ফায়সাল করিম, চট্টগ্রাম
গত কয়েক দিনের বৃষ্টি আর রাজধানীর ডেঙ্গু পরিস্থিতির কারণে চট্টগ্রামেও হঠাৎ করে বেড়েছে উদ্বেগ ও আতঙ্ক। এডিস মশার উৎপাত রোধে তাই এবার নতুন মিশনে নামছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।
যদিও সংস্থাটির বেশ কয়েকজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে, উড়ন্ত মশা নয়, বরং মশার প্রজননক্ষেত্র বা লার্ভা মারার ওপর গুরুত্ব দিয়েই আপাতত চলবে ডেঙ্গু রোধের এই কার্যক্রম। কিন্তু ফগার মেশিনের সংকট ও পরিণত মশা মারার ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ দুটি কারণেই এখন উড়ন্ত মশা মারায় সেভাবে আত্মবিশ্বাসী হতে পারছেন না সংস্থাটির কর্তারা। তাই আপাতত কালো তেল আর লার্ভিসাইড ছিটিয়ে প্রজননক্ষেত্র ধ্বংসের অভিযানে নামছে তাঁরা।
ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জরুরি ভিত্তিতে ডেঙ্গুনিধন কার্যক্রম ও অভিযান চালাতে গত সোমবার এক সভায় সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি। পুরো কার্যক্রম পরিচালনার জন্য করা হয় ছয় সদস্যের একটি বিশেষ কমিটি। নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে এই কমিটির আওতায় কাজ করবে প্রায় দেড় হাজার স্বেচ্ছাসেবক।
ডেঙ্গু মৌসুমের মাঝখানে এভাবে তড়িঘড়ি করে কেবল লার্ভা মেরে এডিস মশার বংশ বিস্তার কতটুকু রোধ করা যাবে, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। অথচ চার মাস আগে গত মার্চে মশার ওষুধের কার্যকারিতা যাচাইয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা দলকে দায়িত্ব দিয়েছিল চসিক। তবে বাজেট জটিলতায় সে কাজ শুরু হয় অনেক দেরিতে, এ মাসের ৫ তারিখ।
এ নিয়ে জানতে চাইলে কমিটির আহ্বায়ক চসিকের প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘গবেষক দলের প্রতিবেদন পাওয়া পর্যন্ত আমরা মশার প্রজননক্ষেত্রে লার্ভিসাইড আর কালো তেল ছিটিয়ে নিয়মিত কার্যক্রম চলাব। আশা করছি আগামী মাসের শুরুতেই তারা প্রতিবেদন দেবে। সেটি পেলেই দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে আমরা বড় মশা মারার কাজও শুরু করব।’
মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, প্রতিটি ওয়ার্ডে ‘আরবান কমিউনিটি ভলান্টিয়ার’দের একটি করে দল গঠন করা হচ্ছে। তাদের পরিচয়পত্র আর নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে ওয়ার্ডের আকার অনুযায়ী ৩০ থেকে ৪০ জন করে দেড় হাজার স্বেচ্ছাসেবক রাখা হচ্ছে। তাঁদের কাজ হবে কোভিড নিয়ে সচেতনতার পাশাপাশি ডেঙ্গু রোধে মাইকিং ও সচেতনতা নিয়ে কাজ চালানো।
চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের সূত্রে জানা গেছে, সংস্থাটিতে বর্তমানে মাত্র ৫০টি ফগার মেশিন চালু, আর নষ্ট আছে ৪০টির মতো। ওষুধের কার্যকারিতা যাচাই শেষ হলেও সীমিত ফগার মেশিন দিয়ে কীভাবে ডেঙ্গু নিধন করা যাবে জানতে চাইলে কমিটির আরেক সদস্যে চসিকের সচিব খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘ফগার মেশিন এখন চালু আছে ৬০টির মতো। আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম তো চলছেই এগুলো দিয়ে। যদি আরও ফগার মেশিন লাগে, তবে জরুরি ভিত্তিতে আমরা তা কিনে নেব।’
কমিটির সদস্য পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মোবারক আলীর দাবি, ‘অনেকের একটা মনস্তাত্ত্বিক ধারণা, ফগার মেশিন দিয়ে ওষুধ না ছিটালে মশা মরে না। আসলে এ ক্ষেত্রে কার্যকর হলো লাইট ডিজেল অয়েল আর লার্ভিসাইড ছিটানো। আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা এখন সেটিই করছে।’
গত কয়েক দিনের বৃষ্টি আর রাজধানীর ডেঙ্গু পরিস্থিতির কারণে চট্টগ্রামেও হঠাৎ করে বেড়েছে উদ্বেগ ও আতঙ্ক। এডিস মশার উৎপাত রোধে তাই এবার নতুন মিশনে নামছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।
যদিও সংস্থাটির বেশ কয়েকজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে, উড়ন্ত মশা নয়, বরং মশার প্রজননক্ষেত্র বা লার্ভা মারার ওপর গুরুত্ব দিয়েই আপাতত চলবে ডেঙ্গু রোধের এই কার্যক্রম। কিন্তু ফগার মেশিনের সংকট ও পরিণত মশা মারার ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ দুটি কারণেই এখন উড়ন্ত মশা মারায় সেভাবে আত্মবিশ্বাসী হতে পারছেন না সংস্থাটির কর্তারা। তাই আপাতত কালো তেল আর লার্ভিসাইড ছিটিয়ে প্রজননক্ষেত্র ধ্বংসের অভিযানে নামছে তাঁরা।
ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জরুরি ভিত্তিতে ডেঙ্গুনিধন কার্যক্রম ও অভিযান চালাতে গত সোমবার এক সভায় সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি। পুরো কার্যক্রম পরিচালনার জন্য করা হয় ছয় সদস্যের একটি বিশেষ কমিটি। নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে এই কমিটির আওতায় কাজ করবে প্রায় দেড় হাজার স্বেচ্ছাসেবক।
ডেঙ্গু মৌসুমের মাঝখানে এভাবে তড়িঘড়ি করে কেবল লার্ভা মেরে এডিস মশার বংশ বিস্তার কতটুকু রোধ করা যাবে, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। অথচ চার মাস আগে গত মার্চে মশার ওষুধের কার্যকারিতা যাচাইয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা দলকে দায়িত্ব দিয়েছিল চসিক। তবে বাজেট জটিলতায় সে কাজ শুরু হয় অনেক দেরিতে, এ মাসের ৫ তারিখ।
এ নিয়ে জানতে চাইলে কমিটির আহ্বায়ক চসিকের প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘গবেষক দলের প্রতিবেদন পাওয়া পর্যন্ত আমরা মশার প্রজননক্ষেত্রে লার্ভিসাইড আর কালো তেল ছিটিয়ে নিয়মিত কার্যক্রম চলাব। আশা করছি আগামী মাসের শুরুতেই তারা প্রতিবেদন দেবে। সেটি পেলেই দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে আমরা বড় মশা মারার কাজও শুরু করব।’
মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, প্রতিটি ওয়ার্ডে ‘আরবান কমিউনিটি ভলান্টিয়ার’দের একটি করে দল গঠন করা হচ্ছে। তাদের পরিচয়পত্র আর নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে ওয়ার্ডের আকার অনুযায়ী ৩০ থেকে ৪০ জন করে দেড় হাজার স্বেচ্ছাসেবক রাখা হচ্ছে। তাঁদের কাজ হবে কোভিড নিয়ে সচেতনতার পাশাপাশি ডেঙ্গু রোধে মাইকিং ও সচেতনতা নিয়ে কাজ চালানো।
চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের সূত্রে জানা গেছে, সংস্থাটিতে বর্তমানে মাত্র ৫০টি ফগার মেশিন চালু, আর নষ্ট আছে ৪০টির মতো। ওষুধের কার্যকারিতা যাচাই শেষ হলেও সীমিত ফগার মেশিন দিয়ে কীভাবে ডেঙ্গু নিধন করা যাবে জানতে চাইলে কমিটির আরেক সদস্যে চসিকের সচিব খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘ফগার মেশিন এখন চালু আছে ৬০টির মতো। আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম তো চলছেই এগুলো দিয়ে। যদি আরও ফগার মেশিন লাগে, তবে জরুরি ভিত্তিতে আমরা তা কিনে নেব।’
কমিটির সদস্য পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মোবারক আলীর দাবি, ‘অনেকের একটা মনস্তাত্ত্বিক ধারণা, ফগার মেশিন দিয়ে ওষুধ না ছিটালে মশা মরে না। আসলে এ ক্ষেত্রে কার্যকর হলো লাইট ডিজেল অয়েল আর লার্ভিসাইড ছিটানো। আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা এখন সেটিই করছে।’
গত রমজানের শুরুতে হঠাৎ ধরা পড়ে তার ব্লাড ক্যানসার। আর্থিক সংকটে প্রাথমিক চিকিৎসার পর থেমে যায় তার চিকিৎসা কার্যক্রম। বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলার মানবিক স্বেচ্ছাসেবীরা এগিয়ে আসেন। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে সাহায্য চেয়ে তারা প্রায় পৌনে তিন লাখ টাকা সংগ্রহ করেন।
৩ মিনিট আগেরাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৫ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৫ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
৫ ঘণ্টা আগে