Ajker Patrika

হাতিয়ায় স্বামী থাকতেও বিধবা ভাতা তুলছেন ২ নারী

হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
হাতিয়ায় স্বামী থাকতেও বিধবা ভাতা তুলছেন ২ নারী

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় স্বামী জীবিত থাকতেও দাপ্তরিক কাগজে ‘বিধবা’ তালিকাভুক্ত হয়ে কয়েক বছর ধরে ভাতা তুলছেন কয়েকজন নারী। হাতিয়া পৌর এলাকা ও বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রতারণা করে এ সুবিধা পাওয়ার খবরে ক্ষুব্ধ প্রকৃত সুবিধাপ্রাপ্যরা। 

সমাজসেবা কর্মকর্তা বলছেন, এসব বিষয় অবগত নন তিনি। 

এ ঘটনার জানাজানি হয় হাতিয়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য লক্ষিদিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী কুলসুমা বেগমের বিধবা ভাতা উত্তোলনের মাধ্যমে। কুলসুমা বেগম গত তিন বছর ধরে বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা দুস্থ মহিলা হিসেবে বিধবা ভাতা তুলছেন। তাঁর ভাতা পরিশোধের বই নম্বর-৫৫৮। ভাতার বইতে স্বামীকে মৃত দেখানো হলেও তাঁর স্বামী নজরুল ইসলাম জীবিত রয়েছেন। তিনি ওই ওয়ার্ডের চরলটিয়া গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে। নজরুল ইসলাম উপজেলা সদর ওছখালী পুরাতন বাজারের একজন ব্যবসায়ী। 

একই এলাকার আমিরুল ইসলামের স্ত্রী স্বপ্না বেগম নামে এক নারী ২০২১ সাল থেকে পাচ্ছেন বিধবা ভাতা। তাঁর ভাতা পরিশোধের বই নম্বর-৪৫৯। ভুয়া কাগজপত্র এবং তথ্য গোপন করে স্বামীকে মৃত দেখিয়ে, এ ভাতা উত্তোলন করছেন তিনি। অথচ তাঁর স্বামী আমিরুল ইসলাম এখনো জীবিত এবং স্বাবলম্বী। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রথমে কুলসুমা বেগম ভাতা পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। একপর্যায়ে তিনি স্বামীকে মৃত দাবি করে বলেন, ‘আমার স্বামী মারা গেছেন, তাই আমার বাড়ির পাশের একজন আমাকে রহমত কমিশনারের সঙ্গে কথা বলে, ভাতার কার্ড ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।’ 

অন্যদিকে কুলসুমা তাঁর স্ত্রী বলে স্বীকার করেছেন উপজেলা সদরে ওচখালী বাজারে কসমেটিকস দোকানের মালিক নজরুল ইসলাম। তবে কুলসুমার বিধবা ভাতা পাওয়ার বিষয়টি তিনি জানেন না বলে দাবি করেছেন। 

আমিরুল ইসলামের স্ত্রী স্বপ্না বেগমও নিজের স্বামীকে মৃত দাবি করে বলেন, ‘আমার স্বামী নাই, তাই অভাব-অনটনের কারণে আমি বিধবা ভাতার জন্য আবেদন করেছিলাম। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে ভাতা দেওয়া হয়।’ 

স্বপ্নার স্বামী আমিরুল ইসলামের কাছে তাঁর স্ত্রীর বিধবা ভাতা পান কি না জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। তবে সুবিধাভোগী তাঁর স্ত্রী বলে স্বীকার করেছেন তিনি। 

শুধু কুলসুমা ও স্বপ্না বেগম নয়, অনেকেই অবৈধভাবে বিধবা, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ সকল ধরনের ভাতার সুবিধা নিচ্ছেন বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। অথচ ওই এলাকায় এখনো অনেক অসহায় মানুষ রয়েছেন, যারা ভাতা পাওয়ার উপযোগী হলেও ভাতা পাচ্ছেন না। এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জনপ্রতিনিধিদের প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে দাবি তাদের। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, জনপ্রতিনিধি এবং দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা স্বজনপ্রীতি ও অর্থের বিনিময়ে মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য দিয়ে এবং সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এ সকল অনিয়ম করছেন। জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের ইচ্ছামতো মোবাইল নম্বর দিয়ে অ্যাকাউন্ট করে, নিজেদের পছন্দের লোকদের ভাতা পাইয়ে দিচ্ছেন। 

ভাতা পাওয়ার যোগ্য রোকেয়া বেগম (৫২) নামে স্থানীয় এক বিধবা নারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি কয়েকবার এলাকার ওয়ার্ড মেম্বারের মাধ্যমে বিধবা ভাতার আবেদন করেছি। আজ পর্যন্ত তালিকাভুক্ত হতে পারিনি।’ 

হাতিয়া পৌরসভা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রহমত উল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে সমাজসেবা অফিসেও সরাসরি অনেক কাজ হয়ে থাকে। রাজনৈতিক বিবেচনায়ও কিছু কাজ হয়ে থাকে। অনেক কাজেই আমরা অবহিত থাকি না।’ 

এ বিষয়ে হাতিয়া সমাজসেবা কর্মকর্তা ইমরান হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আপনার মাধ্যমে বিষয় অবগত হলাম। অফিশিয়ালি তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ তবে উদ্যোক্তার মাধ্যমে আবেদন করা ফরমগুলো স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রত্যয়ন নেওয়া হয় বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে ১০৯ বছরের কারমাইকেল কলেজ

রংপুর প্রতিনিধি
নানা আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী কারমাইকেল কলেজের প্রতিষ্ঠার ১০৯ বছর উদ্‌যাপন। ছবি: আজকের পত্রিকা
নানা আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী কারমাইকেল কলেজের প্রতিষ্ঠার ১০৯ বছর উদ্‌যাপন। ছবি: আজকের পত্রিকা

শতবর্ষ পেরিয়েও প্রাণচঞ্চল উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী কারমাইকেল কলেজ। আজ সোমবার নানা আয়োজনে উদ্‌যাপিত হচ্ছে প্রতিষ্ঠার ১০৯ বছর। বেলুন-পায়রায় সেজেছে ক্যাম্পাস, মিলেছেন প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। আলো-রং-সংগীতে মুখর বিদ্যাপীঠ যেন ফিরে পেয়েছে তার সোনালি দিনের গৌরব আর তারুণ্যের উচ্ছ্বাস।

সকাল ১০টায় কলেজের জি এল হোস্টেল মাঠে পতাকা উত্তোলন ও উদ্বোধন করেন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মুহম্মদ রেজাউল হক। পরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, কেক কাটা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মেতে ওঠেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আমজাদ হোসেন, সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. ইসমাইল হোসেন সরকার, সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. বোরহান উদ্দিন, কারমাইকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. হাবিবুর রহমান ও কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রফেসর দিলীপ কুমার রায়।

১০৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. সাইফুর রহমান জানান, ব্রিটিশ শাসন, পাকিস্তানি শোষণ ও বাংলাদেশ সৃষ্টির আন্দোলন-সংগ্রামসহ নানা প্রেক্ষাপটের সাক্ষী কারমাইকেল কলেজ একটি ইতিহাস। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শত বছরের যে গৌরব ও অর্জন, তা অবিস্মরণীয়। উত্তরের প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ কারমাইকেল কলেজের ১০৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপনে নবীন-প্রবীণ শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে পুরো ক্যাম্পাস।

ড. মো. সাইফুর রহমান আরও জানান, দুদিনের এই আয়োজনের সমাপনী দিনে (১১ নভেম্বর) বাংলাদেশ পুলিশের রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি মো. আমিনুল ইসলাম, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

নানা আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী কারমাইকেল কলেজের প্রতিষ্ঠার ১০৯ বছর উদ্‌যাপন। ছবি: আজকের পত্রিকা
নানা আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী কারমাইকেল কলেজের প্রতিষ্ঠার ১০৯ বছর উদ্‌যাপন। ছবি: আজকের পত্রিকা

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ১৯১৬ সালের ১০ নভেম্বর অবিভক্ত বাংলার গভর্নর লর্ড কারমাইকেল কলেজটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরের বছর থেকেই পাঠদান শুরু হয়। উত্তরবঙ্গের প্রাচীনতম এই কলেজ বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত, যেখানে উচ্চমাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যায় পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন।

ইন্দোস্যারানিক শৈলীতে নির্মিত ৬১০ ফুট দীর্ঘ সাদা মূল ভবন, শতবর্ষী বৃক্ষ ‘কাইজেলিয়া’, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ভাস্কর্য ‘প্রজন্ম’, প্রাচীন গ্রন্থাগার ও নানা সাংস্কৃতিক সংগঠনে প্রাণবন্ত ক্যাম্পাস যেন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি। এখানে রয়েছে সাতটি আবাসিক হল, আধুনিক অডিটরিয়াম, লাইব্রেরি, মঞ্চ ও নানা সহপাঠক্রমিক সংগঠন।

কারমাইকেল কলেজে পড়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, লেখক আনিসুল হক, জাহানারা ইমাম, সাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিন, প্রথম প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমসহ বহু কৃতী ব্যক্তি। স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রাম—সবখানেই কারমাইকেল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা রেখেছেন অমর ভূমিকা।

তবে ৩৫ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে কারমাইকেল কলেজ ছাত্র সংসদ (কাকসু)। ১৯৯০ সালের পর আর নির্বাচন হয়নি। শিক্ষার্থীরা বলছেন, দীর্ঘবিরতির কারণে গণতান্ত্রিক নেতৃত্বের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাবিতে নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষকের বরখাস্তের দাবি

রাবি প্রতিনিধি  
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি, বডি শেমিং, অনৈতিক প্রস্তাব ও মামলার হুমকির অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানজিল ভূঁইয়ার স্থায়ী বরখাস্তের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তবে এসব অভিযোগকে ‘বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক’ বলে দাবি করেছেন ওই শিক্ষক।

আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনে তানজিল ভূঁইয়ার চেম্বারে তালা ঝুলিয়ে দিনব্যাপী বিক্ষোভ ও আন্দোলন করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ওই শিক্ষক নারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অশালীন মন্তব্য করে আসছেন। পাশাপাশি অনৈতিক প্রস্তাব, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কটু মন্তব্য করার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

তৃতীয় বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, ‘উনি নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে কটু মন্তব্য করেন। যেমন, ‘‘তোমার কোমর তো ভালো দোলে’, ‘‘রাতের রানি’’, ‘‘রাতের গার্ড’’। আমাদের প্রথম ব্যাচ থেকে এখন সপ্তম ব্যাচ পর্যন্ত অনেকে উনার এমন আচরণের শিকার হয়েছেন। আগের এক ঘটনায় উনি শিক্ষার্থীদের মারতে এসেছিলেন, সেই ভিডিওও আছে।’

ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘উনার কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে উনি ওই শিক্ষার্থীদের নম্বর ছড়িয়ে দেন। এমনকি তাঁর তাকানোর ভঙ্গিতেও ভয় লাগে। আমরা ক্লাসে যেতেও এখন ভয় পাচ্ছি। তাই আমরা উনার স্থায়ী বরখাস্ত চাই।’

আরও এক শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, ‘তানজিল ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি অশোভন আচরণের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মারতে আসা ও মামলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তিনি এক সময় নিজের বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে বিয়ে করেন; এরপর তাঁর স্ত্রীও সহপাঠীদের নানা হুমকি দেন। এসব কারণে আমরা বিভাগের পক্ষ থেকে তাঁর স্থায়ী বরখাস্ত দাবি করছি।’

অভিযোগ অস্বীকার করে শিক্ষক তানজিল ভূঁইয়া জানান, তাঁরা যে অভিযোগ করেছেন, এর একটিও সত্য নয়। এগুলো সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক।

তানজিল ভূঁইয়া বলেন, ‘ঘটনার শুরু আমাদের প্রথম ব্যাচের এক নারী শিক্ষার্থীকে কেন্দ্র করে। এক ট্যুরে ওই শিক্ষার্থী মেয়েদের রুমে কয়েকজন ছেলে নিয়ে মাদক সেবন করছিল। আমি গিয়ে বাধা দিই। সেই ঘটনাতেই সে আমার নামে এসব ছড়াচ্ছে। তার পাশাপাশি সিনিয়র কয়েকজন শিক্ষার্থী বিভাগের অন্যদের উসকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে এসব করছে।’

শিক্ষার্থীদের মারমুখী হওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে তানজিল বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, যদি আমার স্ত্রীর কিছু হয়, তাহলে মামলা করব—এর বাইরে কিছু না। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে আমাকে ফাঁসাচ্ছে। যদি প্রমাণ থাকে, তাহলে সেটা সামনে আনুক।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে ১৫ কেজি ওজনের অজগর সাপ অবমুক্ত

কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানের গভীর অরণ্যে একটি অজগর সাপ অবমুক্ত করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানের গভীর অরণ্যে একটি অজগর সাপ অবমুক্ত করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাঙামাটির কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানের গভীর অরণ্যে একটি অজগর সাপ অবমুক্ত করা হয়েছে। সাপটির দৈঘ্য ১০ ফুট ও ওজন ১৫ কেজি বলে জানান বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা ওমর ফারুক স্বাধীন।

রাঙামাটির কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানের গভীর অরণ্যে একটি অজগর সাপ অবমুক্ত করা হয়েছে। সাপটির দৈঘ্য ১০ ফুট ও ওজন ১৫ কেজি বলে জানান বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা ওমর ফারুক স্বাধীন।

আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশনায় অজগর সাপটি কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্কে অবমুক্ত করা হয়। এ সময় কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা ওমর ফারুক স্বাধীন, বড়ইছড়ি পরীক্ষণ ফাঁড়ি কর্মকর্তা এস এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, রাম পাহাড় বিট কর্মকর্তা মিঠু তালুকদার, শুকনাছড়ি বিট কর্মকর্তা আব্দুল্লা আল নাঈম, সুনয়ন দেওয়ান, কাপ্তাই প্রেসক্লাব সভাপতি কবির হোসেন, স্থানীয় কবিরুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম ও বন বিভাগের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।  

বন বিভাগের রাঙামাটি সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, রাঙামাটি সদর কালিন্দপুর সড়কের ইন্দু বিকাশ তালুকদারের বাসার আঙিনায় আজ সকালে অজগর সাপটি জালে আটকা পড়ে। পরে বন বিভাগকে খবর দেওয়া হলে স্থানীয় জনতার সহায়তায় অজগর সাপটি উদ্ধার করে কাপ্তাই বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপির কর্মী হাকিম হত্যা: আসামি ধরতে গিয়ে মিলল থানা লুটের অস্ত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে আসামি ধরতে গিয়ে মিলল থানা লুটের অস্ত্র। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রামে আসামি ধরতে গিয়ে মিলল থানা লুটের অস্ত্র। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামে হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার অভিযানে গিয়ে পুলিশের খোয়া যাওয়া চায়নিজ রাইফেল ও একটি শটগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে রাউজানের নোয়াপাড়া চৌধুরীহাট এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র দুটি উদ্ধার করে পুলিশ।

এ সময় রাইফেলের ৪৯টি গুলি (৭.৬২) ও ১৭টি শটগানের গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়।

একই জায়গা থেকে রাউজানে বিএনপির কর্মী আব্দুল হাকিম হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ৪টি বিদেশি পিস্তল, ১টি রিভলবার, ১৯টি পিস্তলের গুলি (৭.৬৫), ৭টি ম্যাগাজিনসহ মাদক ও নগদ প্রায় ১ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, আব্দুল হাকিম হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারের পর তাঁদের তথ্যে ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এসব আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়।

এ বিষয়ে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু বলেন, ‘চায়নিজ রাইফেলটি পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। শটগানটি কাস্টমাইজড করা থাকায় একটু সন্দেহ হচ্ছে।

তবে শটগানটিও পুলিশের অস্ত্র হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি। এই অস্ত্রটির বিষয়ে আমরা আরও ভালোভাবে যাচাই করে দেখছি।’

পুলিশ সুপার বলেন, ‘চায়নিজ রাইফেল ও শটগান রাউজানে ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিম হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। অভিযানে আমরা রাইফেলটি লোডেড অবস্থায় উদ্ধার করেছি।’

উল্লেখ্য, গত বছর ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে সারা দেশের বিভিন্ন থানায় হামলা চালায় জনতা এবং কিছু অসাধু লোক থানায় অগ্নিসংযোগসহ অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট করে নিয়ে যায়। ওই সময় চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের ২৩২টি অস্ত্র খোয়া যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত