নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা থেকে
নির্বাচন কমিশন (ইসি) কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য (কুমিল্লা-৬) আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে নির্বাচনী এলাকা ছাড়ার যে কথা বলেছিলেন, সেটি ইসির এখতিয়ারবহির্ভূত বলে মন্তব্য করেছেন বাহাউদ্দিন বাহার। কুসিক নির্বাচনে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে বাহার বলেন, ‘আইন তো সবার জন্য সমান। নির্বাচন আইনটা নির্বাচন কমিশনের আগে মানতে হবে। আমি খুব দুঃখ পেয়েছি, একজন নির্বাচন কমিশনার আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে বলেছেন, আমি ল মেকার (আইন প্রণেতা) হয়ে আইন ভঙ্গ করেছি। আমি আপনাদের সামনে প্রশ্ন করছি, আপনারা কি আমাকে নির্বাচনে কোথাও দেখেছেন? আমি আইন কীভাবে ভাঙলাম? নির্বাচন কমিশন আমাকে যে চিঠি দিয়েছেন, এটা ওনারা এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে দিয়েছেন। ভাষাগতভাবেও ঠিক হয় নাই। একজন জাতীয় সংসদ সদস্যকে এভাবে ‘‘নির্দেশ’’ শব্দ ব্যবহার করতে পারেন না।’
এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘চিঠিটা অসমাপ্ত। চিঠিতে আইনের পুরো ব্যাখ্যা নেই। যদিও আইনটা নিয়ে আমার পার্লামেন্টে কথা বলতে হবে। আইনটা আমরা সংশোধন করব ইনশাআল্লাহ। হাইকোর্টে এটা নিয়ে রিট করেছি। রুলও পেয়েছি। এ জন্য বলি, এই আইনটা পরিবর্তন হবে। আমার তো সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে এখানে।’
বাহার বলেন, ‘আমি আজকেই প্রথম বের হলাম। আমি দুঃখিত আপনারা অনেকেই ঢাকা থেকে এসে আমাকে খুঁজেছেন, আমাকে পান নাই। নির্বাচন কমিশন আমাকে যে চিঠিটা দিয়েছে, ইতিমধ্যে কিছু ইয়েলো জার্নালিজম যারা করেন তারা বিভিন্নভাবে আমাকে হ্যারেজমেন্ট করেছেন। আপনারা কেউ নির্বাচন কমিশনকে জিজ্ঞেস করেছিলেন? আপনার কি অথরিটি আছে এই ভাষায় লেখার? আইনটা আমি বলি আপনাদের, আইনটা হচ্ছে, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কোনো সুবিধাভোগী ব্যক্তি নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। আমি সরকারের অংশ নই। আমি জাতীয় সংসদের অংশ। আমি জাতীয় সংসদ সদস্য। আমি সংসদের অংশ, সরকারের অংশ না। সুতরাং আমাকে এই আইনের আওতায় আটকে ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
বাহার বলেন, ‘আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি চেয়েছিলাম, আমাদের প্রিয় নেত্রী যেমন একটি সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন চায়, আমিও সেটাই চাই আমার কুমিল্লায়। আমি ১৯৮৪ সাল থেকে যত নির্বাচন করেছি, সব নির্বাচনে আমার সঙ্গে বিপরীত প্রতিদ্বন্দ্বীরা তাঁদের জামানত নিয়ে যেতে কষ্ট হয়েছে। আজকেও এই নির্বাচনে এই চিঠি আমার নির্বাচনকে অনেক এগিয়ে দিয়েছে। যে কাজটা আমি করতাম, সেই কাজটা এই চিঠি দেওয়ার কারণে কুমিল্লার মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে সবাই নৌকার পক্ষে ভোট দেবে। এই চিঠিটা যদি আমাকে না দিত, তাহলে কুমিল্লার মানুষ এতটা বিক্ষুব্ধ হতো না। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।’
সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমি উচ্চ আদালতে গিয়েছি, বলেছি আমার সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। রুল একটা ইস্যু হয়েছে। এই রুল নিষ্পত্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা সংসদে এটা নিয়ে কথা বলব।’
নির্বাচনে বাহার নাকি নৌকা, কার জয় হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে এই এমপি বলেন, ‘নৌকা হচ্ছে জাতির প্রত্যাশার একটা জায়গা। যেখানে নৌকা সেখানেই ভোট। নৌকার বিজয় হবে, বাহারের কোনো বিজয় হবে না।’
কুসিক নির্বাচন সম্পর্কিত খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন
ভোটের পরিবেশ সম্পর্কে বাহার বলেন, ‘উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হচ্ছে। কোনো গণ্ডগোল নাই, ঝামেলা নাই। আমি আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনকে বলতে চাই, অতি উৎসাহী কোনো কর্মকর্তা যেন পরিবেশ নষ্ট না করে। যারা প্রার্থী, সমর্থক সবাই উৎসবমুখর অবস্থায় আছে। সারা কুমিল্লায় উৎসবের আমেজ চলছে। এখন যদি আপনি দেখেন দশ-বারো জন ছেলেপেলে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে আছে তাহলে অতি উৎসাহী কোনো কর্মকর্তা যেন তাদের হ্যারেজমেন্ট না করে।’
কুসিক নির্বাচন ২০২২ সম্পর্কিত পড়ুন:
নির্বাচন কমিশন (ইসি) কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য (কুমিল্লা-৬) আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে নির্বাচনী এলাকা ছাড়ার যে কথা বলেছিলেন, সেটি ইসির এখতিয়ারবহির্ভূত বলে মন্তব্য করেছেন বাহাউদ্দিন বাহার। কুসিক নির্বাচনে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে বাহার বলেন, ‘আইন তো সবার জন্য সমান। নির্বাচন আইনটা নির্বাচন কমিশনের আগে মানতে হবে। আমি খুব দুঃখ পেয়েছি, একজন নির্বাচন কমিশনার আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে বলেছেন, আমি ল মেকার (আইন প্রণেতা) হয়ে আইন ভঙ্গ করেছি। আমি আপনাদের সামনে প্রশ্ন করছি, আপনারা কি আমাকে নির্বাচনে কোথাও দেখেছেন? আমি আইন কীভাবে ভাঙলাম? নির্বাচন কমিশন আমাকে যে চিঠি দিয়েছেন, এটা ওনারা এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে দিয়েছেন। ভাষাগতভাবেও ঠিক হয় নাই। একজন জাতীয় সংসদ সদস্যকে এভাবে ‘‘নির্দেশ’’ শব্দ ব্যবহার করতে পারেন না।’
এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘চিঠিটা অসমাপ্ত। চিঠিতে আইনের পুরো ব্যাখ্যা নেই। যদিও আইনটা নিয়ে আমার পার্লামেন্টে কথা বলতে হবে। আইনটা আমরা সংশোধন করব ইনশাআল্লাহ। হাইকোর্টে এটা নিয়ে রিট করেছি। রুলও পেয়েছি। এ জন্য বলি, এই আইনটা পরিবর্তন হবে। আমার তো সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে এখানে।’
বাহার বলেন, ‘আমি আজকেই প্রথম বের হলাম। আমি দুঃখিত আপনারা অনেকেই ঢাকা থেকে এসে আমাকে খুঁজেছেন, আমাকে পান নাই। নির্বাচন কমিশন আমাকে যে চিঠিটা দিয়েছে, ইতিমধ্যে কিছু ইয়েলো জার্নালিজম যারা করেন তারা বিভিন্নভাবে আমাকে হ্যারেজমেন্ট করেছেন। আপনারা কেউ নির্বাচন কমিশনকে জিজ্ঞেস করেছিলেন? আপনার কি অথরিটি আছে এই ভাষায় লেখার? আইনটা আমি বলি আপনাদের, আইনটা হচ্ছে, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কোনো সুবিধাভোগী ব্যক্তি নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। আমি সরকারের অংশ নই। আমি জাতীয় সংসদের অংশ। আমি জাতীয় সংসদ সদস্য। আমি সংসদের অংশ, সরকারের অংশ না। সুতরাং আমাকে এই আইনের আওতায় আটকে ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
বাহার বলেন, ‘আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি চেয়েছিলাম, আমাদের প্রিয় নেত্রী যেমন একটি সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন চায়, আমিও সেটাই চাই আমার কুমিল্লায়। আমি ১৯৮৪ সাল থেকে যত নির্বাচন করেছি, সব নির্বাচনে আমার সঙ্গে বিপরীত প্রতিদ্বন্দ্বীরা তাঁদের জামানত নিয়ে যেতে কষ্ট হয়েছে। আজকেও এই নির্বাচনে এই চিঠি আমার নির্বাচনকে অনেক এগিয়ে দিয়েছে। যে কাজটা আমি করতাম, সেই কাজটা এই চিঠি দেওয়ার কারণে কুমিল্লার মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে সবাই নৌকার পক্ষে ভোট দেবে। এই চিঠিটা যদি আমাকে না দিত, তাহলে কুমিল্লার মানুষ এতটা বিক্ষুব্ধ হতো না। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।’
সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমি উচ্চ আদালতে গিয়েছি, বলেছি আমার সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। রুল একটা ইস্যু হয়েছে। এই রুল নিষ্পত্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা সংসদে এটা নিয়ে কথা বলব।’
নির্বাচনে বাহার নাকি নৌকা, কার জয় হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে এই এমপি বলেন, ‘নৌকা হচ্ছে জাতির প্রত্যাশার একটা জায়গা। যেখানে নৌকা সেখানেই ভোট। নৌকার বিজয় হবে, বাহারের কোনো বিজয় হবে না।’
কুসিক নির্বাচন সম্পর্কিত খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন
ভোটের পরিবেশ সম্পর্কে বাহার বলেন, ‘উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হচ্ছে। কোনো গণ্ডগোল নাই, ঝামেলা নাই। আমি আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনকে বলতে চাই, অতি উৎসাহী কোনো কর্মকর্তা যেন পরিবেশ নষ্ট না করে। যারা প্রার্থী, সমর্থক সবাই উৎসবমুখর অবস্থায় আছে। সারা কুমিল্লায় উৎসবের আমেজ চলছে। এখন যদি আপনি দেখেন দশ-বারো জন ছেলেপেলে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে আছে তাহলে অতি উৎসাহী কোনো কর্মকর্তা যেন তাদের হ্যারেজমেন্ট না করে।’
কুসিক নির্বাচন ২০২২ সম্পর্কিত পড়ুন:
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
৩ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
৩ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
৩ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
৩ ঘণ্টা আগে