি রাশেদ, এমটি রিদা-১ সহ কয়েকটি জাহাজ।

এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার (ফেনী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য) আলাউদ্দিন মোহাম্মদ নাসিম, ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস, তাপসের ভায়রা হাসানুল বারী, আওয়ামী লীগ নেতা ও ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি কে এম জামান রোমেল, নোয়াখালীর-১ সাবেক সংসদ সদস্য মো. ইব্রাহিম, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের নামেও একাধিক জাহাজ রয়েছে।

ময়মনসিংহ আওয়ামী লীগের নেতা ইঞ্জিনিয়ার মাহাবুব কবির, নরসিংদীর আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল আমিন ভুইয়া, পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হাফিজুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা খালেদ এইচ খান, চট্টগ্রাম নগর থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, আওয়ামী লীগ নেতা ও ছাগলনাইয়ার (ফেনী) সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, নরসিংদীর সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ট্যাংকার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. ওয়াহিদ মিয়ার নাম রয়েছে জাহাজমালিক হিসেবে। বেনজীর আহমেদের জাহাজটি অবশ্য আওয়ামী লীগ সরকারের শেষদিকে দলের এক নেতার কাছে বিক্রি করে দেন বলে জানা গেছে। এই নেতারা কেউ আত্মগোপন, কেউ কারাগারে থাকায় তাঁদের বক্তব্য জানা যায়নি।

বিপিসির বহরে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের তিনটি জাহাজ রয়েছে। এগুলো হলো এমটি অনিম জালাল, ওটি সুলতানা এবং ওটি নেয়ামত। এগুলো পরিচালনা করেন ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির নেতা মুনতাসীর মামুনের ভাতিজা ইয়ামিন। শামীম ওসমানের দুটি জাহাজ এজেডএন-১ এবং সিব্রিজ দেখাশোনা করেন সুপারভাইজার কামরুল। তবে সম্প্রতি বিএনপির এক নেতা তত্ত্বাবধান করছেন। আওয়ামী লীগ নেতা ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি কে এম জামান রোমেলের দুটি জাহাজ রয়েছে। এগুলো পিপলস-১ এবং পিপলস-২। এ জাহাজগুলো দেখাশোনা করেন রেজাউল করিম বাদল। তিনি নিজেকে কে এম জামান রোমেল সাহেবের ম্যানেজার হিসেবে জানিয়েছেন। তিনি জানান, মালিক কে এম জামান রোমেল সাহেব দেশের বাইরে রয়েছেন।

খান গ্রুপের তোফায়েল কবির খানের ৭ থেকে ৮টি জাহাজ রয়েছে। এগুলো দেখাশোনা করেন শামীম ওসমানের ছেলে ইমতিনান ওসমান (অয়ন ওসমান) এবং জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে রয়েছেন সাইয়েদ গোলাম রূপস। জেনারেল ম্যানেজার জানিয়েছেন, জ্বালানি তেল পরিবহনে তাঁদের ৮টি জাহাজ রয়েছে।

বিপিসির পরিচালক (অপারেশন) অনুপম বড়ুয়া আজকের পত্রিকার কাছে দাবি করেন, নীতিমালা অনুযায়ী জাহাজ বিপিসির বহরে যুক্ত করা হয়। এখানে কোনো অনিয়ম হয় না। জাহাজের বয়স ৪০ বছরের পর আর চুক্তি নবায়ন করা হয় না। কারণ ৪০ বছরের বিষয়টি মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ অয়েল ট্যাংকার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি আবুল বশর আবু জানান, বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠরা দলীয় বিবেচনায় বিনা টেন্ডারে অবৈধভাবে অসংখ্য জাহাজকে বিপিসির বহরে যুক্ত করেন। এতে তাঁরা ফায়দা লুটে নিলেও ক্ষতি হয় প্রকৃত ব্যবসায়ীদের।

আবুল বশর আবু আরও বলেন, তেল পরিবহনের ক্ষেত্রে জাহাজের ৪০ বছর বয়সের কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকলেও সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে ৪০ বয়সী জাহাজগুলোকে বিপিসির বহর থেকে বাদ দেওয়া হয়। অথচ এটার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।

নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম জানান, কোস্টাল ট্যাংকার বা জাহাজগুলো মার্চেন্ট শিপিং অধ্যাদেশ ১৯৮৩-এর আওতায় সারা বছর সাগর পাড়ি দিয়ে তেল পরিবহন করতে পারবে। এই মার্চেন্ট শিপগুলো বিশ্বের মানসম্মত লোর্ড লাইন, ক্লাস ও সেপটি কসন্ট্রাকশন হয়ে থাকে। ইনল্যান্ড শিপিং অধ্যাদেশ ১৯৭৬ অনুযায়ী, অভ্যন্তরীণ নৌযানের ক্ষেত্রে ৩০ বছরের বয়সসীমা থাকলেও মার্চেন্ট শিপিং অধ্যাদেশের আওতায় নিবন্ধিত সমুদ্রগামী অথবা কোস্টাল জাহাজের চলাচলের বয়সসীমা উল্লেখ নেই। ইনল্যান্ড শিপিং অধ্যাদেশ অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ নৌযানের এসব জাহাজ তিন মাস (১৫ নভেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) সাগর অতিক্রম করে তেল পরিবহন করতে পারবে।

অথচ রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার তেল পরিবহনের জন্য এসব শ্যালো ড্রাফট, বে ক্রসিং ও মিনি ট্যাংকার বা জাহাজগুলো সারা বছরই ঝুঁকি নিয়ে তেল পরিবহন করে থাকে।

কমোডর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমাদের বিভাগের লোকবল বা পরিদর্শক কম, তাই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া বা অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয় না।’

বিপিসি সূত্র জানায়, সারা দেশে বছরে ৭০ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি করা হয়। এগুলোর মধ্যে ডিজেল, জেড ফুয়েল, অকটেন, ফার্নেস অয়েল মারবার ক্রুড এবং আরব লাইট ক্রুড। ৫০ লাখ টন নদীপথে পরিবহন করা হয়। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, নেতা ও আমলাদের জাহাজে পরিবহন করা হয় প্রায় ৭০ শতাংশ জ্বালানি তেল।

এ বিষয়ে বিপিসির মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন, বাণিজ্যিক) মনি লাল দাশ বলেন, বিপিসি বছরে ৭০ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি করে থাকে। এর প্রায় ৭৫ শতাংশ নৌপথে পরিবাহিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নেত্রকোনায় প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলায় এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৮) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে।

আটপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় অভিযোগ করেছে। অভিযুক্ত বাবু মিয়া (২৪) ঘটনার পর থেকে পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

গত শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার শুনই ইউনিয়নের ইছাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত বাবু মিয়া উপজেলার শুনই ইউনিয়নের ইছাইল গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য নান্দু মিয়ার ছেলে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার জুমার নামাজের সময় কিশোরীর বাবা মসজিদে ছিলেন আর মা গিয়েছিলেন গোসল করতে। এই সুযোগে বাবু মিয়া প্রলোভন দেখিয়ে বাক ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী মেয়েটিকে একটি নির্জন ঝুপড়ি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্কুলমাঠের পানি সেচে মাছ ধরলেন স্থানীয়রা

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২০: ৫০
মাছ ধরছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
মাছ ধরছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দূর থেকে দেখে মনে হবে, এটা একটা জলাশয় বা পুকুর আর সেখানে মাছ ধরছে স্থানীয় লোকজন ও কিছু শিক্ষার্থী। তবে নিকটে গেলে দেখা যাবে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। এটা পুকুর বা জলাশয় নয়, জলাবদ্ধ মাঠটি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের। আজ রোববার মেশিন দিয়ে পানি নিষ্কাশন করে মাছ ধরে স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীরা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতার কারণে পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না হওয়ায় এখানে স্থানীয় কয়েকজন মাছ ছেড়েছিলেন।

এর আগে গত ১৯ অক্টোবর আজকের পত্রিকায় এ মাঠের জলাবদ্ধতা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাজিম হোসেন বলে, ‘আমার বন্ধুরাসহ অনেকে এখানে মাছ দিয়েছিল। আজ সবাই মাছ ধরতে এসেছে। অনেক লোকজন মাছ ধরছে।’

নিশান আহমেদ নামের ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলে, ‘দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতা থাকার কারণে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা মিলে এখানে মাছ দিয়েছিল। আজ পানি নিষ্কাশন করে সবাই মিলে মাছ ধরছে। অনেক মজা হচ্ছে। অনেকেই মাছ ধরতে আসছে। সবাই আনন্দের সঙ্গে মাছ ধরছে। আমি দেখতে এসেছি।’

স্থানীয় মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমরাও মাছ ধরছি। এখানে অনেক মাছ দেওয়া আছে। যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতা ছিল, তাই এখানে মাছ দেওয়া হয়েছিল। আজ সেই মাছ ধরা হচ্ছে।’

মাছ ধরতে আসা মো. রতন আলী বলেন, বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজমাঠে জলাবদ্ধতার কারণে টাকি মাছসহ কয়েক প্রকার দেশীয় মাছ দেওয়া হয়। আজ পানি সেচে সেই মাছ ধরা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও পানিতে নেমে মাছ ধরছে।

বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাজ্জাদুল আলম বলেন, দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতার কারণে সম্ভবত স্থানীয় কয়েকজন বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে মাছ দিয়েছিলেন। সেই মাছ আজ তাঁরা ধরে নিয়ে যাচ্ছেন।

অধ্যক্ষ আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতা থাকলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি, সে বিষয়ে কিছুই জানি না। জেলা পরিষদ থেকে যে দুই লক্ষ টাকা পাওয়ার কথা, সেটা এখনো পাইনি। তবে কয়েক দিন আগে জেলা পরিষদ থেকে ইঞ্জিনিয়ার এসেছিলেন। তিনি বলেছেন পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ পদ্ধতি করতে গেলে রোডস অ্যান্ড হাইওয়ের অনুমোদন লাগবে।’

এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গাংনী উপজেলার বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে দীর্ঘদিন যে জলাবদ্ধতা রয়েছে, সে বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। ইতিমধ্যে আমরা জানতে পেরেছি, জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে দুই লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়ার কথা রয়েছে। আমরা বিষয়টি অতি দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। এ ছাড়া স্কুল কর্তৃপক্ষের যে নিজস্ব আয় রয়েছে, সেখান থেকেও জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। তা ছাড়া আমাদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পদ্মফুল তুলতে গিয়ে চার বোনের মৃত্যু

মেহেরপুর প্রতিনিধি
একই পরিবারের চার বোনের মৃত্যুতে স্বজনদের আহাজারি। ছবি: আজকের পত্রিকা
একই পরিবারের চার বোনের মৃত্যুতে স্বজনদের আহাজারি। ছবি: আজকের পত্রিকা

মেহেরপুর সদর উপজেলায় বিলে পদ্মফুল তুলতে গিয়ে একই পরিবারের চার শিশু-কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার রাজনগর গ্রামে মসুরিভাজা বিল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মৃত চার বোন হলো ফাতেমা (১৪), মিম (১৪), রাফিয়া (১০) ও আলসিয়া (১০)। তারা রাজনগর গ্রামের দুই ভাই আব্দুস সামাদ ও শাহারুল ইসলামের চার সন্তান। এর মধ্যে ফাতেমা ও রাফিয়া আব্দুস সামাদের মেয়ে এবং মিম ও আলসিয়া শাহারুল ইসলামের মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে চার বোন একসঙ্গে মসুরিভাজা বিলে শাপলা তুলতে যায়। দীর্ঘ সময়েও বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজ শুরু করেন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে চার বোনের লাশ ভেসে উঠতে দেখেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে মেহেরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। এ ঘটনার পর গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

চারজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাউদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁদপুরে ৩ প্রতিষ্ঠানমালিককে জরিমানা

চাঁদপুর প্রতিনিধি
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান। ছবি: আজকের পত্রিকা

চাঁদপুর শহরের বাণিজ্যিক কেন্দ্র পুরান বাজারে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় মূল্যতালিকা না থাকা ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ছাড়া শিশুখাদ্য বিক্রি করায় তিন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিককে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

আজ রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুরে আনসার বাহিনীর সহযোগিতায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান অভিযান পরিচালনা করেন।

আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, অভিযান পরিচালনাকালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে মূল্যতালিকা না থাকায় লোকনাথ স্টোরের মালিককে ২ হাজার টাকা, একই অপরাধে মেসার্স শুকতারা ট্রেডার্সের মালিককে ৫ হাজার টাকা এবং উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ছাড়া শিশুখাদ্য বিক্রয়ের অপরাধে নাহিদ স্টোরের মালিককে ৫ হাজার টাকাসহ মোট ১২ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।

জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা, জেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক মো. নজরুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর একটি দল সার্বিক সহায়তা দেয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত