হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে সুইমিংপুল, জিম, সেলুন, অত্যাধুনিক রেস্টুরেন্টসহ আধুনিক সব সুবিধা যুক্ত করে তৈরি করা হচ্ছে একটি পাঁচতারকা হোটেল। একসময়ের জনমানবহীন এই চরে নির্মাণ করা হচ্ছে এই হোটেল। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা ভাসানচরমুখী হওয়ায় তাঁদের জন্য তৈরি করা হচ্ছে এই পাঁচতারকা মানের হোটেল।
ভাসানচরের দক্ষিণ প্রান্তে কামরুলের ক্যানটিনের পাশে তৈরি করা হচ্ছে এটি। পাঁচতারকা হোটেল ছাড়াও এর পাশে ইউএন ভবন নামে আরও দুটি চোখ ধাঁধানো স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে।
জানা যায়, পাঁচতারকা মানের হোটেল নির্মাণের দায়িত্বে আছে এসএস এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার হাসিব আহাম্মেদ জানান, পাঁচতারকা একটি হোটেলের পাশাপাশি একই মানের আরও দুটি বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ জোরেশোরে এগিয়ে চলেছে। এতে থাকবে আন্তর্জাতিক মানের একটি সুইমিং পুল, জিম ও টেনিস কোর্ট। এ ছাড়া এসব ভবনের একটিতে তৈরি করা হবে অত্যাধুনিক শপিং মল। এতে থাকবে রেস্টুরেন্ট, সেলুন, লন্ড্রিসহ নানা সুযোগ-সুবিধা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে ভাসানচর প্রকল্প-৩-এর মাধ্যমে একজন প্রকৌশলী এসব কাজ তদারক করছেন। মূলত ভাসানচর পর্যবেক্ষণে আসা জাতিসংঘের বিদেশি কর্মকর্তাদের টার্গেট করেই গড়ে তোলা হয়েছে এই শপিং মল। এসবে সাজানো থাকবে বিদেশিদের নিত্যব্যবহার্য নানা জিনিসপত্র।
ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক কমান্ডার আনোয়ারুল কবির বলেন, রোহিঙ্গাদের দেখভাল করার জন্য জাতিসংঘের কর্মকর্তারা সম্মত হয়েছেন। এরই মধ্যে জাতিসংঘের একটি টিম ভাসানচর পরিদর্শন শেষে ঢাকায় গিয়ে আনুষ্ঠানিক সম্মতি জানিয়েছে। তাদের বসবাসের জন্য তৈরি করা হচ্ছে এসব স্থাপনা।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) অতিরিক্ত কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসাইন বলেন, এখানে যথেষ্ট নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হবে। হোটেলের পাশেই থাকবে জাতিসংঘ ও শরণার্থীবিষয়ক কমিশনের জন্য আরও দুটি বহুতল ভবন। তিনটি ভবনেরই নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে কয়েক মাস আগেই।
মোয়াজ্জেম হোসাইন আরও বলেন, ভাসানচরের মাটিতে স্টিল স্ট্রাকচারে নির্মাণ করা হোটেল ও আবাসিক ভবনের পাশেই চলছে আন্তর্জাতিক মানের সুইমিংপুল, জিম ও টেনিস কোর্টের কাজ। অবসরে নৌকায় ঘুরে বেড়ানোর জন্য কাটা হচ্ছে কৃত্রিম লেক। সব মিলিয়ে এক কথায় আধুনিক মানের পাঁচতারকা হোটেলের সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে এখানে।
২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রথম ধাপে ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গার আগমন দিয়ে শুরু হয় ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের আনুষ্ঠানিক স্থানান্তর কার্যক্রম। এর পরে আরও ছয়টি ধাপে আসা নারী, পুরুষ, শিশুসহ মোট ১৮ হাজার ৩৪৭ জন রোহিঙ্গা বর্তমানে ভাসানচরে অবস্থান করছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম হোসেন বলেন, ভাসানচরে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে এরই মধ্যে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করেছে, যাতে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে অত্যাধুনিক ১২০টি আশ্রয়কেন্দ্র, দুটি ২০ শয্যার আধুনিক হাসপাতাল, চারটি কমিউনিটি ক্লিনিক, মসজিদসহ অনেক স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা শুরু হলে পরের কয়েক মাসে অন্তত আট লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর আগে আসে আরও কয়েক লাখ। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ।
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে সুইমিংপুল, জিম, সেলুন, অত্যাধুনিক রেস্টুরেন্টসহ আধুনিক সব সুবিধা যুক্ত করে তৈরি করা হচ্ছে একটি পাঁচতারকা হোটেল। একসময়ের জনমানবহীন এই চরে নির্মাণ করা হচ্ছে এই হোটেল। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা ভাসানচরমুখী হওয়ায় তাঁদের জন্য তৈরি করা হচ্ছে এই পাঁচতারকা মানের হোটেল।
ভাসানচরের দক্ষিণ প্রান্তে কামরুলের ক্যানটিনের পাশে তৈরি করা হচ্ছে এটি। পাঁচতারকা হোটেল ছাড়াও এর পাশে ইউএন ভবন নামে আরও দুটি চোখ ধাঁধানো স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে।
জানা যায়, পাঁচতারকা মানের হোটেল নির্মাণের দায়িত্বে আছে এসএস এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার হাসিব আহাম্মেদ জানান, পাঁচতারকা একটি হোটেলের পাশাপাশি একই মানের আরও দুটি বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ জোরেশোরে এগিয়ে চলেছে। এতে থাকবে আন্তর্জাতিক মানের একটি সুইমিং পুল, জিম ও টেনিস কোর্ট। এ ছাড়া এসব ভবনের একটিতে তৈরি করা হবে অত্যাধুনিক শপিং মল। এতে থাকবে রেস্টুরেন্ট, সেলুন, লন্ড্রিসহ নানা সুযোগ-সুবিধা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে ভাসানচর প্রকল্প-৩-এর মাধ্যমে একজন প্রকৌশলী এসব কাজ তদারক করছেন। মূলত ভাসানচর পর্যবেক্ষণে আসা জাতিসংঘের বিদেশি কর্মকর্তাদের টার্গেট করেই গড়ে তোলা হয়েছে এই শপিং মল। এসবে সাজানো থাকবে বিদেশিদের নিত্যব্যবহার্য নানা জিনিসপত্র।
ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক কমান্ডার আনোয়ারুল কবির বলেন, রোহিঙ্গাদের দেখভাল করার জন্য জাতিসংঘের কর্মকর্তারা সম্মত হয়েছেন। এরই মধ্যে জাতিসংঘের একটি টিম ভাসানচর পরিদর্শন শেষে ঢাকায় গিয়ে আনুষ্ঠানিক সম্মতি জানিয়েছে। তাদের বসবাসের জন্য তৈরি করা হচ্ছে এসব স্থাপনা।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) অতিরিক্ত কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসাইন বলেন, এখানে যথেষ্ট নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হবে। হোটেলের পাশেই থাকবে জাতিসংঘ ও শরণার্থীবিষয়ক কমিশনের জন্য আরও দুটি বহুতল ভবন। তিনটি ভবনেরই নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে কয়েক মাস আগেই।
মোয়াজ্জেম হোসাইন আরও বলেন, ভাসানচরের মাটিতে স্টিল স্ট্রাকচারে নির্মাণ করা হোটেল ও আবাসিক ভবনের পাশেই চলছে আন্তর্জাতিক মানের সুইমিংপুল, জিম ও টেনিস কোর্টের কাজ। অবসরে নৌকায় ঘুরে বেড়ানোর জন্য কাটা হচ্ছে কৃত্রিম লেক। সব মিলিয়ে এক কথায় আধুনিক মানের পাঁচতারকা হোটেলের সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে এখানে।
২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রথম ধাপে ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গার আগমন দিয়ে শুরু হয় ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের আনুষ্ঠানিক স্থানান্তর কার্যক্রম। এর পরে আরও ছয়টি ধাপে আসা নারী, পুরুষ, শিশুসহ মোট ১৮ হাজার ৩৪৭ জন রোহিঙ্গা বর্তমানে ভাসানচরে অবস্থান করছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম হোসেন বলেন, ভাসানচরে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে এরই মধ্যে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করেছে, যাতে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে অত্যাধুনিক ১২০টি আশ্রয়কেন্দ্র, দুটি ২০ শয্যার আধুনিক হাসপাতাল, চারটি কমিউনিটি ক্লিনিক, মসজিদসহ অনেক স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা শুরু হলে পরের কয়েক মাসে অন্তত আট লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর আগে আসে আরও কয়েক লাখ। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ।
গোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
১৭ মিনিট আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
২১ মিনিট আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৪১ মিনিট আগেইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহাম্মদ মুনিরুল মওলাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
১ ঘণ্টা আগে