জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) একটি বেডে নিস্তব্ধ-নিথর হয়ে শুয়ে আছেন রক্তিম সুশীল। শরীরে এখনো প্রাণ আছে বটে তবে নয় দিনেও জ্ঞান ফেরেনি পাঁচ ভাই হারানো এই তরুণের। কবে সুস্থ হবেন রক্তিম-এই আশায় আইসিইউর বাইরে নির্ঘুম সময় কাটছে স্বজনদের। ক্লান্তিহীন অপেক্ষায় আছে আরও একজন। নাম তার অন্তিম শর্মা ঋদ্ধি। তিন বছরের শিশুটি রক্তিমেরই সন্তান।
আইসিইউ বলে-সব সময় এখানে ভর করে থাকে সুনসান নীরবতা। তবে সেই নীরবতা ভাঙে ছোট্ট ঋদ্ধির আর্তিতে। আইসিইউর দিকে চিকিৎসক আসতে দেখেই সামনে দাঁড়ায় শিশুটি। কান্নায় বুজে আসা গলায় এরপর ঋদ্ধি চিকিৎসকদের বলে ওঠে, ‘আংকেল, আংকেল বাবা অনেক কষ্ট পাচ্ছেন। তাঁকে বড় বড় ইনজেকশন দিয়ে সুস্থ করে দিন প্লিজ।’ বাবার জন্য ছোট্ট শিশুর এমন কষ্ট দেখে চোখ ভিজে ওঠে চিকিৎসকদেরও।
বুধবার দুপুরে চমেকের আইসিইউর বাইরে চকরিয়ায় দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত রক্তিমের ছেলে ঋদ্ধিকে পাওয়া গেল এভাবেই। সড়ক দুর্ঘটনায় আগেই মারা গেছেন রক্তিমের পাঁচ ভাই। একই দুর্ঘটনায় সেদিন প্রাণে বাঁচলেও এখনো শঙ্কামুক্ত নন তিনি। এখনো জ্ঞানই ফেরেনি তাঁর।
রক্তিম সুশীলের অবুঝ ছেলে ঋদ্ধি এই জ্ঞান না ফেরাটাকে মনে করছে, তার বাবা ঘুমিয়ে আছে। মা সুমানা শর্মা যখনই আইসিইউ থেকে তার বাবাকে দেখে আসে, তখনই তাঁর কাছে ঋদ্ধি জানতে চায়, বাবা এখনো ঘুমিয়ে আছে কেন? মা সুমনা শর্মা পাহাড় সমান কষ্ট বুকে চাপা রেখে অবুঝ ছেলেটির প্রশ্নের উত্তরে শুধু বলে, ‘তোমার বাবা একটু অসুস্থ। তাই ঘুমাচ্ছে। একটু পর ঘুম ভাঙবে।’
আইসিইউর ভেতর থেকে সাদা পোশাক পড়া কোনো চিকিৎসক বের হলে, হাতটি ধরে আংকেল, আংকেল বাবা অসুস্থ। বড় বড় ইনজেকশন দিয়ে তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দেন। সুস্থ হয়ে বাবা চকলেট আনবে, চিপস আনবে।
রক্তিম সুশীলের স্ত্রী সুমনা শর্মা রাতদিন সেবা করতে করতে চেহারাও পাল্টে গেছে। কখন চিকিৎসক এসে বলবে, রক্তিমের জ্ঞান ফিরেছে সেই অপেক্ষায় সুমনা। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভগবানের কাছে এখন একটাই চাওয়া স্বামীকে ফিরিয়ে দিন।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। কেবল প্রার্থনায় রক্তিম ফিরে আসতে পারে।’
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভোরে কক্সবাজারের চকরিয়ায় পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় অনুপম সুশীল, নিরুপম সুশীল, দীপক সুশীল, চম্পক সুশীল ও স্মরণ সুশীল নিহত হন। একই দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ওই দিন চমেকে ভর্তি হন রক্তিম সুশীল। তাঁর আইসিইউ সাপোর্ট প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আইসিইউ খালি না থাকায় পরদিন ম্যাক্স হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে এক দিন রাখা হয়। কিন্তু আর্থিক কষ্টে থাকা পরিবারটির বেসরকারি হাসপাতালের ব্যয় বহন করার সামর্থ্য নেই। এ জন্য পরে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। সেখানে দুদিন ধরে লাইফ সাপোর্টে থাকার পর চমেকে নিয়ে আসা হয়।
রক্তিম সুশীলের বাবা সুরেশ চন্দ্র গত ৩০ জানুয়ারি মারা যান। সুরেশের মৃত্যুর ১০ দিন পূর্ণ হওয়ায় ৮ ফেব্রুয়ারি পারিবারিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে সুরেশের ছেলেমেয়েরা বাড়িতে এসেছিলেন। বাবার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) একটি বেডে নিস্তব্ধ-নিথর হয়ে শুয়ে আছেন রক্তিম সুশীল। শরীরে এখনো প্রাণ আছে বটে তবে নয় দিনেও জ্ঞান ফেরেনি পাঁচ ভাই হারানো এই তরুণের। কবে সুস্থ হবেন রক্তিম-এই আশায় আইসিইউর বাইরে নির্ঘুম সময় কাটছে স্বজনদের। ক্লান্তিহীন অপেক্ষায় আছে আরও একজন। নাম তার অন্তিম শর্মা ঋদ্ধি। তিন বছরের শিশুটি রক্তিমেরই সন্তান।
আইসিইউ বলে-সব সময় এখানে ভর করে থাকে সুনসান নীরবতা। তবে সেই নীরবতা ভাঙে ছোট্ট ঋদ্ধির আর্তিতে। আইসিইউর দিকে চিকিৎসক আসতে দেখেই সামনে দাঁড়ায় শিশুটি। কান্নায় বুজে আসা গলায় এরপর ঋদ্ধি চিকিৎসকদের বলে ওঠে, ‘আংকেল, আংকেল বাবা অনেক কষ্ট পাচ্ছেন। তাঁকে বড় বড় ইনজেকশন দিয়ে সুস্থ করে দিন প্লিজ।’ বাবার জন্য ছোট্ট শিশুর এমন কষ্ট দেখে চোখ ভিজে ওঠে চিকিৎসকদেরও।
