Ajker Patrika

মেঘনায় অবাধে নিধন হচ্ছে চিংড়ি মাছের রেণু

চাঁদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৩, ১৭: ৫১
মেঘনায় অবাধে নিধন হচ্ছে চিংড়ি মাছের রেণু

জাটকা রক্ষার অভিযানে ব্যস্ত প্রশাসন। এই সুযোগে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবাধে চিংড়ির রেণু ধরছেন জেলেরা। চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচর ও চান্দ্রা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় মেঘনা নদীতে প্রকাশ্যে ধরা হচ্ছে এসব চিংড়ি মাছের রেণু। 

মেঘনা নদী উপকূলীয় বাখরপুর গুচ্ছগ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, সাতক্ষীরা জেলা থেকে আসা চিংড়ির রেণু ধরার কাজে নিয়োজিত অর্ধশতাধিক জেলে। তাঁরা দুই মাসের জন্য এই গুচ্ছগ্রামে এসে কয়েকভাবে সরকারি ঘরে আশ্রয় নিয়েছেন। আবার কয়েকটি গ্রুপ খোলা আকাশের নিচে তাঁবু টানিয়ে থাকছে। রেণু ধরে খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলায় পাচার করছেন তাঁরা। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, চিংড়ি পোনা ধরে এনে আশ্রয়কেন্দ্রের পুকুরে জমা করে রাখছেন ড্রাম ও জালের মধ্যে। তাঁদের এই কাজে সহযোগিতা করছেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা তাজুল ইসলাম ও স্থানীয় বাসিন্দা শাহ আলমসহ বেশ কয়েকজন। অভিযোগ রয়েছে, শাহ আলম, তাজুল ইসলামসহ কয়েকজন টাকার বিনিময়ে তাঁদের এখানে আশ্রয় দিয়েছেন। 

এ বিষয়ে তাজুল ইসলাম ও শাহ আলম বলেন, ‘আমরা আশ্রয় না দিলেও তাঁরা কোনো না-কোনোভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মিল করে চিংড়ির রেণু ধরবে। আমরা তাঁদের কাছ থেকে কোনো আর্থিক সুবিধা নেই না। যারা বলছেন, এটা মিথ্যা কথা।’ 

চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুর ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় যেকোনো মাছ ধরাই সম্পূর্ণ নিষেধ। যারা মাছের রেণু ধরছে তাদের বিরুদ্ধে শিগগির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামানকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত