আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

রাষ্ট্রায়ত্ত যমুনা অয়েল কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী মো. ইয়াকুব তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। একই সঙ্গে তিনি শ্রমিক লীগ নেতাও। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে সিবিএর সাধারণ সম্পাদক ও গ্যাস অ্যান্ড অয়েলস ফেডারেশনের মহাসচিবের দায়িত্বও সামলাচ্ছেন।
দেশের যেসব স্থানে উড়োজাহাজে যাওয়া যায়, সেসব স্থানে গেলে ইয়াকুব সাধারণত উড়োজাহাজেই চড়েন। বিদেশে ট্যুরও করেন হরহামেশা। মাসিক ৩৪ হাজার টাকা বেতন জ্যেষ্ঠ সহকারী মো. ইয়াকুবের। কিন্তু স্যালারি অ্যাকাউন্টে পৌনে ৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। ব্যাংক এশিয়া কর্তৃপক্ষ তাঁর হিসাবটিকে সন্দেহজনক অস্বাভাবিক লেনদেন (এসটিআর) হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আর ইয়াকুব থাকেন ৪ হাজার ৩০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাটে; যার মূল্য ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকার বেশি।
গত ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলেও এই শ্রমিক লীগ নেতা রয়েছেন বহাল তবিয়তে।
যমুনা অয়েল কোম্পানি থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, ১৯৯৪ সালে যমুনা অয়েল কোম্পানিতে অস্থায়ী পদে দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে চাকরি শুরু করেন ইয়াকুব। তিন বছরের মাথায় ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠানের টাইপিস্ট পদে তাঁর চাকরি স্থায়ী হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তাঁকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
যমুনা অয়েল কোম্পানির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মচারীরা জানান, ইয়াকুবের বিলাসবহুল বাড়ি, দামি গাড়ি, জমিসহ বহু সম্পত্তি রয়েছে। তিনি এখন বহু টাকার মালিক। তাঁর বিরুদ্ধে যমুনা অয়েল কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, ক্যাজুয়াল ও কন্ট্রাক্টর ক্যাজুয়াল নিয়োগ, ফার্নেস অয়েল, বিটুমিনসহ বিভিন্ন খাতে মাসোহারা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে ইয়াকুবের অবৈধ সম্পদ অর্জন নিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১৪ সালেও একবার বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) তাঁর এসব অপকর্মের তদন্ত শুরু করেছিল; কিন্তু অদৃশ্য কারণে তা চাপা পড়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মচারী জানিয়েছেন, ইয়াকুবের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় প্রধান তেল স্থাপনা ও দেশের সব ডিপো থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়েরও মৌখিক অভিযোগ পেয়েছে দুদক। তাঁর এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে বদলিসহ নানা রকম শাস্তি দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যোগসাজশ থাকার অভিযোগ করেছেন একাধিক কর্মচারী।
ইয়াকুবের মতের বাইরের লোকজনের চাকরিচ্যুতির ঘটনাও ঘটেছে। সূত্র জানায়, ইয়াকুবের সহকর্মী বিশ্বজিৎ চৌধুরী, ইফতেখার কামাল খান ও মো. কামরুজ্জামান লিটনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তাঁদের মধ্যে কামরুজ্জামান লিটন মারা গেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর অভিজাত এলাকা লালখান বাজার ৩৩, হাই লেভেল রোডে (মানারাত ইদ্রিস প্যালেস) চার হাজার ৩০০ বর্গফুটের তিনটি ফ্ল্যাট কেনেন ইয়াকুব। পরে তিনটি ফ্ল্যাটকে একটি বানিয়ে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন।
মানারাত ইদ্রিস প্যালেস নির্মাণকারী মানারাত অ্যাসেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এ প্রজেক্টে ইয়াকুব সাহেব যে ফ্ল্যাট কিনেছেন তার তিনটিকে একটি করা হয়েছে। এখানে মোট ৪ হাজার ৩০০ বর্গফুট। ফ্ল্যাটটি মারিয়া সুলতানা হ্যাপির কাছ থেকে কিনেছেন তিনি।’
ফখরুল ইসলাম আরও জানান, বর্তমানে এই এলাকায় প্রতি বর্গফুট ফ্ল্যাটের মূল্য ৬ হাজার টাকার বেশি। সে হিসাবে ইয়াকুবের ফ্ল্যাটটির মূল্য আড়াই কোটি টাকার বেশি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফ্ল্যাট ছাড়াও চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে ইয়াকুবের ২ গন্ডা জমিতে টিনশেডের ঘর আছে। পতেঙ্গায়ও ৩ গন্ডা জমি আছে। আর গ্রামের বাড়ি বোয়ালখালীর বেঙ্গুরাসহ বিভিন্ন স্থানে ইয়াকুবের নামে-বেনামে জমি রয়েছে।
যমুনা অয়েল কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রায় ১২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগও রয়েছে ইয়াকুবের বিরুদ্ধে।
যমুনা অয়েলের জ্যেষ্ঠ সহকারী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মো. এয়াকুব এতটাই প্রভাবশালী যে, তাঁর কথামতো যমুনা অয়েল কর্তৃপক্ষ আমাদের বেতন থেকে টাকা কেটে নিয়েছিল। গত বছর (২০২৩ সালে) আমাদের ওয়েলফেয়ার ফান্ড থেকে টাকা ফেরত দেবে বলে প্রত্যেক কর্মচারীর বেতন থেকে ১ হাজার করে কেটে নেওয়া হয়।’
রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমাকে পাঁচবার বদলি করিয়েছেন ইয়াকুব। অপারেটর আব্দুল মতিনকে ৫-৬ বার বদলি করিয়েছেন।’
যমুনা অয়েলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (সেলস) মো. হাসান ইমাম বলেন, মো. ইয়াকুব ওয়েলফেয়ার ফান্ড থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে গেছেন। এখনো সেই টাকা ফেরত দেননি।
অভিযোগ উঠেছে, যমুনা অয়েল কোম্পানির ঠিকাদারের শ্রমিক মো. আবদুল নুর ও মো. হাসান ফয়সালের সহযোগিতায় সিবিএ নেতা ইয়াকুব ২০১৯ সালে কোম্পানির ডিপোতে চাকরি দেওয়ার নামে ৮ জনের কাছ থেকে কুরিয়ার সার্ভিস ও বিকাশের মাধ্যমে কয়েক দফায় ২৯ লাখ ৭৪ হাজার টাকা নিয়েছেন।
চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে তোতা মিয়া ও চাকরিপ্রার্থীদের নানা ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ইয়াকুবসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানায় ২০১৯ সালের ১৯ জুলাই সাধারণ ডায়েরি করেন মো. তোতা মিয়া।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কুদরত-এ-খুদা বলেন, ‘আমি নতুন আসছি। এ বিষয়ে তেমন কোনো কিছু জানি না।’
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এর সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদার বলেন, যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইয়াকুবের বিষয়ে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
অভিযুক্ত মো. ইয়াকুবকে ফোন করে প্রথমে ৪ হাজার ৩০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট কেনার কথা বলতেই তিনি লাইন কেটে দেন। এরপর কয়েকবার ফোন ও এসএমএস দিয়েও তাঁর সাড়া পাওয়া যায়নি। অবশ্য অন্য কয়েকজন সাংবাদিক দিয়ে প্রতিবেদন না করার অনুরোধ জানান তিনি।
পরে গতকাল রোববার দুপুরে আগ্রাবাদ যমুনা অয়েল ভবনে গেলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (এইচআর) সাইয়েদ সাইদুল ইসলাম বলেন, ইয়াকুব আসেননি। ছুটিতে আছেন কি না তাও জানাতে পারেননি ওই কর্মকর্তা।
আরও খবর পড়ুন:

রাষ্ট্রায়ত্ত যমুনা অয়েল কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী মো. ইয়াকুব তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। একই সঙ্গে তিনি শ্রমিক লীগ নেতাও। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে সিবিএর সাধারণ সম্পাদক ও গ্যাস অ্যান্ড অয়েলস ফেডারেশনের মহাসচিবের দায়িত্বও সামলাচ্ছেন।
দেশের যেসব স্থানে উড়োজাহাজে যাওয়া যায়, সেসব স্থানে গেলে ইয়াকুব সাধারণত উড়োজাহাজেই চড়েন। বিদেশে ট্যুরও করেন হরহামেশা। মাসিক ৩৪ হাজার টাকা বেতন জ্যেষ্ঠ সহকারী মো. ইয়াকুবের। কিন্তু স্যালারি অ্যাকাউন্টে পৌনে ৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। ব্যাংক এশিয়া কর্তৃপক্ষ তাঁর হিসাবটিকে সন্দেহজনক অস্বাভাবিক লেনদেন (এসটিআর) হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আর ইয়াকুব থাকেন ৪ হাজার ৩০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাটে; যার মূল্য ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকার বেশি।
গত ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলেও এই শ্রমিক লীগ নেতা রয়েছেন বহাল তবিয়তে।
যমুনা অয়েল কোম্পানি থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, ১৯৯৪ সালে যমুনা অয়েল কোম্পানিতে অস্থায়ী পদে দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে চাকরি শুরু করেন ইয়াকুব। তিন বছরের মাথায় ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠানের টাইপিস্ট পদে তাঁর চাকরি স্থায়ী হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তাঁকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
যমুনা অয়েল কোম্পানির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মচারীরা জানান, ইয়াকুবের বিলাসবহুল বাড়ি, দামি গাড়ি, জমিসহ বহু সম্পত্তি রয়েছে। তিনি এখন বহু টাকার মালিক। তাঁর বিরুদ্ধে যমুনা অয়েল কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, ক্যাজুয়াল ও কন্ট্রাক্টর ক্যাজুয়াল নিয়োগ, ফার্নেস অয়েল, বিটুমিনসহ বিভিন্ন খাতে মাসোহারা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে ইয়াকুবের অবৈধ সম্পদ অর্জন নিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১৪ সালেও একবার বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) তাঁর এসব অপকর্মের তদন্ত শুরু করেছিল; কিন্তু অদৃশ্য কারণে তা চাপা পড়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মচারী জানিয়েছেন, ইয়াকুবের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় প্রধান তেল স্থাপনা ও দেশের সব ডিপো থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়েরও মৌখিক অভিযোগ পেয়েছে দুদক। তাঁর এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে বদলিসহ নানা রকম শাস্তি দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যোগসাজশ থাকার অভিযোগ করেছেন একাধিক কর্মচারী।
ইয়াকুবের মতের বাইরের লোকজনের চাকরিচ্যুতির ঘটনাও ঘটেছে। সূত্র জানায়, ইয়াকুবের সহকর্মী বিশ্বজিৎ চৌধুরী, ইফতেখার কামাল খান ও মো. কামরুজ্জামান লিটনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তাঁদের মধ্যে কামরুজ্জামান লিটন মারা গেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর অভিজাত এলাকা লালখান বাজার ৩৩, হাই লেভেল রোডে (মানারাত ইদ্রিস প্যালেস) চার হাজার ৩০০ বর্গফুটের তিনটি ফ্ল্যাট কেনেন ইয়াকুব। পরে তিনটি ফ্ল্যাটকে একটি বানিয়ে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন।
মানারাত ইদ্রিস প্যালেস নির্মাণকারী মানারাত অ্যাসেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এ প্রজেক্টে ইয়াকুব সাহেব যে ফ্ল্যাট কিনেছেন তার তিনটিকে একটি করা হয়েছে। এখানে মোট ৪ হাজার ৩০০ বর্গফুট। ফ্ল্যাটটি মারিয়া সুলতানা হ্যাপির কাছ থেকে কিনেছেন তিনি।’
ফখরুল ইসলাম আরও জানান, বর্তমানে এই এলাকায় প্রতি বর্গফুট ফ্ল্যাটের মূল্য ৬ হাজার টাকার বেশি। সে হিসাবে ইয়াকুবের ফ্ল্যাটটির মূল্য আড়াই কোটি টাকার বেশি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফ্ল্যাট ছাড়াও চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে ইয়াকুবের ২ গন্ডা জমিতে টিনশেডের ঘর আছে। পতেঙ্গায়ও ৩ গন্ডা জমি আছে। আর গ্রামের বাড়ি বোয়ালখালীর বেঙ্গুরাসহ বিভিন্ন স্থানে ইয়াকুবের নামে-বেনামে জমি রয়েছে।
যমুনা অয়েল কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রায় ১২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগও রয়েছে ইয়াকুবের বিরুদ্ধে।
যমুনা অয়েলের জ্যেষ্ঠ সহকারী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মো. এয়াকুব এতটাই প্রভাবশালী যে, তাঁর কথামতো যমুনা অয়েল কর্তৃপক্ষ আমাদের বেতন থেকে টাকা কেটে নিয়েছিল। গত বছর (২০২৩ সালে) আমাদের ওয়েলফেয়ার ফান্ড থেকে টাকা ফেরত দেবে বলে প্রত্যেক কর্মচারীর বেতন থেকে ১ হাজার করে কেটে নেওয়া হয়।’
রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমাকে পাঁচবার বদলি করিয়েছেন ইয়াকুব। অপারেটর আব্দুল মতিনকে ৫-৬ বার বদলি করিয়েছেন।’
যমুনা অয়েলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (সেলস) মো. হাসান ইমাম বলেন, মো. ইয়াকুব ওয়েলফেয়ার ফান্ড থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে গেছেন। এখনো সেই টাকা ফেরত দেননি।
অভিযোগ উঠেছে, যমুনা অয়েল কোম্পানির ঠিকাদারের শ্রমিক মো. আবদুল নুর ও মো. হাসান ফয়সালের সহযোগিতায় সিবিএ নেতা ইয়াকুব ২০১৯ সালে কোম্পানির ডিপোতে চাকরি দেওয়ার নামে ৮ জনের কাছ থেকে কুরিয়ার সার্ভিস ও বিকাশের মাধ্যমে কয়েক দফায় ২৯ লাখ ৭৪ হাজার টাকা নিয়েছেন।
চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে তোতা মিয়া ও চাকরিপ্রার্থীদের নানা ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ইয়াকুবসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানায় ২০১৯ সালের ১৯ জুলাই সাধারণ ডায়েরি করেন মো. তোতা মিয়া।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কুদরত-এ-খুদা বলেন, ‘আমি নতুন আসছি। এ বিষয়ে তেমন কোনো কিছু জানি না।’
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এর সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদার বলেন, যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইয়াকুবের বিষয়ে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
অভিযুক্ত মো. ইয়াকুবকে ফোন করে প্রথমে ৪ হাজার ৩০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট কেনার কথা বলতেই তিনি লাইন কেটে দেন। এরপর কয়েকবার ফোন ও এসএমএস দিয়েও তাঁর সাড়া পাওয়া যায়নি। অবশ্য অন্য কয়েকজন সাংবাদিক দিয়ে প্রতিবেদন না করার অনুরোধ জানান তিনি।
পরে গতকাল রোববার দুপুরে আগ্রাবাদ যমুনা অয়েল ভবনে গেলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (এইচআর) সাইয়েদ সাইদুল ইসলাম বলেন, ইয়াকুব আসেননি। ছুটিতে আছেন কি না তাও জানাতে পারেননি ওই কর্মকর্তা।
আরও খবর পড়ুন:
আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

