রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
মুরগির খামারে বাগ্বিতণ্ডার জের ধরে চট্টগ্রামের রাউজানে কলেজছাত্র ও মুরগির খামারের তত্ত্বাবধায়ক শিবলী সাদিক হৃদয়কে (২০) হত্যা করা হয়। হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ওই খামারের দুই শ্রমিক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
দুই আসামি হলেন সুইচিংমং মারমা (২৪) ও অংথুইমং মারমা (২৫)। সুইচিংমং মারমা রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার বড়ইছড়ির বাসিন্দা এবং অংথুইমং মারমা রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার বাসিন্দা।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল হারুন জানান, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার ইকবাল ও নুরুল হারুনের আদালতে জবানবন্দি দেন তাঁরা।
খুন হওয়া শিবলী সাদিক হৃদয় রাউজানের কদলপুর ইউনিয়নের পঞ্চপাড়া গ্রামের মুহাম্মদ শফির ছেলে। কদলপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। তাঁর বাবা পেশায় পিকআপ ভ্যানের চালক। শফির দুই ছেলের মধ্যে শিবলী বড়।
জবানবন্দির বরাতে ওসি আব্দুল্লাহ আল হারুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, গ্রেপ্তার দুই আসামি আদালতে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। শিবলী সাদিককে ঝগড়া-বাগবিতণ্ডার জেরে শায়েস্তা করতে ২৮ আগস্ট খামারের পেছনের প্রায় আট কিলোমিটার দূরে নিয়ে যাওয়া হয়। পাহাড়ে তাঁকে হাত-পা বেঁধে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে তাঁর পরিবারে ফোন করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
ওসি আরও জানান, ‘অপহরণের এক দিন পর অর্থাৎ ২৯ আগস্ট তাঁকে গলা কেটে হত্যা করে তাঁরা। হত্যার পর শরীর থেকে হাত-পা, মাথা আলাদা করে পাহাড়ের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দেয়। এরপর আসামিরা আবার মুক্তিপণ দাবি করলে তাঁর বাবা বান্দরবানে গিয়ে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ তুলে দেন দুই ব্যক্তির হাতে। মুক্তিপণের পরও তাঁকে ফেরত পাননি পরিবার। কারণে তাঁকে আগে হত্যা করা হয়।’
হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনা করেন উমংচিং মারমা। উমংচিং মারমাসহ তিনজনকে গত রোববার চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যাকাণ্ডে আরও কয়েকজন জড়িত আছে বলে জানান তাঁরা। তাঁদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
চট্টগ্রামের রাউজান থেকে অপহরণ হওয়া কলেজশিক্ষার্থী শিবলী সাদিক হৃদয়ের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয় গত সোমবার সকালে। অপহরণের ১৩ দিন পর পুলিশ তাঁর খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হৃদয়ের মরদেহ উদ্ধারের পর অভিযুক্ত উমংচিং মারমাকে নিয়ে ফেরার পথে উত্তেজিত জনতার রোষানলে পড়ে। তারা ওই যুবককে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। বাকি দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
শিবলীর পরিবারের সদস্যরা জানায়, শিবলী যে মুরগির খামারে চাকরি করতেন সেখানে শ্রমিকদের দেখাশোনার দায়িত্ব ছিল শিবলীর। গত দুই মাস আগে খামারের কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে শিবলীর ঝগড়াঝাঁটি হয়। পরে মুরগির খামারের মালিকেরা বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। তবুও তারা ভেতরে-ভেতরে ক্ষোভ রেখে দেয়। তাই তাঁরা তাঁকে অপহরণ করে হত্যা করেন।
মুরগির খামারে বাগ্বিতণ্ডার জের ধরে চট্টগ্রামের রাউজানে কলেজছাত্র ও মুরগির খামারের তত্ত্বাবধায়ক শিবলী সাদিক হৃদয়কে (২০) হত্যা করা হয়। হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ওই খামারের দুই শ্রমিক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
দুই আসামি হলেন সুইচিংমং মারমা (২৪) ও অংথুইমং মারমা (২৫)। সুইচিংমং মারমা রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার বড়ইছড়ির বাসিন্দা এবং অংথুইমং মারমা রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার বাসিন্দা।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল হারুন জানান, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার ইকবাল ও নুরুল হারুনের আদালতে জবানবন্দি দেন তাঁরা।
খুন হওয়া শিবলী সাদিক হৃদয় রাউজানের কদলপুর ইউনিয়নের পঞ্চপাড়া গ্রামের মুহাম্মদ শফির ছেলে। কদলপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। তাঁর বাবা পেশায় পিকআপ ভ্যানের চালক। শফির দুই ছেলের মধ্যে শিবলী বড়।
জবানবন্দির বরাতে ওসি আব্দুল্লাহ আল হারুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, গ্রেপ্তার দুই আসামি আদালতে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। শিবলী সাদিককে ঝগড়া-বাগবিতণ্ডার জেরে শায়েস্তা করতে ২৮ আগস্ট খামারের পেছনের প্রায় আট কিলোমিটার দূরে নিয়ে যাওয়া হয়। পাহাড়ে তাঁকে হাত-পা বেঁধে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে তাঁর পরিবারে ফোন করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
ওসি আরও জানান, ‘অপহরণের এক দিন পর অর্থাৎ ২৯ আগস্ট তাঁকে গলা কেটে হত্যা করে তাঁরা। হত্যার পর শরীর থেকে হাত-পা, মাথা আলাদা করে পাহাড়ের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দেয়। এরপর আসামিরা আবার মুক্তিপণ দাবি করলে তাঁর বাবা বান্দরবানে গিয়ে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ তুলে দেন দুই ব্যক্তির হাতে। মুক্তিপণের পরও তাঁকে ফেরত পাননি পরিবার। কারণে তাঁকে আগে হত্যা করা হয়।’
হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনা করেন উমংচিং মারমা। উমংচিং মারমাসহ তিনজনকে গত রোববার চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যাকাণ্ডে আরও কয়েকজন জড়িত আছে বলে জানান তাঁরা। তাঁদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
চট্টগ্রামের রাউজান থেকে অপহরণ হওয়া কলেজশিক্ষার্থী শিবলী সাদিক হৃদয়ের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয় গত সোমবার সকালে। অপহরণের ১৩ দিন পর পুলিশ তাঁর খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হৃদয়ের মরদেহ উদ্ধারের পর অভিযুক্ত উমংচিং মারমাকে নিয়ে ফেরার পথে উত্তেজিত জনতার রোষানলে পড়ে। তারা ওই যুবককে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। বাকি দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
শিবলীর পরিবারের সদস্যরা জানায়, শিবলী যে মুরগির খামারে চাকরি করতেন সেখানে শ্রমিকদের দেখাশোনার দায়িত্ব ছিল শিবলীর। গত দুই মাস আগে খামারের কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে শিবলীর ঝগড়াঝাঁটি হয়। পরে মুরগির খামারের মালিকেরা বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। তবুও তারা ভেতরে-ভেতরে ক্ষোভ রেখে দেয়। তাই তাঁরা তাঁকে অপহরণ করে হত্যা করেন।
গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীর আটটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। অব্যাহত বৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ডুবে যায় জেলার বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলার ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেই জলাবদ্ধতা এখনো রয়ে গেছে। এক মাসের বেশি এই জলাবদ্ধতায়
২২ মিনিট আগেসরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে যে ঠিকাদার সর্বনিম্ন দরে মালপত্র সরবরাহ করবেন, তাকেই কাজ দেওয়ার কথা। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে রাজশাহী আঞ্চলিক দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারে। এখানে সর্বনিম্ন নয়, যাঁরা সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন—তাঁদেরই কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের প্রায় ৯২ লাখ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে।
২৭ মিনিট আগেবিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) নিয়োগ-বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সম্প্রতি কারাগারে যেতে হয়েছে সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তারকে। তবে এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি গত পাঁচ মাসেও কাজ
৩২ মিনিট আগেউড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার মুরাদপুর গ্রামে। এই গ্রাম, উপজেলা, এমনকি পাশের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও তাঁরা টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন ব্যবসার নামে।
১ ঘণ্টা আগে