সুমন বাইজিদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তন। উৎসবের রঙে সেজেছে পুরো ক্যাম্পাস। গায়ে কালো গাউন, মাথায় টুপি, চোখে স্বপ্ন। যেন ইতিহাসের পাতায় নতুন এক অধ্যায় লেখা হচ্ছে।
কিন্তু এই গৌরবময় আয়োজনে কিছু অনুপস্থিত উপস্থিতি গভীরভাবে নাড়া দেয়। তাঁদের নেই কণ্ঠস্বর, নেই পদচারণা—তবু তাঁরা আছেন! আছেন গ্রাফিতির প্রতিটি তুলির আঁচড়ে, ফেস্টুনের প্রতিটি বাক্যে, মানুষের কণ্ঠে উচ্চারিত প্রতিটি স্মৃতিতে।
তাঁরা হলেন ইতিহাস বিভাগের দুই শহীদ শিক্ষার্থী—ফরহাদ হোসেন ও হৃদয় তরুয়া। তাঁদের সঙ্গে আছেন চট্টগ্রামের প্রথম শহীদ ওয়াসিম এবং জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, এটি শুধুই সমাবর্তন নয়, এটি জুলাইয়ের শহীদদের প্রতি এক গভীর শ্রদ্ধার নিবেদন। মূল ফটক থেকে প্রশাসনিক ভবন পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকা ব্যানার, গ্রাফিতি, দেয়ালচিত্র, ব্যঞ্জনাময় ভাষায় উচ্চারণ করছে: ‘আমরা জুলাই’য়ের প্রশাসন। আমাদের শক্তি জুলাই।’
সমাবর্তন উদ্যাপন কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্যা পাটোয়ারী বলেন, ‘তাঁদের স্মরণে ক্যাম্পাস-জুড়ে গ্রাফিতি করা হয়েছে। তৈরি হচ্ছে একটি প্রামাণ্যচিত্র। এমনকি নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে তুলে দেওয়া হবে শহীদদের স্মৃতিবাহী চিত্রকর্মের প্রতিলিপি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন জানালেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান না হলে এই সমাবর্তন আদৌ হতো কি না, বলা যায় না। শহীদদের সম্মান জানানো আমাদের দায়িত্ব।’
এই সমাবর্তনে হাজারো শিক্ষার্থী গর্বিত গলায় গ্রহণ করছেন তাঁদের সনদ। কিন্তু এই উৎসবের হৃদয়ে জড়িয়ে আছে এক বুক অশ্রু, এক চিলতে দীর্ঘশ্বাস। যাঁরা নিজের সনদ না নিয়েই হয়ে উঠেছেন সবার প্রেরণা—তাঁদের জন্যই যেন ক্যাম্পাস আজ এমন গর্বিত।
এই আয়োজন তাই কেবল আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি এক প্রতীক। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সাহস, প্রতিবাদ আর মর্যাদার উত্তরাধিকার বয়ে নেওয়ার প্রতীক।
কারণ, শহীদেরা চলে গেলেও তাঁদের স্বপ্ন এখনো জেগে আছে এই দেশের প্রতিটি কোনায়, প্রতিটি হৃদয়ে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তন। উৎসবের রঙে সেজেছে পুরো ক্যাম্পাস। গায়ে কালো গাউন, মাথায় টুপি, চোখে স্বপ্ন। যেন ইতিহাসের পাতায় নতুন এক অধ্যায় লেখা হচ্ছে।
কিন্তু এই গৌরবময় আয়োজনে কিছু অনুপস্থিত উপস্থিতি গভীরভাবে নাড়া দেয়। তাঁদের নেই কণ্ঠস্বর, নেই পদচারণা—তবু তাঁরা আছেন! আছেন গ্রাফিতির প্রতিটি তুলির আঁচড়ে, ফেস্টুনের প্রতিটি বাক্যে, মানুষের কণ্ঠে উচ্চারিত প্রতিটি স্মৃতিতে।
তাঁরা হলেন ইতিহাস বিভাগের দুই শহীদ শিক্ষার্থী—ফরহাদ হোসেন ও হৃদয় তরুয়া। তাঁদের সঙ্গে আছেন চট্টগ্রামের প্রথম শহীদ ওয়াসিম এবং জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, এটি শুধুই সমাবর্তন নয়, এটি জুলাইয়ের শহীদদের প্রতি এক গভীর শ্রদ্ধার নিবেদন। মূল ফটক থেকে প্রশাসনিক ভবন পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকা ব্যানার, গ্রাফিতি, দেয়ালচিত্র, ব্যঞ্জনাময় ভাষায় উচ্চারণ করছে: ‘আমরা জুলাই’য়ের প্রশাসন। আমাদের শক্তি জুলাই।’
সমাবর্তন উদ্যাপন কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্যা পাটোয়ারী বলেন, ‘তাঁদের স্মরণে ক্যাম্পাস-জুড়ে গ্রাফিতি করা হয়েছে। তৈরি হচ্ছে একটি প্রামাণ্যচিত্র। এমনকি নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে তুলে দেওয়া হবে শহীদদের স্মৃতিবাহী চিত্রকর্মের প্রতিলিপি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন জানালেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান না হলে এই সমাবর্তন আদৌ হতো কি না, বলা যায় না। শহীদদের সম্মান জানানো আমাদের দায়িত্ব।’
এই সমাবর্তনে হাজারো শিক্ষার্থী গর্বিত গলায় গ্রহণ করছেন তাঁদের সনদ। কিন্তু এই উৎসবের হৃদয়ে জড়িয়ে আছে এক বুক অশ্রু, এক চিলতে দীর্ঘশ্বাস। যাঁরা নিজের সনদ না নিয়েই হয়ে উঠেছেন সবার প্রেরণা—তাঁদের জন্যই যেন ক্যাম্পাস আজ এমন গর্বিত।
এই আয়োজন তাই কেবল আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি এক প্রতীক। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সাহস, প্রতিবাদ আর মর্যাদার উত্তরাধিকার বয়ে নেওয়ার প্রতীক।
কারণ, শহীদেরা চলে গেলেও তাঁদের স্বপ্ন এখনো জেগে আছে এই দেশের প্রতিটি কোনায়, প্রতিটি হৃদয়ে।
মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মো. সাইফুজ্জামান শিখরের স্ত্রী সীমা রহমানের দুটি প্লট, একটি গাড়ি জব্দ এবং তাঁর ব্যাংক হিসাব ও সঞ্চয়পত্র অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই নির্দেশ দেন।
২ মিনিট আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে বন্ধ ঘরে শামসুন্নাহার (৬৫) নামের এক নারীর রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শহরের চাদগর এলাকায় রহিলা বেগম নামের এক স্কুলশিক্ষকের বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
৩০ মিনিট আগেসংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা বলেন, গত বছরের এই সময়ে দীর্ঘ প্রায় দেড় দশকের ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে জমে থাকা ক্ষোভ ও প্রতিরোধ একসঙ্গে বিস্ফোরিত হয়। ৩৬ দিনের টানা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও ফ্যাসিস্ট শাসক শেখ হাসিনার দেশত্যাগের মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতার বিজয় অর্জিত হয়।
৪১ মিনিট আগেঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলায় তালসার গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে পড়া একটি রাস্তায় ধানের চারা রোপণ করে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন গ্রামবাসী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এমন কাজ করেন তাঁরা। গ্রামবাসীর দাবি, রাস্তাটি সংস্কার চেয়ে সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো ফলাফল মেলেনি।
১ ঘণ্টা আগে