পরশুরাম (ফেনী) প্রতিনিধি
ফেনীর পরশুরামে সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিবন্ধন না করলে আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের বরাদ্দকৃত ঘর বাতিলের হুমকি দিয়েছেন ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সাহাব উদ্দিন। গতকাল সোমবার স্থানীয় ইউপি সদস্য পেয়ার আহাম্মদকে সঙ্গে নিয়ে তিনি এই হুমকি দেন।
এ সময় তিনি পেনশন স্কিমের একটি লিফলেট আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন। তবে সর্বজনীন পেনশন স্কিম কি সেটা আশ্রয়ণের বাসিন্দারা বোঝেন না। আশ্রয়ণের বাসিন্দারা সবাই হতদরিদ্র দিনমজুর অন্যের বাসায় কাজ করে তাঁদের সংসার চলে।
উপজেলার পৌর এলাকার বাউরখুমা, মির্জানগর আশ্রয়ণ, বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের শান্তি কলোনি আশ্রয়ণেও একই ধরনের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন।
গতকাল সোমবার (১৩ মে) রাজষপুর আশ্রয়ণে সরেজমিন গিয়ে বাসিন্দাদের তিনি এই হুমকি দিয়েছেন। এ সময় ভূমি কর্মকর্তা ওই আশ্রয়ণের সর্দার মো. শাহাদাতকে নির্দেশনা দেন আজ মঙ্গলবারের মধ্যে বাসিন্দাদের নিয়ে পরশুরাম সোনালী ব্যাংকে গিয়ে ছবিও আইডি কার্ড দিয়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করতে। পেনশন স্কিম চালু না করলে বরাদ্দকৃত ঘর বাতিল করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য পেয়ার আহম্মদও আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের দ্রুত পেনশন স্কিম চালু করতে নির্দেশ দেন না হলে আশ্রয়ণের ঘর ছেড়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
বাউরখুমা আশ্রয়ণের বাসিন্দা মো. হাবিলদার বলেন, তাঁদের আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের দ্রুত পেনশন স্কিম চালুর নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান।
চিথলিয়া ইউনিয়নের রাজষপুর আশ্রয়ণের ৯ জন বাসিন্দা আজ মঙ্গলবার সকালে ছবি ও আইডি কার্ড আর পেনশন স্কিমের একটি লিফলেট নিয়ে সোনালী ব্যাংকে যান কিন্তু ৫০০ টাকা না নিয়ে যাওয়ায় সোনালী ব্যাংকে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা তাঁদের ফিরিয়ে দেন।
চিথলিয়া ইউনিয়নের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিবন্ধন করতে নির্দেশ দিয়েছি। দ্রুত নিবন্ধন না করলে আশ্রয়ণের বরাদ্দকৃত ঘর বাতিল করে দেব।’ তবে তিনি তাঁদের কোনো লিখিত চিঠি দেননি বলে জানিয়েছেন।
ভূমি কর্মকর্তা সাহাব উদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের দ্রুত পেনশন স্কিম চালু করতে নির্দেশ দেওয়ার কথা স্বীকার করে চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য পেয়ার আহম্মদ বলেন, ‘দ্রুত নিবন্ধন না করলে আশ্রয়ণের ঘর ছেড়ে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
বিজলি আক্তার জানান, তিনি অন্যের বাসায় কাজ করেন দৈনিক ৭০০ টাকায়। গত কাল ভূমি অফিসের একজন কর্মকর্তা গিয়ে বলেছেন আজ (মঙ্গলবার) এর মধ্যে যদি পেনশন স্কিমে নিবন্ধন না করি তাহলে তার জন্য বরাদ্দকৃত ঘর বাতিল করে দেবেন। বিজলি আক্তার বলেন, পেনশন স্কিম কি সেটা তিনি জানেন না। আশ্রয়ণের সর্দার শাহাদাত ও ইউপি সদস্য পেয়ার আহাম্মদ লিফলেট দিয়ে ব্যাংকে পাঠিয়েছেন। পেনশন স্কিম চালু করতে যে টাকা লাগবে সেই টাকা তার কাছে নেই। তা ছাড়া তিনি অন্যের বাড়িতে কাজ করে যে টাকা বেতন পান তা দিয়ে তার সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে তিনি কিভাবে পেনশনের কিস্তির টাকা দেবেন।
একই কথা বলেন পাখি আক্তার, বিজলি আক্তার, পারভিন আক্তারসহ রাজষপুরের নয়জন বাসিন্দা। পেনশন স্কিম কি সেটা তাঁরা বোঝেন না। তাঁরা জানান, মঙ্গলবার পেনশন স্কিমের লিফলেট নিয়ে সোনালী ব্যাংকে আসেন কিন্তু ব্যাংকের কর্মকর্তারা তাঁদের পাঁচ শ টাকা করে দিতে বলেন। তবে তাঁদের কাছে কোনো টাকা না থাকায় ব্যাংকের কর্মকর্তা তাঁদের নিবন্ধন করে দেননি।
পরশুরাম উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. মাসুদ রানা বলেন, ‘পেনশন স্কিম নিবন্ধন করতে সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে। কিন্তু আশ্রয়ণের বাসিন্দারা নিবন্ধন না করলে তাঁদের বরাদ্দকৃত ঘর বাতিলের হুমকির বিষয়টি সঠিক নয়। পেনশন স্কিম চালু করলে তাঁদের নিজেদের লাভ হবে।’
পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা হাবিব শাপলা বলেন, ‘ভালো কাজের জন্য মানুষকে বলতে হয় কিন্তু খারাপ কাজের জন্য বলতে হয় না। পেনশন স্কিম চালু করলে তাঁদের ভবিষ্যতের জন্য উপকার হবে। আর আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের অ্যাকাউন্ট না করলে তাঁদের ঘর বাতিল করে দেওয়া হবে সেটা সঠিক নয়। তবে তাঁদের অ্যাকাউন্ট করতে বলা হয়েছে।’
ফেনীর পরশুরামে সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিবন্ধন না করলে আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের বরাদ্দকৃত ঘর বাতিলের হুমকি দিয়েছেন ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সাহাব উদ্দিন। গতকাল সোমবার স্থানীয় ইউপি সদস্য পেয়ার আহাম্মদকে সঙ্গে নিয়ে তিনি এই হুমকি দেন।
এ সময় তিনি পেনশন স্কিমের একটি লিফলেট আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন। তবে সর্বজনীন পেনশন স্কিম কি সেটা আশ্রয়ণের বাসিন্দারা বোঝেন না। আশ্রয়ণের বাসিন্দারা সবাই হতদরিদ্র দিনমজুর অন্যের বাসায় কাজ করে তাঁদের সংসার চলে।
উপজেলার পৌর এলাকার বাউরখুমা, মির্জানগর আশ্রয়ণ, বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের শান্তি কলোনি আশ্রয়ণেও একই ধরনের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন।
গতকাল সোমবার (১৩ মে) রাজষপুর আশ্রয়ণে সরেজমিন গিয়ে বাসিন্দাদের তিনি এই হুমকি দিয়েছেন। এ সময় ভূমি কর্মকর্তা ওই আশ্রয়ণের সর্দার মো. শাহাদাতকে নির্দেশনা দেন আজ মঙ্গলবারের মধ্যে বাসিন্দাদের নিয়ে পরশুরাম সোনালী ব্যাংকে গিয়ে ছবিও আইডি কার্ড দিয়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করতে। পেনশন স্কিম চালু না করলে বরাদ্দকৃত ঘর বাতিল করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য পেয়ার আহম্মদও আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের দ্রুত পেনশন স্কিম চালু করতে নির্দেশ দেন না হলে আশ্রয়ণের ঘর ছেড়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
বাউরখুমা আশ্রয়ণের বাসিন্দা মো. হাবিলদার বলেন, তাঁদের আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের দ্রুত পেনশন স্কিম চালুর নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান।
চিথলিয়া ইউনিয়নের রাজষপুর আশ্রয়ণের ৯ জন বাসিন্দা আজ মঙ্গলবার সকালে ছবি ও আইডি কার্ড আর পেনশন স্কিমের একটি লিফলেট নিয়ে সোনালী ব্যাংকে যান কিন্তু ৫০০ টাকা না নিয়ে যাওয়ায় সোনালী ব্যাংকে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা তাঁদের ফিরিয়ে দেন।
চিথলিয়া ইউনিয়নের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিবন্ধন করতে নির্দেশ দিয়েছি। দ্রুত নিবন্ধন না করলে আশ্রয়ণের বরাদ্দকৃত ঘর বাতিল করে দেব।’ তবে তিনি তাঁদের কোনো লিখিত চিঠি দেননি বলে জানিয়েছেন।
ভূমি কর্মকর্তা সাহাব উদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের দ্রুত পেনশন স্কিম চালু করতে নির্দেশ দেওয়ার কথা স্বীকার করে চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য পেয়ার আহম্মদ বলেন, ‘দ্রুত নিবন্ধন না করলে আশ্রয়ণের ঘর ছেড়ে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
বিজলি আক্তার জানান, তিনি অন্যের বাসায় কাজ করেন দৈনিক ৭০০ টাকায়। গত কাল ভূমি অফিসের একজন কর্মকর্তা গিয়ে বলেছেন আজ (মঙ্গলবার) এর মধ্যে যদি পেনশন স্কিমে নিবন্ধন না করি তাহলে তার জন্য বরাদ্দকৃত ঘর বাতিল করে দেবেন। বিজলি আক্তার বলেন, পেনশন স্কিম কি সেটা তিনি জানেন না। আশ্রয়ণের সর্দার শাহাদাত ও ইউপি সদস্য পেয়ার আহাম্মদ লিফলেট দিয়ে ব্যাংকে পাঠিয়েছেন। পেনশন স্কিম চালু করতে যে টাকা লাগবে সেই টাকা তার কাছে নেই। তা ছাড়া তিনি অন্যের বাড়িতে কাজ করে যে টাকা বেতন পান তা দিয়ে তার সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে তিনি কিভাবে পেনশনের কিস্তির টাকা দেবেন।
একই কথা বলেন পাখি আক্তার, বিজলি আক্তার, পারভিন আক্তারসহ রাজষপুরের নয়জন বাসিন্দা। পেনশন স্কিম কি সেটা তাঁরা বোঝেন না। তাঁরা জানান, মঙ্গলবার পেনশন স্কিমের লিফলেট নিয়ে সোনালী ব্যাংকে আসেন কিন্তু ব্যাংকের কর্মকর্তারা তাঁদের পাঁচ শ টাকা করে দিতে বলেন। তবে তাঁদের কাছে কোনো টাকা না থাকায় ব্যাংকের কর্মকর্তা তাঁদের নিবন্ধন করে দেননি।
পরশুরাম উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. মাসুদ রানা বলেন, ‘পেনশন স্কিম নিবন্ধন করতে সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে। কিন্তু আশ্রয়ণের বাসিন্দারা নিবন্ধন না করলে তাঁদের বরাদ্দকৃত ঘর বাতিলের হুমকির বিষয়টি সঠিক নয়। পেনশন স্কিম চালু করলে তাঁদের নিজেদের লাভ হবে।’
পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা হাবিব শাপলা বলেন, ‘ভালো কাজের জন্য মানুষকে বলতে হয় কিন্তু খারাপ কাজের জন্য বলতে হয় না। পেনশন স্কিম চালু করলে তাঁদের ভবিষ্যতের জন্য উপকার হবে। আর আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের অ্যাকাউন্ট না করলে তাঁদের ঘর বাতিল করে দেওয়া হবে সেটা সঠিক নয়। তবে তাঁদের অ্যাকাউন্ট করতে বলা হয়েছে।’
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে অবস্থিত তৈরি পোশাক কারখানা এম এম নিটওয়্যার ও মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার সকাল ৮টায় শ্রমিকেরা কারখানার গেটে টানানো বন্ধ ঘোষণার নোটিশ দেখতে পান। নোটিশ দেখার পর শ্রমিকদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা...
১৯ মিনিট আগেকারও হাতে খাতা, কারও বইয়ের ভাঁজে গুঁজে রাখা কলম। হঠাৎ হাওয়ার ঝাপটা এসে উড়িয়ে দেয় কাগজ। মাথায় হাত দিয়ে ধরে রাখতে হয় বই। শিক্ষক একটু থেমে যান। শব্দ থেমে যায়। কয়েক সেকেন্ড পরে আবারও
৪০ মিনিট আগে২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জন নিহত হন। হাসপাতালে মারা যান আরও একজন। রমনা বটমূলে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে মুফতি হান্নানসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে শ্রমিক বিক্ষোভ করছেন। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে টঙ্গীর খাঁ-পাড়া এলাকার সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেড নামক কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে এ বিক্ষোভ করেন।
১ ঘণ্টা আগে