Ajker Patrika

বাসের ধাক্কায় আহত যাত্রী আইসিইউতে, ‘খরচ দিচ্ছে না’ শ্যামলী পরিবহন

জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২২, ২০: ৩৫
বাসের ধাক্কায় আহত যাত্রী  আইসিইউতে, ‘খরচ দিচ্ছে না’ শ্যামলী পরিবহন

শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন আবুল বশর নামে এক ব্যক্তি। তিনি বর্তমানে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। প্রথম দিকে শ্যামলী পরিবহন কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার সম্পূর্ণ খরচ বহন করার কথা দিলেও, তিন দিন পর খরচ দেবেন না বলে অভিযোগ করেছে আহতের পরিবার। অন্যদিকে শ্যামলী পরিবহন কর্তৃপক্ষ বলছে অভিযোগটি মিথ্যা।

দুর্ঘটনায় আহত আবুল বশরের ছোট ছেলে মো. গিয়াস উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে জানান, গত শনিবার সকাল ৯টায় কক্সবাজার বাংলাবাজার এলাকায় বাসা থেকে বের হয়ে দোকানের দিকে যাচ্ছিলেন তাঁর বাবা। তিনি তখন মূল সড়ক থেকে দূরে হাঁটছিলেন। শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস আরেকটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে তার বাবাকে ধক্কা দেয়। এতে গুরুতর আহত হন তিনি।

ওই বাসের এক ব্যক্তি প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে, পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) নিয়ে আসা। দায়িত্বরত চিকিৎসক রোগীকে দেখে, জরুরি ভিত্তিতে আইসিইউ সাপোর্টের প্রয়োজন বলে জানান। তখন ওই চিকিৎসক চমেকের আইসিইউর জন্য রেফার করলে আইসিইউ বিভাগ থেকে জানানো হয়, বেড খালি নেই। আবুল বশরের পরিবার শ্যামলী পরিবহনের কর্তৃপক্ষকে বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়ার অনুরোধ জানায়। 

কিন্তু চিকিৎসার জন্য যা দরকার তা চমেকে করতে বলে পরিবহন কর্তৃপক্ষ। বেসরকারি হাসপাতালের নেওয়ার খরচ তারা দিতে পারবে না। তর্কাতর্কির মধ্যেই প্রায় চার ঘণ্টা চমেকেই পড়েছিলেন আবুল বশর। চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও এ রকম একজন জরুরি রোগীকে আইসিইউতে নিতে পারেনি, এমনকি অক্সিজেন সাপোর্টও দেয়নি। 

এ সময় বিষয়টি নজরে আসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ছাত্র ও কয়েকজন আইনজীবীর। তাঁরা গিয়ে শ্যামলী পরিবহন কর্তৃপক্ষকে চাপ দিলে, শ্যামলী পরিবহনের কক্সবাজারের জিএম নিরঞ্জন সরকার ওই রোগী সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত সব খরচ বহন করার প্রতিশ্রুতি দেন। পরে বেসরকারি ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় ওই রোগীকে। দ্রুত আইসিইউ সাপোর্ট দেওয়া হয়। শনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ টাকার বিল এসেছে। 

আবুল বশরের ছোট ছেলে মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘শ্যামলী পরিবহন কর্তৃপক্ষ এই পর্যন্ত ৬০ হাজার টাকা দিয়েছে। আজ বুধবার এসে জানিয়েছে, তারা আর খরচ দিতে পারবে না। এখন আমরা নিরুপায়। এদিকে বাবার অবস্থায়ও ভালো না। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ‘‘সুস্থ হওয়ার পর তার অপারেশন করা যাবে।’’

তিনি আরও বলেন, ‘আইসিইউতে আরও কয়দিন রাখতে হবে, তা জানি না। এত বিশাল খরচ বহন করার মতোও পরিস্থিতি নেই। কী করব বুঝতে পারছি না। বাবাকে কী এভাবে হারাব? মূল সড়ক থেকে অনেক দূরে থেকেও তারা মেরে দেবে, আর কোনো ব্যবস্থাও নেবে না! প্রয়োজনে আমরা আইনের আশ্রয় নেব।’ 

চবির আইন অনুষদের সাবেক শিক্ষার্থী ও একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আইন কর্মকর্তা এবিএম ওমর বলেন, ‘আমাদের এক শিক্ষার্থীকে চমেকে দেখতে গিয়ে ওই দুর্ঘটনার বিষয়ে জানি। শ্যামলী পরিবহনের কর্মকর্তারা প্রথমে বেসরকারি হাসপাতালেও নিতেও চায়নি। আমাদের চাপে বেসরকারি হাসপাতালে নিতে বাধ্য হয়। শ্যামলী পরিবহন কর্তৃপক্ষ, রোগীর সম্পূর্ণ খরচ বহন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এখন শুনছি, তারা চিকিৎসা ব্যয় আর দেবেন না। এটি অন্যায়।’ 

জানতে চাইলে শ্যামলী পরিবহন কক্সবাজারের জিএম নিরঞ্জন সরকার আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি অস্বীকার বলেন, ‘চিকিৎসা খরচ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগটি সত্য নয়। আমরা রোগীর চিকিৎসা খরচ বহন করছি, সামনেও করব।’

তবে রোগীর ছেলে গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘তিনি মিথ্যা বলছেন। আজকে তিনি নিজে এসে আমাদেরকে জানিয়েছেন, তারা আর খরচ দেবেন না।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জুম নাচ-গানে রাজশাহীতে ঐতিহ্যবাহী ওয়ানগালা ও লবান উৎসব উদ্‌যাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনুষ্ঠানে গারো সম্প্রদায়ের তরুণীদের জুম নাচ। ছবি: আজকের পত্রিকা
অনুষ্ঠানে গারো সম্প্রদায়ের তরুণীদের জুম নাচ। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহীতে ধর্মীয় আচার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী ওয়ানগালা ও লবান (নবান্ন) উৎসব।

রাজশাহীর গারো সম্প্রদায় দীর্ঘ এক যুগ ধরে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে এই উৎসব উদ্‌যাপন করে আসছে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।

আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী নগরের বাগানপাড়ায় উত্তম মেষপালক ক্যাথিড্রাল গির্জা প্রাঙ্গণে দেবতাদের পূজার মধ্য দিয়ে উৎসবের শুরু হয়। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ‘আমুয়া’ ও ‘রুগালা’ পালনের পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক পর্ব। গারো শিল্পীরা নিজস্ব ভাষায় গান পরিবেশন করেন, যা দর্শকদের মুগ্ধ করে। অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ ছিল গারোদের ঐতিহ্যবাহী ‘জুম নাচ’, এটি উৎসবে আনন্দ-উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে দেয়।

উৎসবের আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রাজশাহী ক্যাথলিক ধর্মপ্রদেশের ডিডি বিশপ জের্ভাস রোজারিও। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি বহু জাতি, ভাষা ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্যময় অসাম্প্রদায়িক দেশ। এই ধরনের উৎসবের মাধ্যমে জাতিগত ঐতিহ্য রক্ষায় আমাদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করা উচিত। ওয়ানগালা ও লবান উৎসব আমাদের একতা ও সমন্বয়ের প্রতিফলন।’

রাজশাহী অঞ্চলের কারিতাস বাংলাদেশের আঞ্চলিক পরিচালক ড. আরোক টপ্য বলেন, ‘ওয়ানগালা ও লবান শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি আদিবাসীদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও সাংস্কৃতিক পরিচয় তুলে ধরতে এই উৎসব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী ক্যাথলিক ধর্মপ্রদেশের ভিকার জেনারেল ফাদার ফাবিয়ান মারান্ডা, রাজশাহী নানকিং গ্রুপের প্রোপ্রাইটর এহসানুল হুদা, রাজশাহী পারলার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রুকসানা হুদা এবং উত্তম মেষপালক ক্যাথিড্রাল গির্জার পালকীয় পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফ্রান্সিস সরেন। উৎসবের দিন গির্জা প্রাঙ্গণে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শত শত মানুষ একত্রিত হন, আনন্দ ভাগাভাগি করেন এবং ঐতিহ্যবাহী খাবারের দোকানে ঘুরে নানা স্বাদের খাবার উপভোগ করেন। জুমের আলু, কুমড়া, শামুক ও কাঁকড়ার মতো খাবার ছিল বিশেষ আকর্ষণ।

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষায় ‘ওয়ানগালা’ ও ‘লবান’ উৎসব মূলত জুম চাষের সঙ্গে সম্পর্কিত। গারো, সাঁওতাল, পাহাড়ি, মাহালি ও ওঁরাও—এই পাঁচ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী প্রতি বছর শস্যদেবতা ‘মিসি সালজং’-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে এবং নতুন ফসল খাওয়ার অনুমতি চেয়ে উৎসবটি পালন করেন। নতুন ফসল তোলার পর নকমা (গ্রামপ্রধান) সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে উৎসবের তারিখ নির্ধারণ করেন তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পানিতে ডুবে ২ শিশু মারা গেছে। শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কুট্টাপাড়া উত্তর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া শিশুরা হচ্ছে মো. তাকরিম (৩) উপজেলার কুট্টাপাড়া উত্তর এলাকার আক্তার হোসেনের ছেলে ও একই উপজেলার উচালিয়াপাড়া এলাকার মো. আরাফাত মিয়ার ছেলে মো. আদনান (৫)।

জানা গেছে, আদনান কিছুদিন আগে কুট্টপাড়া উত্তর এলাকায় তার নানাবাড়িতে বেড়াতে আসে। সকালে তার মামাতো ভাই তাকরিমের সঙ্গে বাড়ির পাশে পুকুরপাড়ে খেলা করছিল। একপর্যায়ে অসতর্কতাবশত ২ শিশু পুকুরের পানিতে ডুবে যায়। পরে স্বজনেরা শিশুদের না দেখে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে স্থানীয়রা পুকুরে ২ শিশুটিকে ভাসতে দেখেন। এ সময় পুকুর থেকে তাদের উদ্ধার করে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরশেদুল আলম চৌধুরী জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আগামী নির্বাচনে আ.লীগ ও তার দোসরেরা অংশগ্রহণ করতে পারবে না: গণঅধিকারের রাশেদ

ঝিনাইদ প্রতিনিধি
মো. রাশেদ খান। ছবি: আজকের পত্রিকা
মো. রাশেদ খান। ছবি: আজকের পত্রিকা

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কেউ অংশগ্রহণ করতে পারবে না। বাংলার জমিনে আর কোনো দিন ’১৮ বা ’২৪-এর মতো নির্বাচন হবে না। আমরা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি। যেখানে ফ্যাসিস্টদের কোনো জায়গা হবে না।’

শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌর অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘রাষ্ট্র সংস্কার ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠান থেকে ঝিনাইদহ-৪ আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী প্রভাষক সাখাওয়াত হোসেনকে পরিচয় করিয়ে দেন রাশেদ।

রাশেদ বলেন, এই সরকারের একজন উপদেষ্টা বলেছেন, আগামী সংসদ নির্বাচন আয়োজন নিয়ে এখনো টালবাহানা চলছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে যদি নির্বাচন না হয় তাহলে দেশে আবারও একটি ১/১১ নেমে আসতে পারে।

তিনি বলেন, তৃণমূলে এখনো দখলদারি চলছে। যারা এসব অপকর্ম করছে, তাদের জুলাই আন্দোলনের সব দল মিলে প্রতিহত করতে হবে। সন্ত্রাসীদের কোনো দলীয় পরিচয় নেই উল্লেখ করেন রাশেদ খান।

গণআধিকার পরিষদ কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদ ঝিনাইদহ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল জাহিদ রাজন, কালীগঞ্জ উপজেলা কমিটির সভাপতি সোলাইমান হোসেনসহ যুব ও ছাত্র পরিষদের জেলা শাখার সিনিয়র নেতারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে দুবাই থেকে আনা যাত্রীর সিগারেট-মোবাইল ফোন জব্দ

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুবাই থেকে আসা এক যাত্রীকে তল্লাশি চালিয়ে অবৈধভাবে আনা বিদেশি সিগারেট, প্রসাধনী সামগ্রী, মোবাইল ফোনসহ আনুমানিক ৪ লাখ টাকার মালপত্র জব্দ করেছে বিমানবন্দর শুল্ক গোয়েন্দা ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।

আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) বেলা পৌনে ১১টার দিকে দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি ১৪৮-এ আসা মো. মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন নামের এক যাত্রীর কাছ থেকে শুল্কায়ন ছাড়কালে এসব পণ্য পাওয়া যায়। তাঁর বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায়।

বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল জানিয়েছেন, ওই বিমানযাত্রীর কাছ থেকে ৫ কার্টন সিগারেট, ১২টি বিউটি ক্রিম, ৬টি মোবাইলসহ ১টি ল্যাপটপ পাওয়া যায়। ব্যাগেজ সুবিধার অতিরিক্ত এবং আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য হওয়ায় এসব মালপত্র জব্দ করা হয়। পরে বিমানবন্দর কাস্টমসের কাছে এসব মালপত্র হস্তান্তর করা হয়।

ওই যাত্রীর আগের রেকর্ড না থাকায় পাসপোর্ট নোট করে গোয়েন্দা প্রতিনিধির উপস্থিতিতে পরে মৌখিকভাবে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত