Ajker Patrika

আধা ঘণ্টা আগে পরীক্ষার্থীদের খাতা নিলেন শিক্ষকেরা, অভিভাবকদের অসন্তোষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রামফটিকছড়ি সংবাদদাতা
আজ বেলা ৩টা ১২ মিনিটে পরীক্ষার খাতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ছুটি দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ বেলা ৩টা ১২ মিনিটে পরীক্ষার খাতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ছুটি দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

নির্ধারিত সময়ের আধা ঘণ্টা আগে পরীক্ষার খাতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ছুটি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চননগর রুস্তমিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। অভিভাবকদের অভিযোগ, নির্ধারিত সময়ের অন্তত আধা ঘণ্টা আগে শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে খাতা নিয়ে পরীক্ষা অসমাপ্ত রেখেই ছুটি দিয়ে দেন। এতে পরীক্ষার্থীরা পূর্ণ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়।

আজ বুধবার (২৭ আগস্ট) সরেজমিনে দেখা যায়, দ্বিতীয় প্রান্তিক পরীক্ষার শেষদিনে ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। বেলা ১টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত হওয়ার কথা থাকলেও বিদ্যালয়ে ছিল ভিন্নচিত্র। বেলা ৩টা ১২ মিনিটে পরীক্ষার খাতা গুটিয়ে শিক্ষার্থীদের ছুটি দেওয়া হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নীতিমালা অনুযায়ী দ্বিতীয় প্রান্তিক পরীক্ষার সময়সীমা ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট নির্ধারিত থাকলেও ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ২ ঘণ্টার বেশি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি।

চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী রিহান বলে, ‘স্যারেরা যখন বলেন, তখন আমরা খাতা দিয়ে দিই। এতে সম্পূর্ণ প্রশ্নের উত্তর লিখতে পারি না।’

একই শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহফুজার মা মুক্তা মনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘শিক্ষকেরা ছাত্রছাত্রীদের অধিকার হরণ করছে। নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা দিতে না পারলে শিক্ষার্থীরা মেধার বিকাশ ঘটাতে ব্যর্থ হবে। বিদ্যালয়ের কার্যক্রম একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালার মধ্যে পরিচালিত হওয়া জরুরি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক আজম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা চিৎকার–চেঁচামেচি করে, তাই একটু আগে-পরে পরীক্ষা নিয়ে ছুটি দিয়ে দিই।’ তবে আগে পরীক্ষা শেষ করার কোনো নিয়ম আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হাছান মুরাদ চৌধুরীকে পাওয়া যায়নি।

ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে এ ধরনের অনিয়ম কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সবার আগে, তাদের ক্ষতি হয়—এমন কাজ শিক্ষকেরা করতে পারেন না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১টা বাজলেই আর স্কুলে থাকে না শিক্ষার্থীরা, ফটকে তালা দিয়েও ঠেকানো গেল না

পাইপলাইনে জ্বালানি পরিবহন: ৩৪ হাজার লিটার ঘাটতি যমুনার প্রথম পার্সেলে

আসামে ‘দেখামাত্র গুলির নির্দেশ’ বহাল থাকবে দুর্গাপূজা পর্যন্ত

ভিকারুননিসায় হিজাব বিতর্ক: বরখাস্ত শিক্ষককে পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

জম্মু-কাশ্মীরে ধ্বংস করা হলো ৪৪ হাজার কেজি রসগোল্লা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত