নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
গোপন ক্যামেরায় চাঁদাবাজির চেক লেনদেনের রেকর্ড ছিল, বাদীর পিঠে ছিল গুলির চিহ্ন। এরপর থানায় মামলা, পুলিশের অভিযোগপত্র, আদালতের অভিযোগ গঠন—সবই হলো। কিন্তু বিচার শুরুর পর আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে বাদী বন্ধন নাথ জানালেন ‘আসামিদের চেনেন না’। গতকাল বুধবার দুপুরে নাটকীয় এই ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে।
বিচারিক কার্যক্রমের এই পর্যায়ে এসে মামলার বাদী আসামিদের শনাক্ত করতে না পারার এই ঘটনায় তোলপাড় চলছে চট্টগ্রামের আদালতপাড়ায়। সবার মুখে মুখে প্রশ্ন—এটা কীভাবে সম্ভব? কারণ, বাদী যে আসামিদের শনাক্ত করতে পারলেন না, সেই আসামি তাঁরই করা কোটি টাকার চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। পত্রিকায় তাঁদের ছবিও প্রকাশিত হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে নিয়ে জানা যায়, এই মামলার আসামিরা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী। ছয় আসামির মধ্যে প্রধান আসামি দেবাশীষ নাথ দেবু চট্টগ্রাম নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। বাকি পাঁচ আসামির নাম এ টি এম মঞ্জুরুল ইসলাম রতন, আবু নাসের চৌধুরী আজাদ, এ কে এম নাজমুল আহসান, মো. ইদ্রিস মিয়া ও মো. ইমরান হোসেন জিয়া।
এই বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ পেয়ার হোসেন বলেন, ‘আজ (২১ জুন) এই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। সাক্ষ্য দিতে এসে মামলার বাদী বন্ধন নাথ আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়ানো আসামিদের শনাক্ত করতে পারেননি বলে আদালতকে জানান। এরপর মামলাটি পরবর্তী বিচারিক কার্যক্রমের জন্য রেখে দেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত-৭-এর বিচারক শামসুল আরেফিন।
নিজের করা মামলার আসামিদের শনাক্ত করতে বাধা কোথায়—তা জানতে মামলার বাদী বন্ধন নাথের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। একইভাবে ফোন ধরেননি মামলার প্রধান আসামি দেবাশীষ নাথ দেবুও।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানায় দেবাশীষ নাথ দেবুসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ১ কোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেছিলেন বন্ধন নাথ। এ মামলায় ২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি নগরীর সাগরিকা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন দেবাশীষ নাথ দেবু। গ্রেপ্তারের পর ওই বছরের ১৮ মার্চ জেলগেটে দেবাশীষ নাথ দেবু ও মঞ্জুরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়ালী উদ্দিন আকবর (বর্তমানে নগরীর আকবরশাহ থানার ওসি)। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা পাঁচটি চেকের মাধ্যমে ৭০ লাখ টাকা চাঁদা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকারও করেন।
মামলার চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, ২০১৬ সালের ৫ মে আসামি দেবাশীষ নাথ দেবু ডিজাইন সোর্স টিম লিমিটেডের কাছ থেকে একটি চেকে ১৫ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। সেই চেকটি চট্টগ্রামের পাহাড়তলী প্রাইম ব্যাংক শাখায় তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে (হিসাব নম্বর: ১৩৬২১০৮০০০১৫১৮) জমা হয়। ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়। গত বছরের ২১ আগস্ট এই মামলার চার্জ গঠনের মাধ্যমে আসামিদের বিচার শুরু করেন আদালত।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, চট্টগ্রাম নগরীর পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকার বাসিন্দা কুয়েতপ্রবাসী বন্ধন নাথ তাঁর মালিকানাধীন জমি উন্নয়নের জন্য ২০১৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ডিজাইন সোর্স লিমিটেড নামে একটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। এই ঘটনায় আসামিরা তাঁর কাছে ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। বন্ধন নাথ চাঁদা দিতে অস্বীকার করে ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের কাছে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করে। এজাহারে উল্লিখিত আসামি এ কে এম নাজমুল আহসান বন্ধন নাথকে গুলিও করেন বলে জানা গেছে।
গোপন ক্যামেরায় চাঁদাবাজির চেক লেনদেনের রেকর্ড ছিল, বাদীর পিঠে ছিল গুলির চিহ্ন। এরপর থানায় মামলা, পুলিশের অভিযোগপত্র, আদালতের অভিযোগ গঠন—সবই হলো। কিন্তু বিচার শুরুর পর আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে বাদী বন্ধন নাথ জানালেন ‘আসামিদের চেনেন না’। গতকাল বুধবার দুপুরে নাটকীয় এই ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে।
বিচারিক কার্যক্রমের এই পর্যায়ে এসে মামলার বাদী আসামিদের শনাক্ত করতে না পারার এই ঘটনায় তোলপাড় চলছে চট্টগ্রামের আদালতপাড়ায়। সবার মুখে মুখে প্রশ্ন—এটা কীভাবে সম্ভব? কারণ, বাদী যে আসামিদের শনাক্ত করতে পারলেন না, সেই আসামি তাঁরই করা কোটি টাকার চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। পত্রিকায় তাঁদের ছবিও প্রকাশিত হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে নিয়ে জানা যায়, এই মামলার আসামিরা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী। ছয় আসামির মধ্যে প্রধান আসামি দেবাশীষ নাথ দেবু চট্টগ্রাম নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। বাকি পাঁচ আসামির নাম এ টি এম মঞ্জুরুল ইসলাম রতন, আবু নাসের চৌধুরী আজাদ, এ কে এম নাজমুল আহসান, মো. ইদ্রিস মিয়া ও মো. ইমরান হোসেন জিয়া।
এই বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ পেয়ার হোসেন বলেন, ‘আজ (২১ জুন) এই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। সাক্ষ্য দিতে এসে মামলার বাদী বন্ধন নাথ আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়ানো আসামিদের শনাক্ত করতে পারেননি বলে আদালতকে জানান। এরপর মামলাটি পরবর্তী বিচারিক কার্যক্রমের জন্য রেখে দেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত-৭-এর বিচারক শামসুল আরেফিন।
নিজের করা মামলার আসামিদের শনাক্ত করতে বাধা কোথায়—তা জানতে মামলার বাদী বন্ধন নাথের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। একইভাবে ফোন ধরেননি মামলার প্রধান আসামি দেবাশীষ নাথ দেবুও।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানায় দেবাশীষ নাথ দেবুসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ১ কোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেছিলেন বন্ধন নাথ। এ মামলায় ২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি নগরীর সাগরিকা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন দেবাশীষ নাথ দেবু। গ্রেপ্তারের পর ওই বছরের ১৮ মার্চ জেলগেটে দেবাশীষ নাথ দেবু ও মঞ্জুরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়ালী উদ্দিন আকবর (বর্তমানে নগরীর আকবরশাহ থানার ওসি)। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা পাঁচটি চেকের মাধ্যমে ৭০ লাখ টাকা চাঁদা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকারও করেন।
মামলার চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, ২০১৬ সালের ৫ মে আসামি দেবাশীষ নাথ দেবু ডিজাইন সোর্স টিম লিমিটেডের কাছ থেকে একটি চেকে ১৫ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। সেই চেকটি চট্টগ্রামের পাহাড়তলী প্রাইম ব্যাংক শাখায় তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে (হিসাব নম্বর: ১৩৬২১০৮০০০১৫১৮) জমা হয়। ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়। গত বছরের ২১ আগস্ট এই মামলার চার্জ গঠনের মাধ্যমে আসামিদের বিচার শুরু করেন আদালত।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, চট্টগ্রাম নগরীর পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকার বাসিন্দা কুয়েতপ্রবাসী বন্ধন নাথ তাঁর মালিকানাধীন জমি উন্নয়নের জন্য ২০১৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ডিজাইন সোর্স লিমিটেড নামে একটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। এই ঘটনায় আসামিরা তাঁর কাছে ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। বন্ধন নাথ চাঁদা দিতে অস্বীকার করে ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের কাছে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করে। এজাহারে উল্লিখিত আসামি এ কে এম নাজমুল আহসান বন্ধন নাথকে গুলিও করেন বলে জানা গেছে।
প্রায় ১৭০ বছর আগে বাংলাদেশে চায়ের চাষ শুরু হয়। পরে সময় যত পেরিয়েছে, চা-বাগানের সংখ্যা ও পরিধি বেড়েছে। কিন্তু বাগানের শ্রমিকদের জীবনমানের তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। এখন বেকারত্বে জর্জরিত হয়ে আছে শ্রমিকদের পরিবারগুলো।
৪৩ মিনিট আগেশ্রমিকের হাতুড়ির আঘাতে ভাঙছে ইট, গড়ে উঠছে দালান, সেতু, রাস্তা। রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে এই পরিশ্রমের কাজ করেও জোড়া লাগেনি তাঁদের ভাগ্য। এখান থেকে পাওয়া সামান্য আয়ে তাঁরা কোনোরকমে ধরে রেখেছেন সংসারের হাল।
১ ঘণ্টা আগেসড়কের গর্তে আটকে গেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা। পেছনে তৈরি হয়েছে যানজট। পেছন থেকে কেউ জোরে হর্ন দিচ্ছে, আবার কেউ করছে গালাগাল। শেষমেশ কয়েকজন মিলে ধাক্কা দিয়ে ওঠাতে হয়েছে রিকশাটিকে। গত রোববার সকালে এমনটাই দেখা যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে হাতিরঝিল যাওয়ার সড়কে। সড়কটি পান্থপথ-তেজগাঁও লিংক রোড নামেও...
৯ ঘণ্টা আগেগাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে মাসব্যাপী শুরু হয়েছে কুটিরশিল্প মেলা। ১৮ এপ্রিল শুরু হওয়া এ মেলায় হস্ত ও কুটিরশিল্পের কোনো পণ্য নেই। রয়েছে দুটি মিষ্টির দোকান, কয়েকটি ফুচকার স্টল, ভূতের বাড়ি জাদু প্রদর্শনী, সার্কাস, নাগরদোলা, স্লিপার, ওয়াটার বোট, লটারির টিকিট বিক্রির ১০-১২টি কাউন্টার ও লটারির ড্র...
৯ ঘণ্টা আগে