দেলোয়ার হোসাইন আকাইদ, কুমিল্লা
‘বাবা, আল্লাহর রহমতে আমি ভালো হয়ে যাব, তুমি কোনো টেনশন কইরো না।’ দগ্ধ শরীরে বেডে শুয়ে কাতরাতে কাতরাতে এ কথাই বলেছিল মাহতাব। বাবাকে সাহস দিচ্ছিল। মাকে সান্ত্বনা দিচ্ছিল। প্রিয়জনেরা যেন ভেঙে না পড়ে—নিজের কষ্টের চেয়ে সেই চিন্তাই বড় ছিল তার কাছে। বাবা-মাকে ভরসা দেওয়া ছেলেটিই সবাইকে হতাশ করল!
চার দিন পোড়া শরীরের যন্ত্রণা সহ্য করে চিরবিদায় নিল কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার মাহতাব রহমান ভূঁইয়ার। রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে দগ্ধ হয়েছিল সপ্তম শ্রেণির এই শিক্ষার্থী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ২০ মিনিটে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে মাহতাব।
মৃত্যুর খবর আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে পুরো পরিবার। সন্ধ্যায় মরদেহ বাড়ি পৌঁছালে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয় কুমিল্লার দেবিদ্বারের রাজামেহার ইউনিয়নের চুলাশ ভূঁইয়া বাড়িতে। আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।
মাহতাবের বাবা মিনহাজ উদ্দিন ভূঁইয়া চোখ মুছতে মুছতে বলেন, ‘বার্ন ইউনিটে ছেলের কাছে যেতেই বলে, বাবা, আমি ঠিক হয়ে যাব। সে জানত সে কী অবস্থায় আছে, তবু আমাদের ভেঙে পড়তে দেয়নি। আমাদের সাহস দিত। ভাবিনি, ওর এই সাহসী কথাই হবে শেষ কথা!’
মিনহাজ বলেন, ‘আমার ছেলে ক্লাসে ফার্স্ট বয় ছিল। ওর বিরুদ্ধে কারও মুখে একটা বাজে কথা নেই। ১৪ বছরে ও কখনো কাউকে কষ্ট দেয়নি। আজ আমার কলিজার টুকরাটা সবাইকে ছেড়ে চলে গেল।’
একমাত্র সন্তান হারিয়ে কোনোভাবেই শোক সামলাতে পারছেন না বাবা-মা। মাহতাব ছিল মিনহাজ উদ্দিন ভূঁইয়া ওরফে মিনহাজুর রহমানের একমাত্র ছেলে। মেধাবী ও শান্ত স্বভাবের এই ছেলেটি পড়াশোনায় খুবই মনোযোগী ছিল। তার প্রিয় স্কুলজীবন, নতুন ব্যাগ, বই-পুস্তক—সবই এখন স্মৃতি।
মাহতাবের মামা রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘একটি দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল নিষ্পাপ এক কিশোরের। পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সবাই যেন হতবাক—এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া কঠিন।’
বৃহস্পতিবার এশার নামাজের পর চুলাশ উখারী বাজার শাহী ঈদগাহ মাঠে মাহতাবের জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশ নেন সহপাঠী, শিক্ষক, প্রতিবেশীসহ শত শত মানুষ। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
‘বাবা, আল্লাহর রহমতে আমি ভালো হয়ে যাব, তুমি কোনো টেনশন কইরো না।’ দগ্ধ শরীরে বেডে শুয়ে কাতরাতে কাতরাতে এ কথাই বলেছিল মাহতাব। বাবাকে সাহস দিচ্ছিল। মাকে সান্ত্বনা দিচ্ছিল। প্রিয়জনেরা যেন ভেঙে না পড়ে—নিজের কষ্টের চেয়ে সেই চিন্তাই বড় ছিল তার কাছে। বাবা-মাকে ভরসা দেওয়া ছেলেটিই সবাইকে হতাশ করল!
চার দিন পোড়া শরীরের যন্ত্রণা সহ্য করে চিরবিদায় নিল কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার মাহতাব রহমান ভূঁইয়ার। রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে দগ্ধ হয়েছিল সপ্তম শ্রেণির এই শিক্ষার্থী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ২০ মিনিটে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে মাহতাব।
মৃত্যুর খবর আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে পুরো পরিবার। সন্ধ্যায় মরদেহ বাড়ি পৌঁছালে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয় কুমিল্লার দেবিদ্বারের রাজামেহার ইউনিয়নের চুলাশ ভূঁইয়া বাড়িতে। আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।
মাহতাবের বাবা মিনহাজ উদ্দিন ভূঁইয়া চোখ মুছতে মুছতে বলেন, ‘বার্ন ইউনিটে ছেলের কাছে যেতেই বলে, বাবা, আমি ঠিক হয়ে যাব। সে জানত সে কী অবস্থায় আছে, তবু আমাদের ভেঙে পড়তে দেয়নি। আমাদের সাহস দিত। ভাবিনি, ওর এই সাহসী কথাই হবে শেষ কথা!’
মিনহাজ বলেন, ‘আমার ছেলে ক্লাসে ফার্স্ট বয় ছিল। ওর বিরুদ্ধে কারও মুখে একটা বাজে কথা নেই। ১৪ বছরে ও কখনো কাউকে কষ্ট দেয়নি। আজ আমার কলিজার টুকরাটা সবাইকে ছেড়ে চলে গেল।’
একমাত্র সন্তান হারিয়ে কোনোভাবেই শোক সামলাতে পারছেন না বাবা-মা। মাহতাব ছিল মিনহাজ উদ্দিন ভূঁইয়া ওরফে মিনহাজুর রহমানের একমাত্র ছেলে। মেধাবী ও শান্ত স্বভাবের এই ছেলেটি পড়াশোনায় খুবই মনোযোগী ছিল। তার প্রিয় স্কুলজীবন, নতুন ব্যাগ, বই-পুস্তক—সবই এখন স্মৃতি।
মাহতাবের মামা রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘একটি দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল নিষ্পাপ এক কিশোরের। পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সবাই যেন হতবাক—এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া কঠিন।’
বৃহস্পতিবার এশার নামাজের পর চুলাশ উখারী বাজার শাহী ঈদগাহ মাঠে মাহতাবের জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশ নেন সহপাঠী, শিক্ষক, প্রতিবেশীসহ শত শত মানুষ। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
পুলিশ জানায়, ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর রাজৈরে ভাঙচুর, বোমা বিস্ফোরণ ও লুটপাটের ঘটনায় পাঠানকান্দি গ্রামের এক বিএনপি কর্মীর দায়ের করা মামলায় শাজাহান মোল্লা এজাহারভুক্ত আসামি। ঘটনার পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
১২ মিনিট আগেশিবচরের সন্ন্যাসীরচর ইউনিয়নের রাজারচর আজগর হাওলাদারকান্দি গ্রামের শাহ আলম ও নাছিমা দম্পতির একমাত্র ছেলে ছিলেন হৃদয়। তিনি স্থানীয় একটি ফার্নিচারের কারখানায় কাজ করতেন। পড়াশোনা শেষ করে সৌদি আরবে থাকা চাচার সহায়তায় বিদেশে যাওয়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর।
১৭ মিনিট আগেজুলাই অভ্যুত্থানে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট এলাকায় দোকান কর্মচারী শহীদুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে মামলার আসামির সংখ্যা প্রায় ৫ গুণ বেড়ে ২৩১ জনে দাঁড়িয়েছে।
৩২ মিনিট আগেটাঙ্গাইলের সখীপুরে সন্তানদের সামনে স্ত্রী কাকলিকে (৩২) হত্যার পর পালিয়ে যাওয়া স্বামী মেহেদী হাসানকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকা থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটিলিয়ন (র্যাব-১৪) মেহেদীকে গ্রেপ্তার করে।
১ ঘণ্টা আগে