Ajker Patrika

চাকসু ভবনে ‘জোবরা ভাতঘর অ্যান্ড কমিউনিটি সেন্টার’ উদ্বোধন

চবি সংবাদদাতা
আপডেট : ০১ জুলাই ২০২৫, ১০: ৩৭
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনে ‘জোবরা ভাতঘর অ্যান্ড কমিউনিটি সেন্টার’ লেখা সংবলিত ব্যঙ্গাত্মক ব্যানার। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনে ‘জোবরা ভাতঘর অ্যান্ড কমিউনিটি সেন্টার’ লেখা সংবলিত ব্যঙ্গাত্মক ব্যানার। ছবি: আজকের পত্রিকা

দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে বন্ধ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন। সেই নির্বাচনের দাবিতে ব্যঙ্গাত্মক প্রতিবাদ জানিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী। তাঁরা ‘চাকসু ভবন’ লেখার ওপর নতুন ব্যানার সাঁটিয়েছেন। তাতে বড় অক্ষরে লেখা হয়েছে, ‘জোবরা ভাতঘর অ্যান্ড কমিউনিটি সেন্টার’। এর নিচে লেখা রয়েছে, ‘এখানে মুলার তরকারি দিয়ে ভাত খাওয়া যায়’।

গতকাল সোমবার ব্যঙ্গাত্মক এই ব্যানার টানিয়ে দেন ছাত্র সংসদের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখার সভাপতি আব্দুর রহমান এই ব্যঙ্গাত্মক ব্যানার টানান। পরে ‘জোবরা ভাতঘর অ্যান্ড কমিউনিটি সেন্টার’ উদ্বোধন ও মোনাজাত করেন। এ সময় ইসলামী ছাত্র মজলিশের চবি সভাপতি সাকিব মাহমুদ রূমীসহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার আন্দোলনের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আব্দুর রহমান বলেন, ‘৩৬ বছর ধরে চাকসু অকার্যকর হয়ে আছে। আমরা এত আন্দোলন-সংগ্রামের পরও ছাত্র সংসদ নির্বাচনের কোনো স্পষ্ট ঘোষণা পাচ্ছি না। আমরা ক্ষোভে চাকসু ভবনে ভাতের হোটেলের সাইনবোর্ড টানিয়ে দিয়েছি। বাস্তবেও এটা এখন ফুল টাইম ভাতের হোটেল আর পার্ট টাইম কমিউনিটি সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। চাকসু ভবন ৩৬ বছর পর তার যোগ্য নাম ফিরে পেয়েছে।’

জানা গেছে, চাকসু নির্বাচনের দাবিতে কর্মসূচি পালন করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী ছাত্র শিবির ‘৩৬ জুলাই’য়ের মধ্যে চাকসু নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরাও এই নির্বাচন চাইছেন।

সংস্কার আন্দোলনের কর্মী ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী তাহসান হাবিব বলেন, ‘ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের মাধ্যম। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গুরুত্বপূর্ণ অর্গানকে দীর্ঘদিন অকার্যকর করে রাখা হয়েছে। আমাদের এ রকম প্রতিবাদমূলক কর্মসূচি তত দিন চলবে, যত দিন না শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় হচ্ছে।’

১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর প্রথম চাকসু নির্বাচন হয় ১৯৭০ সালে। প্রতি শিক্ষাবর্ষে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ছয়বার নির্বাচনের আয়োজন করতে পেরেছে কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ নির্বাচন হয় ১৯৯০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। এরপর ছাত্র সংগঠনগুলোর মুখোমুখি অবস্থান, কয়েক দফা সংঘর্ষ এবং উপযুক্ত পরিবেশ না পাওয়ায় আর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শাকিব খানের নামের সঙ্গে মেগাস্টার শব্দ নিয়ে জাহিদ হাসানের আপত্তি

চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে ধর্ষণ, অভিযোগ শ্রমিক-ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে

হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত রাজশাহীর ৭ বন্দীর সাজা মওকুফ

স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর মৃত্যু ‘বিষক্রিয়ায়’, কেয়ারটেকার চাচাকে সন্দেহ

দুদকের আতশ কাচের নিচে ছয় সাবেক মুখ্য সচিব

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত