Ajker Patrika

নোয়াখালীর সেনবাগে ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড তিন গ্রামের অর্ধশত ঘরবাড়ি

নোয়াখালী প্রতিনিধি
ঝড়ে সেনবাগের তিন গ্রামের অন্তত ২১টি কাঁচা ঘর পুরোপুরি এবং সেমিপাকাসহ প্রায় ৩০টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঝড়ে সেনবাগের তিন গ্রামের অন্তত ২১টি কাঁচা ঘর পুরোপুরি এবং সেমিপাকাসহ প্রায় ৩০টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়েছে তিনটি গ্রাম। ঝড়ে ওই তিন গ্রামের অন্তত ২১টি কাঁচা ঘর পুরোপুরি ও সেমিপাকাসহ প্রায় ৩০টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছ ভেঙে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েকটি বাড়ির সীমানাপ্রাচীর। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন। বিদ্যুৎহীন রয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত ওয়ার্ডগুলো পরিদর্শন করেন সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোরে হঠাৎ করে বৃষ্টিসহ দমকা বাতাস শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে বাতাসের গতি বেড়ে সেটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। এতে নবীপুর ইউনিয়নের দেবীসিংহপুর, বিষ্ণপুর ও গোপালপুর গ্রামের ২১টি ঘর পুরোপুরি, ৩০টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঝড়ে গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়। অধিকাংশ ঘরের টিনের চালা উড়ে গেছে। অসংখ্য গাছপালা উপড়ে পড়েছে ঘরের ওপর। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে দুটি বিদ্যুতের পিলার ভেঙে গেছে, বিভিন্ন স্থানে তার ছিঁড়ে গিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

ঝড়ের আঘাতে নারী-শিশুসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে কিছু পরিবার নিকটস্থ আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের খাবার, পরনের কাপড় ও ঘর মেরামতের জন্য জরুরি সাহায্যের প্রয়োজন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন জানান, রাত পর্যন্ত আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। তাদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে তাদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাদের সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত