Ajker Patrika

বেতন-ভাতা নিয়ে ক্ষোভে জাহাজের মাস্টারকে হত্যা, তথ্য ফাঁসের ভয়ে আরও ৬ খুন: র‍্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও প্রতিনিধি, চাঁদপুর
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭: ০২
গ্রেপ্তারকৃত আকাশ মন্ডল ইরফান। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তারকৃত আকাশ মন্ডল ইরফান। ছবি: সংগৃহীত

এম ভি আল বাখেরা জাহাজের মাস্টারের ওপর ক্ষোভ থেকে তাঁকে হত্যা করেন সাত খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আকাশ মন্ডল ইরফান। পরে জাহাজে থাকা অন্য সদস্যরা বিষয়টি ফাঁস করে দিতে পারেন, এমন আতঙ্ক থেকে বাকি সাতজনকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। এর মধ্যে মাস্টারসহ সাতজনের মৃত্যু হলেও প্রাণে বেঁচে যান জাহাজের সুকানি জুয়েল।

র‍্যাব জানায়, নিয়মিত বেতন-ভাতা ও ছুটি না পাওয়ার জেরে এমভি আল-বাখেরা জাহাজের মাস্টারের প্রতি ক্ষিপ্ত ছিলেন ইরফান। ঘটনার সময় খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে প্রথমে মাস্টারকে হত্যা করেন তিনি। এই হত্যাকাণ্ডের আগে সবাইকে খাবারের সঙ্গে দুই পাতা ঘুমের ওষুধ মেশান অভিযুক্ত আকাশ মন্ডল ইরফান।

গ্রেপ্তার ইরফানকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত এসব ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আজ দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লা নগরের শাকতলা এলাকায় র‍্যাব-১১-এর সিপিসি-২ কুমিল্লা কার্যালয়ে সংবাদ ব্রিফিং করেন উপ–অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।

গত সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ইশানবালা খালের মুখে নোঙর করা জাহাজটিতে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে র‍্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র‍্যাব-১১ ও র‍্যাব-৬ যৌথ অভিযান চালিয়ে বাগেরহাটের চিতলমারী থেকে আকাশকে গ্রেপ্তার করে। তিনি বাগেরহাটের ফকিরহাট এলাকার জগদীশ মণ্ডলের ছেলে। তিনি জাহাজটিতে প্রায় ৮ মাস ধরে লস্কর পদে কর্মরত ছিলেন।

গতকাল মঙ্গলবার সাতজনকে খুনের ঘটনায় মামলা করেন জাহাজের মালিক মাহাবুব মুর্শেদ। মামলায় আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা ডাকাত দলকে।

গতকাল দায়ের করা মামলায় জানা যায়, ওই জাহাজে ৮ জন নন, ৯ জন ছিলেন। আর ওই ব্যক্তি হলেন আকাশ মন্ডল ইরফান। কথা বলতে অপারগ সুকানি জুয়েল লিখে এ তথ্য জানান। এরপরই ইরফানকে বাগেরহাট জেলার চিতলমারী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের সময় আকাশের কাছ থেকে একটি হ্যান্ড গ্লাভস, একটি ব্যাগ, ঘুমের ওষুধের খালি পাতা, নিহত ব্যক্তিদের ব্যবহৃত পাঁচটি ও আকাশের ব্যবহৃত দুটিসহ মোট সাতটি মোবাইল ফোন এবং বিভিন্ন জায়গায় রক্ত মাখানো নীল রঙের একটি জিনস প্যান্ট উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সময় ওই জিনস প্যান্ট পরেছিলেন তিনি।

গ্রেপ্তার আকাশ মন্ডল ইরফান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র‍্যাবকে বলেন, তিনি প্রায় আট মাস ধরে এই জাহাজে চাকরি করছেন। জাহাজের কর্মচারীরা ছুটি ও বেতন-বোনাস সময়মতো পেতেন না। বিভিন্ন ধরনের বিল কর্মচারীদের না দিয়ে জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়া একাই ভোগ করতেন। এ ছাড়া জাহাজের মাস্টার কর্মচারীদের সঙ্গে রাগারাগি করতেন। কারও ওপর নাখোশ হলে তাঁকে জাহাজ থেকে নামিয়ে দিতেন। তাদের বকেয়া বেতনও দিতেন না। এসব নিয়ে তিনি মাস্টারের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। তিনি তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। সে অনুযায়ী ১৮ ডিসেম্বর আকাশ তিন পাতা ঘুমের ওষুধ কিনে নিজের কাছে রেখে দেন। ২২ ডিসেম্বর সকাল আটটায় তাঁরা মোট ৯ জন জাহাজে ৭২০ টন ইউরিয়া সার নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। ওই রাতে খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে প্রথমে তিনি মাস্টারকে হত্যা করেন। পরে একে একে অন্যদের কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে সব জাহাজ তাদের গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে গেলে আকাশ নিজে জাহাজ চালাতে থাকেন। জাহাজটি একপর্যায়ে ইশানবালা খালের মুখে মাঝিরচরে আটকা পড়ে। তিনি জাহাজটি নোঙর করে পাশ দিয়ে যাওয়া ট্রলারে বাজার করার কথা বলে উঠে পালিয়ে যান।

সংবাদ সম্মেলনে মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন বলেন, এমভি আল-বাখেরা জাহাজ থেকে গত সোমবার বেলা তিনটার পরে পাঁচজনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আর তিনজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় জাহাজের মালিক মাহবুব মুর্শেদ বাদী হয়ে চাঁদপুরের হাইমচর থানায় একটি মামলা করেন। তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তায় গতকাল রাতে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফানকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য দেন।

র‍্যাব জানায়, তাঁকে হাইমচর থানায় হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে। তাঁর বিরুদ্ধে আগে কোনো মামলা নেই। তিনি মাদক সেবন করতেন না বলে র‍্যাবকে জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফরিদগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে শারমিন আক্তার (২১) নামের এক গৃহবধূর ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা-পুলিশ।

আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার চর দুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের আলোনিয়া গ্রাম থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে ওই গ্রামের সৌদি আরবপ্রবাসী মো. মামুন হোসেনের স্ত্রী।

নিহত ব্যক্তির স্বামীর পরিবারের বরাত দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইউসুফ মিয়া জানান, ঘটনার দিন বিকেলে স্বামীর বসতঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মরদেহ ঝুলে আছে দেখে বাড়ির লোকজন চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এসে পুলিশে খবর দেয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহ ও স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহআলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গরুকে ঘাস খাওয়ানো নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১২

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বরগুনার আমতলীতে বিরোধপূর্ণ জমিতে গরুকে ঘাস খাওয়ানো নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামের মোশাররফ হাওলাদার ও জসিম গাজীর মধ্যে ১৫ একর জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। আজ সকালে ওই জমিতে ঘাস খাওয়াতে জসিম গাজীর লোকজন গরু বাঁধেন। এতে বাধা দেন মোশাররফ হাওলাদারের লোকজন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ ঘটনায় আহত মোশাররফ হাওলাদার (৫৮), মেহেদী হাসান (২৮), রাহাত (২৭), জসিম গাজী (৩৯), মজনু গাজী (৩৬), মনির গাজী (৪৫), জহির গাজী (৪০), মন্নান গাজী (৬৫), স্বাধীন গাজী (২৫) ও আবু সাইদকে (১২) আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত জসিম গাজী ও মজনু গাজীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

আহত জসিম গাজী বলেন, ‘আমার জমির ঘাস খাওয়াতে গরু বাঁধি। মোশাররফ হাওলাদার ও তার লোকজন এতে বাধা দেয়। তারা আমার লোকজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেছে। এতে আমার সাতজন আহত হয়েছে।’

আহত মোশাররফ হাওলাদার বলেন, ‘জসিম গাজীর লোকজন আমার লোকজনকে পিটিয়েছে। এতে আমার পাঁচজন লোক আহত হয়েছে।’

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, আহত ব্যক্তিদের যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুজনকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ‘অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজধানীর প্রবেশপথ আমিনবাজার ও বিরুলিয়ায় যানবাহনে পুলিশের তল্লাশি

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার
ঢাকার প্রবেশপথ সাভারের আমিনবাজারে যানবাহনে পুলিশের তল্লাশি। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকার প্রবেশপথ সাভারের আমিনবাজারে যানবাহনে পুলিশের তল্লাশি। ছবি: আজকের পত্রিকা

আগামীকাল বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের ঢাকা লকডাউন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর প্রবেশপথ সাভারের আমিনবাজার ও বিরুলিয়ায় তল্লাশিচৌকি বসিয়ে ঢাকাগামী যানবাহনে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এ ছাড়া পুলিশের পাঁচটি ভ্রাম্যমাণ দল ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে টহল দিচ্ছে।

মহাসড়ক ঘুরে দেখা যায়, আজ বুধবার দুপুরের পর ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজারে ঢাকামুখী লেনে ও বিরুলিয়া সেতুর কাছে তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছে। এসব স্থানে ঢাকাগামী প্রায় সব ধরনের যানবাহন থামিয়ে পুলিশ তল্লাশি করছিল। এ সময় পুলিশ সন্দেহভাজন যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এবং তাঁদের পরিচয় ও ঢাকায় যাওয়ার কারণ জানতে চায়। তবে সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন তৈরি করা পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এর আগে আজ সকাল থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল সীমিত ছিল। তবে রাজধানী ও আশপাশের এলাকার মধ্যে বাস চলাচল অনেকটা স্বাভাবিক দেখা গেছে।

যানবাহনের চালক ও চালকের সহকারীরা জানান, রাজধানী, আশুলিয়াসহ একাধিক জায়গায় বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনার পর থেকে পরিবহনকর্মী ও যাত্রীদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ কারণে অনেক মালিকই তাঁদের বাস বের করছেন না।

সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা বলেন, আগামীকালের লকডাউনকে সামনে রেখে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় আমিনবাজার ও বিরুলিয়ায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। মহাসড়কে চলাচলরত বিভিন্ন যানবাহন তল্লাশির পাশাপাশি যাত্রীদের পরিচয়পত্র যাচাই করে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া পুলিশের পাঁচটি টহল দলকে মহাসড়কে টহলে রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘বায়রার’ ফখরুলকে কেন ছেড়ে দেওয়া হলো—তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতে তলব

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

মানব পাচার ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে হওয়া মামলায় জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠনের (বায়রা) সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল ইসলামকে আটকের পর আদালতে না পাঠিয়ে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে কেন—তা জানতে চেয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান এ-সংক্রান্ত নির্দেশ দেন।

মামলার বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবী আব্দুল খালেক মিলন।

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে হাজির হয়ে এই কারণ জানাতে হবে বলে আদেশে উল্লেখ করেছেন আদালত।

‘ফখরুলকে গ্রেপ্তার ও ছেড়ে দেওয়া’-সংক্রান্ত গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে বাদী আদালতে আবেদন দাখিল করেন।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, গত সোমবার রাতে বিদেশ থেকে ফেরার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ ফখরুলকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বনানী থানা থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

‘বায়রার’ সাবেক নেতা ফখরুল ইসলাম ও তাঁর সহযোগী জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে মানব পাচার ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ৪ নভেম্বর বনানী থানায় মামলাটি করা হয়। ৩ কোটি ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আরইউএল ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজিং পার্টনার মো. রুবেল হোসেন মামলাটি করেন।

এজাহারে বলা হয়, ফখরুল ইসলাম ও জসিম উদ্দিন তাঁকে মালয়েশিয়ার নিউ ভিশন গ্রিন ল্যান্ড এসএনডি, চাই চাং ফুড ইন্ডাস্ট্রি এসএনডিসহ ভালো ভালো কোম্পানিতে শ্রমিক পাঠানোর মিথ্যা আশ্বাস দেন। মৌখিক চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ২৭ মে ৫৫ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় পাঠানোর জন্য কর্মীপ্রতি ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে নগদ ৩ কোটি ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা তিনি আসামিদের হাতে তুলে দেন। এরপর আসামিরা ২৮ জন কর্মীকে মালয়েশিয়ায় পাঠালেও চুক্তি মোতাবেক কোম্পানিতে কাজ না দিয়ে তাঁদের অন্য জায়গায় নিয়ে আটকে রাখেন, ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্যাতন করেন এবং পুনরায় টাকা দাবি করেন। বাদীর চাপের মুখে শ্রমিকদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হলেও আসামিরা কাজের ব্যবস্থা করে দিতে পারেননি।

বর্তমানে আসামিদের কাছে বাদীর পাঠানো ২৮ জন কর্মীর সমস্যা সমাধান বা তাঁদের দেশে ফেরত আনার খরচ বাবদ এবং অন্যদের জন্য জমা দেওয়া আরও ১ কোটি ৪৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। আসামিরা সেই টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত