Ajker Patrika

সিএমপি কমিশনারের গোপন বার্তা ফাঁস, কনস্টেবল গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২৫, ১৪: ৪২
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের খুলশী থানা-পুলিশ অমি দাশ নামে এক পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজের দেওয়া ওয়্যারলেস বার্তা ফাঁস করার অভিযোগে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত অমি দাশ পুলিশ টেলিটক ইউনিটের কনস্টেবল। তিনি প্রেষণে সিএমপির খুলশী থানায় কর্মরত রয়েছেন। অমি দাশের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়ায়। তাঁর বাবার নাম রাজিব দাশ।

সিএমপির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তথ্যমতে, মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ওয়াকিটকিতে সিএমপির সব সদস্যের উদ্দেশে অস্ত্রধারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেন কমিশনার হাসিব আজিজ। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হাতে নগরের বন্দর থানার এক কর্মকর্তা গুরুতর আহত হওয়ার পর এই বার্তা দেন তিনি। সিএমপি কমিশনারের এই বার্তা ওয়াকিটকিসহ ভিডিও করেন এক কর্মকর্তা। পরবর্তী সময় তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি ছড়িয়ে দেন।

সিএমপি কমিশনারের এই বার্তা ফাঁস হওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েন চট্টগ্রাম নগরের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তারা। একাধিক টিম তদন্তের পর অমি দাশকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে গত সোমবার (১১ আগস্ট) দিবাগত রাত ২টার দিকে সল্টগোলা ক্রসিং ইশান মিস্ত্রি হাটসংলগ্ন সড়কে মিছিল করেন আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের হামলায় পুলিশের বন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ ওরফে রানা গুরুতর আহত হন।

পরদিন (মঙ্গলবার) দিবাগত রাতে ওয়্যারলেসে সিএমপির সব সদস্যদের উদ্দেশে মৌখিক নির্দেশনায় কমিশনার বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে যে অস্ত্রের প্রাধিকার ছিল, ওই প্রাধিকার অনুযায়ী থানার মোবাইল পার্টি, প্যাট্রোল পার্টি, ডিবির টিমসমূহ ও সব ফোর্স অস্ত্র ক্যারি করবে। আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়া এবং লাইভ এমুনিশন ছাড়া কোনো প্যাট্রোল পার্টি, মোবাইল পার্টি, ডিবির পার্টি, চেকপোস্ট পার্টি বের হবে না। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগের প্রাধিকার অনুযায়ী লাইভ এমুনিশন ছাড়া কেউ বের হবে না। প্রাধিকার অনুযায়ী অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং স্যুট পরে তারপর ডিউটিতে যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুধু রাবার বুলেট দিয়ে কাজ হচ্ছে না। বন্দরে (বন্দর থানা) একজন এসআই গুরুতর আহত হয়েছেন। আরেক দিন আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটবে। বন্দর থানার অফিসার যে অবস্থায় পড়েছেন, ওই পরিস্থিতিতে পড়লে যেন লাশ ছাড়া মোবাইল পার্টি, প্যাট্রোল পার্টি ফেরত না আসে। পুলিশের কোনো টহল পার্টির সামনে অস্ত্র বের করলে, আই রিপিট, সেটা ধারালো অস্ত্র হতে পারে কিংবা আগ্নেয়াস্ত্র হতে পারে—অস্ত্র বের করা মাত্র গুলি হবে, এতে কোনো সন্দেহ নাই, সবাইকে বলছি। আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার, দণ্ডবিধি ৯৬ থেকে ১০৬ পর্যন্ত, আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার সব পুলিশ অফিসারের আছে। অস্ত্র কিংবা কোপ দেওয়ার আগে অস্ত্র বের করামাত্র গুলি হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত