Ajker Patrika

চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর ৩ ফ্ল্যাট, ২ দোকান–প্লট

  • শ্রমিক লীগের মার্শালিং ইয়ার্ড শাখার সভাপতি ছিলেন শামছুল আলম।
  • টিকিট কালোবাজারি, কর্মচারীদের বাসা বরাদ্দ, তদবির আয়ের উৎস।
  • সরকারের পরিবর্তনের পর যোগ দিচ্ছেন জামায়াতের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে।
জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৭: ০২
শামছুল আলম। ছবি: সংগৃহীত
শামছুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

রেলওয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ক্যারেজ অ্যাটেনডেন্ট ছিলেন শামছুল আলম। ৯ হাজার টাকা বেতন গ্রেডে চাকরি করতেন তিনি। তবে এই চাকরি থেকে আঙুল ফুলে যেন কলাগাছ হয়েছে। কিনেছেন ৩ কোটি টাকায় তিনটি ফ্ল্যাট, ১ কোটি টাকার দুটি দোকান, ৮০ লাখ টাকার প্লট।

রেলওয়ে শ্রমিক লীগের মার্শালিং ইয়ার্ড শাখার সভাপতি ছিলেন শামছুল আলম। আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে দায়িত্ব পালন না করেই বেতন তোলার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। চাকরি থেকে এখন অবসরে আছেন। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে ভোল পাল্টেছেন তিনি। এখন যোগ দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিতে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রামের সদরঘাট থানার বিপিডিআর আরআর টাওয়ার ১৬৭ মাঝির ঘাট রোডে ১৮০০ স্কয়ার ফুটের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কেনেন শামছুল আলম। ২০১১ সালে ৮০ লাখ টাকায় ওই ফ্ল্যাটটি চট্টগ্রাম ক্যারেজ ডিপোর সাবেক হেড টিএক্সার মো. জামিলের কাছ থেকে কেনেন তিনি। পাহাড়তলী বার কোয়ার্টার এলাকায় চট্টগ্রাম পিবিআই অফিসসংলগ্ন ইউনাইটেড সোসাইটির ১৪ তলা ভবনের ১২/এ (১৯০০ স্কয়ার ফিটের) ফ্ল্যাটটিও শামছুল আলম কিনেছেন। পাঁচ বছর আগে ৯০ লাখ টাকায় কেনেন এ ফ্ল্যাট। এই ভবনে থাকা রেলওয়ের এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া ভবনের দারোয়ানও এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া চট্টগ্রামে বসুধা রেলওয়ে মেন্স সিটি সেন্টারের ‘মায়েদা ডেটস’ নামে দোকানটিও ১ কোটি টাকায় কিনে নেন তিনি। ওই সেন্টারে আরও একটি দোকান রয়েছে তাঁর। রয়েছে খুলশী ১ নম্বর এলাকায় একটি ফ্ল্যাট ও প্লট।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে শামছুল আলমের চট্টগ্রাম পিবিআই অফিসসংলগ্ন ইউনাইটেড টাওয়ারে তাঁর বাসায় যাওয়া হয়। সাংবাদিক পরিচয় শুনে তিনি আর দেখা করেননি। পরে, তাঁর মোবাইলফোনে দুই দিন কল ও ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।

শামছুল আলম ১৯৮৪ সালে ক্যারেজ অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে যোগ দেন। ২০২২ সালে অবসরে গেলেও ৫ আগস্টের আগপর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন। রেলওয়ে শ্রমিক লীগের মার্শালিং ইয়ার্ড শাখার সভাপতিও ছিলেন তিনি। নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের রাজনীতি করতেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিলেন তিনি। ৫ আগস্টের আগে ৪ আগস্ট চট্টগ্রামের নিউমার্কেটে আওয়ামী লীগ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে অংশ নেন শামছুল আলম। সরকার পতনের পর এখন রেলওয়ে এমপ্লোয়িজ নামে জামায়াতে ইসলামীর ব্যানারে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন তিনি। এ-সংক্রান্ত ছবিও সংগ্রহ করেছে আজকের পত্রিকা।

চাকরিরত অবস্থায় চট্টগ্রাম ক্যারেজ ডিপোর প্রধান রেল যান পরীক্ষক মো. আকরাম হোসেনের সই জাল করার অভিযোগও রয়েছে শামছুল আলমের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে রেলওয়ের ডিএমই ক্যারেজ সজিব আল হাসান বলেন, এ-সংক্রান্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। খুব শিগগির কমিটি প্রতিবেদন দেবে।

যেভাবে প্রভাব বিস্তার

রেলওয়ের চট্টগ্রাম ক্যারেজ সূত্র জানায়, শামছুল আলম ২০০৮ সাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। এর পর থেকে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে ট্রেনে অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন না। চট্টগ্রাম মার্শালিং ইয়ার্ড শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ায় অ্যাটেনডেন্টের চাকরি না করে বছরের পর বছর অবৈধ ভাউচারের মাধ্যমে প্রতি মাসে নিয়েছেন টিএ।

আওয়ামী লীগের দলীয় ক্ষমতাকে ব্যবহার করে শামছুল আলম চট্টগ্রাম স্টেশনে করেছেন টিকিট কালোবাজারি, যান্ত্রিক বিভাগের বাসা বরাদ্দ নিতে হলে তাঁর সঙ্গে করতে হতো মোটা অঙ্কের চুক্তি। টিএলআর নিয়োগের দালালি হিসেবে তাঁকে দিতে হতো কমিশন। এ সুবিধা নিয়েছেন—এমন বেশ কয়েকজন আজকের পত্রিকার কাছে তা স্বীকার করেছেন।

রেলের মহাব্যবস্থাপক মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘রেলের কোনো সাবেক কর্মচারী অপরাধ বা দুর্নীতি করলে দেশের দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ব্যবস্থা নেবে। তাঁর মাধ্যমে কেউ অপরাধ করছে কি না, সেটি আমরা খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দূরপাল্লার গণপরিবহন কম, বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের তল্লাশি

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের জৈনা বাজার এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে গাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাজীপুরের জৈনা বাজার এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে গাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরের শ্রীপুরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের আজকের কর্মসূচি ঘিরে দুটি পয়েন্টে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। এই কর্মসূচি ঘিরে গতকাল রাত থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গণপরিবহন তেমন চলাচল করতে দেখা যায়নি। শুধু পণ্য পরিবহন এবং সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। তবে পুলিশ বলছে এ বিষয়ে তাদের জানা নেই।

আজ সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়ক ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে তেমন দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচল করছে না। মাঝেমধ্যে দু-একটি পরিবহন চলাচল করতে দেখা গেছে। বিভিন্ন লোকাল বাস চলাচল করতে দেখা যায়। এ ছাড়া সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে।

আজ সকালে ফাঁকা মহাসড়ক। মাওনা চৌরাস্তা এলাকা থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা -২
আজ সকালে ফাঁকা মহাসড়ক। মাওনা চৌরাস্তা এলাকা থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা -২

বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের অপেক্ষমাণ থাকতে দেখা যায়নি। সড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে রাত থেকে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছে। সড়কের ২ নম্বর সিঅ্যান্ডবি বাজার এলাকায় ভোররাতে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ ছাড়াও রঙিলা বাজার এলাকায় একটি ঝটিকা মিছিল করেছেন তাঁরা।

এদিকে আজকের কর্মসূচি প্রতিহত করতে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মোটরসাইকেল মহড়াসহ মিছিল করে সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছেন।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, ‘সড়কের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্ট রয়েছে। পুলিশের কঠোর নজরদারি রয়েছে। বিক্ষোভ ও আগুন দেওয়ার বিষয়টি জানা নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন একটি ভিডিও দেখেছি। মনে হচ্ছে এগুলো আগের।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গভীর রাতে রেললাইনে আগুন, আধা ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৪
রেললাইনে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুন নেভানো হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
রেললাইনে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুন নেভানো হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গভীর রাতে রেললাইনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের দুবলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এতে কিছু সময়ের জন্য ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।

জানা গেছে, আগুনের কারণে চট্টগ্রামগামী তূর্ণা নিশীথা পাঘাচং এবং একই পথের বিজয় এক্সপ্রেস ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে আটকা পড়ে। তবে আধা ঘণ্টার ব্যবধানে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

আখাউড়া রেলওয়ে জংশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা রেললাইনের ওপর প্লাস্টিকের পাইপে আগুন লাগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই দুষ্কৃতকারীরা পালিয়ে যায়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গোপালগঞ্জে গণপূর্ত অফিসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ, গাড়িতে আগুন

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ডাকা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ গণপূর্ত অফিসে বেশ কয়েকটি পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় একটি গাড়িতে আগুন ধরে যায়।

গণপূর্ত অফিস সূত্রে জানা যায়, আজ ভোরে কে বা কারা গণপূর্ত অফিসের মধ্যে বেশ কয়েকটি পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে। এ সময় গণপূর্ত অফিসে থাকা একটি গাড়িতে আগুন ধরে যায়। পরে বিষয়টি টের পেয়ে গণপূর্ত অফিসের কর্মচারীরা গাড়ির আগুন নিভিয়ে ফেলেন। এতে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এদিকে আওয়ামী লীগের ১৩ নভেম্বর অনলাইনে ডাকা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুরো জেলায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। জেলাজুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পদ্মা সেতুর সামনে এক্সপ্রেসওয়েতে চিনির ট্রাকে অগ্নিসংযোগ, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের মিছিল

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
পদ্মা সেতুর সামনে এক্সপ্রেসওয়ের নাওডোবা এলাকায় ট্রাকে আগুন দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
পদ্মা সেতুর সামনে এক্সপ্রেসওয়ের নাওডোবা এলাকায় ট্রাকে আগুন দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা এলাকায় একটি চিনির ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করেছে দুষ্কৃতকারীরা। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে পদ্মা সেতুর সামনে এক্সপ্রেসওয়ের নাওডোবা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এর আগে ওই এলাকায় মিছিল বের করে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অনলাইনে ঘোষিত ১৩ নভেম্বরের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার ভোরে জাজিরা উপজেলার নাওডোবা এলাকায় মিছিল করেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় তাঁরা লাঠিসোঁটা নিয়ে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এর কিছুক্ষণ পর ওই এলাকা দিয়ে ঢাকা থেকে ভাঙ্গার দিকে যাওয়া একটি চিনির ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করে দুষ্কৃতকারীরা। এতে আধা ঘণ্টার বেশি সময়ের জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। তবে তার আগেই সড়ক থেকে সটকে পড়ে দুষ্কৃতকারীরা।

পদ্মা সেতুর সামনে এক্সপ্রেসওয়ের নাওডোবা এলাকায় ট্রাকে আগুন দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
পদ্মা সেতুর সামনে এক্সপ্রেসওয়ের নাওডোবা এলাকায় ট্রাকে আগুন দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

এদিকে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাদের মিছিলের ৩৯ সেকেন্ডের ভিডিও ফেসবুকে ছাত্রলীগের ভেরিফায়েড পেজে আপলোড করা হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, শতাধিক লোক হাতে লাঠিসোঁটা নিয়ে ভাঙ্গা-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ের নাওডোবা এলাকায় মিছিল করছে। মিছিলের সম্মুখভাগে থাকা এক ব্যক্তির দুই হাতে ককটেল দেখা যায়। এ সময় তারা নানা স্লোগান দিতে থাকে।

বিষয়টি নিয়ে জেলার পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘একটি ট্রাকে দুষ্কৃতকারীরা অগ্নিসংযোগ করেছে বলে জানতে পেরেছি। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে। তা ছাড়া মিছিলের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। সব ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ মাঠে আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত