Ajker Patrika

জুলাইয়ে চালু হচ্ছে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল

আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২৮ জুন ২০২২, ১৩: ০৫
জুলাইয়ে চালু হচ্ছে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল

চলতি বছরের জুলাইয়ে চালু হতে পারে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি)। পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের (পিসিটি) ৯৫ শতাংশ নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এই টার্মিনাল চালু হলে বছরে সাড়ে চার লাখ টিইউস কনটেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের আশা করা হচ্ছে। পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) প্রজেক্ট বাস্তবায়ন কমিটির (পিটিসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান নির্মাণাধীন প্রকল্প ‘পতেঙ্গা কণটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি)’-এর সার্বিক বাস্তবায়ন ও অগ্রগতির খোঁজখবর নিয়েছেন। তিনি আগামী ঈদুল আজহার পরপরই পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিটিসি) চালু করতে চান। 

পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইতিমধ্যে পিটিসির প্রায় ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ। এখন শুধু শেষ মুহূর্তের কাজগুলো চলছে এবং আগামী জুলাই মাসে চালু করা হবে।’ 

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩২ একর জমির ওপর নির্মিত পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করতে ১ হাজার ২৩০ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। আগামী মাসেই এটি চালু করার চেষ্টা রয়েছে। এই টার্মিনাল পরিচালনা রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) নিয়মে পরিচালিত হবে। এ জন্য ইকুইপ, অপারেট অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স অব পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল প্রকল্পের নীতিগত অনুমোদন দেয় সরকার। 

২০১৭ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ পিসিটি প্রকল্পের সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করে। ২০১৮ সালের ২০ জানুয়ারি সেনাবাহিনীর কাছে প্রকল্পের কাজ হস্তান্তর করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এক বছর কাজ চলার পর বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাংলাদেশে দেখা দিলে কাজে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটে। এর পরে পিসিটি টার্মিনালের নির্মাণকাজ আবার পুরোদমে শুরু হয়ে এগিয়ে যায়।

পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের (পিসিটি) প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, বন্দরের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল প্রকল্পে রয়েছে ৩২ একর জায়গা। এতে ৬০০ মিটার জেটিতে তিনটি জাহাজ বার্থিং করতে পারবে। এ ছাড়া আরও একটি ২০৪ মিটার ডলফিন জেটি, ১ লাখ ১২ হাজার বর্গমিটার অভ্যন্তরীণ ইয়ার্ড এবং রাস্তা রাখা হয়েছে। ২ হাজার ১২৮ বর্গমিটার কনটেইনার ফ্রেইট স্টেশন শেড (সিএফএস), ৬ মিটার উচ্চতার ১ হাজার ৭৫০ মিটার কাস্টমস বন্ডেড ওয়াল, ৫ হাজার ৫৮০ বর্গমিটার পোর্ট অফিস বিল্ডিং, ১ হাজার ২০০ বর্গমিটার যান্ত্রিক ও মেরামত কারখানা, ৪২০ মিটার ফ্লাইওভার, যা চার লেন বিশিষ্ট এবং এক দশমিক ২০ কি. মি। এ ছাড়া সিকিউরিটি পোস্ট, গেস্টহাউস, ফুয়েল স্টেশন এবং লেবার শেড রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত