Ajker Patrika

চালকদের চেতনানাশক খাইয়ে মহাসড়কে ফেলে রেখে অটোরিকশা ছিনতাই করতেন তাঁরা

কুমিল্লা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ মে ২০২৪, ১৬: ৩৫
চালকদের চেতনানাশক খাইয়ে মহাসড়কে ফেলে রেখে অটোরিকশা ছিনতাই করতেন তাঁরা

চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ। এ সময় সাতটি অটোরিকশা, চারটি ব্যাটারি ও বেশ কিছু যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কুমিল্লা পুলিশ সুপার (এসপি) আবদুল মান্নান।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বলেন, কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার হারাতলী এলাকার মহাসড়কে পিষ্ট অবস্থায় একটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীকালে মৃতদেহটি অটোরিকশাচালক পরানের বলে ফিঙ্গার প্রিন্ট পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহত পরানের স্ত্রী বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

কিছুদিন যাবৎ কুমিল্লা মহানগরীসহ সদর দক্ষিণ ও বুড়িচং থানা এলাকায় একটি চক্র প্রায় একই রকম বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটায় বলে জেলা পুলিশের কাছে তথ্য আসে। এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ কাজ শুরু করে।

পুলিশ অভিযান চালিয়ে পরান হত্যাকাণ্ডে জড়িত জাবেদকে ২৭ মে রাতে আদর্শ সদর উপজেলার গোবিন্দপুর রেলগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যমতে, গতকাল সোমবার রাতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার মো. শহিদুল ইসলাম জাবেদ (২৬), মো. শরীফ (২৫), মো. রুবেল (২৮), চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মো. আমির হোসেন (৩২) ও মো. সোহাগ হোসেন (২৫)। কয়েক দিন ধরে কোতোয়ালি মডেল থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ছাড়া চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আমির হোসেনের গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে সাতটি অটোরিকশা, চারটি অটোরিকশার ব্যাটারি এবং বেশ কিছু অটোরিকশার যন্ত্রাংশ জব্দ করা হয়। গ্যারেজ মালিক আমির হোসেন এবং তাঁর অপর সহযোগী সোহাগ মিয়াকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তাঁরা দীর্ঘদিন যাবৎ চোরাই অটোরিকশা কিনে তাৎক্ষণিকভাবে রংসহ নানা রকম পরিবর্তন করে অন্যত্র বিক্রি করে আসছেন।

আসামিদের বরাতে তিনি আরও বলেন, চক্রটি দীর্ঘদিন যাবৎ সন্ধ্যায় মহানগরীসহ আশপাশ এলাকা থেকে কৌশলে অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে থাকে। একপর্যায়ে সুকৌশলে অটোরিকশার চালককে চেতনানাশক মিশ্রিত বিস্কুট, কোমল পানীয় খাইয়ে মহাসড়কে ফেলে রেখে অটোরিকশাটি নিয়ে চলে যায়। এ ক্ষেত্রে চেতনাহীন ড্রাইভার মহাসড়কে ভারী যানবাহনে পিষ্ট হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে ওই চক্রটি বেশ কয়েকটি ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত