মো. সাহাব উদ্দিন, ফেনী প্রতিনিধি
‘উচ্চ শিক্ষার জন্য ছেলেকে ঢাকায় পাঠালাম। স্বপ্ন ছিল ছেলে বিসিএস ক্যাডার হয়ে ফিরে আসবে। অথচ আমার ছেলে লাশ হয়ে ফিরেছে আমার কাছে। আমার ছেলের কী অপরাধ? কেন তাকে গুলি করে মারা হলো? ছেলে হত্যার বিচার কার কাছে চাইব?’
আদরের সন্তানকে হারিয়ে এভাবেই বিলাপ করছিলেন সংঘর্ষে নিহত ফেনীর ইকরাম হোসেন কাউছারের বাবা মাওলানা আনোয়ার হোসেন।
পরিবারের সূত্রে জানা যায়, ১৯ জুলাই (শুক্রবার) জুমার নামাজ আদায়ের পর কলেজের সহপাঠীদের সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনে যোগ দেন ইকরাম হোসেন কাউছার। কবি নজরুল কলেজসংলগ্ন লক্ষ্মীবাজার এলাকায় আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলি মাথায় লাগলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ইকরাম হোসেন কাউছার ফেনীর পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের পাগলিরকুল গ্রামের মাওলানা আনোয়ার হোসেনের বড় ছেলে। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। কাউছার ঢাকার কবি নজরুল কলেজে মাস্টার্সের ছাত্র ছিলেন।
কাউছারের বাবা মাওলানা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে ভারী বস্তু পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ। ছেলেকে নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন ছিল। কিন্তু সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেল! একটি ঘাতক বুলেট আমার পরিবারের সব স্বপ্ন শেষ করে দিল!’
আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলের কী অপরাধ? কেন তাকে গুলি করে হত্যা করা হলো? আমার সন্তান হত্যার বিচার আমি কার কাছে চাইব? আপনজন হারানোর বেদনা কাউকে বলে বোঝানো যাবে না। আমি আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম, নিশ্চয়ই আল্লাহ সঠিক বিচার করবেন।’
কলিজার টুকরা সন্তানকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ কাউছারের মা রুমি আক্তার। সন্তানের জন্য নাওয়া–খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। মাঝেমধ্যেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন।
কাউছারের মা আহাজারি করতে করতে বলেন, ‘আমার ছেলেকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। আমার ছেলে একদিন বিসিএস ক্যাডার হয়ে এই দেশের মানুষের সেবা করবে। কিন্তু আমার ছেলের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গেল। ছেলেকে নিয়ে স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল!’
ছোট ভাই ফারুক হোসেন জানান, ১৯ জুলাই বিকেল ৪টার দিকে কবি নজরুল কলেজসংলগ্ন লক্ষ্মীবাজার এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন কাউছার। পরে তাঁকে এক ভ্যানচালক উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এরপর ওই ভ্যানচালক বাবার নম্বরে কল দিয়ে মৃত্যুর সংবাদ দেন। মরদেহ (২০ জুলাই) রাত ৯টায় চিথলিয়া ইউনিয়নের পাগলিরকুল গ্রামে পৌঁছালে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
কাউছারের চাচি বলেন, ‘আমার পেটের সন্তান না হলেও তাকে আমার সন্তানের মতো লালনপালন করে বড় করেছি। তাকে হারানোর ক্ষতি কখনো পূরণ হবে না। আল্লাহপাক তাকে জান্নাতবাসী করুক।’
প্রতিবেশী কামাল হোসেন জানান, এলাকার মধ্যে সে অত্যন্ত ভদ্র, বিনয়ী ছিল। এভাবে ছেলেটার মৃত্যু হবে ভাবতেই পারিনি। ছেলেটি অনেক মেধাবী ছিল!
‘উচ্চ শিক্ষার জন্য ছেলেকে ঢাকায় পাঠালাম। স্বপ্ন ছিল ছেলে বিসিএস ক্যাডার হয়ে ফিরে আসবে। অথচ আমার ছেলে লাশ হয়ে ফিরেছে আমার কাছে। আমার ছেলের কী অপরাধ? কেন তাকে গুলি করে মারা হলো? ছেলে হত্যার বিচার কার কাছে চাইব?’
আদরের সন্তানকে হারিয়ে এভাবেই বিলাপ করছিলেন সংঘর্ষে নিহত ফেনীর ইকরাম হোসেন কাউছারের বাবা মাওলানা আনোয়ার হোসেন।
পরিবারের সূত্রে জানা যায়, ১৯ জুলাই (শুক্রবার) জুমার নামাজ আদায়ের পর কলেজের সহপাঠীদের সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনে যোগ দেন ইকরাম হোসেন কাউছার। কবি নজরুল কলেজসংলগ্ন লক্ষ্মীবাজার এলাকায় আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলি মাথায় লাগলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ইকরাম হোসেন কাউছার ফেনীর পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের পাগলিরকুল গ্রামের মাওলানা আনোয়ার হোসেনের বড় ছেলে। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। কাউছার ঢাকার কবি নজরুল কলেজে মাস্টার্সের ছাত্র ছিলেন।
কাউছারের বাবা মাওলানা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে ভারী বস্তু পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ। ছেলেকে নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন ছিল। কিন্তু সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেল! একটি ঘাতক বুলেট আমার পরিবারের সব স্বপ্ন শেষ করে দিল!’
আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলের কী অপরাধ? কেন তাকে গুলি করে হত্যা করা হলো? আমার সন্তান হত্যার বিচার আমি কার কাছে চাইব? আপনজন হারানোর বেদনা কাউকে বলে বোঝানো যাবে না। আমি আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম, নিশ্চয়ই আল্লাহ সঠিক বিচার করবেন।’
কলিজার টুকরা সন্তানকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ কাউছারের মা রুমি আক্তার। সন্তানের জন্য নাওয়া–খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। মাঝেমধ্যেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন।
কাউছারের মা আহাজারি করতে করতে বলেন, ‘আমার ছেলেকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। আমার ছেলে একদিন বিসিএস ক্যাডার হয়ে এই দেশের মানুষের সেবা করবে। কিন্তু আমার ছেলের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গেল। ছেলেকে নিয়ে স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল!’
ছোট ভাই ফারুক হোসেন জানান, ১৯ জুলাই বিকেল ৪টার দিকে কবি নজরুল কলেজসংলগ্ন লক্ষ্মীবাজার এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন কাউছার। পরে তাঁকে এক ভ্যানচালক উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এরপর ওই ভ্যানচালক বাবার নম্বরে কল দিয়ে মৃত্যুর সংবাদ দেন। মরদেহ (২০ জুলাই) রাত ৯টায় চিথলিয়া ইউনিয়নের পাগলিরকুল গ্রামে পৌঁছালে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
কাউছারের চাচি বলেন, ‘আমার পেটের সন্তান না হলেও তাকে আমার সন্তানের মতো লালনপালন করে বড় করেছি। তাকে হারানোর ক্ষতি কখনো পূরণ হবে না। আল্লাহপাক তাকে জান্নাতবাসী করুক।’
প্রতিবেশী কামাল হোসেন জানান, এলাকার মধ্যে সে অত্যন্ত ভদ্র, বিনয়ী ছিল। এভাবে ছেলেটার মৃত্যু হবে ভাবতেই পারিনি। ছেলেটি অনেক মেধাবী ছিল!
জানা যায়, জনদুর্ভোগ কমাতে গত ১৬ এপ্রিল উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেতুর দুই পাশে দুটি সাইনবোর্ড লাগানো হয়। এতে সেতুর ওপর সব ধরনের দোকানপাট ও যানবাহন রাখা নিষেধ বলে সতর্ক করা হয়। ২০১১ সালে নির্মিত এই নতুন সেতুতে যানজট এড়াতে একসময় ট্রাফিক পুলিশ রাখা হলেও কয়েক মাস পর তাদের তুলে নেওয়া হয়।
১২ মিনিট আগে২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে পর্যন্ত রফিকুল আলমকে বিএনপির কোনো কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। সেই সময় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মোহাম্মদ নদভীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা ও ব্যবসা ছিল। অভিযোগ আছে, গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের শাসনামলে তিনি ওইসব নেতাদের সঙ্গে মিলে নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালিয়ে
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে পুরানো জাহাজের সরঞ্জাম বিক্রির দুটি দোকান ও একটি অক্সিজেন সিলিন্ডারের দোকানসহ মোট তিনটি দোকান পুড়ে গেছে। এ ছাড়া, মার্কেটের আরও কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মাদামবিবিরহাট চেয়ারম্যান
১ ঘণ্টা আগেচিঠি ছাড়াও বিদেশ অথবা দেশে আপনজনের কাছে টাকা পাঠাতে একমাত্র নির্ভরযোগ্য মাধ্যম এটি। বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে ই-মেইল, অনলাইন আর মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সুবাদে এই পোস্ট অফিসের গুরুত্ব এখন আর নেই বললেই চলে। তবু এখনো এই পোস্ট অফিসে জীবনবীমা, সঞ্চয়পত্রের টাকা জামানত রাখা কিংবা জরুরি কাগজপত্র পাঠাতে নির্ভরযোগ্য
১ ঘণ্টা আগে