নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে দুই সড়কের ১১ কিলোমিটার এলাকা এখন ২০ হাজার মানুষের দুর্ভোগের কারণ। অনেক বছর ধরে সংস্কার না করায় সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং ও খোয়া-বালু উঠে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দের। বর্ষায় চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে মানুষের। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) জানায়, একটি সড়কের আড়াই কিলোমিটার সংস্কারকাজের প্রক্রিয়া চলছে, অন্যটির কাজ পর্যায়ক্রমে হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, চৌমুহনী-মাইজদী আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে একলাশপুর ইউনিয়নের আটবাড়িয়া পর্যন্ত একটি সড়ক নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়। ১৯৭৪ সালে এর নামকরণ করা হয় ‘দৃষ্টি নন্দন মুজিব সড়ক’। ১৯৮১ সালের সড়কের তৈরির কাজ শুরু করা হয় এবং ২০০৯ সালে এটি পাকাকরণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। সড়ক পাকা করার পর বিভিন্ন সময় খানাখন্দের সৃষ্টি হলেও এখনো সংস্কার হয়নি।
মুজিব সড়ক পরিদর্শন করে জানা গেছে, বর্তমানে বর্ষার মৌসুমে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্তে পানি জমে আছে। এর কিছু কিছু অংশ ভেঙে পাশের ধানখেতের মধ্যে পড়ে গেছে। সড়কে ভোগান্তি নিয়ে অটোরিকশা, সিএনজি, মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল চালকেরা চলাচল করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আড়াই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মুজিব সড়কের বিভিন্ন অংশ ভেঙে গিয়ে পার্শ্ববর্তী জমিতে পড়েছে। সড়কজুড়ে ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়ক দিয়ে সিএনজি, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলসহ ছোট যানচলাচল করলেও প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। বিকল হচ্ছে ছোট গাড়ির যন্ত্রপাতি। বর্ষা মৌসুমে গর্তে পানি জমে থাকায় হেঁটে চলাচলে আরও দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
রফিক উল্যাহ নামের এক অটোরিকশা চালক জানান, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে খালি রিকশা নিয়ে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। প্রধান সড়ক পার হয়ে মুজিব সড়কে আসার পর একটি গর্তের মধ্যে পড়ে তাঁর রিকশার চাকা ভেঙে যায়। এ সময় রিকশা থেকে পড়ে গিয়ে তিনি গুরুতর আহত হন। পরবর্তীতে কয়েক দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর প্রায় ৫ হাজার টাকা খরচ করে রিকশাটি মেরামত করেন তিনি। সড়কের অবস্থা বেহাল হওয়ায় এই পাশ দিয়ে যাত্রী কমে গেছে। দুর্ঘটনা ও ভোগান্তি এড়াতে টাকা বেশি গেলেও আরও দুই কিলোমিটার দূর দিয়ে ঘুরে চৌমুহনী বাজারে যাচ্ছে লোকজন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সড়কটি পাকাকরণের পর ১৪ বছরেও আর কোনো সংস্কারের কাজ করা হয়নি। বিভিন্ন সময়ে জনপ্রতিনিধি পরিবর্তন হলেও বেহাল থেকে গেছে সড়ক। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়ক পুনরায় সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
মুজিব সড়ক শেষ হয়েছে আটবাড়িয়া সড়কে গিয়ে। এই সড়কের অবস্থা আরও বেহাল। একলাশপুর ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে চৌমুহনী বাজার পর্যন্ত সাড়ে আট কিলোমিটার দূরত্বের এই সড়ক সর্বশেষ কবে সংস্কার করা হয়েছে মনে স্থানীয় অনেকের। সড়কের বেশির ভাগ অংশ থেকে কার্পেটিং উঠে গেছে। বড়-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে সড়কজুড়ে। গরমের দিনে ধুলাবালি ও বর্ষায় কাঁদা মাটিতে ভরা থাকে সড়ক। তাই প্রতিনিয়ত পথচারী ও শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়।
আটবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, গ্রীষ্ম মৌসুমে সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় ধুলাবালিতে তাদের জামাকাপড় নষ্ট হয়ে যায়। বর্ষার সময় জামা-কাপড়ে কাদামাটি লেগে যায়। বিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট পোশাক থাকলেও তা তাদের পক্ষে মানা সম্ভব হয় না। বৃষ্টির দিনে কাদামাটি মাড়িয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াতে তাদের কষ্ট হয়।
দুটি সড়ক দিয়ে চলাচলকারী একাধিক ব্যক্তি জানান, মুজিব ও আটবাড়িয়া সড়ক দিয়ে একলাশপুর ইউনিয়নের তিন ওয়ার্ড, হাজীপুর ও শরীফপুর ইউনিয়নের চার ওয়ার্ডের প্রায় ২০ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। কিন্তু সড়ক দুটি দীর্ঘদিন বেহাল থাকায় ভোগান্তির যেন শেষ নেই তাঁদের। তাই দ্রুত সড়ক দুটির সংস্কার চেয়েছেন তাঁরা।
দুই সড়ক বেহাল থাকার কথা স্বীকার করেছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক। তিনি বলেন, ‘আইলা প্রকল্পের অধীনে মুজিব সড়কের আড়াই কিলোমিটার সংস্কার কাজ ইতিমধ্যে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করতে পারব। তবে আটবাড়িয়া সড়কটির বিষয়ে এখনো কোনো বরাদ্দ পাইনি। কোনো প্রকল্প হাতে পেলে ওই সড়কের সাড়ে ৮ কিলোমিটারের কাজ করা হবে।’
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে দুই সড়কের ১১ কিলোমিটার এলাকা এখন ২০ হাজার মানুষের দুর্ভোগের কারণ। অনেক বছর ধরে সংস্কার না করায় সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং ও খোয়া-বালু উঠে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দের। বর্ষায় চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে মানুষের। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) জানায়, একটি সড়কের আড়াই কিলোমিটার সংস্কারকাজের প্রক্রিয়া চলছে, অন্যটির কাজ পর্যায়ক্রমে হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, চৌমুহনী-মাইজদী আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে একলাশপুর ইউনিয়নের আটবাড়িয়া পর্যন্ত একটি সড়ক নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়। ১৯৭৪ সালে এর নামকরণ করা হয় ‘দৃষ্টি নন্দন মুজিব সড়ক’। ১৯৮১ সালের সড়কের তৈরির কাজ শুরু করা হয় এবং ২০০৯ সালে এটি পাকাকরণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। সড়ক পাকা করার পর বিভিন্ন সময় খানাখন্দের সৃষ্টি হলেও এখনো সংস্কার হয়নি।
মুজিব সড়ক পরিদর্শন করে জানা গেছে, বর্তমানে বর্ষার মৌসুমে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্তে পানি জমে আছে। এর কিছু কিছু অংশ ভেঙে পাশের ধানখেতের মধ্যে পড়ে গেছে। সড়কে ভোগান্তি নিয়ে অটোরিকশা, সিএনজি, মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল চালকেরা চলাচল করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আড়াই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মুজিব সড়কের বিভিন্ন অংশ ভেঙে গিয়ে পার্শ্ববর্তী জমিতে পড়েছে। সড়কজুড়ে ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়ক দিয়ে সিএনজি, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলসহ ছোট যানচলাচল করলেও প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। বিকল হচ্ছে ছোট গাড়ির যন্ত্রপাতি। বর্ষা মৌসুমে গর্তে পানি জমে থাকায় হেঁটে চলাচলে আরও দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
রফিক উল্যাহ নামের এক অটোরিকশা চালক জানান, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে খালি রিকশা নিয়ে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। প্রধান সড়ক পার হয়ে মুজিব সড়কে আসার পর একটি গর্তের মধ্যে পড়ে তাঁর রিকশার চাকা ভেঙে যায়। এ সময় রিকশা থেকে পড়ে গিয়ে তিনি গুরুতর আহত হন। পরবর্তীতে কয়েক দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর প্রায় ৫ হাজার টাকা খরচ করে রিকশাটি মেরামত করেন তিনি। সড়কের অবস্থা বেহাল হওয়ায় এই পাশ দিয়ে যাত্রী কমে গেছে। দুর্ঘটনা ও ভোগান্তি এড়াতে টাকা বেশি গেলেও আরও দুই কিলোমিটার দূর দিয়ে ঘুরে চৌমুহনী বাজারে যাচ্ছে লোকজন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সড়কটি পাকাকরণের পর ১৪ বছরেও আর কোনো সংস্কারের কাজ করা হয়নি। বিভিন্ন সময়ে জনপ্রতিনিধি পরিবর্তন হলেও বেহাল থেকে গেছে সড়ক। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়ক পুনরায় সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
মুজিব সড়ক শেষ হয়েছে আটবাড়িয়া সড়কে গিয়ে। এই সড়কের অবস্থা আরও বেহাল। একলাশপুর ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে চৌমুহনী বাজার পর্যন্ত সাড়ে আট কিলোমিটার দূরত্বের এই সড়ক সর্বশেষ কবে সংস্কার করা হয়েছে মনে স্থানীয় অনেকের। সড়কের বেশির ভাগ অংশ থেকে কার্পেটিং উঠে গেছে। বড়-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে সড়কজুড়ে। গরমের দিনে ধুলাবালি ও বর্ষায় কাঁদা মাটিতে ভরা থাকে সড়ক। তাই প্রতিনিয়ত পথচারী ও শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়।
আটবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, গ্রীষ্ম মৌসুমে সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় ধুলাবালিতে তাদের জামাকাপড় নষ্ট হয়ে যায়। বর্ষার সময় জামা-কাপড়ে কাদামাটি লেগে যায়। বিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট পোশাক থাকলেও তা তাদের পক্ষে মানা সম্ভব হয় না। বৃষ্টির দিনে কাদামাটি মাড়িয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াতে তাদের কষ্ট হয়।
দুটি সড়ক দিয়ে চলাচলকারী একাধিক ব্যক্তি জানান, মুজিব ও আটবাড়িয়া সড়ক দিয়ে একলাশপুর ইউনিয়নের তিন ওয়ার্ড, হাজীপুর ও শরীফপুর ইউনিয়নের চার ওয়ার্ডের প্রায় ২০ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। কিন্তু সড়ক দুটি দীর্ঘদিন বেহাল থাকায় ভোগান্তির যেন শেষ নেই তাঁদের। তাই দ্রুত সড়ক দুটির সংস্কার চেয়েছেন তাঁরা।
দুই সড়ক বেহাল থাকার কথা স্বীকার করেছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক। তিনি বলেন, ‘আইলা প্রকল্পের অধীনে মুজিব সড়কের আড়াই কিলোমিটার সংস্কার কাজ ইতিমধ্যে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করতে পারব। তবে আটবাড়িয়া সড়কটির বিষয়ে এখনো কোনো বরাদ্দ পাইনি। কোনো প্রকল্প হাতে পেলে ওই সড়কের সাড়ে ৮ কিলোমিটারের কাজ করা হবে।’
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
৪ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
৪ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
৪ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
৪ ঘণ্টা আগে