Ajker Patrika

চিন্ময়ের অনুসারীরা গায়েব, আইনজীবী সাইফুলের জানাজায় মানুষের ঢল

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম 
আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৯: ০৬
আজ বুধবার দ্বিতীয় দফায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের জানাজা চট্টগ্রাম নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ বুধবার দ্বিতীয় দফায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের জানাজা চট্টগ্রাম নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামে গা ঢাকা দিয়েছেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীরা। এখন মাঠে আছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা ও হত্যার শিকার আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের সহকর্মীরা। চট্টগ্রাম আদালত চত্বর, নিউ মার্কেট চত্বর, টাইগার পাস মোড় ও দামপাড়া ওয়াসার জমিয়তুল ফালাহ মাঠে বিক্ষোভ করেছেন তাঁরা।

আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জমিয়তুল ফালাহ ময়দান, আদালত চত্বর ও নিউ মার্কেট চত্বরে তিন দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজায় হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। আবেগাপ্লুত ছাত্র-জনতা নানা প্রতিবাদী স্লোগান দেন। প্রতিবাদী সমাবেশ করে টাইগার পাস মোড়ে।

জানাজায় বক্তারা বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা একটি বাইরের দেশের প্রেসক্রিপশনে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। সেই চেষ্টা সফল হতে দেওয়া হবে না। খুনিরা পার পাবে না।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সাইফুলের মরদেহ আনা হয়। সেখানে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আর বেলা দেড়টায় নিউ মার্কেট মোড়ে অনুষ্ঠিত হয় তৃতীয় নামাজে জানাজা।

জানাজায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন, বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল আহমেদ, নগর জামায়াতের আমির শাহজাহান চৌধুরী, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহসহ হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে জানাজায় ইমামতি করেন নগর জামায়াতের আমির শাহজাহান চৌধুরী।

চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত জানাজা শেষে উপদেষ্টা হাসান আরিফ বলেন, ‘যারা খুনের সঙ্গে জড়িত, সে যেই হোক, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ না। আইনের আওতায় তাকে আসতেই হবে। আমরা সংযত থাকব। আমাদের মধ্যে প্রতিহিংসা কাজ করবে না। কাজ করবে শুধু মহত্ত্ব। আমরা শোকে ভেঙে পড়ব না। শোকে আমরা স্টিলের মতো শক্ত হব। বিপ্লব ও গণ-অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে যারা উঠেপড়ে লেগেছে, সে যেই হয়ে থাকুক আমরা প্রতিহত করব।’

নগর জামায়াতের আমির শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘গত ১৫ দিন ধরেই আমি বলে আসছিলাম এ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস উসকানিমূলক সমাবেশ প্রেসক্লাবের সামনে করেছে, চেরাগির পাহাড়ে করেছে, লালদীঘির ময়দানে করেছে। আমি বলেছি এরা বেড়ে যাচ্ছে তাদের কোনো কর্মসূচি করতে দেবেন না। কিন্তু কেউ পাত্তা দেননি।’

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম নগরীর টাইগারপাস মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাদ আবদুল্লাহ। ছবি: আজকের পত্রিকা
আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম নগরীর টাইগারপাস মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাদ আবদুল্লাহ। ছবি: আজকের পত্রিকা

এদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাইফুল ইসলাম আলিফের জানাজা শেষে জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলের নেতৃত্ব দেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। মিছিলটি নগরীর টাইগারপাসে গিয়ে শেষ হয়।

এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ ও খান তালাত মাহমুদ রাফি উপস্থিত ছিলেন।

টাইগারপাস মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশে সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে ইসকনকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’ তিনি ভারতে বসে বাংলাদেশকে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার ঘোষণাও দেন।

কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আরও বলেন, ‘আমরা ভুলে যাই নাই, আওয়ামী লীগের সহায়তায় এই ইসকন কীভাবে গত ১৬ বছর পৃষ্ঠপোষকতায় বেড়ে উঠেছে, আজকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে স্বৈরাচারের সঙ্গী হয়েছে। ভারতের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশে অশান্তি সৃষ্টি করছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই ভারতের বুবু, ভারতের হাসিনা এই বাংলাদেশে তোমার আর ঠাঁই হবে না। ভারতে বসে যতই ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করা হোক, আমরা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষ সেই ষড়যন্ত্র রুখে দেব।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে সকল ধর্মের সহাবস্থান থাকবে। যে হিন্দু সে হিন্দু ধর্ম পালন করবে। যে বৌদ্ধ সে বৌদ্ধ ধর্ম পালন করবে। যে খ্রিষ্টান সে খ্রিষ্টান ধর্ম পালন করবে। আমরা সবার অধিকার রক্ষা করতে ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু ধর্মের দোহাই দিয়ে উগ্রবাদী সংগঠন পরিচালনা করবে, সেসব উগ্রবাদী সংগঠনকে বাংলাদেশে কোনো জায়গা দেওয়া হবে না।’

জঙ্গি ইসকনকে বিতাড়িত করা হাতের ময়লা—উল্লেখ করে শোক সমাবেশের বক্তব্যে নাগরিক কমিটির সদস্য ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, ‘যে রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা এই দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, যে রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে নতুন বাংলাদেশ এসেছে, সেই রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে এই চিন্ময়রা উসকানি দেয়। সেই রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে খুনি হাসিনারা উসকানি দেয়। সেই রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে জঙ্গি ইসকনরা উসকানি দেয়। সেই রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে ভারতের কিছু প্রেতাত্মারা উসকানি দেয়। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আমরা ১৬ বছরের খুনি হাসিনাকে দেশ ছাড়া করেছি এবং ছোটখাটো কিছু জঙ্গি ইসকনকে দেশছাড়া করা আমাদের জন্য হাতের ময়লা।’

সারজিস আলম আরও বলেন, ‘আমরা সকল ধর্মের প্রতি সহানুভূতিশীল। কিন্তু কেউ যদি আমাদের সহানুভূতিকে দুর্বলতা মনে করে আমরা কি তাদের ছেড়ে দেব? ...। আমরা কি এই জঙ্গি ইস্কনকে ছেড়ে দেব?। বীর চট্টলাবাসী আপনাদেরকে বলে দিতে চাই আমাদের চারপাশে অনেক চক্রান্ত ছিল, আরও চক্রান্ত হবে কিন্তু আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সকল চক্রান্ত প্রতিহত করতে হবে।’

বাংলাদেশের প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে অভিযোগ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই প্রশাসনের যেসব জায়গায় স্বৈরাচারের দোসরেরা বিরাজমান তাঁদের সমূলে নির্মূল করতে হবে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ভারতীয় প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশ চলবে না। যদি কেউ ধর্মের দোহাই দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে, তাহলে আমরা বাংলাদেশের ছাত্রজনতা তাদের প্রতিহত করতে একবারও ভাবব না।’

ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাসেল আহমেদকে বলেন, ‘এই দেশে কোনো উগ্রবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনের ঠাঁই হবে না, কেউ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। এই বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আমরা ১৫ দিনের মধ্যে ইসকনকে নিষিদ্ধকরণ চাই। ইসকনের সন্ত্রাসীরা গতকাল আমাদের ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমরা এর বিচার চাই। পুলিশ প্রশাসনকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে ফাঁসিতে ঝুলাতে হবে।’

তথ্যমতে, সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে তাঁকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন নামঞ্জুর করা হয়। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁর অনুসারীরা।

একপর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে সেটা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এর মধ্যে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে (৩৫) খুন করে চিন্ময়ের অনুসারীরা। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই অভিযান চালিয়ে ৩০ জনকে আটক করে যৌথবাহিনী

সাইফুল ইসলাম আলিফ লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম জালাল উদ্দিন। ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন সাইফুল। পরে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধন পান।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীর সাত এলাকায় ১২ ককটেল বিস্ফোরণ, তিন গাড়িতে আগুন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৩: ১৭
ধানমন্ডি লাইব্রেরীর সামনে বাসে আগুন। ছবি: সংগৃহীত
ধানমন্ডি লাইব্রেরীর সামনে বাসে আগুন। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীতে সারা দিন ধরে একের পর এক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত সাত এলাকায় ১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। যদিও এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ হতাহত হয়নি।

আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরের পাশে শাহ আলী মার্কেটের সামনে পরপর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। একই সময়ে খিলগাঁও ফ্লাইওভারের ওপরও একটি ককটেল বিস্ফোরণের খবর দিয়েছে পুলিশ।

মিরপুর মডেল থানার কর্মকর্তারা জানান, ফুটওভার ব্রিজের ওপর থেকে কেউ ককটেল নিক্ষেপ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

এর এক ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার শিহাব সরকার বলেন, খবর পেয়ে মোহাম্মদপুর স্টেশন থেকে একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ধানমন্ডি বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান জানান, আগুন লাগার সময় বাসে কয়েকজন শিক্ষার্থী ছিলেন, তবে তাঁরা সবাই নিরাপদে নেমে আসতে সক্ষম হন। কেউ হতাহত হননি।

এর আগে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর চারটি স্থানে সাতটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে মিরপুরের গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে একটি, মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডে ‘প্রবর্তনা’র সামনে ও ভেতরে দুটি, ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারের সামনে দুটি এবং ধানমন্ডি ৯/এ এলাকার ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনে আরও দুটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়।

মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংক ভবনের অভ্যর্থনা কেন্দ্রের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। প্রথমটি গতকাল রোববার দিবাগত রাত ২টা ২৬ মিনিটে এবং অপরটি ভোররাত ৩টা ৫৫ মিনিটে বিস্ফোরিত হয়। দুটি ককটেল অভ্যর্থনা কেন্দ্রের সামনে বিস্ফোরিত হয়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ভবনেরও কোনো ক্ষতি হয়।

আজ সরেজমিনে দেখা যায়, ককটেল বিস্ফোরণের পর গ্রামীণ ব্যাংক ভবনের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ভবনের সামনের ফুটপাতে ও প্রধান ফটকের সামনে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকতেই দেখা যায় তিনজন নিরাপত্তাকর্মী ও একজন কর্মকর্তা বসে আছেন। সামনেই অভ্যর্থনাকক্ষ। কাচের দরজার অভ্যর্থনাকক্ষের প্রবেশের মুখে লালচে ককটেল বিস্ফোরণের দাগ ও বিস্ফোরিত অংশ পড়ে ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সেসব নিয়ে গেছে।

ঘটনার বিষয়ে গ্রামীণ ভবনের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আল হেলাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাত ২টা ২৬ মিনিটে প্রথম বিস্ফোরণ হয়। এরপর ভোররাত ৩টা ৫৫ মিনিটে দ্বিতীয় ককটেল হামলার ঘটনা হয়।

গ্রামীণফোন ভবনের অভ্যর্থনার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। ছবি: সংগৃহীত
গ্রামীণফোন ভবনের অভ্যর্থনার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। ছবি: সংগৃহীত

সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, হামলাকারীরা দুটি মোটরসাইকেলে করে মিরপুর ১০ নম্বরের দিক থেকে আসে, এরপর ভবনের সামনে মোটরবাইক থামিয়ে পেছনে বসা হেলমেট পরা ব্যক্তি সীমানাপ্রাচীরের ভেতরে ককটেল ছুড়ে মেরে মিরপুর-১ নম্বরের দিকে পালিয়ে যান। এরপর আরও একটি মোটরসাইকেলে করে প্রায় এক ঘণ্টা পর আরও দুজন একই কায়দায় এসে ককটেল ছুড়ে চলে যান। তবে তাঁদের মুখ দেখা যায়নি। ঘটনার পর আলামত ও সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়েছে পুলিশ।

মিরপুর মডেল থানার ফটক থেকে আনুমানিক এক শ গজ দূরে গ্রামীণ ভবনের ফটক। থানা ফটকে ও গ্রামীণ ব্যাংক ভবনের সামনে সব সময় পুলিশের পাহারা থাকে। এর মধ্যেই এই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিরাপদে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

একটি হামলার দেড় ঘণ্টা পর আরেকটি হামলার ঘটনা ঘটলেও পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীরা কাউকে আটকাতে পারেনি। এ বিষয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার সারোয়ার হোসেন বলেন, মোটরবাইকে করে এসে হামলা চালিয়ে তারা দ্রুত চলে যায়। তখন গভীর রাত ছিল, কত মোটরবাইক যায়, কোনগুলোকে আটকাবে।

ঘটনাস্থলে দেখা গেছে, বিস্ফোরিত ককটেলের ভেতরের পেরেক, কাচের টুকরা, জর্দার কৌটা ও স্কচটেপ পড়ে রয়েছে।

