Ajker Patrika

কারাগারে বন্দী নির্যাতনের ঘটনায় সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২১, ২২: ২৫
কারাগারে বন্দী নির্যাতনের ঘটনায় সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ

চট্টগ্রাম কারাগারে এক বন্দীকে নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলা তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

আজ সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা আদালতের পিপি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

আদালত সূত্রে জানা যায়, মো. শামীম নামে এক বন্দীর স্ত্রী পারভিন আকতার আদালতে একটি মামলার আবেদন করেন। গত ২৫ নভেম্বর একই অভিযোগ করে দ্বিতীয় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি নালিশি মামলা করেন পারভিন। ৬ ডিসেম্বর আদালত উপর্যুক্ত আদালতে যাওয়ার আদেশ দিয়ে নালিশি মামলাটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়। আজ মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার আবেদন করা হয়।

মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, এ সময় আদালত মামলাটি গ্রহণ করে সিআইডি পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম, জেলার দেওয়ান তারিকুল ইসলাম, ডেপুটি জেলার মো. সাইমুর, আইজি প্রিজনের গোয়েন্দা কারারক্ষী সবুজ দাশ এবং সুবেদার মো. এমদাদ হোসেন।

পারভিন আকতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ফটিকছড়ি উপজেলার পাইন্দং গ্রামের বাসিন্দা তাঁর স্বামী স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। একটি মামলায় ২০০৪ সালে গ্রেপ্তার হন মো. শামীম। ২০০৬ সালে ওই মামলায় সাজা হলে তখন থেকে কারাগারে রয়েছেন। গত ১২ জুলাই বন্দীদের নিয়মিত খাবার বিতরণ নিয়ে তর্কাতর্কির পর শামীমকে মারধর করা হয়। ১৭ জুলাই তাঁকে একটি আমগাছে ঝুলিয়ে পেটানো হয়। পরে তাঁকে জেলারের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় শামীম অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে কোনো চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। পরে তাঁকে কুমিল্লা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। ২২ আগস্ট কুমিল্লা কারাগার থেকে শামীম টেলিফোনে স্ত্রীকে বিষয়টি জানান।

পারভিন আক্তার আরও বলেন, শামীম প্রায় সময় শ্বাসকষ্ট ও হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে কারাগারে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

এ ঘটনায় সম্প্রতি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার দেওয়ান মো. তরিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওই বন্দীকে সাত মাস আগে চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছিল। কারাগারে থাকাকালে তাঁর বিরুদ্ধে অন্য বন্দীদের বিরক্ত করার অভিযোগ ছিল। কারাগারে তাঁর আচরণ ভালো ছিল না। চট্টগ্রাম কারাগারে থাকার জন্য শামীম নানাভাবে চেষ্টাও করেছিলেন বলে জানান জেলার। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১টা বাজলেই আর স্কুলে থাকে না শিক্ষার্থীরা, ফটকে তালা দিয়েও ঠেকানো গেল না

আসামে ‘দেখামাত্র গুলির নির্দেশ’ বহাল থাকবে দুর্গাপূজা পর্যন্ত

ভিকারুননিসায় হিজাব বিতর্ক: বরখাস্ত শিক্ষককে পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

জম্মু-কাশ্মীরে ধ্বংস করা হলো ৪৪ হাজার কেজি রসগোল্লা

সরকারের কমিটি পছন্দ হয়নি, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ‎প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত