Ajker Patrika

বান্দরবানে পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে শ্রমিক নিহত

থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ মে ২০২৩, ২২: ২৭
বান্দরবানে পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে শ্রমিক নিহত

বান্দরবানের থানচি ও রুমা উপজেলার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে মো. রাশেদ (১৮) নামে শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুলাল নামে আরও একজন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে রুমা উপজেলার ৩ নম্বর রেমাক্রি-প্রাংসা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চাইক্ষ্যাং পাড়ার পাশের পাহাড়ে বঙ্কুন ত্রিপুরা পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রাশেদের বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চনুয়া গ্রামের মদিনা পাড়ায়। আহত দুলালের (৩৫) বাড়িও একই গ্রামে।

থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আবদুল্লাহ আল নোমান জানান, দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে বিজিবি সদস্যরা স্থল মাইন বিস্ফোরণে আহত দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। আহত মো. রাশেদকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছিল। গুরুতর আহত দুলালকে (৩৫) প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

রুমা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, স্থলমাইন বিস্ফোরণে এক যুবক নিহত ও অপর একজন আহতের খবর পাওয়া গেছে। তবে ঘটনাস্থলটি রুমা-থানচি সীমান্ত এলাকা হওয়ায় কোনো এলাকায় পড়েছে তা নিশ্চিত করা যায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে বিস্তারিত পরে জানা যাবে।

নিহতের সঙ্গী নির্মাণশ্রমিক মো. নেজাম উদ্দিন ১৮ বলেন, ‘নির্মাণাধীন থানচি-লিটক্রে সড়কের ঠিকাদার সুজন দাশ ও মো. নুরুল হক দুজনে বাঁশখালী থেকে গত রোববার বঙ্কুন ত্রিপুরা পাড়ার ‘৩৫ কিলোমিটার’ এলাকায় আসে। পরদিন সোমবার থেকে আমরা মোট ১৬ জন শ্রমিক রাস্তা ড্রেনের কাজ করেছিলাম। আজ মঙ্গলবার রাস্তা ড্রেনের পাশে ২০০ গজের মধ্যে জঙ্গল পরিষ্কার করতে বলে সুজন দাশ। পরিষ্কার করতে গেলে পুতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে নির্মাণশ্রমিক রাশেদ ও দুলাল আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাশেদকে মৃত ঘোষণা করেন।’

সড়কের ঠিকাদারদের পাথর সরবরাহকারী মো. বেলাল হোসেন ৫০ বলেন, সন্ত্রাসী সংগঠন কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সশস্ত্র গ্রুপ কুকিচিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) স্থল মাইনগুলো পাহাড়ের বিভিন্ন গোপন জায়গা পুঁতে রাখা হয়েছে। তাঁদের পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে মারা গেছেন তিনি।

থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল হক ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিহতের ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রুমা-থানচি উপজেলা সীমান্তের ঘটনা হওয়ায় রুমা থানার ওসি মহোদয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে দুই থানা সমন্বয়ের পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, গত ১৬ মে একই উপজেলা ও ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে স্লোপি পাড়ায় মাইন বিস্ফোরণে জুয়েল ত্রিপুরা (২৭) নামে একজন নিহত ও আব্রাহাম ত্রিপুরা (৩৫) গুরুতর আহত হন। দুজনেই রুমা উপজেলার রেমাক্রি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিরাম পাড়ার বাসিন্দা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত