টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে কক্সবাজারের টেকনাফে গ্রীষ্মকালীন শাক-সবজি, পান বরজ ও আমের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার হোয়াইক্যং, হ্নীলা, টেকনাফ সদর, বাহরছড়া, সাবরাং ও সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের বিভিন্ন কৃষিজাত খামারে এসব ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া লবণের মাঠ ও সুপারি বাগানেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, মৌসুমি শাকসবজি, পানের বরজ ও আমের খাতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ১৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। এ ছাড়া লবণ, সুপারি, নারিকেল ও অন্যান্য কৃষি খাতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে প্রায় ৩ কোটি টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হবে।
সরেজমিন ও কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে বাড়িঘরের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষিখাতে। এ খাতে মৌসুমি শাকসবজি, পান, আম, লবণ, সুপারি গাছ, নারকেলসহ নানা প্রজাতির গাছগাছালি। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতি হয় মৌসুমি শাক সবজি, পান ও আমের। এতে ৩ হাজার ৪৫০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অন্যান্য ক্ষতিসহ প্রায় ৪ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের আগে পুরো উপজেলা ৫১৮ হেক্টর জমিতে শাকসবজি ছিল।
এর মধ্যে ঝড়ে আক্রান্ত হয় ১৬০ হেক্টর জমির শাকসবজি। সম্পূর্ণ ধ্বংস হয় ১০ হেক্টর জমির শাকসবজি। এতে মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৭ কোটি ২১ লাখ টাকা। পানের বরজ দণ্ডায়মান ছিল ৫৭০ হেক্টর জমি। এর মধ্যে আক্রান্ত হয়েছে ১৮০ হেক্টর জমি ও সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে ৪০ হেক্টর জমির পানের বরজ। এতে ক্ষতি হয় ৩ কোটি ২১ লাখ টাকা।
২২৬ একর জমিতে আমের উৎপাদন হয়। প্রায় ৮০ শতাংশ আম ঝড়ে যায়। ঝড়ে পড়া বাজার মূল্য ৩০-৪০ টাকা কেজি। আমের ক্ষয়ক্ষতি হিসেব করলে ৬ কোটি ৭৮ লাখ টাকা হবে বলে ধারণা করেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শফিউল আলম। তিনি বলেন, উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পানের বরজ, গ্রীষ্মকালীন সবজি খেত। বিশেষ করে সেন্ট মার্টিন, সাবরাং, সদর ও বাহারছড়া ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড়ে পান বরজ, শাকসবজি, আমের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। তাদের সহযোগিতা দেওয়া হবে কি না বা কি পরিমাণ সহায়তা পাবেন তা সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবেন। এ ছাড়াও শতকরা ৫ ভাগ সুপারি গাছ, নারিকেলসহ বিভিন্ন প্রজাতি গাছের ক্ষয়ক্ষতি হয়।
সাবরাং ইউনিয়নের পান চাষি এনায়েত উল্লাহ বলেন, পানের উৎপাদন স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। পরিবারের সবাই খুশিতে আত্মহারা ছিলাম। ওই সময় ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানে। এতে বরজ সম্পূর্ণরূপে মাটিতে মিশে যায়। এটি আর মেরামতের উপযুক্ত নেই। নতুন করে আবার বরজ করতে হবে। দেড় লাখ টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হবে বলেও জানান তিনি।
ঘূর্ণিঝড় মোখা গত রোববার দুপুরে টেকনাফ উপকূল অতিক্রম করার সময় লন্ডভন্ড করে দেয় সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সৈয়দ হোসেনের পানের বরজ। তার পাশের আরও তিনটি পানের বরজ একইভাবে মাটিতে মিশে যায়। কৃষক সৈয়দ হোসেন বলেন, ‘আয় রোজগারের একটাই পথ ছিল আমার। ঘূর্ণিঝড় মোখা সেটিও শেষ করে দিয়েছে। এখন কি করব ভেবে কূল কিনারা পাচ্ছি না।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার অনেক পানচাষি ঋণ নিয়ে এ মৌসুমে পান চাষ শুরু করে। কিন্তু পানের মৌসুম শেষ না হতে ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে তছনছ হওয়ায় অনেকের ঋণের টাকা পরিশোধের অক্ষমতা দেখা দিয়েছে।
সাবরাং ইউনিয়নের লেজিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, আমার একমাত্র আয়ের উৎস এ সুপারি বাগানটি। এ বাগান দিয়ে বছরের খোরাক হতো। ঘূর্ণিঝড়ে আমার বাগানের ২০ টির মতো সুপারি গাছ ভেঙে গেছে।
হ্নীলা হোয়াকিয়া পাড়ার মকবুল আহমদের ছেলে মো, ইব্রাহিম জানান, মোখার আঘাতে, তার দেড় লাখ টাকা মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ রকম শতাধিক লবণ মালিক রয়েছে তাদের প্রত্যেকে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত কৃষি অফিসের মাধ্যমে সরাসরি অনুদান দেওয়ার নির্দেশনা আসেনি। তবে আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি কীভাবে তারা আগের অবস্থানে ফিরে যেতে পারে সে ব্যাপারে। এ ছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষির জন্য কোনো প্রণোদনা দেওয়া হলে পান বরজ ও সুপারি চাষিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’
ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে কক্সবাজারের টেকনাফে গ্রীষ্মকালীন শাক-সবজি, পান বরজ ও আমের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার হোয়াইক্যং, হ্নীলা, টেকনাফ সদর, বাহরছড়া, সাবরাং ও সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের বিভিন্ন কৃষিজাত খামারে এসব ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া লবণের মাঠ ও সুপারি বাগানেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, মৌসুমি শাকসবজি, পানের বরজ ও আমের খাতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ১৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। এ ছাড়া লবণ, সুপারি, নারিকেল ও অন্যান্য কৃষি খাতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে প্রায় ৩ কোটি টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হবে।