পুলিশের মিরপুর বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, মোটরসাইকেলে এসে দুজন ব্যক্তি এই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে গেছেন। তাঁদের মাথায় হেলমেট ছিল। চেহারা বোঝা যায়নি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দুজনকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

গ্রামীণ ব্যাংক ভবনে হামলার পর সকাল ৭টার দিকে মোহাম্মদপুরের সৈয়দ স্যার সড়কের ৬/৮ ভবনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহারের খাদ্যপণ্যের প্রতিষ্ঠান প্রবর্তনা ও বীজবিস্তার ফাউন্ডেশনের সামনের সড়কে ও সীমানার ভেতরে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়।

দুজন হেলমেট পরে মোটরসাইকেলে এসে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান বলে জানিয়েছেন প্রবর্তনার নিরাপত্তাকর্মী মো. মোস্তফা।

নিরাপত্তাকর্মী মোস্তফা বলেন, ভোর সাড়ে ৬টার দিকে বান্দরবান থেকে তাঁদের দুটি বস্তায় জিনিসপত্র আসে। সেগুলো তিনি ভেতরে ঢোকানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় একটি মোটরবাইকে দুজন এসে ভবনের সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়ান। পরে তাঁরা পশ্চিম দিকে চলে যান। কিছুক্ষণ পর আবার ঘুরে আসেন। একজন বাইক থেকে নামেন, প্রথমে একটি ককটেল মারেন, সেটি সীমানাপ্রাচীর থেকে উড়ে একটি পিকআপ ভ্যানের ওপর পড়ে। এরপর আরও একটি নিক্ষেপ করলে সেটি ফুটপাতে বিস্ফোরিত হয়। এ সময় ওই ভবনে থাকা চারজন পুলিশ সদস্য বাইরে বের হন। তাঁরা বের হওয়ার আগেই বাইক নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তাদের মোটরবাইকের নম্বরপ্লেট কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। সিসি ক্যামেরা থাকলেও তাদের হেলমেটের কারণে চেহারা দেখা যায়নি।

প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, এর আগেও একবার পেট্রলবোমা হামলা হয়েছিল। তখন আগুন ধরে যায় ভবনের উত্তর পাশে। এরপর ভবনের নিরাপত্তা জোরদার করতে সব সময় পুলিশ রাখা হয়। এর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান বলেন, প্রবর্তনার সামনের সড়ক ও ভবনের ভেতরে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে কেউ আহত হয়নি।

এ ছাড়া ভোরে শাহজাদপুরে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাস এবং সকাল সোয়া ৬টার দিকে মেরুল বাড্ডায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কাছে আকাশ পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনাও ঘটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাজীপুরে তানভীর সিদ্দিকীর ছেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ ২ বিএনপির নেতার

গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরে তানভীর সিদ্দিকীর ছেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ ২ বিএনপির নেতার

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর বড় ছেলে ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে থানায় দুটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

সোমবার (১০) দুপুরে অভিযোগ দুটি করেন গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহনশ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও গাজীপুর জেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মিনার উদ্দিন ও কালিয়াকৈর পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি এ কে আজাদ।

অভিযোগে বলা হয়েছে, চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে অশালীন, কুরুচিপূর্ণ, বিভ্রান্তিমূলক ও রাষ্ট্রবিরোধী মন্তব্য প্রচার করে আসছেন। এসব বক্তব্য তিনি নিজের ফেসবুক আইডি ও বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এর আগেও তাঁর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় একাধিক মামলা করা হয়েছে এবং সেসব মামলায় তিনি কারাবরণ করেছেন। ৭ নভেম্বর তিনি তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে প্রকাশিত এক বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহনশ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির শ্রমবিষয়ক সহসম্পাদক হুমায়ুন কবির খান বলেন, ‘চৌধুরী ইরাদ সিদ্দিকী দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে নানা আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। তিনি নির্বাচনী প্রক্রিয়া বানচাল করার চেষ্টা করছেন।’

গাজীপুর-১ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা তাঁর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই। তিন বছর ধরে তাঁর সঙ্গে আমাদের কোনো পারিবারিক যোগাযোগ নেই। তিনি কিছুটা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন, যা এলাকাবাসী জানেন। প্রতিপক্ষরা পরিকল্পিতভাবে তাঁকে উসকানি দিচ্ছে।’

কালিয়াকৈর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওয়ালিদুর রহমান বলেন, ‘চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে দুটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়গুলো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফটিকছড়িতে বনকর্মীদের ওপর হামলা, আহত ৫

 ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
ফটিকছড়িতে বনকর্মীদের ওপর হামলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফটিকছড়িতে বনকর্মীদের ওপর হামলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ কাটতে বাধা দেওয়ায় বন বিভাগের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ সোমবার ভোরে উপজেলার হাসনাবাদ বিটের করলিয়া বড়টিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা শিফাত আল রাব্বানী, বাগানমালি মো. সোহেল, স্থানীয় যুবক এমদাদ প্রমুখ।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সৃজিত সংরক্ষিত আকাশমণিগাছ কেটে পাচারের চেষ্টা করছিল সংঘবদ্ধ গাছ চোরদের একটি দল। খবর পেয়ে শিফাতের নেতৃত্বে বনপ্রহরীরা ঘটনাস্থলে গেলে গাছ চোরেরা পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় করিম নামের একজনকে আটক করা হলে পথে তাঁর সহযোগীরা হামলা চালিয়ে তাঁকে ছিনিয়ে নেন।

বন বিভাগ জানিয়েছে, হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন পেলারখিল এলাকার আলমগীর, শাহজাহান ও আবছার; করালিয়া এলাকার আবিদ আলী, শাহাব উদ্দিন ও করিম; খিল্লাপাড়ার বাসিন্দা আলমগীর।

এ বিষয়ে শিফাত আল রাব্বানী বলেন, এটি পরিকল্পিত হামলা। হামলাকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে, দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বনাঞ্চল রক্ষায় নিয়মিত টহল জোরদার করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারি বনে হামলার ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চারটি আসন ফিরে পেয়ে বাগেরহাটে আনন্দ মিছিল

বাগেরহাট প্রতিনিধি
আসন ফিরে পাওয়ায় বাগেরহাটে আনন্দ মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা
আসন ফিরে পাওয়ায় বাগেরহাটে আনন্দ মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাগেরহাট জেলার সংসদীয় আসন চারটি বহাল রাখার আদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। আসন ফিরে পাওয়ায় সোমবার বাগেরহাটের বিভিন্ন স্থানে মিছিল করেছে বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।

সন্ধ্যা ৭টায় বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা একটি মিছিল বের করেন। শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার প্রেসক্লাবের সামনে এসে মিছিলটি শেষ হয়। পরে নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন বিএনপির নেতারা।

এদিকে আসন ফিরে পাওয়ায় মাগরিবের নামাজের পর বাগেরহাট পুরাতন কোর্ট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত হয়েছে। দোয়া মোনাজাতে জেলা বিএনপি ও সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির আহ্বায়ক এ টি এম আকরাম হোসেন তালিম অংশগ্রহণ করেন।

াগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির আহ্বায়ক বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমাদের চারটি আসন ছিল। হঠাৎ একটি আসন কমিয়ে দেওয়ায় আমরা বিক্ষোভ করেছি, হরতাল করেছি। আমরা আইনের আশ্রয়ও নিয়েছিলাম। আজ উচ্চ আদালত আমাদের আসন ফিরিয়ে দিয়েছেন। এতে পুরো বাগেরহাটবাসী খুশি। আল্লাহর রহমতে আর কোনো শক্তি আমাদের আসন ফিরিয়ে নিতে পারবে না।’

নির্বাচন কমিশন গত ৩০ জুলাই আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি কমিয়ে জেলায় তিনটি করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই বাগেরহাটবাসী আন্দোলন শুরু করেন। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন নেতা-কর্মীরা। এরপরও গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন জারি রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।

পরে ৭ সেপ্টেম্বর বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে বাগেরহাটের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে দুটি রিট করা হয়। বাগেরহাট প্রেসক্লাব, জেলা আইনজীবী সমিতি, জেলা বিএনপি, জেলা জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জেলা ট্রাক-মালিক সমিত একটি রিট করে। অন্যটি করেন চিতলমারী উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবর রহমান শামীম। রিটে বাংলাদেশ সরকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব ও অ্যার্টনি জেনারেলকে বিবাদী করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত