Ajker Patrika

বাঁশখালীতে নদী ভাঙনে ১৫ ঘর বিলীন, আতঙ্কে এলাকাবাসী

প্রতিনিধি, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম)
আপডেট : ০২ আগস্ট ২০২১, ১৩: ০৭
বাঁশখালীতে নদী ভাঙনে ১৫ ঘর বিলীন, আতঙ্কে এলাকাবাসী

চট্টগ্রাম বাঁশখালী উপজেলার পুকুরিয়া ও সাধনপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম শঙ্খ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সাগরের জোয়ারে ও পাহাড়ি ঢলে শঙ্খ নদীর তীব্র স্রোতের টানে গৃহহীন ভেঙে গেছে অনেক মানুষ ঘরবাড়ি। গত তিন দিনের স্রোতের টানে ভেঙে গেছে অন্তত ১৫টি পরিবারের বসতঘর। এ ছাড়া গত ৮ বছরে ভিটে বাড়ি জমি হারা হয়েছে শতাধিক পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো আশ্রয় নিয়েছে পাহাড়ের ঢালুতে। 

জানা যায়, একই অবস্থায় উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের বরুমছড়া, বৈলগাও, রাতরখোল, ঈশ্বর বাবুহাট এলাকা বেড়িবাঁধ ভাঙন দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ছে লোকালয়। সাগরের পানি প্রবাহের কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এলাকাবাসীর। 

নদী ভাঙনের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা গুলো হচ্ছে পুকুরিয়া সাধনপুর, চৌধুরীঘাট অংশ পোন্ডার ৬৪ /১-বি পুকুরিয়া তেচ্ছি পাড়ার দেড় কিলোমিটার, বরুমচড়া অংশ ৬০০ মিটার, বৈলগাঁও অংশ ৫০০ মিটার, রাতাখোদ্দ অংশ ১ দশমিক ১ কিলোমিটার। পোল্ডার ৬৪ / ১ এ ঈশ্বর বাবু হাট অংশ ১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভাঙন অংশে স্থায়ীভাবে নির্মাণ প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। পাউবো এর কমিটিতে অনুমোদন অপেক্ষায় বরাদ্দ হয়ে টেন্ডারের হলে স্থায়ীভাবে বেড়িবাঁধের কাজ শুরু হবে বলে জানান উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। 

বাঁশখালী পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, বাঁশখালী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সেসব এলাকাগুলো চিহ্নিত করে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো নতুন করে বরাদ্দের জন্য প্রোফাইল তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। 

তেচ্ছি পাড়ার বসতবাড়ি হারা বৃদ্ধ আজিজুল ইসলাম বলেন, গত ২৫ বছর আগে শঙ্খ নদীর ভাঙনে পূর্বে একবার বসতঘর ভেঙে নিয়েছিল। গত শনিবার আবারও ভেঙে নিয়ে গেল আমাদের পাকা দালান ঘর, গাছপালা। শেষ সম্বল জমি টুকু নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। 

সাধনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকা বলেন, সাধনপুর ইউনিয়নের বরুমচড়া বৈলগাঁও, রাতাখোদ্দ এলাকায় বেড়িবাঁধ পরিষদের অর্থায়নে জুন মাসে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাসান ব্রাদার্সের শ্রমিকেরা জিও ব্যাগ কুল হতে নদীতে নামাতে বাঁধ কেটে ফেলে। সে বেড়িবাঁধ মেরামত না করায় এলাকায় জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে বসতবাড়িতে ঢুকছে। 
 
চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ–বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রকাশন চাকমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাঁশখালীর শঙ্খ নদী ভাঙন এলাকায় স্থায়ী বাঁধ দেওয়া প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। জিও ব্যাগ দিয়ে মাটি ফেলে বেড়িবাঁধ রক্ষা হচ্ছে না। নতুন করে টেন্ডার হলেই বেড়িবাঁধের নির্মাণকাজ শুরু হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কুয়েটে ক্লাস বর্জন নিয়ে শিক্ষক সমিতিতে মতবিরোধ, এক শিক্ষকের পদত্যাগ

এনবিআর বিলুপ্তির জেরে প্রায় অচল দেশের রাজস্ব কর্মকাণ্ড

দুটি নোবেলের গৌরব বোধ করতে পারে চবি: প্রধান উপদেষ্টা

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রশ্নে যে প্রতিক্রিয়া জানাল যুক্তরাষ্ট্র

২ ম্যাচ খেলেই মোস্তাফিজ কীভাবে ৬ কোটি রুপি পাবেন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত