নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (কপাবিকে) স্পিলওয়ের ১৬টি জলকপাট খুলে দেওয়ার পর চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি উৎপাদনের পাঁচটি প্ল্যান্টে সর্বোচ্চ সতর্কতা নিয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। প্ল্যান্টগুলোর মধ্যে দুটি হালদা ও তিনটি কর্ণফুলী নদীর পাশে গড়ে তোলা হয়েছে। আজ রোববার সকালে জলকপাটগুলো একসঙ্গে খুলে দেওয়ার আগের দিন গতকাল শনিবার বিকেল থেকেই এ সতর্কতা নেওয়া হয়।
গতকালই জলকপাটগুলো খোলার কথা ছিল। তবে অবস্থা সহনীয় পর্যায়ে থাকায় আজ সকাল ৮টায় জলকপাটগুলো খোলা হয়েছে বলে জানান কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এ টি এম আব্দুজ্জাহের।
কাপ্তাই লেকের পানি ছাড়ার পর নদীতে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পেলে প্ল্যান্টগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। এ অবস্থায় অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে প্রকল্প নিরাপদ রাখতে গেটগুলোতে তিন ফুট উঁচু পর্যন্ত বালুর বস্তা রাখা রয়েছে। একই সঙ্গে প্রকল্পগুলো সার্বক্ষণিক নজরদারির আওতায় রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, ‘কাপ্তাই লেকের পানি ছাড়ার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। আগেও ১০৯ ফুট এমএসএল পানি হওয়ার পর লেকের পানি ছাড়া হয়েছিল। ওয়াসার প্ল্যান্টগুলোর কোনো সমস্যা হয়নি। এবারও হবে না। তারপরও আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছি। যাতে চট্টগ্রাম নগরীতে পানি সরবরাহে কোনো ব্যাঘাত না ঘটে।’
চট্টগ্রাম ওয়াসা থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, চট্টগ্রাম নগরীর কালুরঘাট এলাকায় মোহরা পানি শোধনাগার ও শেখ রাসেল পানি শোধনাগার প্ল্যান্ট দুটি গড়ে তোলা হয়েছে হালদা নদীর পাশে। এ দুই প্ল্যান্টের প্রতিটিতে ৯ কোটি লিটার করে ১৮ কোটি লিটার পানি উৎপাদন হয়। আর রাঙ্গুনিয়ায় শেখ হাসিনা-১ ও শেখ হাসিনা-২ প্ল্যান্ট দুটি কর্ণফুলী নদী ঘেঁষে গড়ে তোলা হয়েছে। দুই প্ল্যান্টের প্রতিটি থেকে ১৪ কোটি লিটার করে ২৮ কোটি লিটার পানি উৎপাদিত হয়। চার প্রকল্প থেকে ৪৬ কোটি লিটার পানি উৎপাদন করে চট্টগ্রাম ওয়াসা।
অন্যদিকে বোয়ালখালী উপজেলায় কর্ণফুলী নদীর পারে বাস্তবায়নাধীন ভান্ডালজুড়ি প্ল্যান্ট থেকে ৬ কোটি লিটার পানি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। প্ল্যান্টের কাজ শেষ পর্যায়ে থাকায় এখানকার মোটর, জেনারেটরসহ গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি নিরাপদ রাখতে ওয়াসার পক্ষ থেকে সর্তকতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘কাপ্তাই লেকের পানি থেকে আমাদের প্লান্টগুলো নিরাপদ রাখতে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। যেসব স্থান দিয়ে পানি ঢোকার আশঙ্কা রয়েছে, সেসব স্থানে তিন ফুট উচ্চতায় বালুর বস্তা দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। কারণ, এখানকার মোটরগুলোই পানি উৎপাদনের প্রাণ। একটা মোটর নষ্ট হলে দুই মাসেও ঠিক করা সম্ভব নয়। কারণ, এগুলো ঠিক করার সক্ষমতা এ দেশে কারও নেই।’
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আব্দুজ্জাহের বলেন, ‘আজ সকালে কাপ্তাই লেকের পানির লেভেল বিপৎসীমা অতিক্রম করায় লেক ব্যবস্থাপনা কমিটির পরামর্শে আমরা সকাল ৮টায় কাপ্তাই স্পিলওয়ের ১৬টি জলকপাট দিয়ে ৬ ইঞ্চি করে পানি ছেড়ে দিয়েছি। তাতে প্রতি সেকেন্ডে ১৬টি গেট দিয়ে ৯ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন হয়ে কর্ণফুলী নদীতে পড়ছে। কাপ্তাই হ্রদে সর্বোচ্চ পানির ধারণক্ষমতা ১০৯ ফুট এমএসএল। রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত দেশের একমাত্র পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট থেকে দৈনিক সর্বোচ্চ ২৩০ থেকে ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, যা জাতীয় গ্রিডে যোগ হয়। সেই হিসাবে আজ সকালে পাঁচটি ইউনিট থেকে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে।’
এদিকে চট্টগ্রাম শহরে দৈনিক পানির চাহিদা ৫০ কোটি লিটার। উল্লিখিত প্ল্যান্টগুলো থেকে উৎপাদিত হয় ৪৬ কোটি লিটার। প্ল্যান্টগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হলে চট্টগ্রাম নগরীতে পানি সরবরাহব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। এ কারণে বাড়তি সতর্কতার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে বলে জানান ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম।
ওয়াসার তথ্যমতে, বর্তমানে ওয়াসার আবাসিক গ্রাহক সংযোগ ৭৮ হাজার ৫৪২টি এবং বাণিজ্যিক সংযোগ ৭ হাজার ৭৬৭টি। ৭৭০ কিলোমিটার পাইপলাইনের মাধ্যমে সংস্থাটি পানি সরবরাহ করে।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (কপাবিকে) স্পিলওয়ের ১৬টি জলকপাট খুলে দেওয়ার পর চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি উৎপাদনের পাঁচটি প্ল্যান্টে সর্বোচ্চ সতর্কতা নিয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। প্ল্যান্টগুলোর মধ্যে দুটি হালদা ও তিনটি কর্ণফুলী নদীর পাশে গড়ে তোলা হয়েছে। আজ রোববার সকালে জলকপাটগুলো একসঙ্গে খুলে দেওয়ার আগের দিন গতকাল শনিবার বিকেল থেকেই এ সতর্কতা নেওয়া হয়।
গতকালই জলকপাটগুলো খোলার কথা ছিল। তবে অবস্থা সহনীয় পর্যায়ে থাকায় আজ সকাল ৮টায় জলকপাটগুলো খোলা হয়েছে বলে জানান কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এ টি এম আব্দুজ্জাহের।
কাপ্তাই লেকের পানি ছাড়ার পর নদীতে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পেলে প্ল্যান্টগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। এ অবস্থায় অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে প্রকল্প নিরাপদ রাখতে গেটগুলোতে তিন ফুট উঁচু পর্যন্ত বালুর বস্তা রাখা রয়েছে। একই সঙ্গে প্রকল্পগুলো সার্বক্ষণিক নজরদারির আওতায় রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, ‘কাপ্তাই লেকের পানি ছাড়ার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। আগেও ১০৯ ফুট এমএসএল পানি হওয়ার পর লেকের পানি ছাড়া হয়েছিল। ওয়াসার প্ল্যান্টগুলোর কোনো সমস্যা হয়নি। এবারও হবে না। তারপরও আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছি। যাতে চট্টগ্রাম নগরীতে পানি সরবরাহে কোনো ব্যাঘাত না ঘটে।’
চট্টগ্রাম ওয়াসা থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, চট্টগ্রাম নগরীর কালুরঘাট এলাকায় মোহরা পানি শোধনাগার ও শেখ রাসেল পানি শোধনাগার প্ল্যান্ট দুটি গড়ে তোলা হয়েছে হালদা নদীর পাশে। এ দুই প্ল্যান্টের প্রতিটিতে ৯ কোটি লিটার করে ১৮ কোটি লিটার পানি উৎপাদন হয়। আর রাঙ্গুনিয়ায় শেখ হাসিনা-১ ও শেখ হাসিনা-২ প্ল্যান্ট দুটি কর্ণফুলী নদী ঘেঁষে গড়ে তোলা হয়েছে। দুই প্ল্যান্টের প্রতিটি থেকে ১৪ কোটি লিটার করে ২৮ কোটি লিটার পানি উৎপাদিত হয়। চার প্রকল্প থেকে ৪৬ কোটি লিটার পানি উৎপাদন করে চট্টগ্রাম ওয়াসা।
অন্যদিকে বোয়ালখালী উপজেলায় কর্ণফুলী নদীর পারে বাস্তবায়নাধীন ভান্ডালজুড়ি প্ল্যান্ট থেকে ৬ কোটি লিটার পানি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। প্ল্যান্টের কাজ শেষ পর্যায়ে থাকায় এখানকার মোটর, জেনারেটরসহ গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি নিরাপদ রাখতে ওয়াসার পক্ষ থেকে সর্তকতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘কাপ্তাই লেকের পানি থেকে আমাদের প্লান্টগুলো নিরাপদ রাখতে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। যেসব স্থান দিয়ে পানি ঢোকার আশঙ্কা রয়েছে, সেসব স্থানে তিন ফুট উচ্চতায় বালুর বস্তা দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। কারণ, এখানকার মোটরগুলোই পানি উৎপাদনের প্রাণ। একটা মোটর নষ্ট হলে দুই মাসেও ঠিক করা সম্ভব নয়। কারণ, এগুলো ঠিক করার সক্ষমতা এ দেশে কারও নেই।’
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আব্দুজ্জাহের বলেন, ‘আজ সকালে কাপ্তাই লেকের পানির লেভেল বিপৎসীমা অতিক্রম করায় লেক ব্যবস্থাপনা কমিটির পরামর্শে আমরা সকাল ৮টায় কাপ্তাই স্পিলওয়ের ১৬টি জলকপাট দিয়ে ৬ ইঞ্চি করে পানি ছেড়ে দিয়েছি। তাতে প্রতি সেকেন্ডে ১৬টি গেট দিয়ে ৯ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন হয়ে কর্ণফুলী নদীতে পড়ছে। কাপ্তাই হ্রদে সর্বোচ্চ পানির ধারণক্ষমতা ১০৯ ফুট এমএসএল। রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত দেশের একমাত্র পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট থেকে দৈনিক সর্বোচ্চ ২৩০ থেকে ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, যা জাতীয় গ্রিডে যোগ হয়। সেই হিসাবে আজ সকালে পাঁচটি ইউনিট থেকে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে।’
এদিকে চট্টগ্রাম শহরে দৈনিক পানির চাহিদা ৫০ কোটি লিটার। উল্লিখিত প্ল্যান্টগুলো থেকে উৎপাদিত হয় ৪৬ কোটি লিটার। প্ল্যান্টগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হলে চট্টগ্রাম নগরীতে পানি সরবরাহব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। এ কারণে বাড়তি সতর্কতার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে বলে জানান ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম।
ওয়াসার তথ্যমতে, বর্তমানে ওয়াসার আবাসিক গ্রাহক সংযোগ ৭৮ হাজার ৫৪২টি এবং বাণিজ্যিক সংযোগ ৭ হাজার ৭৬৭টি। ৭৭০ কিলোমিটার পাইপলাইনের মাধ্যমে সংস্থাটি পানি সরবরাহ করে।
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
৪ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
৪ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
৪ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
৪ ঘণ্টা আগে