নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
১৭ বছর প্রবাসে ছিলেন মোরশেদ মিয়া (৫০)। পাঁচ মেয়ের বাবা তিনি। একটি ছেলেসন্তানের আশায় শিশু অপহরণ চক্রের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলেন। অসহায় এক নারীর ১৫ মাসের ছেলেকে চুরি করিয়ে নিজের ঘরে নিয়ে আসেন তিনি। তবে তাঁকে যেতে হয়েছে কারাগারে। শিশুটিকে উদ্ধারসহ অপহরণকারী চক্রের মূল হোতা মো. দুলাল মিয়াকে (৪৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁওয়ে র্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
র্যাব জানায়, শিশু অপহরণের মানসিকতা নিয়ে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে ওত পেতে ছিলেন অপহরণ চক্রের মূল হোতা মো. দুলাল মিয়া। পাঁচ বছরের মেয়ে ও ১৫ মাসের ছেলেশিশুকে নিয়ে বিপদে পড়া এক নারীকে ফাঁদে ফেলেন তিনি। বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে রাতভর ঘুরিয়ে বাকলিয়া এলাকার একটি ভাড়াবাসায় রাখা হয় ওই নারীকে। এর মধ্যে প্রবাসী মোরশেদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন দুলাল। ১৫ মাসের ওই শিশুর বিনিময়ে চুক্তি হয় লাখ টাকার। পরদিন কৌশলে শিশুকে নিয়ে পালিয়ে যান দুলাল।
এ ঘটনায় শিশুটির পরিবার বাকলিয়া থানায় মামলা করে। মামলার ৯ দিন পর অপহরণের শিকার শিশুকে উদ্ধার করে র্যাব। একই সঙ্গে প্রবাসী ও অপহরণ চক্রের মূল হোতা দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাবের দেওয়া তথ্যমতে, দুলাল মিয়া ও তাঁর পরিবার অপহরণ চক্রের সঙ্গে জড়িত। একটি মেয়েশিশু চুরির মামলারও আসামি তিনি। ওই মামলায় এখনো জেল খাটছেন তাঁর স্ত্রী।
র্যাব জানায়, গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কিশোরগঞ্জ সদরে অভিযান চালিয়ে দুলালকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় মোরশেদকে।
গ্রেপ্তার মো. দুলাল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শোলাবাড়ি এলাকার দুধ মিয়ার ছেলে। আর মোরশেদ মিয়া একই উপজেলার শাখাইতি এলাকার ইজ্জত আলীর ছেলে।
র্যাব জানায়, ১৭ ফেব্রুয়ারি অসহায় এক নারী পাঁচ বছরের মেয়ে ও ১৫ মাসের ছেলেকে নিয়ে রেলস্টেশনে যান। একপর্যায়ে দুলাল মিয়ার কাছে নেত্রকোনাগামী ট্রেনের সময়সূচি জানতে চান তিনি। ট্রেন নেই জানালে দুলাল মিয়াকে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ করেন ওই নারী। দুলাল ওই নারীকে সন্তানসহ কোতোয়ালির বিভিন্ন এলাকায় ঘুরিয়ে রাতে বাকলিয়া থানার বাসুর কলোনিতে একটি কক্ষ ভাড়া করে রাখেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে ওই নারী নাশতা করে গোসলখানায় গেলে দুলাল মিয়া ১৫ মাসের ছেলেশিশুকে নিয়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি বাকলিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এরপর র্যাব-১৪ ও ৭ যৌথ অভিযান চালিয়ে দুলালকে গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে র্যাব-৭-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহবুব আলম বলেন, ‘দুলাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় তার পরিচিত এক প্রবাসী দম্পতির কাছে ১ লাখ টাকায় অপহৃত শিশুটিকে বিক্রি করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারি, শিশুটি অপর আসামি মোরশেদের কাছে রয়েছে। সেই অনুযায়ী আমরা মোরশেদকে গ্রেপ্তার করে শিশুটিকে উদ্ধার করি। মোরশেদ প্রবাসে ১৭ বছর ছিল। সে পাঁচ কন্যাসন্তানের জনক। ছেলেসন্তানের আশায় সে এই অপহরণ চক্রের যোগসাজশে প্ররোচনা দিয়ে শিশুটিকে তার কাছে নিয়ে যায়।’
এই কর্মকর্তা বলেন, ক্রাইম ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিডিএমএস) পর্যালোচনা করে দুলালের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে একটি চুরিসংক্রান্ত মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। এর আগে দুলাল আড়াই বছরের এক শিশুকে অপহরণ করেছিলেন। ওই মামলার এক নম্বর আসামি ছিলেন তিনি। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁর স্ত্রী রুনা বেগম বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
মাহবুব আলম বলেন, দুলাল মিয়ার মোবাইলে বাচ্চা বিক্রির বিষয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে সামাজিকমাধ্যমে কথোপকথনের প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। পুরো চক্রকে ধরার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন জানান, দুই আসামিকে চট্টগ্রামের মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করার পর আদালতের আদেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
১৭ বছর প্রবাসে ছিলেন মোরশেদ মিয়া (৫০)। পাঁচ মেয়ের বাবা তিনি। একটি ছেলেসন্তানের আশায় শিশু অপহরণ চক্রের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলেন। অসহায় এক নারীর ১৫ মাসের ছেলেকে চুরি করিয়ে নিজের ঘরে নিয়ে আসেন তিনি। তবে তাঁকে যেতে হয়েছে কারাগারে। শিশুটিকে উদ্ধারসহ অপহরণকারী চক্রের মূল হোতা মো. দুলাল মিয়াকে (৪৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁওয়ে র্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
র্যাব জানায়, শিশু অপহরণের মানসিকতা নিয়ে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে ওত পেতে ছিলেন অপহরণ চক্রের মূল হোতা মো. দুলাল মিয়া। পাঁচ বছরের মেয়ে ও ১৫ মাসের ছেলেশিশুকে নিয়ে বিপদে পড়া এক নারীকে ফাঁদে ফেলেন তিনি। বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে রাতভর ঘুরিয়ে বাকলিয়া এলাকার একটি ভাড়াবাসায় রাখা হয় ওই নারীকে। এর মধ্যে প্রবাসী মোরশেদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন দুলাল। ১৫ মাসের ওই শিশুর বিনিময়ে চুক্তি হয় লাখ টাকার। পরদিন কৌশলে শিশুকে নিয়ে পালিয়ে যান দুলাল।
এ ঘটনায় শিশুটির পরিবার বাকলিয়া থানায় মামলা করে। মামলার ৯ দিন পর অপহরণের শিকার শিশুকে উদ্ধার করে র্যাব। একই সঙ্গে প্রবাসী ও অপহরণ চক্রের মূল হোতা দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাবের দেওয়া তথ্যমতে, দুলাল মিয়া ও তাঁর পরিবার অপহরণ চক্রের সঙ্গে জড়িত। একটি মেয়েশিশু চুরির মামলারও আসামি তিনি। ওই মামলায় এখনো জেল খাটছেন তাঁর স্ত্রী।
র্যাব জানায়, গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কিশোরগঞ্জ সদরে অভিযান চালিয়ে দুলালকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় মোরশেদকে।
গ্রেপ্তার মো. দুলাল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শোলাবাড়ি এলাকার দুধ মিয়ার ছেলে। আর মোরশেদ মিয়া একই উপজেলার শাখাইতি এলাকার ইজ্জত আলীর ছেলে।
র্যাব জানায়, ১৭ ফেব্রুয়ারি অসহায় এক নারী পাঁচ বছরের মেয়ে ও ১৫ মাসের ছেলেকে নিয়ে রেলস্টেশনে যান। একপর্যায়ে দুলাল মিয়ার কাছে নেত্রকোনাগামী ট্রেনের সময়সূচি জানতে চান তিনি। ট্রেন নেই জানালে দুলাল মিয়াকে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ করেন ওই নারী। দুলাল ওই নারীকে সন্তানসহ কোতোয়ালির বিভিন্ন এলাকায় ঘুরিয়ে রাতে বাকলিয়া থানার বাসুর কলোনিতে একটি কক্ষ ভাড়া করে রাখেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে ওই নারী নাশতা করে গোসলখানায় গেলে দুলাল মিয়া ১৫ মাসের ছেলেশিশুকে নিয়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি বাকলিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এরপর র্যাব-১৪ ও ৭ যৌথ অভিযান চালিয়ে দুলালকে গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে র্যাব-৭-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহবুব আলম বলেন, ‘দুলাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় তার পরিচিত এক প্রবাসী দম্পতির কাছে ১ লাখ টাকায় অপহৃত শিশুটিকে বিক্রি করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারি, শিশুটি অপর আসামি মোরশেদের কাছে রয়েছে। সেই অনুযায়ী আমরা মোরশেদকে গ্রেপ্তার করে শিশুটিকে উদ্ধার করি। মোরশেদ প্রবাসে ১৭ বছর ছিল। সে পাঁচ কন্যাসন্তানের জনক। ছেলেসন্তানের আশায় সে এই অপহরণ চক্রের যোগসাজশে প্ররোচনা দিয়ে শিশুটিকে তার কাছে নিয়ে যায়।’
এই কর্মকর্তা বলেন, ক্রাইম ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিডিএমএস) পর্যালোচনা করে দুলালের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে একটি চুরিসংক্রান্ত মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। এর আগে দুলাল আড়াই বছরের এক শিশুকে অপহরণ করেছিলেন। ওই মামলার এক নম্বর আসামি ছিলেন তিনি। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁর স্ত্রী রুনা বেগম বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
মাহবুব আলম বলেন, দুলাল মিয়ার মোবাইলে বাচ্চা বিক্রির বিষয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে সামাজিকমাধ্যমে কথোপকথনের প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। পুরো চক্রকে ধরার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন জানান, দুই আসামিকে চট্টগ্রামের মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করার পর আদালতের আদেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে অবস্থিত তৈরি পোশাক কারখানা এম এম নিটওয়্যার ও মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার সকাল ৮টায় শ্রমিকেরা কারখানার গেটে টানানো বন্ধ ঘোষণার নোটিশ দেখতে পান। নোটিশ দেখার পর শ্রমিকদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা...
৭ মিনিট আগেকারও হাতে খাতা, কারও বইয়ের ভাঁজে গুঁজে রাখা কলম। হঠাৎ হাওয়ার ঝাপটা এসে উড়িয়ে দেয় কাগজ। মাথায় হাত দিয়ে ধরে রাখতে হয় বই। শিক্ষক একটু থেমে যান। শব্দ থেমে যায়। কয়েক সেকেন্ড পরে আবারও
২৮ মিনিট আগে২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জন নিহত হন। হাসপাতালে মারা যান আরও একজন। রমনা বটমূলে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে মুফতি হান্নানসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৪৪ মিনিট আগেগাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে শ্রমিক বিক্ষোভ করছেন। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে টঙ্গীর খাঁ-পাড়া এলাকার সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেড নামক কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে এ বিক্ষোভ করেন।
১ ঘণ্টা আগে