Ajker Patrika

চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল সাগর পার হয়ে চলে যাচ্ছে সন্দীপে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৩, ১৬: ২২
চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল সাগর পার হয়ে চলে যাচ্ছে সন্দীপে

চট্টগ্রাম মহানগরী এলাকায় চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল একটি চক্রের হাত ধরে তাৎক্ষণিক সাগর পার হয়ে চলে যাচ্ছে দ্বীপ উপজেলা সন্দীপে। সেখানে মোটরসাইকেলের মানভেদে ১৫ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। উপজেলাটিতে নম্বরপ্লেট ছাড়াই মোটরসাইকেলগুলো যাত্রী পরিবহনসহ বিভিন্ন কাজে স্থানীয়রা কিনে নেন। গত শনিবার চট্টগ্রাম মহানগরী ও সন্দীপ উপজেলা থেকে মোটরসাইকেল চুরির একটি চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর রোববার এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ২৪টি চোরাই মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। 

এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সাতকানিয়ার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বণিকপাড়ার মৃত ধনরাম ধরের ছেলে মিঠুন ধর (২৯), সন্দ্বীপের কালাপানিয়া এলাকার মো. শাহাজাহানের ছেলে মো. বাবর ওরফে বাবুল (৩৫), মো. শাহজাহানের ছেলে মো. শাহেদ (২৬), মৃত নুরুল আলমের ছেলে মো. রিপন (৪০) ও লোহাগাড়ার আমিরাবাদ এলাকার নুরুল আব্বাসের ছেলে মো. খোরশেদ আলম (২৯)। তাঁদের মধ্যে বাবর ও মিঠুন চক্রটির মূল হোতা বলে জানিয়েছে পুলিশ।

কোতোয়ালী থানার উপপরিদর্শক মোমিনুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মোটরসাইকেলগুলোর মধ্যে ২৩টি উদ্ধার করা হয়েছে সন্দীপ উপজেলা থেকে। বাকি একটি মোটরসাইকেল চট্টগ্রাম মহানগরীর স্টেশন রোড এলাকা উদ্ধার করা হয়েছে।’ 

উপপরিদর্শক মোমিনুল হাসান বলেন, চট্টগ্রাম থেকে সন্দীপ সাগরপথে যেতে হয়। দুর্গম ও দ্বীপ এলাকা হওয়ায় সেখানে কেউ যেতে চায় না। এ জন্য চক্রটি চট্টগ্রামে মোটরসাইকেল চুরির পর ওই উপজেলা বেছে নিয়েছে। মোটরসাইকেলগুলো তাঁরা নৌকায় করে সন্দীপে নিয়ে যায়। গ্রেপ্তার বাবর মূলত চট্টগ্রামে চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলগুলো সন্দীপে নিয়ে গিয়ে চক্রের অন্য সদস্যদের কাছে হ্যান্ডওভার করে। মোটরসাইকেলগুলো সেখানে পৌঁছার পর নম্বরপ্লেট খুলে কিংবা ভুয়া নম্বর লাগিয়ে পরে বিভিন্নজনের কাছে বিক্রি করা হয়। 

মোমিনুল হাসান জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যমতে, সন্দীপে অন্তত ২ হাজার মোটরসাইকেল চলছে, যেগুলোর কোনো নম্বরপ্লেট নাই। সেগুলো বেশির ভাগই চোরাই মোটরসাইকেল। এসব মোটরসাইকেল দিয়ে সেখানে যাত্রী পরিবহনও করা হচ্ছে। 

মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার পাঁচজন। ছবি: সংগৃহীতপুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার আসামি মিঠুন ধরের বিরুদ্ধে লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া থানায় তিনটি চুরির মামলা, বাবরের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী ও খুলশী থানায় মোটরসাইকেল চুরির দুটি মামলা এবং মো. খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় মোটরসাইকেল চুরির একটি মামলা রয়েছে।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল কবির বলেন, গতকাল শনিবার রাতে নগরীর পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন গ্রামীণ মাঠের রাস্তা থেকে মিঠুন ধর ও বাবর নামে দুজনকে একটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা প্রাথমিকভাবে জানান, নগরী ও বিভিন্ন এলাকা থেকে চোরাই মোটরসাইকেল সন্দ্বীপ ও কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে বিক্রি করেন। তাঁদের দেওয়া তথ্যে ওই দিন রাতে সন্দ্বীপে অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেল চোর মো. শাহেদ ও মো. রিপনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ২৩টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া খোরশেদ আলমকে ব্রিজঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় আজ রোববার কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত