ওমর ফারুক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম শহরের আধুনিক পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থার জন্য ২০১৮ সালে শুরু হওয়া প্রথম প্রকল্পটি সাত বছর পার করেও এখনো অসম্পূর্ণ। মাত্র ৬৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে দুই দফা সময় বাড়ানো হলেও এবার নতুন সংকটে পড়েছে প্রকল্পটি। দীর্ঘ পাঁচ মাসের পাওনা পরিশোধ না করায় গতকাল মঙ্গলবার থেকে প্রকল্পের পাইপ বসানোর কাজ বন্ধ করে দিয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে শেষ হওয়া নিয়ে আবারও শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
নগরের পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা আধুনিকায়নের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম ওয়াসা ২০১৭ সালে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করে। এই পরিকল্পনা অনুসারে, গোটা নগরকে ছয়টি ক্যাচমেন্ট জোনে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে প্রথম প্রকল্পটি ২০১৮ সালে শুরু হলেও নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও তা এখনো শেষ হয়নি।
জানা গেছে, হালিশহর ক্যাচমেন্ট-১ এলাকায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পটি ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে অনুমোদিত হয় এবং প্রাথমিকভাবে ২০২৩ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। প্রকল্পটির প্রাথমিক বাজেট ছিল ৩ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। তবে কাজ বিলম্ব ও বিভিন্ন জটিলতার কারণে এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৪০৮ কোটি টাকায়। কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান তিইয়ং প্রকল্পটির মূল ঠিকাদার। তবে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে তারা তাদের অধীনে দেশীয় উপঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর পাওনা অর্থ পরিশোধ বন্ধ রেখেছে। এর প্রতিবাদে ১৮ মে সাতটি উপঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান একযোগে একটি চিঠির মাধ্যমে ২০ মে থেকে পাইপ স্থাপনের কাজ বন্ধের ঘোষণা দেয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সময়কালের অর্থ প্রদান না হওয়ায় আমরা এইচডিপিই পাইপ বসানোর কাজ চালিয়ে যেতে পারছি না। এই পরিস্থিতিতে পয়োনিষ্কাশন প্রকল্পের ফেজ-১-এর আওতায় সব উপঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান একমত হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বকেয়া অর্থ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত ২০ মে থেকে এইচডিপিই পাইপ বসানো-সংক্রান্ত সব কাজ স্থগিত থাকবে।’
এর জবাবে কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান ১৯ মে একটি চিঠিতে জানায়, ‘২০২৫ সালের শুরু থেকেই ক্লায়েন্ট (ওয়াসা) আমাদের ঠিকভাবে অর্থ প্রদান করেনি। এর কারণ হিসেবে ফাটল মেরামত, অসম্পূর্ণ ঘর সংযোগসহ বেশ কিছু অস্বাভাবিক কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক প্রশাসনিক পরিবর্তন প্রকল্পের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। অর্থনৈতিক সংকট সত্ত্বেও তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে উপঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থ প্রদান করতে।’ এ আর্থিক জটিলতা চলতি বছরের আগস্টের মধ্যে কাটিয়ে ওঠা যাবে বলে আশাবাদী কোরিয়ান এই প্রতিষ্ঠান।
ওয়াসার অস্বীকার
এদিকে কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানের দাবি অস্বীকার করেছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। ওয়াসার পক্ষ থেকে জানানো হয়, কোরিয়ান এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোনো বিল তাদের কাছে বকেয়া নেই। মূলত নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতেই তারা এসব কথা বলছে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোরিয়ান এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে সম্প্রতি পরিবর্তন এসেছে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির নিজ দেশে ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। এসব কারণে উপঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থ দেওয়া নিয়ে গড়িমসি করছে প্রতিষ্ঠানটি।
এসব বিষয় নিয়ে কথা হয় চট্টগ্রাম ওয়াসার পয়োনিষ্কাশন প্রকল্পের পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা ঠিকাদারদের সঙ্গে ধাপে ধাপে চুক্তি করেছি। তারা যতটুকু কাজ সম্পন্ন করেছে, আমরা ততটুকু বিল দিয়েছি। আমাদের কাছে কোনো অর্থ পাওনা নেই। এ ছাড়া উপঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর পাওনার বিষয়েও চট্টগ্রাম ওয়াসার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘কাজ বন্ধের ফলে যদি প্রকল্পে বিলম্ব হয়, তবে এর দায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। সে ক্ষেত্রে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে ওয়াসা এভাবে দায় এড়িয়ে যেতে পারে না। উপঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থের অভাবে কাজ বন্ধ রাখলে শেষ পর্যন্ত ক্ষতি হবে দেশেরই।’
চট্টগ্রাম শহরের আধুনিক পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থার জন্য ২০১৮ সালে শুরু হওয়া প্রথম প্রকল্পটি সাত বছর পার করেও এখনো অসম্পূর্ণ। মাত্র ৬৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে দুই দফা সময় বাড়ানো হলেও এবার নতুন সংকটে পড়েছে প্রকল্পটি। দীর্ঘ পাঁচ মাসের পাওনা পরিশোধ না করায় গতকাল মঙ্গলবার থেকে প্রকল্পের পাইপ বসানোর কাজ বন্ধ করে দিয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে শেষ হওয়া নিয়ে আবারও শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
নগরের পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা আধুনিকায়নের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম ওয়াসা ২০১৭ সালে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করে। এই পরিকল্পনা অনুসারে, গোটা নগরকে ছয়টি ক্যাচমেন্ট জোনে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে প্রথম প্রকল্পটি ২০১৮ সালে শুরু হলেও নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও তা এখনো শেষ হয়নি।
জানা গেছে, হালিশহর ক্যাচমেন্ট-১ এলাকায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পটি ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে অনুমোদিত হয় এবং প্রাথমিকভাবে ২০২৩ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। প্রকল্পটির প্রাথমিক বাজেট ছিল ৩ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। তবে কাজ বিলম্ব ও বিভিন্ন জটিলতার কারণে এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৪০৮ কোটি টাকায়। কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান তিইয়ং প্রকল্পটির মূল ঠিকাদার। তবে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে তারা তাদের অধীনে দেশীয় উপঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর পাওনা অর্থ পরিশোধ বন্ধ রেখেছে। এর প্রতিবাদে ১৮ মে সাতটি উপঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান একযোগে একটি চিঠির মাধ্যমে ২০ মে থেকে পাইপ স্থাপনের কাজ বন্ধের ঘোষণা দেয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সময়কালের অর্থ প্রদান না হওয়ায় আমরা এইচডিপিই পাইপ বসানোর কাজ চালিয়ে যেতে পারছি না। এই পরিস্থিতিতে পয়োনিষ্কাশন প্রকল্পের ফেজ-১-এর আওতায় সব উপঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান একমত হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বকেয়া অর্থ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত ২০ মে থেকে এইচডিপিই পাইপ বসানো-সংক্রান্ত সব কাজ স্থগিত থাকবে।’
এর জবাবে কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান ১৯ মে একটি চিঠিতে জানায়, ‘২০২৫ সালের শুরু থেকেই ক্লায়েন্ট (ওয়াসা) আমাদের ঠিকভাবে অর্থ প্রদান করেনি। এর কারণ হিসেবে ফাটল মেরামত, অসম্পূর্ণ ঘর সংযোগসহ বেশ কিছু অস্বাভাবিক কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক প্রশাসনিক পরিবর্তন প্রকল্পের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। অর্থনৈতিক সংকট সত্ত্বেও তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে উপঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থ প্রদান করতে।’ এ আর্থিক জটিলতা চলতি বছরের আগস্টের মধ্যে কাটিয়ে ওঠা যাবে বলে আশাবাদী কোরিয়ান এই প্রতিষ্ঠান।
ওয়াসার অস্বীকার
এদিকে কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানের দাবি অস্বীকার করেছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। ওয়াসার পক্ষ থেকে জানানো হয়, কোরিয়ান এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোনো বিল তাদের কাছে বকেয়া নেই। মূলত নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতেই তারা এসব কথা বলছে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোরিয়ান এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে সম্প্রতি পরিবর্তন এসেছে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির নিজ দেশে ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। এসব কারণে উপঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থ দেওয়া নিয়ে গড়িমসি করছে প্রতিষ্ঠানটি।
এসব বিষয় নিয়ে কথা হয় চট্টগ্রাম ওয়াসার পয়োনিষ্কাশন প্রকল্পের পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা ঠিকাদারদের সঙ্গে ধাপে ধাপে চুক্তি করেছি। তারা যতটুকু কাজ সম্পন্ন করেছে, আমরা ততটুকু বিল দিয়েছি। আমাদের কাছে কোনো অর্থ পাওনা নেই। এ ছাড়া উপঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর পাওনার বিষয়েও চট্টগ্রাম ওয়াসার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘কাজ বন্ধের ফলে যদি প্রকল্পে বিলম্ব হয়, তবে এর দায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। সে ক্ষেত্রে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে ওয়াসা এভাবে দায় এড়িয়ে যেতে পারে না। উপঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থের অভাবে কাজ বন্ধ রাখলে শেষ পর্যন্ত ক্ষতি হবে দেশেরই।’
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের যাত্রীদের যানবাহনে ওঠানামার সুবিধার্থে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে নির্মাণ করা ১২টি যাত্রীছাউনি বেহাল হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ ছাউনির ধাতব কাঠামো খুলে নেওয়া হয়েছে। কোনো কোনোটিতে চলছে ইট-বালুর ব্যবসা। কোথাও আবার মাইক্রোস্ট্যান্ড ও দোকান বানানো হয়েছে। সরেজমিনে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেমানিকগঞ্জের শিবালয়ে যমুনা ও ইছামতী নদী সংযুক্ত কান্তাবতী নদীর মাঝে বাঁধ দিয়ে পানিপ্রবাহ বন্ধ করে মাটি কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা বলছেন, রাজনৈতিক পরিচয়ে স্থানীয় একটি চক্র অবৈধভাবে নদীর মাটি কেটে অন্যত্র বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা।
৩ ঘণ্টা আগেযশোরের চৌগাছায় একটি বটগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২০ মে) বিকেলে মশ্যমপুর দর্গাতলা মাঠ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কাটা গাছের ডাল ও গুঁড়ি এখনো মাঠে পড়ে রয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেনীলফামারী সদর উপজেলার চাপড়া সরমজানি ইউনিয়নের চাড়ালকাটা নদীতে গোসল করতে নেমে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে গ্রামবাসী। এর আগে বেলা ২টার দিকে ওই দুই শিশু চাড়ালকাটা নদীতে গোসল করতে নামে।
৬ ঘণ্টা আগে