Ajker Patrika

ইউপি নির্বাচন নিয়ে মামা-ভাগনের সমর্থকদের সংঘর্ষ, নারী ও শিশুসহ আহত ৫০ 

নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২২, ১৮: ৩৭
ইউপি নির্বাচন নিয়ে মামা-ভাগনের সমর্থকদের সংঘর্ষ, নারী ও শিশুসহ আহত ৫০ 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মামা-ভাগনের সমর্থকদের সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের বেঙ্গাউতা গ্রামে এ সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে আহতরা নাসিরনগর, মাধবপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ এবং এখনো অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্যপদে প্রার্থী হন মামা জাহের মোল্লা ও ভাগনে মোক্তার হোসেন। নির্বাচনে বিজয়ী হন মামা জাহের মোল্লা। এ নিয়ে চাপা ক্ষোভের সঞ্চার হয় উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে। এর পর থেকেই মামা-ভাগনের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়তে থাকে।

এ নিয়ে বিভিন্ন সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলাও হয়। বিষয়টি সমাধানের জন্য স্থানীয় প্রশাসন একাধিকবার উদ্যোগ নিলেও কোনো সমঝোতা হয়নি। এক সপ্তাহ আগে এ নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। আজ শুক্রবার সকালে মোক্তার হোসেনের বাড়ি-ঘরে হামলা চালায় জাহের মোল্লার লোকেরা। এ সময় দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং এই সংঘর্ষে নারী, শিশুসহ প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছে।

এ ঘটনায় আহতরা হলেন মো. আলাল মিয়া (১৮), ইসহাক মিয়া (৮), জয়নাল মিয়া (৩০), মো. মন্নান (৩২), বশির মিয়া (২১), মো. সৈয়দ মিয়া (৫৫), মন্টু মিয়া (৪৭), মোছা. রোহেনা বেগম (৩৭), হামিদা বেগম (৩৮), বেগম বানু (৪২), দাউদ মিয়া (২৮), বাবুল মিয়া (৪০), আমির খাঁ (২৬), মারুফ মিয়া (৪৫), রেহান উদ্দিন (৭০), সোহরাব মিয়া (২৮)। মাধবপুর ও জেলা সদরে চিকিৎসা নেওয়ায় বাকিদের নাম জানা যায়নি।

এ নিয়ে জানতে চাইলে মামা জাহের মোল্লা বলেন, ‘আজ সকালে বিষয়টি সমাধানের জন্য ইউএনও স্যারের কাছে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকালে মোক্তারের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়।’

এ বিষয়ে মোক্তারের পক্ষের সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘বিষয়টি সমাধানের জন্য আমি থানায় লিখিত দরখাস্ত করেছি। কিন্তু জাহের মোল্লা বিষয়টির সমাধান করতে চান না। আজ সকালে জাহের মোল্লার লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়।’

চাপরতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনসুর ভূঁইয়া বলেন, ‘উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বিষয়টি সমাধানের জন্য আমরা একাধিকবার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাঁদের অসহযোগিতায় তা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি থানায়ও জানানো হয়েছিল।

এ নিয়ে জানতে চাইলে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, ‘নির্বাচনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামা-ভাগনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। উভয় পক্ষের কিছু লোক আহত হয়েছে। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত