আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
বাংলাদেশ থেকে ছয় ধরনের পণ্য আমদানিতে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে রপ্তানি কার্যক্রমে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা রপ্তানি বাণিজ্য শুরুর জন্য দ্রুত কূটনৈতিক সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।
পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে—বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, ফল ও ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য, প্লাস্টিকসামগ্রী, সুতা ও সুতার উপজাত এবং আসবাবপত্র। এর মধ্যে তৈরি পোশাক ও কাঠের আসবাব ছাড়া বাকি সব পণ্যই নিয়মিতভাবে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি হতো।
আজ সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বন্দরে শুধু বরফায়িত মাছ, ভোজ্যতেল ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি হয়। আটটি ট্রাকে ৩৭ টন মাছ, সাতটি ট্রাকে ৮৬ টন তেল এবং একটি ট্রাকে ১৯ টন পাটজাত দ্রব্য আগরতলায় পাঠানো হয়। এর আগে যেখানে প্রতিদিন গড়ে ৪০-৫০টি রপ্তানিমুখী ট্রাক যেত, সেখানে এখন মাত্র ১৬টি ট্রাক রপ্তানিতে অংশ নিয়েছে।
বন্দর ঘুরে দেখা যায়, স্থল শুল্কস্টেশন, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, পণ্য পরিবহনে যুক্ত শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্টরা অলস সময় পার করছেন। কেউ কেউ দুশ্চিন্তায় ব্যবসা চালু রাখা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
জানতে চাইলে স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী আবু সুফিয়ান বলেন, একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রায় সব পণ্যই বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। প্রাণ, আরএফএল, হাশিম ফুডসহ অনেক বড় কোম্পানির পণ্য এতে অন্তর্ভুক্ত। এতে ছোট-বড় সব ব্যবসায়ীরই ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে।
মৎস্য রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া বলেন, আগে ট্রানশিপমেন্ট বন্ধ করা হয়েছিল। এখন আবার নতুন করে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এতে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি নিছার উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘বাকি কয়েকটি পণ্য ঠিকভাবে চালু না থাকলে আমাদের রপ্তানি কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে। এতে কাস্টমস, সিঅ্যান্ডএফ ও শ্রমিক সবাই বিপদে পড়বে।’
আখাউড়া স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই বন্দর দিয়ে প্রায় ৪২৮ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হয়েছিল। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের (চলতি) প্রথমার্ধে রপ্তানি হয়েছে ৪৫৩ কোটি টাকার পণ্য। একই সময়ে আমদানি ছিল তুলনামূলক কম, চলতি অর্থবছরে মাত্র ১০৬ টন পণ্য আমদানি হয়েছে।
স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান জানান, প্রতিদিন ৪০-৫০টি গাড়ি রপ্তানিতে অংশ নিত। নিষেধাজ্ঞার পর এখন শুধু মাছ, সিমেন্ট ও শুঁটকি মাছ রপ্তানি হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম বৃহৎ ও শতভাগ রপ্তানিমুখী এ স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্য ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় পাঠানো হয়। সেখান থেকে তা সরবরাহ করা হয় দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে। ভারতের হঠাৎ এ সিদ্ধান্তে দুই দেশের পারস্পরিক বাণিজ্য সম্পর্কে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ থেকে ছয় ধরনের পণ্য আমদানিতে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে রপ্তানি কার্যক্রমে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা রপ্তানি বাণিজ্য শুরুর জন্য দ্রুত কূটনৈতিক সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।
পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে—বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, ফল ও ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য, প্লাস্টিকসামগ্রী, সুতা ও সুতার উপজাত এবং আসবাবপত্র। এর মধ্যে তৈরি পোশাক ও কাঠের আসবাব ছাড়া বাকি সব পণ্যই নিয়মিতভাবে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি হতো।
আজ সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বন্দরে শুধু বরফায়িত মাছ, ভোজ্যতেল ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি হয়। আটটি ট্রাকে ৩৭ টন মাছ, সাতটি ট্রাকে ৮৬ টন তেল এবং একটি ট্রাকে ১৯ টন পাটজাত দ্রব্য আগরতলায় পাঠানো হয়। এর আগে যেখানে প্রতিদিন গড়ে ৪০-৫০টি রপ্তানিমুখী ট্রাক যেত, সেখানে এখন মাত্র ১৬টি ট্রাক রপ্তানিতে অংশ নিয়েছে।
বন্দর ঘুরে দেখা যায়, স্থল শুল্কস্টেশন, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, পণ্য পরিবহনে যুক্ত শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্টরা অলস সময় পার করছেন। কেউ কেউ দুশ্চিন্তায় ব্যবসা চালু রাখা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
জানতে চাইলে স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী আবু সুফিয়ান বলেন, একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রায় সব পণ্যই বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। প্রাণ, আরএফএল, হাশিম ফুডসহ অনেক বড় কোম্পানির পণ্য এতে অন্তর্ভুক্ত। এতে ছোট-বড় সব ব্যবসায়ীরই ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে।
মৎস্য রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া বলেন, আগে ট্রানশিপমেন্ট বন্ধ করা হয়েছিল। এখন আবার নতুন করে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এতে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি নিছার উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘বাকি কয়েকটি পণ্য ঠিকভাবে চালু না থাকলে আমাদের রপ্তানি কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে। এতে কাস্টমস, সিঅ্যান্ডএফ ও শ্রমিক সবাই বিপদে পড়বে।’
আখাউড়া স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই বন্দর দিয়ে প্রায় ৪২৮ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হয়েছিল। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের (চলতি) প্রথমার্ধে রপ্তানি হয়েছে ৪৫৩ কোটি টাকার পণ্য। একই সময়ে আমদানি ছিল তুলনামূলক কম, চলতি অর্থবছরে মাত্র ১০৬ টন পণ্য আমদানি হয়েছে।
স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান জানান, প্রতিদিন ৪০-৫০টি গাড়ি রপ্তানিতে অংশ নিত। নিষেধাজ্ঞার পর এখন শুধু মাছ, সিমেন্ট ও শুঁটকি মাছ রপ্তানি হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম বৃহৎ ও শতভাগ রপ্তানিমুখী এ স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্য ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় পাঠানো হয়। সেখান থেকে তা সরবরাহ করা হয় দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে। ভারতের হঠাৎ এ সিদ্ধান্তে দুই দেশের পারস্পরিক বাণিজ্য সম্পর্কে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বিজয় (২৫) নামের এক কাঠমিস্ত্রির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৯ মে) বিকেলে উপজেলার পাগলা থানার লংগাইর ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামে বসতবাড়ির পাশে একটি গাছ থেকে লাশটির সন্ধান মেলে।
৪ মিনিট আগে২০২৪ সালে ডামি নির্বাচন ও ভোট চুরির অভিযোগে টাঙ্গাইলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ ১৯৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
৭ মিনিট আগেসালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই—যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করুন। সেটাই ছিল আপনাদের প্রতিশ্রুতি। আমরা নম্রভাবে কথা বললেও সেটিকে দুর্বলতা ভাববেন না। আমাদের বক্তব্য উপেক্ষা করা হলে তার পরিণাম শুভ হবে না।’
১৮ মিনিট আগেনড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় রেললাইনের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল এক যুবকের লাশ। আজ সোমবার সকালে কাশিপুর ইউপির সারুলিয়া গ্রামের রেললাইনের পাশে লাশটি পাওয়া যায়।
১ ঘণ্টা আগে