বুধবার দুপুরে চমেকের আইসিইউর বাইরে চকরিয়ায় দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত রক্তিমের ছেলে ঋদ্ধিকে পাওয়া গেল এভাবেই। সড়ক দুর্ঘটনায় আগেই মারা গেছেন রক্তিমের পাঁচ ভাই। একই দুর্ঘটনায় সেদিন প্রাণে বাঁচলেও এখনো শঙ্কামুক্ত নন তিনি। এখনো জ্ঞানই ফেরেনি তাঁর।
রক্তিম সুশীলের অবুঝ ছেলে ঋদ্ধি এই জ্ঞান না ফেরাটাকে মনে করছে, তার বাবা ঘুমিয়ে আছে। মা সুমানা শর্মা যখনই আইসিইউ থেকে তার বাবাকে দেখে আসে, তখনই তাঁর কাছে ঋদ্ধি জানতে চায়, বাবা এখনো ঘুমিয়ে আছে কেন? মা সুমনা শর্মা পাহাড় সমান কষ্ট বুকে চাপা রেখে অবুঝ ছেলেটির প্রশ্নের উত্তরে শুধু বলে, ‘তোমার বাবা একটু অসুস্থ। তাই ঘুমাচ্ছে। একটু পর ঘুম ভাঙবে।’
আইসিইউর ভেতর থেকে সাদা পোশাক পড়া কোনো চিকিৎসক বের হলে, হাতটি ধরে আংকেল, আংকেল বাবা অসুস্থ। বড় বড় ইনজেকশন দিয়ে তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দেন। সুস্থ হয়ে বাবা চকলেট আনবে, চিপস আনবে।
রক্তিম সুশীলের স্ত্রী সুমনা শর্মা রাতদিন সেবা করতে করতে চেহারাও পাল্টে গেছে। কখন চিকিৎসক এসে বলবে, রক্তিমের জ্ঞান ফিরেছে সেই অপেক্ষায় সুমনা। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভগবানের কাছে এখন একটাই চাওয়া স্বামীকে ফিরিয়ে দিন।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। কেবল প্রার্থনায় রক্তিম ফিরে আসতে পারে।’
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভোরে কক্সবাজারের চকরিয়ায় পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় অনুপম সুশীল, নিরুপম সুশীল, দীপক সুশীল, চম্পক সুশীল ও স্মরণ সুশীল নিহত হন। একই দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ওই দিন চমেকে ভর্তি হন রক্তিম সুশীল। তাঁর আইসিইউ সাপোর্ট প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আইসিইউ খালি না থাকায় পরদিন ম্যাক্স হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে এক দিন রাখা হয়। কিন্তু আর্থিক কষ্টে থাকা পরিবারটির বেসরকারি হাসপাতালের ব্যয় বহন করার সামর্থ্য নেই। এ জন্য পরে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। সেখানে দুদিন ধরে লাইফ সাপোর্টে থাকার পর চমেকে নিয়ে আসা হয়।
রক্তিম সুশীলের বাবা সুরেশ চন্দ্র গত ৩০ জানুয়ারি মারা যান। সুরেশের মৃত্যুর ১০ দিন পূর্ণ হওয়ায় ৮ ফেব্রুয়ারি পারিবারিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে সুরেশের ছেলেমেয়েরা বাড়িতে এসেছিলেন। বাবার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, কর্মজীবী হিসেবে আমি চাকরি জীবনে যাদের মুক্তিযোদ্ধা সহকর্মী হিসেবে পাই, তাদের ধরে নিতে পারেন ৮০ থেকে ৯০ ভাগই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা।
৩ মিনিট আগেঠাকুরগাঁওয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে সেলিম রেজা (২৭) নামের এক যুবককে ২১ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করেছে। তিনি একজন জুলাই যোদ্ধা বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
৩ মিনিট আগেচট্টগ্রাম নগরীতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের খবর পেয়ে অভিযানে গেলে পুলিশের এক কর্মকর্তাকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার (১১ আগস্ট) দিবাগত রাত ১টার দিকে বন্দর থানার ঈশান মিস্ত্রির ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন বন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ ওরফে রানা।
৬ মিনিট আগেউপমহাদেশের শাস্ত্রীয় সংগীতের অন্যতম পুরোধা পণ্ডিত অমরেশ রায় চৌধুরী আর নেই। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় রাজশাহী মহানগরীর রানীবাজার এলাকার নিজ বাসভবন ‘মোহিনী গার্ডেন’-এ তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। অমরেশ রায় চৌধুরী বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী ছিলেন
৭ মিনিট আগে