সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি
ফেনীর সোনাগাজীতে ফেনী নদীর তীরবর্তী বিস্তীর্ণ চরে জোয়ারের পানিতে ডুবে ও কুকুরের আক্রমণে তিন শতাধিক ভেড়া মারা গেছে। এতে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন খামারি কামাল হোসেন।
গত মঙ্গলবার গভীর রাতে নদীতে হঠাৎ প্রবল জোয়ারের তীব্রতায় বাঁশ ও টিনের তৈরি ভেড়ার টংঘর ভেঙে পড়ে। এতে পানিতে ডুবে মারা যায় বেশির ভাগ ভেড়া। যারা কোনোভাবে তীরে উঠে আসে, তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে স্থানীয় কিছু বেওয়ারিশ কুকুর। কুকুরের কামড়ে মৃত্যু হয় আরও অনেক ভেড়ার। এতগুলো ভেড়ার প্রাণহানির ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারি কামালের আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।
স্থানীয়ভাবে পরিচিত পরিশ্রমী ও সফল খামারি কামাল হোসেন কয়েক বছর ধরে ভেড়া পালন করে সংসার চালাতেন। এই ক্ষতি তাঁর জীবন ও জীবিকাকে চরম সংকটে ফেলেছে। এলাকাবাসীও এ ঘটনায় শোকাহত। তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটিকে অবিলম্বে সহায়তা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে।
উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের ভোলা মিয়ার ছেলে বাদামতলী দাসপাড়ার অধিবাসী ক্ষতিগ্রস্ত খামারি কামাল হোসেন বলেন, ‘মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমার স্বপ্ন রেখে গেলাম, সকালে সেটি দুঃস্বপ্নে পরিণত হলো। ভেড়াগুলোকে নিরাপদে বাঁশের টংয়ে ওঠানো হয়েছিল। কিন্তু রাতের জোয়ারে হঠাৎ টংঘরের এক পাশ ভেঙে গেলে বেশির ভাগ ভেড়া পানিতে ডুবে যায়। কিছু ভেড়া তীরে উঠলেও আশপাশের কুকুর তাদের কামড়ে মেরে ফেলে।’
কামাল আরও বলেন, ‘আমার সাড়ে তিন শ ভেড়া ছিল। সব পানিতে ডুবে আর কুকুরে কামড়ে মারা গেছে। এতে প্রায় সাড়ে উনিশ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম। বিভিন্নজন থেকে টাকা নিয়ে এগুলো পালন করছি। তাদের টাকাগুলো কীভাবে দেব, সেটাও বুঝতে পারছি না। সরকারি বা বেসরকারি সাহায্য না পেলে আর উঠে দাঁড়াতে পারব না।’
জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নেভু লাল দত্ত বলেন, ‘ঘটনাটি আমরা শুনেছি এবং খামার পরিদর্শন করার প্রস্তুতি চলছে। ক্ষয়ক্ষতির একটি প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। খামারিকে সহায়তার বিষয়ে আমরা চেষ্টা করব।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজিয়া হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে খামারিকে ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পরে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।
ফেনীর সোনাগাজীতে ফেনী নদীর তীরবর্তী বিস্তীর্ণ চরে জোয়ারের পানিতে ডুবে ও কুকুরের আক্রমণে তিন শতাধিক ভেড়া মারা গেছে। এতে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন খামারি কামাল হোসেন।
গত মঙ্গলবার গভীর রাতে নদীতে হঠাৎ প্রবল জোয়ারের তীব্রতায় বাঁশ ও টিনের তৈরি ভেড়ার টংঘর ভেঙে পড়ে। এতে পানিতে ডুবে মারা যায় বেশির ভাগ ভেড়া। যারা কোনোভাবে তীরে উঠে আসে, তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে স্থানীয় কিছু বেওয়ারিশ কুকুর। কুকুরের কামড়ে মৃত্যু হয় আরও অনেক ভেড়ার। এতগুলো ভেড়ার প্রাণহানির ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারি কামালের আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।
স্থানীয়ভাবে পরিচিত পরিশ্রমী ও সফল খামারি কামাল হোসেন কয়েক বছর ধরে ভেড়া পালন করে সংসার চালাতেন। এই ক্ষতি তাঁর জীবন ও জীবিকাকে চরম সংকটে ফেলেছে। এলাকাবাসীও এ ঘটনায় শোকাহত। তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটিকে অবিলম্বে সহায়তা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে।
উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের ভোলা মিয়ার ছেলে বাদামতলী দাসপাড়ার অধিবাসী ক্ষতিগ্রস্ত খামারি কামাল হোসেন বলেন, ‘মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমার স্বপ্ন রেখে গেলাম, সকালে সেটি দুঃস্বপ্নে পরিণত হলো। ভেড়াগুলোকে নিরাপদে বাঁশের টংয়ে ওঠানো হয়েছিল। কিন্তু রাতের জোয়ারে হঠাৎ টংঘরের এক পাশ ভেঙে গেলে বেশির ভাগ ভেড়া পানিতে ডুবে যায়। কিছু ভেড়া তীরে উঠলেও আশপাশের কুকুর তাদের কামড়ে মেরে ফেলে।’
কামাল আরও বলেন, ‘আমার সাড়ে তিন শ ভেড়া ছিল। সব পানিতে ডুবে আর কুকুরে কামড়ে মারা গেছে। এতে প্রায় সাড়ে উনিশ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম। বিভিন্নজন থেকে টাকা নিয়ে এগুলো পালন করছি। তাদের টাকাগুলো কীভাবে দেব, সেটাও বুঝতে পারছি না। সরকারি বা বেসরকারি সাহায্য না পেলে আর উঠে দাঁড়াতে পারব না।’
জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নেভু লাল দত্ত বলেন, ‘ঘটনাটি আমরা শুনেছি এবং খামার পরিদর্শন করার প্রস্তুতি চলছে। ক্ষয়ক্ষতির একটি প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। খামারিকে সহায়তার বিষয়ে আমরা চেষ্টা করব।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজিয়া হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে খামারিকে ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পরে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।
গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীর আটটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। অব্যাহত বৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ডুবে যায় জেলার বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলার ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেই জলাবদ্ধতা এখনো রয়ে গেছে। এক মাসের বেশি এই জলাবদ্ধতায়
২৩ মিনিট আগেসরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে যে ঠিকাদার সর্বনিম্ন দরে মালপত্র সরবরাহ করবেন, তাকেই কাজ দেওয়ার কথা। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে রাজশাহী আঞ্চলিক দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারে। এখানে সর্বনিম্ন নয়, যাঁরা সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন—তাঁদেরই কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের প্রায় ৯২ লাখ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে।
২৮ মিনিট আগেবিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) নিয়োগ-বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সম্প্রতি কারাগারে যেতে হয়েছে সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তারকে। তবে এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি গত পাঁচ মাসেও কাজ
৩৩ মিনিট আগেউড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার মুরাদপুর গ্রামে। এই গ্রাম, উপজেলা, এমনকি পাশের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও তাঁরা টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন ব্যবসার নামে।
১ ঘণ্টা আগে