রাষ্ট্রায়ত্ত যমুনা অয়েল কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী মো. ইয়াকুব তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। একই সঙ্গে তিনি শ্রমিক লীগ নেতাও। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে সিবিএর সাধারণ সম্পাদক ও গ্যাস অ্যান্ড অয়েলস ফেডারেশনের মহাসচিবের দায়িত্বও সামলাচ্ছেন।
দেশের যেসব স্থানে উড়োজাহাজে যাওয়া যায়, সেসব স্থানে গেলে ইয়াকুব সাধারণত উড়োজাহাজেই চড়েন। বিদেশে ট্যুরও করেন হরহামেশা। মাসিক ৩৪ হাজার টাকা বেতন জ্যেষ্ঠ সহকারী মো. ইয়াকুবের। কিন্তু স্যালারি অ্যাকাউন্টে পৌনে ৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। ব্যাংক এশিয়া কর্তৃপক্ষ তাঁর হিসাবটিকে সন্দেহজনক অস্বাভাবিক লেনদেন (এসটিআর) হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আর ইয়াকুব থাকেন ৪ হাজার ৩০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাটে; যার মূল্য ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকার বেশি।
গত ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলেও এই শ্রমিক লীগ নেতা রয়েছেন বহাল তবিয়তে।
যমুনা অয়েল কোম্পানি থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, ১৯৯৪ সালে যমুনা অয়েল কোম্পানিতে অস্থায়ী পদে দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে চাকরি শুরু করেন ইয়াকুব। তিন বছরের মাথায় ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠানের টাইপিস্ট পদে তাঁর চাকরি স্থায়ী হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তাঁকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
যমুনা অয়েল কোম্পানির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মচারীরা জানান, ইয়াকুবের বিলাসবহুল বাড়ি, দামি গাড়ি, জমিসহ বহু সম্পত্তি রয়েছে। তিনি এখন বহু টাকার মালিক। তাঁর বিরুদ্ধে যমুনা অয়েল কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, ক্যাজুয়াল ও কন্ট্রাক্টর ক্যাজুয়াল নিয়োগ, ফার্নেস অয়েল, বিটুমিনসহ বিভিন্ন খাতে মাসোহারা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে ইয়াকুবের অবৈধ সম্পদ অর্জন নিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১৪ সালেও একবার বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) তাঁর এসব অপকর্মের তদন্ত শুরু করেছিল; কিন্তু অদৃশ্য কারণে তা চাপা পড়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মচারী জানিয়েছেন, ইয়াকুবের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় প্রধান তেল স্থাপনা ও দেশের সব ডিপো থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়েরও মৌখিক অভিযোগ পেয়েছে দুদক। তাঁর এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে বদলিসহ নানা রকম শাস্তি দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যোগসাজশ থাকার অভিযোগ করেছেন একাধিক কর্মচারী।
ইয়াকুবের মতের বাইরের লোকজনের চাকরিচ্যুতির ঘটনাও ঘটেছে। সূত্র জানায়, ইয়াকুবের সহকর্মী বিশ্বজিৎ চৌধুরী, ইফতেখার কামাল খান ও মো. কামরুজ্জামান লিটনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তাঁদের মধ্যে কামরুজ্জামান লিটন মারা গেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর অভিজাত এলাকা লালখান বাজার ৩৩, হাই লেভেল রোডে (মানারাত ইদ্রিস প্যালেস) চার হাজার ৩০০ বর্গফুটের তিনটি ফ্ল্যাট কেনেন ইয়াকুব। পরে তিনটি ফ্ল্যাটকে একটি বানিয়ে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন।
মানারাত ইদ্রিস প্যালেস নির্মাণকারী মানারাত অ্যাসেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এ প্রজেক্টে ইয়াকুব সাহেব যে ফ্ল্যাট কিনেছেন তার তিনটিকে একটি করা হয়েছে। এখানে মোট ৪ হাজার ৩০০ বর্গফুট। ফ্ল্যাটটি মারিয়া সুলতানা হ্যাপির কাছ থেকে কিনেছেন তিনি।’
ফখরুল ইসলাম আরও জানান, বর্তমানে এই এলাকায় প্রতি বর্গফুট ফ্ল্যাটের মূল্য ৬ হাজার টাকার বেশি। সে হিসাবে ইয়াকুবের ফ্ল্যাটটির মূল্য আড়াই কোটি টাকার বেশি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফ্ল্যাট ছাড়াও চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে ইয়াকুবের ২ গন্ডা জমিতে টিনশেডের ঘর আছে। পতেঙ্গায়ও ৩ গন্ডা জমি আছে। আর গ্রামের বাড়ি বোয়ালখালীর বেঙ্গুরাসহ বিভিন্ন স্থানে ইয়াকুবের নামে-বেনামে জমি রয়েছে।
যমুনা অয়েল কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রায় ১২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগও রয়েছে ইয়াকুবের বিরুদ্ধে।
যমুনা অয়েলের জ্যেষ্ঠ সহকারী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মো. এয়াকুব এতটাই প্রভাবশালী যে, তাঁর কথামতো যমুনা অয়েল কর্তৃপক্ষ আমাদের বেতন থেকে টাকা কেটে নিয়েছিল। গত বছর (২০২৩ সালে) আমাদের ওয়েলফেয়ার ফান্ড থেকে টাকা ফেরত দেবে বলে প্রত্যেক কর্মচারীর বেতন থেকে ১ হাজার করে কেটে নেওয়া হয়।’
রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমাকে পাঁচবার বদলি করিয়েছেন ইয়াকুব। অপারেটর আব্দুল মতিনকে ৫-৬ বার বদলি করিয়েছেন।’
যমুনা অয়েলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (সেলস) মো. হাসান ইমাম বলেন, মো. ইয়াকুব ওয়েলফেয়ার ফান্ড থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে গেছেন। এখনো সেই টাকা ফেরত দেননি।
অভিযোগ উঠেছে, যমুনা অয়েল কোম্পানির ঠিকাদারের শ্রমিক মো. আবদুল নুর ও মো. হাসান ফয়সালের সহযোগিতায় সিবিএ নেতা ইয়াকুব ২০১৯ সালে কোম্পানির ডিপোতে চাকরি দেওয়ার নামে ৮ জনের কাছ থেকে কুরিয়ার সার্ভিস ও বিকাশের মাধ্যমে কয়েক দফায় ২৯ লাখ ৭৪ হাজার টাকা নিয়েছেন।
চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে তোতা মিয়া ও চাকরিপ্রার্থীদের নানা ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ইয়াকুবসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানায় ২০১৯ সালের ১৯ জুলাই সাধারণ ডায়েরি করেন মো. তোতা মিয়া।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কুদরত-এ-খুদা বলেন, ‘আমি নতুন আসছি। এ বিষয়ে তেমন কোনো কিছু জানি না।’
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এর সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদার বলেন, যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইয়াকুবের বিষয়ে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
অভিযুক্ত মো. ইয়াকুবকে ফোন করে প্রথমে ৪ হাজার ৩০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট কেনার কথা বলতেই তিনি লাইন কেটে দেন। এরপর কয়েকবার ফোন ও এসএমএস দিয়েও তাঁর সাড়া পাওয়া যায়নি। অবশ্য অন্য কয়েকজন সাংবাদিক দিয়ে প্রতিবেদন না করার অনুরোধ জানান তিনি।
পরে গতকাল রোববার দুপুরে আগ্রাবাদ যমুনা অয়েল ভবনে গেলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (এইচআর) সাইয়েদ সাইদুল ইসলাম বলেন, ইয়াকুব আসেননি। ছুটিতে আছেন কি না তাও জানাতে পারেননি ওই কর্মকর্তা।
আরও খবর পড়ুন:

রাষ্ট্রায়ত্ত যমুনা অয়েল কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী মো. ইয়াকুব তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। একই সঙ্গে তিনি শ্রমিক লীগ নেতাও। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে সিবিএর সাধারণ সম্পাদক ও গ্যাস অ্যান্ড অয়েলস ফেডারেশনের মহাসচিবের দায়িত্বও সামলাচ্ছেন।
দেশের যেসব স্থানে উড়োজাহাজে যাওয়া যায়, সেসব স্থানে গেলে ইয়াকুব সাধারণত উড়োজাহাজেই চড়েন। বিদেশে ট্যুরও করেন হরহামেশা। মাসিক ৩৪ হাজার টাকা বেতন জ্যেষ্ঠ সহকারী মো. ইয়াকুবের। কিন্তু স্যালারি অ্যাকাউন্টে পৌনে ৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। ব্যাংক এশিয়া কর্তৃপক্ষ তাঁর হিসাবটিকে সন্দেহজনক অস্বাভাবিক লেনদেন (এসটিআর) হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আর ইয়াকুব থাকেন ৪ হাজার ৩০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাটে; যার মূল্য ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকার বেশি।
গত ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলেও এই শ্রমিক লীগ নেতা রয়েছেন বহাল তবিয়তে।
যমুনা অয়েল কোম্পানি থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, ১৯৯৪ সালে যমুনা অয়েল কোম্পানিতে অস্থায়ী পদে দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে চাকরি শুরু করেন ইয়াকুব। তিন বছরের মাথায় ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠানের টাইপিস্ট পদে তাঁর চাকরি স্থায়ী হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তাঁকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
যমুনা অয়েল কোম্পানির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মচারীরা জানান, ইয়াকুবের বিলাসবহুল বাড়ি, দামি গাড়ি, জমিসহ বহু সম্পত্তি রয়েছে। তিনি এখন বহু টাকার মালিক। তাঁর বিরুদ্ধে যমুনা অয়েল কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, ক্যাজুয়াল ও কন্ট্রাক্টর ক্যাজুয়াল নিয়োগ, ফার্নেস অয়েল, বিটুমিনসহ বিভিন্ন খাতে মাসোহারা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে ইয়াকুবের অবৈধ সম্পদ অর্জন নিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১৪ সালেও একবার বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) তাঁর এসব অপকর্মের তদন্ত শুরু করেছিল; কিন্তু অদৃশ্য কারণে তা চাপা পড়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মচারী জানিয়েছেন, ইয়াকুবের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় প্রধান তেল স্থাপনা ও দেশের সব ডিপো থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়েরও মৌখিক অভিযোগ পেয়েছে দুদক। তাঁর এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে বদলিসহ নানা রকম শাস্তি দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যোগসাজশ থাকার অভিযোগ করেছেন একাধিক কর্মচারী।
ইয়াকুবের মতের বাইরের লোকজনের চাকরিচ্যুতির ঘটনাও ঘটেছে। সূত্র জানায়, ইয়াকুবের সহকর্মী বিশ্বজিৎ চৌধুরী, ইফতেখার কামাল খান ও মো. কামরুজ্জামান লিটনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তাঁদের মধ্যে কামরুজ্জামান লিটন মারা গেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর অভিজাত এলাকা লালখান বাজার ৩৩, হাই লেভেল রোডে (মানারাত ইদ্রিস প্যালেস) চার হাজার ৩০০ বর্গফুটের তিনটি ফ্ল্যাট কেনেন ইয়াকুব। পরে তিনটি ফ্ল্যাটকে একটি বানিয়ে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন।
মানারাত ইদ্রিস প্যালেস নির্মাণকারী মানারাত অ্যাসেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এ প্রজেক্টে ইয়াকুব সাহেব যে ফ্ল্যাট কিনেছেন তার তিনটিকে একটি করা হয়েছে। এখানে মোট ৪ হাজার ৩০০ বর্গফুট। ফ্ল্যাটটি মারিয়া সুলতানা হ্যাপির কাছ থেকে কিনেছেন তিনি।’
ফখরুল ইসলাম আরও জানান, বর্তমানে এই এলাকায় প্রতি বর্গফুট ফ্ল্যাটের মূল্য ৬ হাজার টাকার বেশি। সে হিসাবে ইয়াকুবের ফ্ল্যাটটির মূল্য আড়াই কোটি টাকার বেশি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফ্ল্যাট ছাড়াও চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে ইয়াকুবের ২ গন্ডা জমিতে টিনশেডের ঘর আছে। পতেঙ্গায়ও ৩ গন্ডা জমি আছে। আর গ্রামের বাড়ি বোয়ালখালীর বেঙ্গুরাসহ বিভিন্ন স্থানে ইয়াকুবের নামে-বেনামে জমি রয়েছে।
যমুনা অয়েল কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রায় ১২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগও রয়েছে ইয়াকুবের বিরুদ্ধে।
যমুনা অয়েলের জ্যেষ্ঠ সহকারী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মো. এয়াকুব এতটাই প্রভাবশালী যে, তাঁর কথামতো যমুনা অয়েল কর্তৃপক্ষ আমাদের বেতন থেকে টাকা কেটে নিয়েছিল। গত বছর (২০২৩ সালে) আমাদের ওয়েলফেয়ার ফান্ড থেকে টাকা ফেরত দেবে বলে প্রত্যেক কর্মচারীর বেতন থেকে ১ হাজার করে কেটে নেওয়া হয়।’
রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমাকে পাঁচবার বদলি করিয়েছেন ইয়াকুব। অপারেটর আব্দুল মতিনকে ৫-৬ বার বদলি করিয়েছেন।’
যমুনা অয়েলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (সেলস) মো. হাসান ইমাম বলেন, মো. ইয়াকুব ওয়েলফেয়ার ফান্ড থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে গেছেন। এখনো সেই টাকা ফেরত দেননি।
অভিযোগ উঠেছে, যমুনা অয়েল কোম্পানির ঠিকাদারের শ্রমিক মো. আবদুল নুর ও মো. হাসান ফয়সালের সহযোগিতায় সিবিএ নেতা ইয়াকুব ২০১৯ সালে কোম্পানির ডিপোতে চাকরি দেওয়ার নামে ৮ জনের কাছ থেকে কুরিয়ার সার্ভিস ও বিকাশের মাধ্যমে কয়েক দফায় ২৯ লাখ ৭৪ হাজার টাকা নিয়েছেন।
চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে তোতা মিয়া ও চাকরিপ্রার্থীদের নানা ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ইয়াকুবসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানায় ২০১৯ সালের ১৯ জুলাই সাধারণ ডায়েরি করেন মো. তোতা মিয়া।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কুদরত-এ-খুদা বলেন, ‘আমি নতুন আসছি। এ বিষয়ে তেমন কোনো কিছু জানি না।’
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এর সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদার বলেন, যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইয়াকুবের বিষয়ে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
অভিযুক্ত মো. ইয়াকুবকে ফোন করে প্রথমে ৪ হাজার ৩০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট কেনার কথা বলতেই তিনি লাইন কেটে দেন। এরপর কয়েকবার ফোন ও এসএমএস দিয়েও তাঁর সাড়া পাওয়া যায়নি। অবশ্য অন্য কয়েকজন সাংবাদিক দিয়ে প্রতিবেদন না করার অনুরোধ জানান তিনি।
পরে গতকাল রোববার দুপুরে আগ্রাবাদ যমুনা অয়েল ভবনে গেলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (এইচআর) সাইয়েদ সাইদুল ইসলাম বলেন, ইয়াকুব আসেননি। ছুটিতে আছেন কি না তাও জানাতে পারেননি ওই কর্মকর্তা।
আরও খবর পড়ুন:

নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৩৫ মিনিট আগে
গাজীপুরের কালীগঞ্জে রেললাইন দিয়ে হাঁটার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে নানি-নাতনিসহ তিন নারী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে টঙ্গী-ভৈরব রেলপথের আড়িখোলা রেলস্টেশনসংলগ্ন টেকপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৮ মিনিট আগে
বান্দরবানের থানচি উপজেলায় দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০টি মশারি, ১২০টি নৌকার ইঞ্জিনের পাখা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে তিন্দুমুখ বিজিবি চেকপোস্ট পার হওয়ার সময় নৌকাগুলো তল্লাশি করে এসব জিনিস জব্দ করে বিজিবি।
১ ঘণ্টা আগে
নলছিটি উপজেলার লঞ্চঘাট এখন থেকে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নামে পরিচিত হবে। জন্মস্থান ও শৈশবের স্মৃতিতে গাথা এই লঞ্চঘাট তাঁর নামের সঙ্গে চিরস্থায়ীভাবে যুক্ত হলো।
১ ঘণ্টা আগেনরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
২৩ ডিসেম্বর রাতে শিবপুর উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের পুবেরগাঁও গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য কাশেম খানের খামারে বাছুরটির জন্ম।
খামারমালিক কাশেম খান বলেন, বাছুরটি জন্মের পর থেকেই অসুস্থ। স্বাভাবিকভাবে দুধ পান করতে না পারায় ফিডারের মাধ্যমে দুধ খাওয়াতে হচ্ছে।
তিনি জানান, তাঁর খামারের একটি গাভি বাছুরটির জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেন, এর আগেও গাভিটির বাছুর হয়েছে। কিন্তু এবারের মতো এমন অদ্ভুদ বাছুর আগে কখনো হয়নি।
ঘটনাটি জানাজানির পর থেকেই বাছুরটিকে একনজর দেখতে আশপাশের কৌতূহলী মানুষ খামারে আসছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে গরু-ছাগল দেখছি। কিন্তু তিন চোখ আর দুই মুখের বাছুর এই প্রথম দেখলাম। খবর পেয়ে দূর থেকে এসেছি।’
আরেক স্থানীয় নারী জরিনা বেগম বলেন, ‘বাছুরটা দেখতে অদ্ভুত লাগলেও মায়া হচ্ছে। বাছুরটির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। অনেকেই দ্রুত প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন।’
এর আগে এ ধরনের বাছুর জন্মের বিষয়ে প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সাধারণত জেনেটিকস ডিফেক্টের কারণে গাভির এমন ত্রুটিপূর্ণ বাচ্চার জন্ম হয়।

নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
২৩ ডিসেম্বর রাতে শিবপুর উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের পুবেরগাঁও গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য কাশেম খানের খামারে বাছুরটির জন্ম।
খামারমালিক কাশেম খান বলেন, বাছুরটি জন্মের পর থেকেই অসুস্থ। স্বাভাবিকভাবে দুধ পান করতে না পারায় ফিডারের মাধ্যমে দুধ খাওয়াতে হচ্ছে।
তিনি জানান, তাঁর খামারের একটি গাভি বাছুরটির জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেন, এর আগেও গাভিটির বাছুর হয়েছে। কিন্তু এবারের মতো এমন অদ্ভুদ বাছুর আগে কখনো হয়নি।
ঘটনাটি জানাজানির পর থেকেই বাছুরটিকে একনজর দেখতে আশপাশের কৌতূহলী মানুষ খামারে আসছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে গরু-ছাগল দেখছি। কিন্তু তিন চোখ আর দুই মুখের বাছুর এই প্রথম দেখলাম। খবর পেয়ে দূর থেকে এসেছি।’
আরেক স্থানীয় নারী জরিনা বেগম বলেন, ‘বাছুরটা দেখতে অদ্ভুত লাগলেও মায়া হচ্ছে। বাছুরটির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। অনেকেই দ্রুত প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন।’
এর আগে এ ধরনের বাছুর জন্মের বিষয়ে প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সাধারণত জেনেটিকস ডিফেক্টের কারণে গাভির এমন ত্রুটিপূর্ণ বাচ্চার জন্ম হয়।

রাষ্ট্রায়ত্ত যমুনা অয়েল কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী মো. ইয়াকুব তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। একই সঙ্গে তিনি শ্রমিক লীগ নেতাও। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে সিবিএর সাধারণ সম্পাদক ও গ্যাস অ্যান্ড অয়েলস ফেডারেশনের মহাসচিবের দায়িত্বও সামলাচ্ছেন।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
গাজীপুরের কালীগঞ্জে রেললাইন দিয়ে হাঁটার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে নানি-নাতনিসহ তিন নারী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে টঙ্গী-ভৈরব রেলপথের আড়িখোলা রেলস্টেশনসংলগ্ন টেকপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৮ মিনিট আগে
বান্দরবানের থানচি উপজেলায় দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০টি মশারি, ১২০টি নৌকার ইঞ্জিনের পাখা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে তিন্দুমুখ বিজিবি চেকপোস্ট পার হওয়ার সময় নৌকাগুলো তল্লাশি করে এসব জিনিস জব্দ করে বিজিবি।
১ ঘণ্টা আগে
নলছিটি উপজেলার লঞ্চঘাট এখন থেকে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নামে পরিচিত হবে। জন্মস্থান ও শৈশবের স্মৃতিতে গাথা এই লঞ্চঘাট তাঁর নামের সঙ্গে চিরস্থায়ীভাবে যুক্ত হলো।
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরের কালীগঞ্জে রেললাইন দিয়ে হাঁটার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে নানি-নাতনিসহ তিন নারী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে টঙ্গী-ভৈরব রেলপথের আড়িখোলা রেলস্টেশনসংলগ্ন টেকপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নারীরা হলেন কালীগঞ্জ পৌরসভার দেওয়ালেরটেক গ্রামের মোবারক হোসেনের স্ত্রী সাদিয়া বেগম (২৪), একই এলাকার বাবু মিয়ার মেয়ে অনাদি আক্তার (১৩) এবং নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার মরজাল এলাকার বাসিন্দা কমলা বেগম (৫৫)। নিহত কমলা বেগম ও অনাদি আক্তার সম্পর্কে নানি-নাতনি এবং সাদিয়া বেগম তাঁদের প্রতিবেশী ছিলেন।
স্থানীয়রা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আড়িখোলা রেলব্রিজ এলাকায় রেললাইনের ওপর দিয়ে তিনজন হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নোয়াখালীগামী ‘উপকূল এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি চলে আসে। এ সময় তাঁরা রেলব্রিজের ওপর থাকায় সেখান থেকে দ্রুত সরে যাওয়ার সুযোগ পাননি। পরে ট্রেনটি তাঁদের ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই কমলা বেগম ও সাদিয়া বেগমের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় অনাদি আক্তারকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জিয়াউর রহমান জানান, অনাদি আক্তারকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওবায়দুল হক জানান, এটি রেলওয়ের আওতাধীন দুর্ঘটনা হওয়ায় রেলওয়ে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
রেলওয়ে নরসিংদী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) দিলীপ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল সম্পন্ন করেছি। নিহত নারীদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে বিনা ময়নাতদন্তে লাশগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

গাজীপুরের কালীগঞ্জে রেললাইন দিয়ে হাঁটার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে নানি-নাতনিসহ তিন নারী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে টঙ্গী-ভৈরব রেলপথের আড়িখোলা রেলস্টেশনসংলগ্ন টেকপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নারীরা হলেন কালীগঞ্জ পৌরসভার দেওয়ালেরটেক গ্রামের মোবারক হোসেনের স্ত্রী সাদিয়া বেগম (২৪), একই এলাকার বাবু মিয়ার মেয়ে অনাদি আক্তার (১৩) এবং নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার মরজাল এলাকার বাসিন্দা কমলা বেগম (৫৫)। নিহত কমলা বেগম ও অনাদি আক্তার সম্পর্কে নানি-নাতনি এবং সাদিয়া বেগম তাঁদের প্রতিবেশী ছিলেন।
স্থানীয়রা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আড়িখোলা রেলব্রিজ এলাকায় রেললাইনের ওপর দিয়ে তিনজন হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নোয়াখালীগামী ‘উপকূল এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি চলে আসে। এ সময় তাঁরা রেলব্রিজের ওপর থাকায় সেখান থেকে দ্রুত সরে যাওয়ার সুযোগ পাননি। পরে ট্রেনটি তাঁদের ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই কমলা বেগম ও সাদিয়া বেগমের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় অনাদি আক্তারকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জিয়াউর রহমান জানান, অনাদি আক্তারকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওবায়দুল হক জানান, এটি রেলওয়ের আওতাধীন দুর্ঘটনা হওয়ায় রেলওয়ে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
রেলওয়ে নরসিংদী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) দিলীপ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল সম্পন্ন করেছি। নিহত নারীদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে বিনা ময়নাতদন্তে লাশগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

রাষ্ট্রায়ত্ত যমুনা অয়েল কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী মো. ইয়াকুব তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। একই সঙ্গে তিনি শ্রমিক লীগ নেতাও। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে সিবিএর সাধারণ সম্পাদক ও গ্যাস অ্যান্ড অয়েলস ফেডারেশনের মহাসচিবের দায়িত্বও সামলাচ্ছেন।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৩৫ মিনিট আগে
বান্দরবানের থানচি উপজেলায় দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০টি মশারি, ১২০টি নৌকার ইঞ্জিনের পাখা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে তিন্দুমুখ বিজিবি চেকপোস্ট পার হওয়ার সময় নৌকাগুলো তল্লাশি করে এসব জিনিস জব্দ করে বিজিবি।
১ ঘণ্টা আগে
নলছিটি উপজেলার লঞ্চঘাট এখন থেকে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নামে পরিচিত হবে। জন্মস্থান ও শৈশবের স্মৃতিতে গাথা এই লঞ্চঘাট তাঁর নামের সঙ্গে চিরস্থায়ীভাবে যুক্ত হলো।
১ ঘণ্টা আগেথানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি

বান্দরবানের থানচি উপজেলায় দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০টি মশারি, ১২০টি নৌকার ইঞ্জিনের পাখা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে তিন্দুমুখ বিজিবি চেকপোস্ট পার হওয়ার সময় নৌকাগুলো তল্লাশি করে এসব জিনিস জব্দ করে বিজিবি। এসব মশারি ও ইঞ্জিনের পাখা বান্দরবানের থানচির বড় মদক সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির জন্য নেওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছে বিজিবি। এ ঘটনায় নৌকা দুটি থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের থানচি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আটক ব্যক্তিরা হলেন থোয়াই হ্লা চিং মারমা, উমং সাইং মারমা, হ্লাচিংথোয়াই মারমা, উক্যছাইন মারমা ও মো. ইউনুস।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে বিজিবি বলিপাড়া ৩৮ ব্যাটালিয়ানের সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেনের জানান, নিজস্ব গোয়েন্দা সূত্রে তাঁরা জেনেছেন, দীর্ঘদিন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ওষুধ, কাপড়, জুতা, মোজা, মশারি, নৌকা ইঞ্জিনের পাখা ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ মিয়ানমারের আরাকান আর্মির কাছে সরবরাহ করছে একটি সিন্ডিকেট চক্র। পাচারকারীদের ধরতে সীমান্তের বিজিবি চৌকিগুলোতে বিজিবি সদস্যরা সতর্ক রয়েছেন।
জাকির হোসেন বলেন, গতকাল বুধবার তিন্দুমুখ বিজিবি চেকপোস্ট অতিক্রম করার সময় মালবাহী তিনটি ইঞ্জিন নৌকা দেখে বিজিবির সদস্যদের সন্দেহ হয়। এ সময় নৌকা থামাতে বললে একটি নৌকা দ্রুত চলে যায়। বাকি দুটি নৌকা তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০টি মশারি, ১২০টি ইঞ্জিন বোটসহ অন্যান্য পণ্য পাওয়া যায়।

বান্দরবানের থানচি উপজেলায় দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০টি মশারি, ১২০টি নৌকার ইঞ্জিনের পাখা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে তিন্দুমুখ বিজিবি চেকপোস্ট পার হওয়ার সময় নৌকাগুলো তল্লাশি করে এসব জিনিস জব্দ করে বিজিবি। এসব মশারি ও ইঞ্জিনের পাখা বান্দরবানের থানচির বড় মদক সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির জন্য নেওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছে বিজিবি। এ ঘটনায় নৌকা দুটি থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের থানচি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আটক ব্যক্তিরা হলেন থোয়াই হ্লা চিং মারমা, উমং সাইং মারমা, হ্লাচিংথোয়াই মারমা, উক্যছাইন মারমা ও মো. ইউনুস।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে বিজিবি বলিপাড়া ৩৮ ব্যাটালিয়ানের সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেনের জানান, নিজস্ব গোয়েন্দা সূত্রে তাঁরা জেনেছেন, দীর্ঘদিন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ওষুধ, কাপড়, জুতা, মোজা, মশারি, নৌকা ইঞ্জিনের পাখা ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ মিয়ানমারের আরাকান আর্মির কাছে সরবরাহ করছে একটি সিন্ডিকেট চক্র। পাচারকারীদের ধরতে সীমান্তের বিজিবি চৌকিগুলোতে বিজিবি সদস্যরা সতর্ক রয়েছেন।
জাকির হোসেন বলেন, গতকাল বুধবার তিন্দুমুখ বিজিবি চেকপোস্ট অতিক্রম করার সময় মালবাহী তিনটি ইঞ্জিন নৌকা দেখে বিজিবির সদস্যদের সন্দেহ হয়। এ সময় নৌকা থামাতে বললে একটি নৌকা দ্রুত চলে যায়। বাকি দুটি নৌকা তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০টি মশারি, ১২০টি ইঞ্জিন বোটসহ অন্যান্য পণ্য পাওয়া যায়।

রাষ্ট্রায়ত্ত যমুনা অয়েল কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী মো. ইয়াকুব তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। একই সঙ্গে তিনি শ্রমিক লীগ নেতাও। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে সিবিএর সাধারণ সম্পাদক ও গ্যাস অ্যান্ড অয়েলস ফেডারেশনের মহাসচিবের দায়িত্বও সামলাচ্ছেন।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৩৫ মিনিট আগে
গাজীপুরের কালীগঞ্জে রেললাইন দিয়ে হাঁটার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে নানি-নাতনিসহ তিন নারী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে টঙ্গী-ভৈরব রেলপথের আড়িখোলা রেলস্টেশনসংলগ্ন টেকপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৮ মিনিট আগে
নলছিটি উপজেলার লঞ্চঘাট এখন থেকে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নামে পরিচিত হবে। জন্মস্থান ও শৈশবের স্মৃতিতে গাথা এই লঞ্চঘাট তাঁর নামের সঙ্গে চিরস্থায়ীভাবে যুক্ত হলো।
১ ঘণ্টা আগেঝালকাঠি প্রতিনিধি

নলছিটি উপজেলার লঞ্চঘাট এখন থেকে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নামে পরিচিত হবে। জন্মস্থান ও শৈশবের স্মৃতিতে গাথা এই লঞ্চঘাট তাঁর নামের সঙ্গে চিরস্থায়ীভাবে যুক্ত হলো।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় (২৫ ডিসেম্বর) জানান, শহীদ ওসমান হাদির জন্মস্থান নলছিটি। শৈশব, বেড়ে ওঠা এবং জীবনসংগ্রামের সঙ্গে লঞ্চঘাট এলাকার নিবিড় সম্পর্ক থাকার কারণে এটি তাঁর নামে নামকরণ করা হয়েছে। বর্তমানে টার্মিনালের সংস্কার ও রঙের কাজ চলমান রয়েছে।
আগামী শনিবার নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন ঘাটটি পরিদর্শন করবেন বলেও জানান তিনি।
নলছিটি লঞ্চঘাট শহীদ ওসমান হাদির জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ঘাট থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে তার পৈতৃক বাড়ি। নদীর ধারে দাঁড়িয়ে মানুষের আসা-যাওয়া দেখা এবং লঞ্চের ভিড়ে সময় কাটানো—এই ঘাট ছিল তার বেড়ে ওঠার নীরব সাক্ষী।
ঘাট এলাকার ব্যবসায়ী রব হাওলাদার বলেন, ‘আমরা চাইছিলাম হাদির স্মরণে এমন কিছু হোক, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম মনে রাখবে। তার শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত লঞ্চঘাটের নাম তার নামে হওয়া নিঃসন্দেহে স্মরণীয় সিদ্ধান্ত।’
ব্যবসায়ী শাহাদত আলম ফকির যোগ করেন, ‘এই ঘাটে আমরা হাদিকে ছোটবেলা থেকে দেখেছি। সে এখানকারই ছেলে ছিল। আজ তার নামে ঘাটের নামকরণ হওয়ায় আমরা গর্বিত।’
ওসমান হাদির প্রতিবেশী বেলায়েত হোসেন নান্নু বলেন, ‘হাদি এই এলাকার সন্তান। এই ঘাট, এই নদী, এই মানুষ—সবকিছুতেই তার স্মৃতি ছড়িয়ে আছে। লঞ্চঘাটের নাম তার নামে হওয়া মানে, সে এখানেই চিরদিন বেঁচে থাকবে।’
উল্লেখ্য, ১২ ডিসেম্বর হত্যার উদ্দেশ্যে ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। তাঁকে প্রথমে ঢাকায় ভর্তি করা হয় এবং পরে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর মারা যান ওসমান হাদি। পরবর্তীকালে তাঁর মরদেহ দেশে আনা হয় এবং সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে (জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে) সমাহিত করা হয়।

নলছিটি উপজেলার লঞ্চঘাট এখন থেকে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নামে পরিচিত হবে। জন্মস্থান ও শৈশবের স্মৃতিতে গাথা এই লঞ্চঘাট তাঁর নামের সঙ্গে চিরস্থায়ীভাবে যুক্ত হলো।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় (২৫ ডিসেম্বর) জানান, শহীদ ওসমান হাদির জন্মস্থান নলছিটি। শৈশব, বেড়ে ওঠা এবং জীবনসংগ্রামের সঙ্গে লঞ্চঘাট এলাকার নিবিড় সম্পর্ক থাকার কারণে এটি তাঁর নামে নামকরণ করা হয়েছে। বর্তমানে টার্মিনালের সংস্কার ও রঙের কাজ চলমান রয়েছে।
আগামী শনিবার নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন ঘাটটি পরিদর্শন করবেন বলেও জানান তিনি।
নলছিটি লঞ্চঘাট শহীদ ওসমান হাদির জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ঘাট থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে তার পৈতৃক বাড়ি। নদীর ধারে দাঁড়িয়ে মানুষের আসা-যাওয়া দেখা এবং লঞ্চের ভিড়ে সময় কাটানো—এই ঘাট ছিল তার বেড়ে ওঠার নীরব সাক্ষী।
ঘাট এলাকার ব্যবসায়ী রব হাওলাদার বলেন, ‘আমরা চাইছিলাম হাদির স্মরণে এমন কিছু হোক, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম মনে রাখবে। তার শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত লঞ্চঘাটের নাম তার নামে হওয়া নিঃসন্দেহে স্মরণীয় সিদ্ধান্ত।’
ব্যবসায়ী শাহাদত আলম ফকির যোগ করেন, ‘এই ঘাটে আমরা হাদিকে ছোটবেলা থেকে দেখেছি। সে এখানকারই ছেলে ছিল। আজ তার নামে ঘাটের নামকরণ হওয়ায় আমরা গর্বিত।’
ওসমান হাদির প্রতিবেশী বেলায়েত হোসেন নান্নু বলেন, ‘হাদি এই এলাকার সন্তান। এই ঘাট, এই নদী, এই মানুষ—সবকিছুতেই তার স্মৃতি ছড়িয়ে আছে। লঞ্চঘাটের নাম তার নামে হওয়া মানে, সে এখানেই চিরদিন বেঁচে থাকবে।’
উল্লেখ্য, ১২ ডিসেম্বর হত্যার উদ্দেশ্যে ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। তাঁকে প্রথমে ঢাকায় ভর্তি করা হয় এবং পরে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর মারা যান ওসমান হাদি। পরবর্তীকালে তাঁর মরদেহ দেশে আনা হয় এবং সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে (জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে) সমাহিত করা হয়।

রাষ্ট্রায়ত্ত যমুনা অয়েল কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী মো. ইয়াকুব তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। একই সঙ্গে তিনি শ্রমিক লীগ নেতাও। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে সিবিএর সাধারণ সম্পাদক ও গ্যাস অ্যান্ড অয়েলস ফেডারেশনের মহাসচিবের দায়িত্বও সামলাচ্ছেন।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৩৫ মিনিট আগে
গাজীপুরের কালীগঞ্জে রেললাইন দিয়ে হাঁটার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে নানি-নাতনিসহ তিন নারী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে টঙ্গী-ভৈরব রেলপথের আড়িখোলা রেলস্টেশনসংলগ্ন টেকপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৮ মিনিট আগে
বান্দরবানের থানচি উপজেলায় দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০টি মশারি, ১২০টি নৌকার ইঞ্জিনের পাখা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে তিন্দুমুখ বিজিবি চেকপোস্ট পার হওয়ার সময় নৌকাগুলো তল্লাশি করে এসব জিনিস জব্দ করে বিজিবি।
১ ঘণ্টা আগে