সরেজমিন ও কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে বাড়িঘরের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষিখাতে। এ খাতে মৌসুমি শাকসবজি, পান, আম, লবণ, সুপারি গাছ, নারকেলসহ নানা প্রজাতির গাছগাছালি। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতি হয় মৌসুমি শাক সবজি, পান ও আমের। এতে ৩ হাজার ৪৫০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অন্যান্য ক্ষতিসহ প্রায় ৪ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের আগে পুরো উপজেলা ৫১৮ হেক্টর জমিতে শাকসবজি ছিল।
এর মধ্যে ঝড়ে আক্রান্ত হয় ১৬০ হেক্টর জমির শাকসবজি। সম্পূর্ণ ধ্বংস হয় ১০ হেক্টর জমির শাকসবজি। এতে মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৭ কোটি ২১ লাখ টাকা। পানের বরজ দণ্ডায়মান ছিল ৫৭০ হেক্টর জমি। এর মধ্যে আক্রান্ত হয়েছে ১৮০ হেক্টর জমি ও সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে ৪০ হেক্টর জমির পানের বরজ। এতে ক্ষতি হয় ৩ কোটি ২১ লাখ টাকা।
২২৬ একর জমিতে আমের উৎপাদন হয়। প্রায় ৮০ শতাংশ আম ঝড়ে যায়। ঝড়ে পড়া বাজার মূল্য ৩০-৪০ টাকা কেজি। আমের ক্ষয়ক্ষতি হিসেব করলে ৬ কোটি ৭৮ লাখ টাকা হবে বলে ধারণা করেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শফিউল আলম। তিনি বলেন, উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পানের বরজ, গ্রীষ্মকালীন সবজি খেত। বিশেষ করে সেন্ট মার্টিন, সাবরাং, সদর ও বাহারছড়া ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড়ে পান বরজ, শাকসবজি, আমের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। তাদের সহযোগিতা দেওয়া হবে কি না বা কি পরিমাণ সহায়তা পাবেন তা সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবেন। এ ছাড়াও শতকরা ৫ ভাগ সুপারি গাছ, নারিকেলসহ বিভিন্ন প্রজাতি গাছের ক্ষয়ক্ষতি হয়।
সাবরাং ইউনিয়নের পান চাষি এনায়েত উল্লাহ বলেন, পানের উৎপাদন স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। পরিবারের সবাই খুশিতে আত্মহারা ছিলাম। ওই সময় ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানে। এতে বরজ সম্পূর্ণরূপে মাটিতে মিশে যায়। এটি আর মেরামতের উপযুক্ত নেই। নতুন করে আবার বরজ করতে হবে। দেড় লাখ টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হবে বলেও জানান তিনি।
ঘূর্ণিঝড় মোখা গত রোববার দুপুরে টেকনাফ উপকূল অতিক্রম করার সময় লন্ডভন্ড করে দেয় সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সৈয়দ হোসেনের পানের বরজ। তার পাশের আরও তিনটি পানের বরজ একইভাবে মাটিতে মিশে যায়। কৃষক সৈয়দ হোসেন বলেন, ‘আয় রোজগারের একটাই পথ ছিল আমার। ঘূর্ণিঝড় মোখা সেটিও শেষ করে দিয়েছে। এখন কি করব ভেবে কূল কিনারা পাচ্ছি না।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার অনেক পানচাষি ঋণ নিয়ে এ মৌসুমে পান চাষ শুরু করে। কিন্তু পানের মৌসুম শেষ না হতে ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে তছনছ হওয়ায় অনেকের ঋণের টাকা পরিশোধের অক্ষমতা দেখা দিয়েছে।
সাবরাং ইউনিয়নের লেজিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, আমার একমাত্র আয়ের উৎস এ সুপারি বাগানটি। এ বাগান দিয়ে বছরের খোরাক হতো। ঘূর্ণিঝড়ে আমার বাগানের ২০ টির মতো সুপারি গাছ ভেঙে গেছে।
হ্নীলা হোয়াকিয়া পাড়ার মকবুল আহমদের ছেলে মো, ইব্রাহিম জানান, মোখার আঘাতে, তার দেড় লাখ টাকা মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ রকম শতাধিক লবণ মালিক রয়েছে তাদের প্রত্যেকে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত কৃষি অফিসের মাধ্যমে সরাসরি অনুদান দেওয়ার নির্দেশনা আসেনি। তবে আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি কীভাবে তারা আগের অবস্থানে ফিরে যেতে পারে সে ব্যাপারে। এ ছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষির জন্য কোনো প্রণোদনা দেওয়া হলে পান বরজ ও সুপারি চাষিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’
টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
১৮ মিনিট আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
২৫ মিনিট আগেশেরপুরের গারো পাহাড়ে মানুষের বিচরণ বাড়ার পাশাপাশি কমতে শুরু করেছে বন-জঙ্গল। এতে সেখানে বন্য হাতির জীবন সংকটে পড়েছে। প্রায়ই নানা ঘটনায় প্রাণ হারিয়ে গারো পাহাড় থেকে বিলুপ্তের পথে বিশালাকৃতির এই প্রাণী। এদিকে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্বে প্রাণ হারাচ্ছে মানুষও। গত ৩০ বছরে শেরপুরে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্বে জেলায়
২৯ মিনিট আগে২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর একনেক সভায় পাস হয় যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের ৪৭ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার সড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণের প্রকল্প। ৪ হাজার ১৮৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার এ প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারিত হয় ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ ও মূল্য।
৩৩ মিনিট আগে