Ajker Patrika

৮ দফা দাবিতে নোয়াখালী সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি, প্রশাসনিক ভবনে তালা

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫৩
প্রশাসনিক ভবনের মূল ফটকে তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
প্রশাসনিক ভবনের মূল ফটকে তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

শিক্ষার্থীদের জন্য নির্দিষ্ট শ্রেণিকক্ষ, ক্লাসরুটিন অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সিলেবাস শেষ করে যথাসময়ে পরীক্ষা নেওয়া, অতিরিক্ত ভর্তি ফি না নেওয়াসহ ৮ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন নোয়াখালী সরকারি কলেজের ডিগ্রি (পাস) শাখার শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে তাঁরা প্রশাসনিক ভবনের মূল ফটকে তালা দিয়ে সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

এ সময় তাঁরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষ জাকির হোসেনের অসদাচরণ ও কটূক্তির অভিযোগ তুলে এর প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। বেলা ২টার দিকে অধ্যক্ষসহ অন্য শিক্ষকেরা এসে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের আশ্বাস দিলে তাঁরা অবস্থান তুলে নিয়ে গেটের তালা খুলে দেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন ডিগ্রি শিক্ষার্থীদের জন্য নির্দিষ্ট কোনো শ্রেণিকক্ষ নেই। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের একেক দিন একেক কক্ষে পাঠ নিতে হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সিলেবাস শেষ করার কথা থাকলেও ক্লাস না করার কারণে তা শেষ করা সম্ভব হয় না। যার ফলে শিক্ষার্থীদের ফল বরাবরই খারাপ হয়। ডিগ্রি কোর্স কো-অর্ডিনেটর অন্য বিভাগের দায়িত্বে থাকেন। এ বিভাগের জন্য কোনো সেমিনার কক্ষও নেই।

তাঁরা অভিযোগ করে বলেন, এসব বিষয় নিয়ে ২ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো শিক্ষার্থীদের ওপর ক্ষিপ্ত হন। সেই সঙ্গে তাঁদের কটূক্তি করেন এবং অসদাচরণ করেন।

এ বিষয়ে অধ্যক্ষ জাকির হোসেন বলেন, শুরু থেকে ডিগ্রির ক্লাসের জন্য কোনো রুম বরাদ্দ ছিল না। আমি যোগদানের পর একটি টিনশেড ঘর প্রস্তুত করছি, কাজ চলমান রয়েছে। আশা করছি আগামী এক মাসের মধ্যে সেখানে দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীদের পাঠদান এবং দর্শন বিভাগের ডিগ্রির পাঠদান চালু করা সম্ভব হবে।

কটূক্তির ব্যাপারে অধ্যক্ষ বলেন, ‘তাদের সমস্যাগুলো নিয়ে কয়েক শিক্ষার্থী আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। তখন তারা জানিয়েছে, যদি শ্রেণিকক্ষই না থাকে, কেন ডিগ্রি কোর্স চালু রাখা হলো। তাদের কথার পরিপ্রেক্ষিতে আমি বললাম, তোমরা তাহলে অনার্সে ভর্তি হওনি কেন, ডিগ্রিতেই-বা কেন হলে। এই কথাটাকে তারা ভুল বুঝেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত