Ajker Patrika

পার্বত্য অঞ্চলের প্রতি ইঞ্চি জায়গা কাজে লাগানো হবে: পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর

আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২২, ১০: ৩৯
পার্বত্য অঞ্চলের প্রতি ইঞ্চি জায়গা কাজে লাগানো হবে: পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর

পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী পাহাড়ি অঞ্চলের প্রতি ইঞ্চি জায়গাকে কাজে লাগানো হবে। পাহাড়ে ফলের বাগান করে পার্বত্য জনগণ স্বাবলম্বী হতে পারবে। কফি, কাজু বাদাম, তুলা চাষ পার্বত্য অঞ্চলের জন্য সম্ভাবনাময় কৃষিপণ্য হিসেবে পরিগণিত হতে চলেছে।’

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার রামগড় উপজেলার পাতছড়া ইউনিয়নের থলিবাড়ী এলাকায় কফি ও কাজুবাদামের বাগান পরিদর্শন ও গুইমারা উচ্চবিদ্যালয়ের নবনির্মিত অডিটোরিয়াম ভবন উদ্বোধন শেষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুই প্রু চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সত্যেন্দ্র কুমার সরকার, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মো. নুরুল আলম চৌধুরী পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (অতিরিক্ত সচিব) ইফতেখার আহমেদ, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. হুজুর আলী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ, খাগড়াছড়ির নির্বাহী প্রকৌশলী রেবেকা আহসান, গুইমারা ইউএনও মুতাসেম বিল্লাহ, রামগড় ইউএনও খোন্দকার ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত উপস্থিত ছিলেন। 

মন্ত্রী বীর বাহাদুর আরও বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ অব্যাহত রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী পার্বত্যবাসীদের ভালোবাসেন বলেই খাগড়াছড়ি জেলায় ৭ নভেম্বর ৪২টি সেতু ও সড়কের উদ্বোধন করেছেন। তিনি আস্থার সঙ্গে বলেন, পার্বত্য তিন জেলা ফলনের দিক থেকে বাংলাদেশ একদিন স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠবে। পার্বত্য ভূমির ফসলে সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ হবে একদিন। জাতির পিতার সোনার বাংলাদেশ বাস্তবে রূপ লাভ করবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘পুরুষের পাশাপাশি পাহাড়ি নারিরাও স্বাবলম্বি হচ্ছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশব্যাপী বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, ছাত্রছাত্রীদের বিনা মূলে বই বিতরণ, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা অব্যাহত রেখেছেন। এর আগে কোনো সরকারই দেশের নাগরিকদের এত সুযোগ-সুবিধা ও আর্থিক সুবিধা প্রদান করেনি।’

এরপর মন্ত্রী গুইমারা বড় পিলাক বাজারসংলগ্ন এলাকায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ, খাগড়াছড়ির সহায়তায় ৯০টি পরিবারের জন্য নিরাপদ সুপেয় পানি সরবরাহের উদ্বোধন করেন। এ ছাড়া মন্ত্রী গুইমারা উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপকারভোগীদের মধ্যে ৪০টি সেলাই মেশিন, ৪০টি ছাগল, ৪০টি কৃষি উপকরণ স্প্রে মেশিন বিতরণ করেন।

এর আগে মন্ত্রী খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার মহামুনি বৌদ্ধবিহার অনাথ আশ্রমের নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন এবং রামগড় উপজেলার মহামুনী বৌদ্ধবিহার ছাত্রাবাসের উদ্বোধন করেন। এ ছাড়া একই দিনে মন্ত্রী রামগড় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত